নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই গল্প আমার না… :) /:) :-P

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

সাতটা বাজে ঘুম থেকে উঠলে আটটার মধ্যে আফিসের জন্যে বের হওয়া যায়। চোখ খুলে দেখি ঘড়িতে বাজে ৮:৩০। লাফ দিয়ে উঠে গোসলে ঢুকলাম। সেখানে দেখি বালতি ভরা আগের রাতের ভিজানো কাপড়। খালাকে খুঁজলাম সকালে ধুয়ে দেয়ার জন্যে, কিন্তু ততক্ষণে খালা রান্নাবান্না করে চলে গেছেন। তো এই কাপড় রাত পর্যন্ত চুবানো থাকবে, কি আর করা! গোসল সেরে রাতে ভেজানো কাঁচা ছোলা হাতে নিয়ে দেখি বাটিটাতে পানি দেইনি, সব ছোলা শুকনা! রাতে আনা ডিম গুলাও দেখি হাওয়া! মনের দু:খে দাঁত-টাত ব্রাশ করে অফিসের জন্যে রেডি হতে নিলাম, তখনই মুখে পেষ্টের বিশ্রী স্বাদে বমি চলে আসলো। পেষ্ট আর সেভলন ক্রীম পাশাপাশি রাখার কারনে সেভলন ক্রীম ব্রাশে লাগাই বসে আছি। এই সময় দরজায় বাড়ি পড়লো। বাড়িওয়ালা চাচা আসছেন গেটের পাশে পড়ে থাকা ডিম গুলা কার জিজ্ঞেস করতে।
.
ঘটনা হচ্ছে, কয়দিন ধরে আমার চাবির রিংটা খুঁজে পাচ্ছিনা। বাসায় ঢুকার জন্যে গেটের পাশে ব্যাগ-ট্যাগ রেখে দাঁড়াই থাকি কেউ আসলে সাথে ঢুকার জন্যে। সব দিনই কেউ না কেউ গেট খুলে আসা যাওয়া করে। কিন্তু, আমার চাবি হারানোর পর থেকে এই রকম কাউকে আর পাচ্ছিনা। ফোন করে রুমমেট গুলাকে ডাকি ডাকি গেইট খুলাতে হয়। কাল রাতে ভাগ্য ক্রমে এক জনকে পেলাম গেট খুলার জন্যে যিনি বাসা থেকে বেরুচ্ছেন। নিচের গেটের তালা লাগাই উপরে উঠে দেখি যে আমার বাসায় কেউ নাই। দরজায় তালা, সেটার চাবিও হারানো রিঙে ছিলো। এইবার তো উপরে-নিচে দু’জায়গাতেই তালা। আমি সিঁড়ির মধ্যেই আটকে গেলাম। ঐ সময়ের গ্যাঞ্জামেই বোধ হয় ডিম গুলা ভুলে নিচে ফেলে চলে আসছি।
.
যাই হোক; এর মধ্যে আফিসে দেরী হওয়াটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ফোনে ব্যাপারটা জানাই দেয়া দরকার। মোবাইল খুঁজতে গিয়ে দেখি, সেটা ড্রয়ারে রাখা আর মানিব্যাগটার মধ্যে তার লাগাই সেটা চার্জে দিয়ে রাখছি রাতে! মোবাইলটা টঁ..টঁ করে লো ব্যাটারী সিগনাল দিতেছে। কল করতে গিয়ে দেখি টাকা নাই। কিন্তু কাল রাতে তো টাকা ভরছিলাম! ব্যাটা বোধ হয় নাম্বার ভুল করছে। বুদ্ধি করে কাল রাতে আবার তিনশ টাকার কার্ডও আনছিলাম। কিন্তু আজব ব্যাপার হলো মানিব্যাগে সেই কার্ডও নাই!
.
রেডি হয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে নিচের গেটের তালাটা লাগানোর পরই বুজলাম পায়ের জুতা জোড়া রুমমেটের, এবং সেটা ছিঁড়া যদিও একই মডেলের। আবার উঠতে হবে বাসায়। কিন্তু আবার বাসায় ঢুকা মানে আবার কাউকে ফোন দিয়ে নামানো। যাই হোক, জুতা পাল্টিয়ে বের হয়ে সেই ফ্লেক্সীর দোকানটাতে গেলাম। নাম্বার আসলেই ভুল। কিন্তু কার্ডটা কই গেলো! ফ্লেক্সির দোকানদারটা বললো’ ‘ভাই আপনে কাল রাইতে পাঁচশ টাকা দি তিনশ টাকার কার্ড দিতে কইলেন। আমি দুশ টাকা ফেরত দিলাম আর আপনে সেইটা পকেটে নিয়াই সাথে সাথে হন হন করি চলি গেলেন কার্ড না নিয়াই!!’ দুতরফা দাখিলা পদ্বতির এটা হলো সমস্যা। দিলাম এবং নিলাম নীতিতে আমি ভাবছিলাম বোধহয় লেনদেন কম্প্লিট।
.
হুরুস্থুল করি বাসে উঠলাম। ভাগ্য যে জ্যাম-ট্যাম নাই, রাস্তা খালি। অফিসের এইচ. আরকে মেসেজ দিয়ে ফেবুক গুঁতানো শুরু করলাম। হঠাৎ এক সময় আবিষ্কার করলাম বাসটা আমার স্টপেজ পার হয়ে দৌঁড়াচ্ছে। বাস ভর্তি মানুষগুলাকে টপকে লাফাই নামলাম। উল্টা দিকে গিয়ে আবার রিক্সা নিলাম একটু তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্যে। আফিসের কাছাকছি আসতেই এইচ. আর থেকে ফোন আসলো। ব্যাটাকি ম্যাসেজটা পায় নাই নাকি! ফোন ধরতেই বলে উঠলো-‘ভাই, আজকে অফিসে দেরিতে গেলেও কোন সমস্যা নাই। মেসেজ-টেসেজ দিতে হবে না।’
- ‘ক্যানরে ভাই। আজকে কি উদার দিবস। এত্ত্ব উদারতা ক্যান?’
-‘ভাই, আপনি যে আজকে অফিসে যাচ্ছেন এতেই সবাই বেজায় খুঁশী হবে। লেইট ফেইট কেউ গুনবেনা। আশুরার বন্ধেও আপনি আফিস করবেন, এইটাই বড় কথা…হে: হে: হে:।’
.
তব্দা খাই গেলাম। এই দিকে দুই কদম রাস্তার জন্যে রিক্সাওয়ালায় চাই বসলো বিশ টাকা!!! আর বন্ধের দিনেও কে যেন আমার পকেটটা মারি দিয়ে বসে আছে!!!! এই সব কিসের আলামত….!!!!
.
10292015

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত কষ্ট জীবন নষ্ট!

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: হা: হা: হা:

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!

(মাথা চুলকানোর ইমো হবে)

জলদি শাদী করতে হবে আপনার! অবশ্য বিপদ তাতেও বাড়ার সম্ভবানা থাকে যদিও! যে বর্ণনা দিলেন- তাতে নিজের বউ ভেবে অন্যকে.. কিংবা অন্যের বউ ভেবে নিজের জনকে ভুলে রেখে আসার আশংকা থাকা সত্ত্বেও আপাতত ট্রাই করেন! ;)
=p~ =p~ =p~ =p~

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

এহসান সাবির বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!

(মাথা চুলকানোর ইমো হবে)

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: হুম!!! অনেক অনেক গুলা মাথা চুলকানোর ইমো হবে..।

ভাবার বিষয়..।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । আহারে । মনভোলা রোগ !!!

৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা| কি আর করার| চরম মজা পাইছি

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.