নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
১৯২৯-৩০ এর মহা মন্দায় ওয়ালস্ট্রিট শেয়ার বাজার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্বস দেখলো। পরের বছরগুলোতে কোন বিনিয়োগকারিই আর বাজারমুখি হচ্ছিলো না। তখন তাদের ভরসা দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজবেল্ট সাহেব ১৯৩৪ সালে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বানান। এরই ছায়ায় বাংলাদেশে বি.এস.ই.সি বানানো হয়।
.
বিনিয়োগকারি কোম্পানী গুলোকে তার টাকা দিচ্ছে ব্যবসা করতে। সে যেন কোম্পানীগুলোর ঠিক ঠিক তথ্য পেয়ে ঠিক জায়গায় টাকাটা দেয় এবং ঠিক ভাবে ফেরত পায় তা দেখভালো করছে বি.এস.ই.সি।
.
একই ভাবে প্রতিষ্ঠানে শ্রম, মেধা, সময় দিচ্ছে কর্মীরা। কিন্তু কর্মী বহরের বিশাল অংশই তার কোম্পানীর অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভালো জানেন না বা তাদের বুজার মত করে তথ্য পান না। বিশেষ করে যদি প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার বাজারে লিষ্টেড না হয়।
.
অনেক সময় কর্মীরা যখন পরের বছর তার ইন্ক্রিমেন্ট, বোনাস, প্রমোশান ইত্যাদি নিয়ে জল্পনা কল্পনা করতেছে, কি কি করবে না করবে; দেখা গেলো সেই বছর পুরো কোম্পানীই লাটে উঠে বন্ধ হয়ে গেলো নির্মম ভাবে। তথ্যের অভাবে তারা টেরও পেলোনা, প্রস্তুতিতো দূর।
.
বিনিয়োগকারিদের মত কর্মীরাও যদি তার প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক অবস্থার একটা চিত্র পেতো, ক্রেডিট রেটিঙের মত যদি একটা এইচ.আর রেটিঙ ব্যবস্থা থাকতো - কর্মপরিবেশ, প্রশিক্ষণ, প্রফিট শেয়ার, এপ্রাইজাল প্রসেস- এমন সব স্কেলে, তাহলে নিশ্চয় হঠাৎ মাথায় ঠাডা পরার মত করে কর্মহীন হতো না লোকজন।
.
দূর্ভাগ্য হলো বাজারে লিস্টেড না হওয়া অজস্র কোম্পানীর ফাইনেন্সীয়াল স্টেটমেন্টই ভরসা করার মত হয় না।
সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো, বছর শেষে কোম্পানীর লাভ ক্ষতি কি তাই দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ কর্মীর অজানা থেকে যায়। তার কি কি পাওনা সেটা বুজাতো দূর।
.
সাভারে একবার একটা গার্মেন্টসের ওয়ার্কাররা কর্ম বিরতি দিয়ে বসলো ইফতারিতে তাদের চিকেন ফ্রাই দেয়ার দাবি জানিয়ে! অথচ প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ফান্ডের মত দীর্ঘ্যমেয়াদি কিছু সুবিধা তখন তাদের দিবে দিবে করে ঝুলছিলো বছরের পর বছর। এসব নিয়ে তাদের বিকার ছিলো না!
.
ম্যানেজমেন্টের ভারতিয় লোকগুলো প্রচুর হাসাহাসি করছিলো 'চিক্কেনফ্রাই' নিয়ে।
.
অস্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান গুলোতে দশ বিশ বছর চাকরি করার পরও হঠাৎ কোন দূর্যোগে চাকরি নাই হয়ে যাচ্ছে। এত বছর ধরে তারা সবাই যে অবন্টিত মুনাফা সঞ্চয় করলো তার পুরটাই বিনিয়োগকারিদের জিম্মায় রয়ে যাচ্ছে।
.
এভাবে স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে শেয়ার হোল্ডারদের টাকার ঝুঁকিটাই সবচেয়ে গুরুত্ত পেলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা গুলোর কাছে। মেধা, শ্রম, সময় জীবন বিনিয়োগ করে হঠাৎ সব হারানোর যে ঝুঁকি কর্মী বহর নিত্য বয়ে চলেছে সেটা কমানো দুষ্করই হয়ে রইলো।
.
অবশ্য এত ব্যপক নিয়ন্ত্রন থাকার পরও শেয়ার বাজারের যে অবস্থা হয়ে আছে, সেখানে লিষ্টেড বা নন-লিস্টেড কোম্পানীর কর্মীদের জন্যে কর্ম সম্পর্কীত সঠিক তথ্য কে আর খুঁজতে যাবে!
.
তবুও, সকল শ্রমিক কে শ্রম দিবসের শুভেচ্ছা।
.
#Afnan_Abdulla
05012020
২| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ৮:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরী করে তারা লাভের সামান্য অংশীদার অনেক সময় হয় (বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে)। তবে লোকসানের অংশীদার তারা কখনই হয় না। তাই তারা পুজি বিনিয়োগের কোনও ঝুঁকি গ্রহণ করে না। তাই পুজি বিনিয়োগ করে কত লাভ/ লোকসান হোল তা তাদের জানাটা জরুরী না। তারা শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করে তার বিনিময়ে তারা বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পায়। যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ তাদের বকেয়া বেতন দিতে আইনত বাধ্য। লিস্টেড কোম্পানি ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলোর অর্থনৈতিক তথ্য ও উপাত্ত সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে এদেশে আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ হয় না বলে কর্মচারীরা বিভিন্ন অনিয়ম ও জুলুমের স্বীকার হয়। দেশের শ্রম আইনও যুগপযুগি নয়। আইনের শাসন থাকলে সমস্যা হত না।
৩| ০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৪:২৬
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: একটা কোম্পানি যখন ক্রমাগত লোকসানে বন্ধ হওয়ার পর্যায়ে যায়, লোনের টাকা কারো ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়িতে ব্যয় করেপ্রেতিষ্ঠান দেউলিয়া হয় তার ভয়াবহ ভারটা চাকরি হারানো কর্মদের উপর যায়। তাই লোকসানের ঝুঁকি কর্মীরাও নিচ্ছে। যে কোম্পানির জন্যে তারা খেটে মরছে তার গতি প্রকৃতি বুজতে অবশ্যই তাদের কাছে তথ্য উন্মুক্ত থাকা উচিৎ যতটুকু সম্ভব। একটা কোম্পানিতে সবাই মিলেই একটা দল। লুকোচাপা মানেই কেউ না কেউ জুলুম করতেছে।
৪| ০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৪:২৮
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ভালো বলেছেন। সাম্যের ছবি আঁকতে তথ্য অধিকারে সাম্যতা দরকার খুব।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: একসাথে আছি,একসাথে বাঁচি,একসাথে থাকবই
সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবই।