নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
অাফগান যুদ্ধের সময় মার্কিন বোমারু বিমান রঙ আর অাকারে প্রায় একই চেহারার দুই ধরনের প্যাকেট ফেলতো। একটা ছিলো ক্লাস্টার বোমা বাকিটা ত্রাণ সাহায্য। অনেক অাবাল বৃদ্ধ বনিতা খাবার প্যাকেট ভেবে অবিস্ফোরিত ক্লাস্টার বোমা ধরতে গিয়ে মারা গিয়েছিলো। মার্কিন বহর দু:খ প্রকাশ করে। সতর্কি করন লিফলেট ফেলে। তারা সেটা টোপ ছিলোনা বললেও ঘটনাটা ঘটেছিলো।
.
মারার জন্যে টোপ হিসেবে খাবার দেয়া খুবই অাদিম উপায়।
.
কুমির সাম্বার হরিণ শিকার করে যখন তারা দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে পানি খেতে অাসে। স্পাইডার টেইল্ড হর্ণ ভাইপার সাপ তার মাকড়সার মত লেজ দিয়ে ফাঁদ পাতে পাখি ধরতে। সেরা জীব মানুষও তাই করে। রাজা বাদশারাতো নিজেরাই তটস্থ থাকতেন খাবারের বিষের ভয়ে।
.
কেরালার লোকজন ফসল বাঁচাতে বুনো শুয়োর মারে। এ জন্যে অানারসে ছোট বিস্ফোরক ঢুকিয়ে টোপ দেয়। সেটা এসে খেয়ে বসলো তাদের জন্যে অারেক উৎপাত বুনো হাতি। যেমনটা মাছের বরশির বেইড খেয়ে মরে থাকে কোন বেকুব সাপ। কিংবা ইদুর চিকা মারার অাদার খেয়ে ট্রেপে লেপ্টে থাকে কোন কাঠবেড়ালী। হাতী দামি প্রাণি; সাইজে বড়। হয়তো এজন্যে তার কষ্টটা অনেকে ফিল করেছে। তাছাড়া বন বিভাগ সতর্ক হলে এই দুর্ঘটনা বা অপ্রয়োজনিয় হত্যা এড়ানো যেতো। একই প্রক্রিয়ায় নিয়মিত শূকর মারাটা প্রয়োজনীয় বোধ হওয়ায় তা নিয়ে কিছু বলছেনা কেউ। পেটে বাচ্চা শূয়োরেরও নিশ্চয়ই থাকে।
দাঁড়ালো যে প্রাণি হত্যা মূল বিষয় না। ব্যথার বিষয় অপ্রয়োজনে মারাটা।
.
মানুষ মারার ক্ষেত্রেও মানসিকতাটা বোধ হয় একই ভাবে কাজ করে। তাই যে কোন খুনের পর যে কোন ভাবে ভিকটিমের দোষ খুঁজতে হয়। ব্যাক্তিগত নবাবী জাহির করতে গিয়ে পিটিয়ে মারার পরে ট্যাগ দেয় সে তো ঐ দল করতো, বোকার মত বেশি কথা বলতো বা লিখতো ইত্যাদি ইত্যাদি। দেখাতে হয় যে হত্যাটা বিনা কারনে না। পশুর দল মত থাকেনা বলে তাকে হত্যার অযুহাত বের করাটা কষ্টকর। মানুষ মারলে ব্যপারটা সহজ। ভিকটিম প্রতিপক্ষের বা ঐ ধর্মের বলে দিলেই প্রায় সব মানবিক মানুষ নতুন ফানি ভিডিও খোঁজায় মনোযোগ দেয় তখন।
.
#Afnan_Abdullah
06042020
২| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:০১
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: হুম। খারাপ লাগার মতই ঘটনা।
৩| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমান সউদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম রাজা আব্দুল আজিজ ইবনে সউদের একটা চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিষের কারণে। তার এক স্ত্রী তাকে মারার জন্য খাদ্যে (সম্ভবত চা জাতীয় খাদ্য যা থেকে বাষ্প নির্গত হয় ) বিষ মিশিয়ে তার কাছে পরিবেশন করে। কিন্তু উনি অল্পতেই বুঝে ফেলেন। কিন্তু তার একটা চোখ নষ্ট হয়ে যায়। শাস্তি হিসাবে উনি ঐ স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তবে অন্য কোনও আইন অনুযায়ী শাস্তি দেননি।
বন্য প্রাণী হত্যার ক্ষেত্রে আমাদের মত দেশগুলিতে অনেক অন্যায় হয়ে থাকে। পশ্চিমের দেশগুলিতে মনে হয় জনগণের সচেতনতা বেশী। এদেশে সাধারণ মানুষের জীবনের মূল্য কম। আইনের শাসন আছে বললেও আসলে নাই। ভুক্তভোগীরা জানে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই ভাবে পশু হত্যা করা ঠিক না। হাতিটার জন্য আমার খুব খারাপ লেগেছে।