নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন তনু। একটি বাংলাদেশ। কিছু বীরপুরুষ।। X(

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৩

যে কোন অপরাধ মূলতই অপরাধ কিনা সেটা নির্ভর করে তার শাস্তির বা বিচার ব্যাবস্থার উপর। যে কোন অপরাধের পর তার কোন ধরনের বিচার না হলে তখন ঐ অপরাধীটা অপরাধী না থেকে হঠাৎ করে ‘হীরো’ হয়ে যায়। তার নিজের কাছেই নিজেকে মহা-বীর মনে হয়। মহা-বীর চীর উন্নত মম শীর। তাই শীর উন্নত রাখার আকাঙ্খা থেকে সে তখন আরো অপরাধ করবে। সে যদি নাও করে, তার বীরত্ত্বে উৎসাহীত হয়ে আরেক জন করবে। এবং খুব দ্রুতই একটা জনপদ ভরে যাবে এই সব বীর এবং তাদের উন্নত শীরে!! দুর্ভাগ্যের কথা হলো, আমাদের দেশটা এমনই সব মহা বীরে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে।
.
প্রত্যেকটা ঘটনার পর প্রচুর প্রচারণা, মিটিং মিছিল হলেও দিন শেষে বেশিরভাগ সময়েই কারো কিছুই হয়না। ব্যাপারটা যতটা না অদক্ষতার কারনে হয় তার থেকে বেশি মানষিকতার কারনে। না হলে টিভি ক্যামেরার সামনে লাইভ খুন করার পরেও বিশ্বজীতের খুনিরা এখনো বেঁচে থাকার কথা না। তাই দিন শেষে এরা সবাই নায়ক। তাদের করা একেকটা অপরাধ হয়ে যায় একেকটা অর্জন, একেকটা মামলা একেকটা ট্রফি। নতুন কোন টার্গেটকে শাষানোর জন্যে তারা আগের করা অপরাধগুলোকে রেফারেন্স হিসেবে দেয় যে- ‘তোর অবস্থাও ওর মত হয়ে যাবে।’ তার মানে দাঁড়ায় যত বেশী প্রচার প্রচারণা, পত্রিকায় লেখালেখি হয় সেটা শাপেবর হয় ক্রিমিনালটার জন্যে। প্রচারের ঢামাডোলে সে বা তারা বীর থেকে এলাকায় মহাবীর হয়ে যায়।
.
এত্ত্ব এত্ত্ব অপরাধ হলেও আমাদের কোথাও ক্রিমিনাল সাইকোলজী নিয়ে পুরদুস্তর পড়াশোনা হয় বলে শুনিনি। তবে এখানে স্বশিক্ষিত প্রচুর লোকজন আছে যারা ক্রিমিনাল সাইকোলজী বুজেন। বুজে শুনে ক্রিমিনালদের লালন করেন, নিজের ফুট-ফরমায়সে কাজে লাগান। এবং এভাবেই বোধহয় এক দল সাইকোপ্যাথ দেশের অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছে গেছে। আর এ কারনেই ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর অপরাধের পর ছাগল গরু টাকা জমি দিয়ে সেগুলো ‍বিচার ছাড়াই মাটি চাপা দেয়ার চেষ্টার কথা আমরা শুনি। এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার তনু মেয়েটার পরিবারকেও নাকি টাকা পয়সা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বা এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে। পুর বাংলাদেশ মূলত অনেক অনেক সোভাগ্যবান। কারণ এই ধরনের সাইকোপ্যাথরা পাকিস্তানে জন্মায়নি। না হলে ৭১ এর ভয়ঙ্কর অপরাধগুলোর জন্যে তারা আমাদের এরই মধ্যে ছাগল, দুম্বা বা টাকা পয়সা দিয়ে ক্ষতিপূরন দিতে চাইতো।
.
কোন পতাকা, জাত, রক্ত, গায়ের বর্ণ কোন কিছুই অপরাধ বা অপরাধকে প্রতিনিধীত্ত্ব করেনা। ৭১ এর পাকী আর্মীর সত্যিকারের প্রতিনিধী মূলত পাকিস্তান ক্রীকেট টিমে খেলেনা। কিন্তু, তাদের প্রতিনিধী নয় বরং সরাসরী সেই পাকের বদমাইস নাপাক আার্মীই ঘাপটি মেরে আরামসে বাস করছে কুমীল্লার আর্মীর কোয়ার্টারে, জাহাঙ্গীর নগরে, টি্. এস. সি তে, সারা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে, মুম্বাইয়ের বাসে, সারা দূনিয়ার এখানে সেখানে। আলোর মিছিলের আলো পৌঁছে যাওয়া দরকার ঐসব আনাচে কানাচে যেখানে এই সব ছারপোকাদের বাস। আগুন ধরে যাওয়া দরকার ছারপোকার উপর ধরে রাখা ছাতা গুলোতে।
.
আফনান আব্দুল্লাহ্
০৩২৫২০১৬

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.