নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
রাজপুত এক জন এনটারটেইনার। দুনিয়ার প্রায় সবাই এন্টারটেইনড্ হতে চায়। আর চাওয়ালা থেকে সিইও সবাই মুভি, স্পোর্টস্ বা বিনোদন জগৎটাকে সহজেই বুঝে যায়। তাই রাজপুতদেরকে রাজার পুত থেকে শুরু করে শালারপুত সবাই চেনে। তাঁর মরাটা এ জন্যে বেশি মানুষের কাছে গেছে। এটাই স্বাভাবিক।
.
এছাড়া বিভিন্ন পেশায় যারা স্টার, তাদেরকে সাধারনত ঐ পেশাজীবিরাই চিনে থাকে। দেশ সেরা ডেন্টিষ্টকে চিকিৎসকদের বাইরে কেবল দাঁতের রুগীরাই চিনবে যদি না তিনি পেপসোডেন্ট এর এড্ না করেন।
.
বড়সড় গণ ক্রাইসিসে কেউ কিছু করলে তাকেও সবাই চিনবে। এখন যেমন কেউ করোনার ওষুধ নিয়ে হাজির হলে তাকে সবাই চিনে যাবে।
.
তো, লিভিং ঈগল সাইফুল আজম যদি স্বাধীনতা যুদ্ধে বন্দীদশা থেকে বের হতে পারতেন। নিজের ছাত্র মতিউরের সাথে আরেকটা বিমান নিয়ে পালাতেন তাহলে তাঁকেও সবাই চিনতো।
.
তাঁর পেশা যেহেতু টেকনিক্যাল, গণ মানুষের আগ্রহ বা বুঝের বাইরে লিভিং ঈগল জিনিসটা কি। তাই মৃত্যুর সময়েও তিনি অপরিচিত। এখন, তাঁর মৃত্যুতে নিজের শ্রদ্ধা জানানো থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ক্যাচাল পারা যে 'তুমিও কেন তারে নিয়ে শোকিত নও, তুমি কেন ওরে নিয়ে শোকিত' এক ধরনের বাতুলতা।
.
মূল কথা হচ্ছে, প্রতিদিন ঘটা অসংখ্য ঘটনা থকে সবাই মিলে বাছাই করে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটাকে নিয়ে এক সাথে পোষ্ট দিবে না। তাহলে এত কোটি কোটি আলাদা আইডি না খুলে পুরা দেশের হয়ে ফেসবুকে একটা আইডিই চলতো। সেটা সরকার নিয়ন্ত্রণ করতো। আর সারাদিন বাতাবি লেবুর পোষ্ট আসতো। ধন্যবাদ।
.
#Afnan_Abdullah
06162020
১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: হা হা হা। ভালো বলেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে কি না বিক্রি হয়।
কিন্তু প্রসঙ্গটা হচ্ছে সাধারন মানুষজন কেন এমন লিজেন্ডদেরকে ঐ ভাবে চেনে না।
২| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ইতিহাস, পরিসংখ্যান ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে পরিস্কার যে, আত্মহত্যা জন্ম, মৃত্যুর মতই একটি প্যাটার্ন। বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ২৫ জন আত্মহত্যা করে। একজন মানুষ আর কোথাও নেই! এই অনুভূতির অনুবাদ হয় না। প্রতিটা আত্মহত্যা'ই আসলে হত্যা। দরিদ্র দেশ বলে, অপরাধীরা ধরা পরে না।
১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: শরীরের রোগের মত মনের রোগ গুলো ঐ ভাবে মনযোগ পায় না। অথচ মনরোগও মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।
৩| ১৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাহ, আপনার লেখাটা দুর্দান্ত হয়েছে। হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। আরব ইজরায়েল যুদ্ধে তাঁর অসীম সাহসিকতা ভুলে গিয়ে হেলিকপ্টার শটের কথা মনে পড়ে গেলো। তাই চোখের পানি আটকাতে পারলাম না।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২২
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: সাহসিকতা ভুলার কারণটাই হলো লেখার প্রসঙ্গ।
৪| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২০
বিজন রয় বলেছেন: কারণ ওখানে আবেগ বেশ কাজ করে।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২১
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ঠিক তাই। এবং তাদের কে বেশি মানুষ চিনে।
৫| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা যারা বিখ্যাত নন তাদের কয়জন কে আমরা মনে রাখি। ৭২ এর জানুয়ারিতে গণযোদ্ধাদের কয়েক টাকা বাস/ রিকশা ভাড়া দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। এটা ছিল একটা রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা। দেশ তার পরীক্ষিত যুবাদের কাজে লাগাল না। মুক্তিযোদ্ধা সামরিক কর্মকর্তাদের কয়জন সরাসরি সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছেন। বীরত্বসূচক উপাধিগুলির ( বীর শ্রেষ্ঠ ছাড়া) যাচাই বাছাই পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। বীর উত্তম খেতাপ পাওয়া কয়জন সরাসরি রণক্ষেত্রে ছিল। সেক্টর কমান্ডারের সাহসিকতার চেয়ে তার অধীনে যুদ্ধ করা ছাত্র/ কৃষকের সাহসিকতা নিশ্চয়ই বেশী ছিল। সেক্টর কমান্ডার কৌশলগত নির্দেশনা দিয়েছেন কিন্তু রণক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি কে নিয়েছে। অনেকে এ ব্যাপারে বলেছেন সামরিক বাহিনীর মধ্যেও। সেক্টর কমান্ডার লেঃ কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান বীর উত্তম গণযোদ্ধাদের সঠিক মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি বলে বীর উত্তম উপাধি নিজের নামের শেষে কখনও ব্যবহার করতেন না। আর রাজনীতির প্যাচে পরলে এদেশে মুক্তিযোদ্ধাও রাজাকার উপাধি পান। তাই সম্মান পেতে হলে নোংরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে। নইলে মরার পরেও সর্বস্তরের মানুষের সম্মান পাবে না। মিডিয়ারও মানুষকে সম্মানিত বা অসম্মানিত করার ক্ষেত্রে ভুমিকা আছে। তারা কাউকে উঠাতেও পারে আবার টেনে নামাতেও পারে।
বিনোদন জগতের মানুষরা মূলত নিখাদ বিনোদন দেন তাই তাদের সাধারণত কোনও শত্রু থাকে না। তাই এদের মৃত্যুতে মানুষ বেশী শোক প্রকাশ করে। ক্রীড়াঙ্গনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তিদের ( যেমন রাজনৈতিক নেতা, বুদ্ধিজীবী ইত্যাদি) কথায় বা কাজে অনেক সময় মানুষ আঘাত পায়। আর রাজনৈতিক ছাপ থাকলে সেটা দলাদলি সৃষ্টি করে। সেই ব্যক্তি মারা গেলেও দলের লোক ছাড়া বাকিরা ভালো কথা বলতে চায় না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লিভিং ঈগল বিএনপি'র সাংসদ না হলে দেখতেন নাসিমের পাশাপাশি তাঁকে নিয়েও বিস্তর আলোচনা হত...