নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেসিজম: লুন্ঠনের আদিম হাতিয়ার।

০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

রেসিজম হলো পুরো একটা গোষ্ঠীর সম্পদ চুরির সব চেয়ে হিংস্র এবং কার্যকর উপায়।
.
খুশবন্ত সিং একটা বইয়ে দখলদার ব্রিটিশদেরকে বলেছিলেন বান্দরের পাছার মত লাল মুখো সাহেব। লাল সা‌হেবরা আবার কা‌লো‌দের বল‌তেন ওরাঙ ওটা‌নের মত। এই লাল মুখো ডাচ্ সাহেবরা যখন অাফ্রিকায় পৌঁছালেন, তারা দেখলেন যে পুর‌ো একটা মহাদেশ ভর্তি বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে এক ঝাঁক কালো লম্বা মুখো মানুষ বুনো আয়োজনে বাস করতেছে। ভদ্র লোকের দেশ থেকে এসেতো আর সরাসরি ডাকাতি করা যায় না। তারা মানসিক শক্তি যোগাড় করলেন এই প্রচার করে যে -এই সব কালো প্রানী গুলো প্রায় মানুষের মত মনে হলেও তারা মুলত মানুষ না। ওদের রেস ভিন্ন। তারা ঘোড়া করে কালো মানুষ শিকারে বের হতে লাগলো। দাস বানিয়ে আফ্রিকানদের দিয়েই আফ্রিাকার সম্পদ তুলে জাহাজ বোঝাই করলো। বন্দী করে ইউরোপে নিয়ে চিড়িয়াখানায় নগ্ন করে প্রদর্শন করলো। মারা গেলে শরীর ব্যবচ্ছেদ করে মানুষের সাথে কালোদের পার্থক্য খুঁজে খুঁজে জার্নালে প্রকাশ করার চেষ্টা করতো। সতের শ সাল পর্যন্ত ইউরোপ আমেরিকার চার্চ ফতোয়া ছাড়তো যে রেড ইন্ডিয়ান এবং আফ্রিকানদের সোল বা আত্মা নেই বাকি মানুষের মত। তাই সোল-লেস মানুষদের ঘোড়া গাধার মত খাটাতে পারে আত্মিক সাদা মানুষেরা।


.
দিনে দিনে ধর্মের জোর কমলো। অর্থনৈতিক কাজে চার্চের বয়ান শুনার মানুষও কমে গেলো। এবার আসতে থাকলো বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলোর অপ ব্যাখ্যা। ডারউন সাহেব যখন অরিজিন অব স্পেসিসে প্রকাশ করলেন যে বিবর্তনে দুর্বলরা মরে যাবে, সামর্থবানরাই টিকে থাকবে। তখন ইউরোপিয়ানরা আরো উঠে পরে লাগলো নিজেদেরকে সার্ভাইবালের যোগ্য প্রমাণ করতে। সাদা ফিলোসফার আর বিজ্ঞানীরা বলতে লাগলেন যে কালোরা প্রাকৃতিক নিয়মেই এক দিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তারা টিকে থাকতে সামর্থহীন। রবার্ট নক্স নামের এক এনাটমিস্ট শুধু একজন নিগ্রোর উপর গবেষণা করে রায় দেন যে কালোদের ব্রেইন ত্রুটিপূর্ণ। তাদের বুদ্ধি সাদাদের থেকে প্রাকৃতিক ভাবেই কম। কালোদের সম্পদ লুন্ঠন, গন হত্যা, দীর্ঘ সামুদ্রিক যাত্রায় রোগ বালাইতে মারা যাওয়া সব কিছুকেই ঐ সব বৈজ্ঞানিক তত্ব দিয়ে হালাল করতে চাইতো ভদ্র ইউরোপিয় সাদারা।
.

এবার একটা ইন্টারেস্টিঙ বিষয় বলি। ইউরোপিয়ানদের কাছে মানুষের ভাগ ছিলো মুলত দুইটা - হোয়াইট আর নন-হোয়াইট বা কালারড্। এই নন হোয়াইট যে সব সময় কালো চামড়ার মানুষই হতে হবে এমন ছিলো না। উনিশ শতকের দীর্ঘ সময় পর্যন্তও সাদা চামড়ার আইরিশ, ইহুদি বা ইতালিয়ানদের কিছু জাতকে নন-হোয়াইটের ভাগ্য নিয়ে দাসত্ব করতে হয়েছে।
.
আরো ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে এই রেইসের সংজ্ঞা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বদলেছে মানুষ। যার মূলে ছিলো সম্পদ লুন্ঠন। যে কোন ভাবে সমাজের একটা অংশকে বিভিন্ন অযুহাতে ধীরে ধীরে অন্যদের থেকে আলাদা করা। বেকুব আর অদক্ষ বলে তাদের মত প্রকাশ বন্ধ করা হলো রেসিজমের সবচেয়ে মোক্ষম এবং কার্যকরি পদ্ধতি। ব্যাটারির মত শ্রম দাস হিসেবে ব্যবহার করে তাদের পরিশ্রমের ফসলটা নিজেরা ভোগ করাই সকল রেসিজমের চুড়ান্ত উদ্দেশ্য। দীর্ঘদিন সামাজিক মর্যাদাহীন থাকার কারনে তাদের উপর যে কোন অত্যাচার সমাজ নির্বিকার ভাবেই দেখতে থাকে। তার সামাজিক অধিকার এমন ভাবে দমিয়ে রাখবে যাতে সে কখনো মুখ খুললেই সেটাকে বিশাল বেয়াদবি ধরা হবে। প্রকাশ্যে পুড়িয়ে, পিটিয়ে মেরে ফেললেও যেন কিছু বলার না থাকে। এই রেসিজম চামড়ার রঙ, ধর্ম, জাত, পেশা যে কোন দিক থেকেই আসতে পারে।

মধ্য যুগে ইউরোপে জ্ঞান- বিজ্ঞান, চিকিৎসা, ব্যবসায় সম্পদশালি হয়ে উঠেছিলো উইকান বা প্যাগান সম্প্রদায়। তারা ছিলো মাতৃ প্রধান জাতি। তাদের চিকিৎসা পদ্ধতি সহ বিভিন্ন কর্ম কান্ডকে ডাকিনি বিদ্যা বলে প্রচার চালালো ইউরোপিয়ানরা। উইকান মহিলাদের কে ডাইনি, কালো যাদুকর অপবাদ দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিলো হাজারো হাজারে। আখেরে উইকানদের নিয়ন্ত্রনে থাকা ব্যবসা সম্পদ নিজেদের দখলে নিতে পারলো ইউরোপিয়ানরা।
.
ফারাও সম্রাট গ্রেট রামেসিস ব্যবহার করেছিলেন সিরিয়া-ফিলিস্তিন থেকে যাওয়া বনি ইসরাইলিদেরকে। বিশাল বিশাল পিরামিড আর মূর্তি বানিয়ে দাসের দল তৈরী করেছিলো মিশরিয় সভ্যতা।
.
ধর্ম ব্যবহার করে হিটলার ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ইহুদিদের উপর। এ যুগে আমাদের পাশের মগের মুল্লকে বার্মিজরা যেভাবে দখল করেছে রোহিঙ্গাদের সম্পদ। ৪৭ এ দেশ ভাগের সময়ও চলেছে ধর্মের অযুহাতে সম্পদ লুন্ঠন। এর পর পাকিস্তানি পাঞ্জাবী গোষ্ঠী দেখাতে শুরু করেছিলো যে বাঙ্গালীরা ইনফেরিওর। একই ধ‌র্মের হ‌লেও সনাত‌নী বাঙা‌লি সমা‌জে ছি‌লো ব্রাম্মণ ও অব্রাম্ম‌ণের বিরাট কুল বৈষম‌্য।
.
দূনিয়ার কোথায় কখন কোন জন গোষ্ঠী কি অযুহাতে আরেকটা গোষ্ঠীর উপর ঝাঁপিয়ে পরবে বলা মুশকিল। এবার চার দিকে চোখ খুলে তাকান। অঙ্কুরে থাকা বিভিন্ন রকম রেসিজমের বিষ চোখে পরে কিনা দেখুন।
.
যদি বিশটা ফেমিলির একটা এপার্টমেন্ট বিল্ডিঙে আট জন মালিক, বার জন ভাড়াটে থাকে। দেখা যায় বিল্ডিঙ ব্যবস্থাপনা নিয়ে যে কমিটি হয় এবং তার যে মিটিঙ হয় সেখানে ঐ ভাড়াটেদের কোন জায়গা থাকেনা। প্রতিদিনের দশ বার ঘন্টা পরিশ্রমের বিশাল ভাগ ভাড়া দেয়ার পরও। এমন ভাবে ভিন্ন রাজনৈতিক দল, ভিন্ন জেলার বাসিন্দা, অফিসার শ্রমিক ইত্যাদি ইত্যাদি হেন কোন ইস্যু নাই যেটা থেকে রেসিজম খুনো খুনি পর্যন্ত না গড়াতে পারে। আর রেসিজম বাঁচিয়ে রাখার সব চেয় বড় জায়গা হলো শিক্ষা। এক জন জন্মগত অধিকারে ভালো শিক্ষা আর ট্রেইনিঙ্গ এর সুযোগ পাবে, অন্য জন পাবে না। এই রেইসে বাকি দল আজীবন পিছিয়েই থাকবে।
.
#Afnan_Abdullah
06082020

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

কল্পদ্রুম বলেছেন: মধ্যযুগে ইউরোপিয়ান ডাকিনীদের ব্যাপারে যা বলেছেন এই ব্যাপারে কি আপনি নিশ্চিত?

২| ০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০২

রাফিন জয় বলেছেন: যদি অথেনটিক ডকুমেন্ট শো করতেন, উপকার হতো।

৩| ০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২০

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: @কল্পদ্রুম: পেগানদের ইতিহাস ঘাঁটলে এমন কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তাদের প্রসারে খ্রীষ্টান সম্প্রদায় বিরক্ত ছিলো।

৪| ০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের কারনে হিটলার ঝাপিয়ে পড়েছিলেন ইহুদীদের উপরে। ধর্মের কারনে দেশ ভাগ হলো। দেখা যাচ্ছে ধর্মের কারনেই সমাজে ঝামেলা বেশি হয়।

৫| ০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: @রাফিন জয় : Western States Center তাদের Dismantling Racism Program এর জন্যে জার্নাল প্রকাশ করেছে। সেখানে কালো সাদা রেসিজমের চুম্বক অংশ গুলো বিভিন্ন বইয়ের রেফারেন্স সহ আছে। আর পেগান জাত, রামেসিস, মায়ানমারের ইস্যু এই গুলো মোটা দাগের কথা বার্তা। গুগল সার্স দিলেই অজস্র সোর্স থেকে তথ্য গুলো পাবেন।

৬| ০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: রাজীব নুর: শুধু ধর্ম না। যে কোন ভাবেই মানুষকে ব্রাকেট বন্ধী করে লন্ঠন চালাতে পারে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে নাৎসীরা ইহুদিদের দেশদ্রোহী ভাবা শুরু করলো মোটা দাগে। আর সেই প্রচার চালাতে চালাতে ত্রিশের দশকের গোড়ায় গিয়ে নির্দয় গন হত্যা শুরু করলো।

৭| ০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কমেন্টের উত্তর দিতে সবুজ তীরে ক্লিক করে নতুন আসা বক্সে আপনার উত্তর লিখুন।

০৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ফুল ভার্সানে আসার পর এই সবুজ তীর খুঁজে পেলাম।

৮| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ ধর্মের মুল বাণী মানছে না । ধর্ম হলো শান্তির জন্য

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৪

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: মানুষ ধর্মটাকে ব্যবহার করছে শুধু নিজের শান্তির জন্যে। গড়পড়তায় সব মানুষের ধর্ম বিষয়ে কম জানা বা প্রচুর ভুল জানাটা এখানে সুযোগ করে দেয় শয়তানের দলকে।

৯| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২১

কল্পদ্রুম বলেছেন: আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: @কল্পদ্রুম: পেগানদের ইতিহাস ঘাঁটলে এমন কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তাদের প্রসারে খ্রীষ্টান সম্প্রদায় বিরক্ত ছিলো।

কিন্তু খ্রীস্টানদের ভিতরেও তো তখন চার্চে চার্চে বিভেদ ছিলো।যারা মারা গেছিলো তাদের ভিতর প্যাগান বেশি না কি ক্রিশ্চিয়ানরা বেশি?

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪১

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ডাকিনি বিদ্যা বা কালো যাদুর অভিযোগে যাদের পুড়ানো হতো তাদের বেশির ভাগই পেগান ছিলো। কেথোলিক আর প্রোটেস্টেট্যান্টদের মাঝে মারামারি ছিলো ক্ষমতা নিয়ে। সেই ক্ষমতা দেখানোর জন্যেই তারা কালো যাদুকর তথা শয়তান সায়েস্তায় মনোযোগ দেয়। পেগানরা যেহেতু বিভিন্ন তুক তাক করতো তাদের সহজেই ডাইনি হিসেবে ধরতে পারতো উইচ্ হান্টাররা। দুই চার্চই মূলত পেগানদের বিস্তার ভালো চোখে দেখতো না।
.
https://www.history.com/topics/folklore/history-of-witches

১০| ০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: এই বক্তব্যের সাথে একমত।কিন্তু লেখাতে যেভাবে জ্ঞান বিজ্ঞানে প্যাগানদের উন্নত বলেছেন অই বক্তব্যের সাথে একমত ছিলাম না।আপনার দেওয়া লিংকে কোথাও লেখা নেই প্যাগানরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছে।আপনার লেখাতে ইউরোপিয়ান এবং প্যাগান বলতে যেভাবে বুঝাতে চেয়েছেন।অইটাতেও একমত ছিলাম না।আপনার মূল পোস্টের বাইরে মন্তব্য করছি বলে কিছু মনে করবেনা।পোস্টের বক্তব্যের সাথে আমার দ্বিমত নেই। এই আর্টিকেলটা পড়তে পারেন।

১১| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কত জ্ঞানপাপী সেই যুগে ছিল এখনও আছে। উগ্র জাতীয়তাবাদ একটা সমস্যা যা যুগে যুগে মানব সভ্যতাকে সঙ্কটে ফেলেছে। আমাদের দেশে ভিন্ন ধরণের রেসিজম আছে যা আপনি উল্লেখ করেছেন। শিক্ষার অধিকার হরণের মত জুলুম আর কিছু হতে পারে না। যা আমাদের দেশে আরও বেশী। শিক্ষা এখন পণ্য। নৈতিকতাহীন শিক্ষা ব্যবস্থা। সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশকে কিছু সহযোগিতা না দিলে আজীবন পিছিয়ে থাকবে। যেটা আমেরিকার কালদের ক্ষেত্রে হচ্ছে। কালরা কেন অপরাধ প্রবণ বা শিক্ষায় পিছিয়ে সেটা সাদারা বুঝেও না বোঝার ভাণ করছে। আমাদের সমাজে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একটা বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ ধরণের সুবিধাদি দিয়ে স্থায়ী সামাজিক বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থে। একটা জাতির জন্য দীর্ঘ মেয়াদে তা কখনও ভালো হতে পারে না। করোনার এই সময় বোঝা যাচ্ছে কারা অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকি মুক্ত চিরদিনের জন্য। সাধারণ মানুষ কিন্তু চরম অর্থনৈতিক ঝুকিতে আছে যেটা সুবিধা প্রাপ্তরা হয়ত অনুধাবন করতে পারছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.