নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
কুরবানী ব্যাপারটা মূলতই খুব কঠিন একটা কাজ। এটা করতে গেলে জীবনটা প্রায় ওলট পালট হয়ে যাবে। যে দেশ দূনিয়া দেখতেছি তা তছনছ হয়ে যাবে। সবই বদলে যেতে বাধ্য কুরবানীর কারনে।
.
ঘেঁটে ঘুটে যতদূর বুজলাম কুরবানী ব্যপারটা এই রকম: নবী ইব্রাহীম (আ যখন নিজের পুত্রকে কুরবানী দেওয়ার আদেশ পেলেন, তিনি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তা পালন করতে গেলেন। বিষয়টা দাঁড়ালো এমন- নিজের ব্যাক্তিগত সুখ, ইচ্ছা, অনিচ্ছা, আরাম, পছন্দ সবই সর্বউচ্চ ক্ষমতাধর স্বত্তার ইচ্ছা এবং বিধানের কাছে সেক্রিফাইস করতে হবে। যখন আমার ব্যাক্তিগত ইচ্ছার সাথে খোদার বিধানের সংঘর্ষ হবে তখন বিধান বা নিয়ম কানুনকেই আগে গুরুত্ত্ব দিয়ে মেনে চলতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে যে যিনি আমাকে এবং বিশ্বভ্রম্মান্ড তৈরী করেছেন তিনি সাংঘর্ষিক বিষয়টা আমার থেকে বেশি বুজেন, একই সাথে তিনি তার বিধানেই বেশি এবং বৃহত্তর মঙ্গল রেখেছেন। এখানেই সমস্যা। ফযরের নামাজের সময়েই দেখি যে ইবলিশ খুব আদরে মাথায় হাত বুলাতে থাকে।
.
তো নবী ইব্রাহীম (আ কেও প্রবৃত্তি, মনের ভেতরে বাস করা ড: হাইড বা শয়তান, যেটাই ডাকি না কেন তা কাজের সময় ডিষ্টার্ব দিচ্ছিলো-‘আমার এত্ত আদরের পুত্র, এই ভাবে কুরবানি দিয়ে দিবো! এটা কোন কথা!” কিন্তু বিধানতো বলছে তাতেই মঙ্গল! তাই তিনি কুরবানির রাস্তায় চলতে চলতে সেই প্রবৃত্ত্বির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তিন বার পাথর ছুঁড়ে মারেন। শয়তান সায়েস্তা করে, নিজের ইচ্ছা বা প্রবৃত্ত্বির উপরে খোদার আইনকে গুরুত্ত দিয়ে নিজের সব চেয়ে পছন্দের জিনিষটাই কুরবানি দিয়ে দিলেন!!! পরে দেখলেন যে মূলত পশু কুরবানি হয়েছে যেটা দিয়ে ভালো করে খাই দাই করা যাবে। নবী বিরাট আরাম পেলেন দেখে।
.
সারা বছর এমন সাংঘর্ষিক ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছা বা প্রবৃত্ত্বি গুলোকে কুরবানি করতে পারলেইতো বছর শেষে পশু জবাই দিয়ে আরাম করে খাওয়া যায়। সেলিব্রেট করা যায় ব্যাপারটা। যেমন, যখনি মন বলছে দুই পুরিয়া ঘুঁষ খেয়ে থাইল্যান্ড গিয়ে বডি ম্যাসাজ নিবো তখনি সেই ইচ্ছা কুরবানি দিলাম। রডের জায়গায় বাঁশ, সিমেন্টের জায়গায় বালি, দুধের মধ্যে ডিটারজেন্ট, রাস্তা ভরা চান্দাবাজি, অফিস ভর্তি ঘুঁষ, ব্যাংক ভর্তি খেলাপি লোন সবইতো নিজের ইচ্ছায়! কোথায় কোন কুরবানি নাই। নিজের প্রবৃত্ত্বিতে একটা পাথরও না মেরে লিকার খেয়ে বরং পিত্তে পাত্থর জমাইলাম। এর পর আরব দেশে গিয়ে শয়তানরে পাথ্থর মেরে চমকে দিচ্ছি। শয়তান ভাবতেছে সারা জীবন ইয়ার দোস্তের মত চললাম। তুই ব্যাটা হজ্জ্বেও আসছস আমার টাকায়, কোথায় এক সাথে বসে চা সিগারেট খাবো, তা না। ব্যাটা মারতেছস পাথ্থর!!’
.
পুর আয়োজনটাকেই আমরা দারুন ইন্টারেস্টিং করে তুলছি! এমনকি বাচ্চাদের খাবারেও ভেজাল দিচ্ছি, সেটা খেয়ে তারা যখন অসুস্থ হয়ে ওষুধ খাবে সেই ওষুধও বিষাক্ত করে প্রজন্ম পঙ্গু করছি। কিছু টাকা পয়সা ছড়িয়ে বিচার আচারও বন্ধ করে দিচ্ছি! এই কু-কাজ, লোভ আর প্রবৃত্তির টাকা দিয়ে আবার বছর বছর পশু জবাই দিয়ে নিজের কুপ্রবৃত্ত্বি কুরবানির সেলিব্রেট করছি! কোথাও কোথাও আবার সেই গরু ছাগলটাও ছেলের বউয়ের বাড়ি থেকে আদায় করে জবাই করতেছে!! খুবই ইন্টারেস্টিঙ! ঘটনাটা যেন এমন- কোন টুর্নামেন্টে একটা দল সব ম্যাচেই গো হারা হারলো, তবু ও চ্যাম্পিয়ন হওয়া উৎযাপন করতেছে!
.
যাই বলি, সবার জন্যেই কুরবানিটা আসলে কঠিন, গরু জবাই না। হালকা করি লিখাটা একটু। ধরেন বউ যদি আপনাকে সাবেক বান্ধবীর সংখ্যা জিজ্ঞেস করে বসে- শিল্পীর ছোঁয়ায় মিথ্যা বলার প্রবৃত্ত্বিটা আপনি কি দমন করতে পারবেন তখন?”
.
তো যাই হোক। ঈদ মোবারক।
.
08122019
#Afnan_Abdullah
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা জেনে লেখা ভালো,
আপনার জানার মধ্যে কিছু ভুল আছে ।
........................................................................
মনে রাখা উচিৎ দুইটি ঈদ মুসলিমদের ,বিশ্বাসের পাশাপাশি
ধর্মের অনুশাসন ও ঊৎসব বটে । আপনার নিজের দেখা আশপাশের
ঘটনা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেনা ।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যুগে যুগে মানুষ বিপথে যায় মারামারি , হানাহানির পর আবার
প্রজন্ম উন্নত জীবন যাপন করে। এটাই হয়তো প্রকৃতি র বাস্তবতা ।
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা বেশী ঘুষ খায়, ব্যবসার নামে ডাকতী করে, সেক্রেটারিয়েটে বসে জাতির ১২টা বাজায়, তারা কোরবাণী বেশী করে করে।
হযরত ইব্রাহিমকে আল্লাহ কিছু বলেনি, উনি বুড়ো মানুষ, উল্টা পাল্টা স্বপ্ন দেখেছেন; স্বপ্ন আপনিও দেখেন, ওগুলো আল্লাহ আপনাকে দেখায় না।
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৩
সুপারডুপার বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেবের কথা ঠিক : যারা বেশী ঘুষ খায়, ব্যবসার নামে ডাকতী করে, সেক্রেটারিয়েটে বসে জাতির ১২টা বাজায়, তারা কোরবাণী বেশী করে করে।
প্রাকৃতিক পদ্ধতি খাদ্য শৃঙ্খল স্বাভাবিক একটা বিষয়, যেটা এই পৃথিবীর জন্য স্রষ্টা তৈরী করেছেন। কিন্তু মানুষ মানুষকে কুরবানী দিতে যাবে একটা অস্বাভাবিক বিষয়। খোদার আইনে, কখনও মানুষ মানুষকে কুরবানী দেওয়া , মানুষ মানুষকে মারা হতেই পারে না। মারার দরকার খোদা মনে করলে, খোদা তো নিজেই মারতে পারেন।
পরীক্ষা করার কথা বলে, সত্যিকারের অর্থে খোদাকেই ছোট করা হয়। মানে দাঁড়ায়, খোদা ইব্রাহিম (আ ) কে সৃষ্টি করেছেন কিন্তু মন বুঝতে পারেন নি। তাই তিনি পরীক্ষা নিতে চান। আজব তো, খোদা যদি ইব্রাহিম (আ ) কে সৃষ্টি করে থাকেন , তিনি তো ইব্রাহিম (আ ) এর মন মানসিকতা প্রতিটা পয়েন্ট সুনিদৃষ্ট ভাবে জানার কথা। পরীক্ষা নেওয়ার কি আছে ! পরীক্ষা মনুষ্য সমাজের যুক্তি। তাই খোদার পরীক্ষা নেওয়ার কথা যার বুঝে শুনে বলে , বাস্তবিক অর্থে তারা খোদাকে মনুষ্য সমাজেই ফেলে।
৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:০৫
সাফকাত আজিজ বলেছেন: ভাই সবই ঠিক ছিল কিন্তু আপনার লেখায়। কিন্তু আমাদের বোঝাতে গিয়ে, ট্রেনের বগি মনে হয় কিছুটা লাইন চ্যুত হয়েছে...
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:০৪
মাহের ইসলাম বলেছেন: বউয়ের কাছে বান্ধবীর সঠিক সংখ্যা বলটা অত কঠিন নাও হতে পারে।
তবে, কোরবানি এই সমাজে নিঃসন্দেহে মহা কঠিন।
ভালো থাকবেন।
৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯
বিষন্ন পথিক বলেছেন: পড়ে আরাম পাইলাম
৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মাহমুদুর রহমান জাওয়াদ বলেছেন: সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০২
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
১০| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পশু কোরবানি মানে প্রবৃত্তিকে দমন করা এরকম কোনও কথা হাদিস কোরআনে নেই। আমাদের রসূল কখনও বলেননি যে পশু কোরবানির সাথে সাথে তোমরা প্রবৃত্তিকেও কোরবানি দেও। কোরানেও এভাবে বলা নেই। আল্লাহ্ এই দিন পশু কোরবানি দিতে বলেছেন তাই মুসলমানরা কোরবানি করে। এর সাথে সামাজিক, অর্থনৈতিক অনেক ব্যাপার জড়িত। অনেক আলেম সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলে। অর্থাৎ প্রতিবছর না করলেও দোষ হবে না। তবে অনেকেই একে ওয়াজিব বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সত্য কথা লিখেছেন।
আমাদের সমাজে সঠিক নিয়মে কারোই কোরবানী হয় না।