নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষে আদৌ কি সব বিষের ক্ষয় হয়!

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৭

৬২'র চীন ভারত যুদ্ধের সময় জন এফ কেনেডির ভয় ছিলো পাকিস্তানও না একই সময়ে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের উপর চড়াও হয়। তাদের ঠান্ডা রাখতে আমেরিকা বুঝিয়েছিল যে- 'চীন কমিউনিস্ট দেশ। ভারতের পর তারা পাকিস্তানের দিকেও নজর দিতে পারে। তাই সাধু সাবধান।' এই সাধু সাবধান বাণীটা অমিয়।
.
তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্র দাবি করা ১০,০০০ ছাত্র আর জনতাকে ট্যাঙ্কের তলায় পিষে ফেলেছিলো এই চায়নিজ কমিউনিস্ট সরকার। এই সময়ে উইঘুরদের দশাও সবার জানা। '৭১ এর পাকি আর্মির বর্বরতার পেছনে তাদের সব চেয়ে বড় ভরসার নাম ছিলো এই চায়নিজ আর্মি। এই একই আর্মির অভয়ে ভর করে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে কার্যত দেশের পর্যটন এলাকা কক্সবাজার বার্মিজরা দখল করে বসে আছে।
.
দূর প্রতিবেশী হিসেবে আসল, নকল, ভেজাল এমন ইত্যকার মালামালের বাণিজ্যের জন্যে চীন দারুন দেশ। সেই দূর থেকে যখন তারা নড়ে চড়ে উঠবে, প্রতিবেশী দেশ দখল নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী হয়ে যাবে তখন নিশ্চিতই ঘটনাটা এত রোমাঞ্চকর হবে না। নিজ দেশের বর্ডার রক্ষার যুদ্ধে মাড়ির সব দাঁত হারিয়ে ফেলা রক্তাত্ব যোদ্ধার মুখ পোষ্ট দিয়ে হাহা হিহি করার জন্যে ফেসবুকও না থাকতে পারে তখন।
.
নিজের দেশে আরেক দেশের আর্মি ঢুকে পড়ার পরিনতি কতটা ভয়ঙ্কর সেটা বাংলাদেশের মানুষ না বুঝার কথা না। না হলে এত বছর ধরে ৭১ নিয়ে এত এত বকর বকর করে কি লাভ হলো! দ্বি‌তীয় বিশ্ব যু‌দ্ধে পরা‌জিত বা‌র্লি‌নে মে‌য়ে‌দের প‌রি‌স্থি‌তি নি‌য়ে বানা‌নো 'এ ওম্যন ইন বার্লিন' মুভিটাও একটু দেখতে পারেন যদি নার্ভ সইতে পারে। যে কোন দেশের যোদ্ধা যারা বর্ডারে মরে তারা ভেতরের মানুষদের জন্যে শক্ত খোলস হিসেবে থাকে। যাতে ভেতরের মানুষ বৌ পোলাপাইন নিয়ে 'রাঙদে বাসন্তি' দেখতে পারে। আমাদের সেই খোলস পেরিয়ে চীনের উপহার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ব্রীড হচ্ছে। এই বাস্তবতায়, ভারতের প্রতিরোধ নিয়ে হাসাহাসি কেমন যেন বেহায়াপনা, কেমন যেন নির্বুদ্ধিতা মনে হয়। এই সঙ্কট বাড়লে আমাদের কি পরিকল্পনা তা নিয়ে তেমন কোন কথাবার্তা দেখছিনা। কে ভাবছে কে জানে?
.
#Afnan_Abdullah
06172020

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ধারনা চীনারা এখন সবার নজর সরানোর জন্য অন্যদিকে তীর ছুড়ছে! ছোট-খাট খোঁচা খুচি হবে,কিন্তু বড় কিছু হবেনা বলে আশা। যুদ্ধ কারোই কাম্য নয়।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৬

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: যুদ্ধ আসলেই কারো কাম্য নয়। খুঁচা খুঁচিতে থামলেই মঙ্গল। কিন্তু ২০-৩০ জন আর্মি মারা গেলে ব্যপারটা আর খোঁচাখুঁচিতে থাকে না। বাংলাদেশ রাষ্ট্রেরও এ বিষয়ে ভালো পরিকল্পনা থাকা উচিৎ। বিশেষ করে বাণিজ্য নির্ভরতার বিকল্প ঠিক করে রাখা।

২| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: কথা একটাই যুদ্ধ চাই না।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৭

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: অবশ্যই যুদ্ধ চাই না। সমস্যা হলো আমরা যারা যুদ্ধ চাইনা তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ না।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেসব বাংগালীরা ১৯৭১ সালের গণহত্যার পর, ১৯৭৫ সালের ক্যু'কে সমর্থন করেছে, তাদের মতো জঘন্যদের বাংগালী বলাই ঠিক নয়।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২০

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: কখন কোন বিষয়ে সমর্থন থাকবে বা থাকবে না সেই বিষয়ে আমরা হয়তো অতটা বিচক্ষণ নই। বা বিচক্ষণরা সিদ্ধান্ত দেয়ার মত জায়গায় পৌঁছাতেই পারে না।

৪| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ৭১ নিয়ে বকর বকর বলতে আপনি কি বোঝাতে চাইছেন?রাজাকারের সুরে কথা বলছেন মনে হয়।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: রাজাকার গোষ্ঠী কি এই ধরনের শব্দ বেশি ব্যবহার করে!

৫| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪১

অনল চৌধুরী বলেছেন: চীন ভালো না কিন্ত ভারত কি ভালো?
ভারতের ক্ষমতার দ্যেড় একমাত্র সীমান্তে নীরিহ-নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের গুলি করে মারা পর্যন্ত।
কিন্ত পাকি বা চীনাদের পাল্টা প্রতিরোধের মুখে এরা লেজ গুটিয়ে পালায়।
এ্যামেরিকা,বৃটেন,ফ্রান্স,চীনপাকি,ভারত,ইসরাইল-এইসব সন্ত্রাসী দেশের চূড়ান্ত ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে শান্তি আসবে না।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ভারত যে ভালো না সেটা তাদের মাইর খাওয়ার পর আমাদের উল্লাস দেখলেই বুঝা যায়। তাদের কর্ম কান্ড বলে কে ভালো আর কে খারাপ তা বলা লিখাটার মূল উদ্দেশ্য না। মূল কথা হলো ওদের যুদ্ধের আঁচ থেকে বাঁচতে আমাদের পরিকল্পনাটা কি জানা। ওদের দুই দেশেরই নিজেদের সীমানা রক্ষার গাট আছে। আমাদের সেটা কবে হবে? নাকি আমরা সারা জীবন এমন অন্যের বাহাদুরীতে হাত তালি আর দূয়ো তুলেই জনমের পর জনম পার করবো।

৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: ভারত ভালো না,সেটা তাদের পানি না দেয়া,এদেশের পণ্য ,টিভি চ্যানেল আমদানী না করা ,নীরিহ বাঙলাদেমী গুলি করে মারাসহ অগণিত কাজে বোঝা যায়।
মাইর খাওয়ার পর আমাদের উল্লাস দেখলেই বুঝতে হবে কেনো?
আর সত্যিই যদি দুই দেশের যুদ্ধ লাগে তাহলে মাঝখানে পড়ে বাংলাদেশ,ভূটান,সিকিম এবং নেপালের কিছু অংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে।
কলকাতা লক্ষ্য করে মারা ক্ষেপনাস্ত্র ঢাকায় এসে পড়লে কিছুই করার থাকবে না।

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২০

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: বলতে চেয়েছি, ভারত যে আমাদের সাথে কি করতেছে সেটা তাদের যে কোন বিপদে আমরা যারা খুশী হই তারা খুব ভালো করেই জানি।
তবে তারা দুই দেশ যুদ্ধ লাগলে সরাসরি বোমা পরা ছাড়াও আমাদের খবর হবে। ভারতে বাড়তি বৃষ্টি আর বন্যায় আমাদের পেয়াজ রোশন চাল ডালের দাম বেড়ে যায়। যুদ্ধ হলে কি হবে! আর চীন যাদি কোন ভাবে আলামত পায় যে আমরা ভারতকে কোন সাহায্য করছি সাথে সাথে মায়ানমার বর্ডারে উৎপাত বাড়াবে।

৭| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: িছুই মুলত বোঝা যাচ্ছে না, চীন কি হিসাব করছে তা বলা যায় না!

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: চীন ভালো করেই জানে তারা কতটা শক্তিশলী,আর ভারত আসলে তাদের মিডিয়ার গলাবাজির বাইরে কতটা নাজুক। চীন সুযোগ নিবেই।

৮| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যাক যুক্তরাষ্ট্র অন্তত একটা ভালো উপদেশ কোনও দেশকে (পাকিস্তান) দিয়েছিল। কিন্তু ৭১ সালে চায়না পাকিস্তানকে শুধু লিপ সার্ভিস দিয়েছিল। যার সুযোগ নিয়েছিল ভারত। আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে শক্ত হতে হবে। তা না হলে ভারত আর চীনের আগ্রাসন থেকে বাঁচা যাবে না। ক্ষুদ্র দেশগুলির জন্য সামরিক সামর্থ্যের চেয়ে অর্থনৈতিক সামর্থ্য অর্জন বেশী জরুরী। চীনারা নৈতিকতার মানে আমেরিকার চেয়ে অনেক খারাপ। আমাদের জন্য চীনের চেয়ে ভারত আরও বড় হুমকি কারণ ভুগলিকভাবে ভারতের পেটের মধ্যে আছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারকরা যদি বুদ্ধিমান হত তবে এই চীন ও ভারতের হুমকিকে আমরা সুযোগে পরিণত করতে পারতাম। আসলে চীন ও ভারতের এই সমস্যা বাংলাদেশকে আরও কুশলী হওয়া শেখাতে পারে। কিন্তু আমাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি সব সর্বনাশের মূল। ভুগলিক অবস্থানের সুবিধা আমরা নিতে পারছি না আমাদের কূটনৈতিক মেধাহীনতার কারণে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেন দরবারে আমরা দক্ষ ও মেধাবী না। সরকারের শক্তি যদি জনগন থেকে না আসে তখন সরকার পররাষ্ট্রনীতিতে দুর্বল হয়ে পরে। জাতীয় ঐক্য না থাকলে অন্য দেশ সুবিধা নেবে এটাই স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কেউ কারও বন্ধু না, স্বার্থ রক্ষাটাই বড় কথা। ভুগলিক অবস্থানের জন্য বড় দেশগুলির কাছে আমাদের গুরুত্ব অনেক বেশী কিন্তু আমরা তা বুঝছি না এবং কোনও সুযোগ নিতে পারছি না।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

কহেন কবি কালীদাস বলেছেন: আমি সামরিক বিশ্লেষক নই।
তবে আমার সাধারন জ্ঞান বলে, বাংলাদেশের যে ভৌগলিক অবস্থান তাতে ইন্ডিয়া কে আমরা চাপে রাখতে পারতাম।
মানচিত্রের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। পারিনা শুধুমাত্র আমাদের মানসম্মান বিবর্জিত পররাষ্ট্রনীতির কারনে।

মিয়ানমার রহিঙ্গা ইসুতে কিছুই করতে পারতো না যদি আমাদের সরকার সুরুতেই বর্ডারে আর্মি পাঠায় দিত।
একই কাজ করেছিল ১৯৭৮ সালে জিয়া সরকারের সময় মিয়ানমার, জেনারাল জিয়া বর্ডারে আর্মি পাঠায় দিসিল।
পড়ে মিয়ানমার জাতিসংঘে অভিযোগ করেছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। কিন্তু লাভ হয় নাই। মাঙ্কিরা পরে ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। আর চেষ্টা করে নাই।
ইন্ডিয়া হচ্ছে মিয়ানমার এর এক ডিগ্রি উপরে। পাকিরা ১৯৭১ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে মারসে, আর ১৯৭১ এর পর থেকে ইন্ডিয়া মারতেসে।
মাঝখানে জেনারেল জিয়া আর জেনারেল এরশাদ এর সময় ঠাণ্ডা ছিল। চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশকে বিভিন্ন ইসুতে চেপে ধরার কিন্তু বাংলাদেশ চোখে চোখ রেখে জবাব দিয়েছিল এই দুই জেনারেল এর সময়।
চিকেন্স নেক- অনেকেই নাম শুনে থাকবেন। বাংলাদেশ চাইলে ইন্ডিয়া রে দৌড়ের উপরে রাখতে পারতো এই চিকেন্স নেক এর জন্য।
যাই হোক, চোর আর দুর্নীতগ্রস্থ এই দেশের কাছে বেশি কিছু আশা করি না।আমরা যেমন আমাদের নেতাও তেমন!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.