নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কার সুখে সুখী মোরা, কার জয়ে জয়ী

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৩

বাংলাদেশ নাকি বিশ্বের ১২৫ তম সুখী দেশ! অবিশ্বাস্য! চির সুখী দেশটার রোল নাম্বার এত্ব পেছনে কিভাবে পড়লো। আমরাতো দূনিয়ার যে কোন প্রান্তের যে কোন ঘটনা থেকেই সুখ নিতে পারি। কখনো সবাই এক সাথে হয়ে আবার কখনো দল উপদলে ভাগ হয়ে।
.
দেখেন, যখন চীনে করোনা আঘাত করলো এখানকার মানুষ খুশি ছিলো। ওরা উইঘুর মুসলিম মারতেছে, তাই খোদার সৈনিক প্রতিশোধে নেমেছে। আলহামদুলিল্লাহ্। এর পর ইরান ইতালি যেখানেই গেছে, উল্লাস কমেনি। সবাই যে পাপাচারী! এর পর সেই সৈনিক আসলো দেশে। এখনও একটা অংশ বেশ আনন্দিত। সব ভেজাল নেতা নাকি মরতেছে। এমন কি মাশরাফির করোনা শুনে সেখানেও হাসাহাসিতে লুটোপুটি খাচ্ছে মানুষ! এই হাহা ইমুজি ভোটচুরির বিপক্ষে নাকি তাদের একটা বিপ্লব!
.
অন্যের রোগ শোকের সাথে অন্যের যুদ্ধ বিগ্রহে উচ্ছ্বাস আরো বাড়ে। লাদাখে চায়নিজরা ২০ জন ভারতিয় সৈন্য মারলো। এবারতো পুরো ঈদ লাগলো। নিজের এক সীমান্তে লাশের গন্ধ এখনো যায়নি, আরেক সীমান্তে লাখে লাখে রোহীঙ্গা ঢুকে হাজারে হাজারে বাচ্চা কাচ্চা জন্ম দিচ্ছে। রোহীঙ্গাদের পেছন পেছন বার্মিজ সেনা চপার টেকনাফ বর্ডারে ঢুকে টহল দিয়ে গিয়ে ছিলো। আমাদের টা টা বাই বাই এর বাইরে কিছু করার অবস্থা ছিলো না। কারো মনে নাই যে ইন্ডিয়ানরা সীমান্ত রক্ষায় মরলেও, স্বাধীন রাষ্ট্রে কোন শত্রু হামালা ছাড়াই আমরা আমাদের ৬২ জন সৈনিক নৃশংস ভাবে হারিয়েছিলাম নিজেদের জওয়ানদের গুলিতেই। অনেক কিছুর সাথে মনো মালিন্যের সূত্রপাতের প্রকাশ্য কারন তারা বলছিলো ন্যায্য মূল্যের ডাল-ভাত কর্মসূচীর হিস্যা! কিন্তু নিজেদের দিকে তাকালে যেহেতু ফ্যান্টাসি চলে যাবে তাই অন্যের বীরত্বেই উল্লাস চলতে থাকে। এদিকে, যে বর্ডারে ভারতীয় আর্মি মারলো তার পেছনেই শিনজিং প্রদেশ বা ইস্ট তুর্কমিনস্তান। মানে উইঘুরদের চায়নিজরা ওখানেই পেটাচ্ছে। যার রেশে একটু আগেই খোদার সৈনিক করনোর হামলায় একটা দল আলহামদুলিল্লাহ্ পড়তে ছিলো। যুক্ত হলো 'শত্রুর শত্রু হলো আমাদের বন্ধু' ইকুয়েশান। তাই আনন্দ করেন।' এই চিন্তা ভালো। কিন্তু ভারত না আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র! উত্তর হলো তাতে কি, তারা তো আমাদের বর্ডারে মারে। তো ভারত তো আরো অনেকেরই প্রকাশ্য শত্রু রাষ্ট্র। আমার বর্ডারে কেন সে শুধু গুলি চালায়। বাকি সবাই তাদের সোজা রাখতে পারলেও আমারা পারি না কেন! অবাক ব্যপার হলো, অন্য বর্ডারে ভারতের এই বুকের ছাতি কমে যাওয়া নিয়েও বঙ্গবাসী মজা করার উপলক্ষ পায়। কোন প্রশ্ন নাই। নিজেরে প্রশ্ন করতে গেলে যে উল্লাসের সময় নস্ট হয়ে যাবে। আর চীন ভারতের রেশারেশিতে ডিপ্লোমেসির একটু এদিক সেদিক হলেই যে আমরা ফাঁসে পড়বো নগদে; বানিজ্য ছাড়াও যে বার্মায় ভর করে চীন, আর বাকি সব দিকে ভারত সারা বছরেই ভূমি ঘিরে রাখছে, এদিক ওদিক হলেই লাদাখের বারুদ যে নিজের বর্ডারে চলে আসতে পারে মুহূর্তেই তা নিয়েও চিন্তা নাই।
.
ভারত পাকিস্তানী মারলে ৭১ এর শত্রু মরলো(যদিও এমন ঘটনা দেখা যায় না তেমন।), পাকিস্তান ভারতীয় মারলে সীমান্তে হত্যার প্রতিশোধ হয়ে গেলো! সাদ্দাম গাদ্দাফি মরলে, শালারা এক নায়ক ছিলো। তাই হর্ষ ধ্বনি বাংলার বাতাস থেকে আর যায় না। সিরাজ উদ্দৌলা পলাশিতে হারার পরে যেটা শুরু হয়েছিলো।
.
খেলাধুলায় দেখবেন ব্রাজীলের বিদায়ে একদল নাচাগানা করে। আবার আর্জেন্টিনার পরাজয়ে সমান সংখ্যক আরেক দল নাচে। নাচা কিন্তু দু দলই দিলো। তো সবাইতো খুশীই হলো। প্রতিপক্ষ যেই হোক।
.
এক মাত্র ব্যতিক্রম বোধহয় ক্রিকেট। এখানেই ভারত পাকিস্তানকে নিজেরাই হারিয়ে কয়েক বার নিখুঁত উল্লাস করতে পারছে মানুষ। আর সব জায়গাতেই, যে যারেই মারুক -'উত্তর বাড়ির বিয়োইছে গাই, সেই সূত্রে তালতো ভাই। আনন্দের আর সীমা নাই" দশা আমাদের। এই আনন্দিত জাতি রেঙ্কিয়ে ১২৫ তম হয় কিভাবে!
.
#Afnan_Abdullah
06212020

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঈশ্বর যদি মানুষকে অন্তত একদিনের জন্যে অন্যের মনের কথা পড়ার ক্ষমতা দিতেন তাহলে নব্বই ভাগ মানুষ কেউ কারো সাথে থাকতে পারত না।

২| ২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যারা রাঙ্কিং করেছে তাদের এই তথ্যগুলো মনে হয় জানা ছিল না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয় গুলি গণনায় নিয়ে পুনরায় বাংলাদেশের জন্য পুনরায় রাঙ্কিং করার আবেদন জানাচ্ছি। আমার ধারণা সঠিকভাবে রাঙ্কিং করলে আমরা প্রথম ১০ দেশের মধ্যে আসতে পারব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.