নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মূল্যায়ন বা সমালোচনার অধীকার ঠিক কিভাবে আসে. . .

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

মূল্যায়ন, সমালোচনা, আলোচনা, জবাবদিহিতা ব্যাপার গুলো ঠিক কিভাবে আসে. . .
.
জিঞ্জিরায় জোড়াতালি দিয়ে বানানো স্মার্ট টিভি যখন আন-স্মার্টলি রিক্সার পেছনে আঁকা পেইন্টিঙের মত ছবি দেখায় সেটারে ভুয়া টিভি বলার জন্যে আমাদের ইঞ্জিনিয়ার হয়ে টিভি বানিয়ে দেখাতে হয় না। মুভি বানাইনা বলে কি বলতে পারবোনা যে হুমায়ুন আহমেদের “আগুনের পরশ মণির” তুলনায় “ঘেটু পুত্র…” একটা বেজাত জিনিষ! চিত্র সমালোচনা কি শুধু শাকিব খান আর অনন্ত জলীল সাহেব করবেন, যেহেতু উনারা মুভি বানান!
.
নাকি ব্যাপারটা এমন-সব পন্য বা সেবার মূল ব্যবহারকারীর অধিকার থাকে সেটার মূল্যায়ন করার, ভালো মন্দ মন্তব্য করার। এবং চুড়ান্ত ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট কিছু চাহিদা থাকে ঐ জিনিষটা থেকে। সে গুলো না মিটলে সে অবশ্যই বলবে এটা ভালো না বা ওটা ভালো। তার জন্যে তাকে নিজেই ঐ পন্য বানিয়ে বা ঐ সেবা দিয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে না।
.
কিছু জায়গায় এই দাবি বেশি শুনা যায়। যেমন ক্রিকেট বা যে কোন খেলা-ধুলায়, ডাক্তারী আর ধর্ম-কর্ম বিষয়ে। মানে এ জায়গা গুলোতে নিত্যই শুনতে হয় নিজে খেলে দেখাও, বা তুমিতো আর ডাক্তার না, তুমি কি বুজবা কিংবা তুমি তো আর হাক্কানী আলেম নও! যেন এই সব গুপ্ত বিদ্যা, কালো যাদু!
.
অথচ ফোঁড়া গালাতে গিয়ে যদি রক্তক্ষরণে মরার যোগাড় হয় সেবা গ্রহীতা রোগীটি জানতে চাইতেই পারে রক্ত কেন তার জমাট বাঁধেনা? আরেকটু জানতে চাইলে বলবে Coagulation studies (PT/PTT) টেষ্টের রেজাল্ট কি ছিলো? যেটা তার গায়ে ছুরির পোঁচ দেয়ার আগেই দেখার কথা। দাঁত ধরে টান দিতেই যখন প্রচন্ড ব্যাথা লাগে রোগী অবশ্যই বলতে পারে ডাক্তার বাবু আপনাদের এ্যানেস্থেসিয়াতো বোধ হয় কাজ করেনি। কেন করেনি, ক্যামনে করার কথা তা আপনার পেশাজিবীরা বলবেন। কিন্তু এই সেবার গ্রহীতা হিসেবে আমি জানি যে আমার কোন ব্যাথা লাগার কথা না। অপারেশান থিয়েটারেই ব্যাথা পাচ্ছি মানেই হচ্ছে আপনি ভুল করেছেন। এবং এটা বলার জন্যে আপনি আমাকে ডাক্তারী পড়ে আসতে বলতে পারেন না।

এক জন বুদ্ধিদীপ্ত ডাক্তার তার ট্যাক্স কনসাল্টেন্ট থেকে সহজেই পুর হিসাব নিকাশ বুজে নিতে পারে। কোন খাতে কত ইনভেষ্টমেন্ট দেখালে তার কত ট্যাক্স সেইভ হবে, কিভাবে হবে। প্রয়োজনে সেকশান রেফারেন্স নিয়ে আইন কানুন পড়েও দেখতে পারে। অডিটে পড়ে মামলা খেলে সহজেই তখন তার ট্যাক্স কনসাল্টেন্টকে ধরতে পারবে যে ভাই তুমি তো ভুল জায়াগায় ইনভেষ্টমেন্ট দেখিয়ে ভুয়া রিবেইট নিছ। এখন জরিমানা দিবে কে? চুরি চামারি না করেও জরিমানা খাওয়া মানেই তুমি ভুল ট্যাক্স কনসাল্ট্যান্সি করছ। আর এইটা বলার জন্যে আমাকে নিজের ডাক্তারীর প্যারা বাদ দিয়ে ট্যাক্স এক্সপার্ট হতে হবে না।

একই ভাবে ট্যাক্স কনসাল্টেন্টও প্রত্যেকটা প্যাথলজি টেষ্ট কি সন্দেহ করে তাকে দেয়া হলো, প্রত্যেকটা ওষধ কোন রোগের জন্যে দেয়া হলো জানতে চাইতে পারে। এটা বুজার জন্যে অবশ্যই তাকে ডাক্তারী পড়ে আসতে হবে না। মোদ্দা কথা সবারই বাধ্যতামূলক একটা জবাব দিহিতা থাকতে হবে।
.
প্রতিটা প্রফেশানেরই টেকনিকাল ওয়ার্ড থাকে যেগুলোর আবার সাধারন প্রতি শব্দ থাকে। যখন কেও ভুং ভাং করে তার প্রফেশানের টেকনিকাল শব্দ আওড়াতে থাকে তখনি বুজা যায় যে ভদ্রলোক পেশাগত জবাবদিহিতা থেকে পালাতে চাচ্ছে। একই সাথে সম্ভাবনা থাকে যে উনি নিজেই ব্যাপারটা স্পষ্ট বুজেন না। এক্ষেত্রে ব্যাখ্যাহীন টেকনিকাল শব্দগুলো হলো তাদের মুখোশ। আরেকটা হলো চোখ মুখ গরম করে তোরাবোরা গুহা ফেরত সাধু বাবার মত মুখ করে রাখা। মানে আমি আমার কাজ নিয়ে নাদানদের সাথে বাত চিত করিনা ধরনের ভাব।
.
ক্রিকেটে, সোয়া তিনশ তাড়া করতে নেমে ডজন ডজন বল খেলে বোল্ড হওয়ার পরে, হাফ ভলিতে ছয়ের পর ছয়ে বল ছাতু হয়ে গেলেও একটা ইয়র্কারও দিতে না পারলে দর্শকরা কেনো বলতে পারবে না উহারাতো খেলার এই দিকটা পারে না। খেলাধুলার পুরো আয়োজনের মূলতো দর্শকদের বিনোদন দেয়াই। তখন অকারন রান আউটে দর্শক কেন বিরক্ত হতে পারবে না। “ধূর! কি ছাতা খেলে” বলার জন্যে তাকেও খেলে দেখাতে হবে কেন। সে তো সারা দিন তার পেশাগত খেলা খেলেই টিভি খুলে বসেছে। এই পুর আয়োজনের সে বা তারা একেক জন চুড়ান্ত ভোক্তা। দর্শক জানতে চাইতেই পারে, যে বিনোদনের আশ্বাস দিয়ে এত বড় আয়োজনে আমাদের ডাকলে তার জন্যে তোমরা যাথেষ্ট প্রস্তুতি কি নিয়ে ছিলে? আয়োজনের হর্তা কর্তাদের কাছে জানতে চাইতেই পারে- ‘বছরের পর বছর যে বিপুল পরিমান অর্থ বোর্ডের চার পাশে উড়ে তা কি সারা দেশে স্কুল পর্যায় থেকে নতুন খেলোয়ার তৈরীতে কোন কাজে লাগছে? নাকি ব্যাক্তিগত চেষ্টায় উঠে আসা কিছু খেলোয়াড়কে পোষ্টার বয় হিসেবে সামনে রেখে পেছনে চলছে লুটপাটের মচ্ছব! যা পোষ্টার বয়দের সরে যাবার পরেই প্রকাশ হওয়ার অপেক্ষায় আছে।
.
জবাবদিহিতা কি শুধু আম জনতাই করে যাবে!!
.
#Afnan_Abdullah
07062019

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হাদিস নিয়ে, ধর্ম নিয়ে হুজুরদের সাথে কথা বলতে গেলে, হুজুর'রা কমন একটা প্রশ্ন করে মুখে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রশ্নটা অনেকটা এমন, আপনি কি মাদ্রাসায় পড়েছেন?
এখন ধর্মের বাইরে অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে কিছু মানুষ হুজুরদের টেকনিক ইউজ করে মুখে তালা মারবার চেষ্টা করেন।
এদের একচোখা ধান্দাবাজ বললে ভুল হবেনা।

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন থাকতে পারে। দায়িত্বশীলরা স্বচ্ছ থাকলে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া চেষ্টা করতেন না।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ কি করতে জন্মায় ?
মানুষ তো আর জন্মায় না মানুষ জন্মে যায়। একটা ছেলে একটা মেয়েকে বিয়ে করে। তারপর দিনকতক আদরা-আদরি চলে, তারপরে ট্যাঁ করে কান্না, এ তো কিছু করার নেই। যতদিন না আদর বন্ধ হচ্ছে ততদিন মানুষের জন্মও বন্ধ হবে না। জন্মাতেই থাকবে, দেশ ভর্তি তেলাপিয়া মাছের মতো দাপাদাপি ঝাঁপাঝাঁপি মারামারি।

সেতার, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: "দায়িত্বশীলরা স্বচ্ছ থাকলে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া চেষ্টা করতেন না।" ঠিক বলেছেন। এটাই মূল কথা। @জুনায়েদ বি রাহমান

৪| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভোক্তার সমালোচনার অধিকার আছে। রোগী তার ডাক্তারের সমালোচনা করতে পারে যদিও রোগী ডাক্তারির কিছুই জানে না। উকিল যা বলবে মক্কেল সবই মেনে নেবে এমন নাও হতে পারে। সমালোচনা যৌক্তিক হওয়াটা জরুরী কে করলো এটা বিবেচ্য নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.