নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে লিখে আমার জীবন বৃত্তান্ত?আমি নাকি ঈশ্বর!!!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

‘i.
‘আল্লাহর মাল আল্লায় নিয়ে গেছে।’ আমাদের বিশাল দেহী এক মন্ত্রীমশায় লঞ্চ ডুবির লাশের পাশে দাঁড়াই এই বাণী ছেড়ে বিশাল নাম কামাই ছিলেন। ধর্ম কর্মের বাণী গুলাকে দেখি যে বেশির ভাগ সময়েই মানুষ নিজের হারামী-গীরি ঢাকার ঢাল বানায়। এই ধর্মের এক লাইন, ঐ ধর্মের আরেক লাইন মিলাই পুরা’ই আলিফ লায়লা রচনা করে বসে।



বহুল কথিত ব্যপার গুলা এই রকম- হায়াত মৌত সব খোদার হাতে। কার যে ক্যামনে মরন হবে সেটা আগেই ঠিক করা। যার মরণ যে ভাবে খোদায় লিখে রাখছেন সে ভাবেই তার মৃত্যু হবে। কারো কিচ্ছু করার নাই। বুজলা।

নোয়াখালীতে একবার বিষাক্ত স্পিরিট খেয়ে মারা গেলো ডজন খানেক মানুষ। একটা হারাম জিনিষ খেয়ে মৃত্যু লিখি রাখলেন কেন খোদায়! আর ঐ নেশার স্পিরিট মানুষ তাহলে নিজের ইচ্ছায় খায়নি। উপরওয়ালা তাদের খাওয়াচ্ছেন!!! এইচ, আইবি পজিটিভে যারা মারা যাচ্ছে তাদের সঙক্রমিত হওয়ার কর্মটাও কি তাহলে পূর্ব নির্ধারিত। খোদার নিজের ঠিক করে রাখা বা লিখে রাখা কাজের আবার বিচার হবে কিভাবে পরকালে??!!!!

‘ii.
জনৈক মানিক সাহেব ভার্সিটি লাইফে বয়স দোষে সম্পর্কে জড়ালো ক্যাম্পাসের মিলি, পাড়ার লিলি আর লতাপাতার কাজিন চিলির সাথে। ছাত্র জীবন শেষে চাকরীতে ঢুকে বিবাহ করলো বাপ-মার ঠিক করা ঝিলিমিলিরে। চিলির জীবন নিয়ে চিনিমিনি কেন জানতে চাইলো যখন চিলির বাপ-মায়, তখন মানিক সাহেবের ধার্মিক বাপ-মা বুজাইলো – ‘বিবাহ-শাদী সব উপর ওয়ালার তরফ থেকে ঠিক হয়। সব আগেই ঠিক করা বা লিখে রাখা আছে। যার সাথে তিনি লিখে রেখেছেন তার সাথেই হবে। তোমার আমার কি করার আছে বল?’
চিলির বাপ শুধায়,- ‘আপনার উপর ওয়ালা এই রকম ঘটকালির কারবারের কথা কোথায় বলছেন!!??’
‘- কেন, শুননি তিনি বলেছেন সব প্রাণীকে আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি!’
‘-জনাব, তিনিতো বলেছেন তোমরা বিবাহ করে নাও দুটা, তিনটা বা চারটা পর্যন্ত। চার বিবি আর আপনি মিলেতো হন পাঁচ জন। জোড় বেজোড় তো মিলে না, জনাব।
‘-কেন, শুননি? কিতাবে বলা আছে তোমার বাম পাঁজড়ের হাঁড় থেকে তোমার বউ কে সৃষ্টি করা হইছে। তাই তারে বেশি শাষনে রাখলে হাড্ডি ভাঙ্গি যাবে, আবার না বকাবকি করলে বাঁকা হাড্ডি বাঁকাই থাকবো। এর মানে দুইটা, পরথম মানে’ই হইলো, তোমার বউ তোমার হাড্ডিতুনই হইছে, আর দ্বিতিয় মানে হইলো, নিজের বৌরে রাখতে হইবো সব সময় মাইরের উপর। হুম, সব জানতে হবে বুজলা। আমার পোলার হাড্ডিতুন তোমার মাইয়া হয় নাই। সবই ঠিক করা।’
‘-জনাব, আপনিতো একটার মধ্যে আরেকটা ঢুকাই ককটেল বানাই ফেলেছেন মনে হয়। হাড়-গোড়ের কথাতো আছে শুধু প্রথম মানবীর সৃষ্টির ক্ষেত্রে। বাকি মানব-মানবীতো একই ভাবে সৃষ্টি হইছে, এক বিন্দু রক্ত থেকে। আর মেয়েরা বাঁকা হাড় এর ‘মত’ বলা আছে, বাঁকা হাঁড় থেকে বানানো হয়েছে এমন তো বলা নাই, যত দূর জানি।’
‘-যাও যাও, আমার থেকে বেশি বুজ নাকি। সবই পূর্ব নির্ধারিত।’
‘-জ্বী জনাব। আপনার পোলারে অচিরেই যে বানানিটা দেয়া হবে সেটাও পূর্ব নির্ধারিত কিন্তু। দৈব বানিতে আমি জানছি।’

iii.
আর এভাবেই জনৈক ঋণ আর কর খেলাফী, বিলাসী জীপে বসে বিশাল ভুঁড়ির উপর হাত বুলাতে বুলাতে তার পি. এস. কে বলে- ‘বুজলা রিযিক উপর ওয়ালা লিখে রাখছেন। কে কখন কোথায় কত টুকু খাবে সব পূর্ব নির্ধরিত। নড়চড় করা তোমার আমার কাজ না, বুজলা। এই যে দেখ, বস্তির পোলা পাইন গুলাযে খাইতে পায় না, ক্যান পায় না? ভাবছো?’
পি. এস. মিন মিন করে বলতে যায়- ‘স্যার খোদার দেয়া রিযিক বোধ হয় আমরা তার দেয়া নিয়মে বন্টন করিনা। তাই কারো কাজ আছে কিন্তু খাওয়া নাই। আর কারো কাজ নাই, অথচ, খাবার রাখার জায়গা থাকেনা শরীরে।’
জার্মান শেফার্ডের মত ঝুলে পড়া চোয়াল নাড়িয়ে জনাব খেলাফী অধ:স্তনকে বুজান- ‘তোমাদের মত পোলাপাইনের একটাই সমস্যা বুজলা। দু’কলম পড়েই খালি কলসির মত পট পটানি শুরু কর। অত কিছু তো আর তুমি বুজবা না। বুজলা নাদান। এই সব বুজ শুধু বড় বড় বুজুর্গদেরই থাকে। না বুজে বলতে গেলে উপর ওয়ালার সাথে বেয়াদপি হয়ে যাবে। আগে পড়, আরো পড়। তার পর বলতে আইসো। হুম…………………….!!’

09262014

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.