নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ‌্যবিত্ত ‌কি বে‌হি‌সে‌বি জীবনের মাশুল গুনছে করোনার দূর্য‌ো‌গে!

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৭

মধ্যবিত্ত নিজেদের ফুটানির মাশুল দিচ্ছে এই মাহামারির দুর্যোগে। তাই ঢাকার চাকা আর ঘুরাতে পারছে না গরীবের দল- সামাজিক মাধ্যমের অর্থশাস্ত্র বিশারদগন এমন বয়ান দি‌চ্ছেন।
.
মাইনষের আদিম স্বভাবের একটা হ‌লো আর্থিক অস্বচ্ছল কাউ‌কে পে‌লে তাকে পিকদানির মত উপদ‌েশ ফেলার পাত্র মনে করা। দেখা যায় ফেরিঘাটের চান্দাবাজ পারিবারিক অনুষ্ঠানে লেকচার ঝারতে থাকে ফিজিক্সের লেকচারার আত্মিয়র উপর।
.
তো যারা এখন ঢাকা ছাড়তেছেন তারা মূলত চাকরী হারিয়েছেন। নিয়োগকর্তারা তাদেরকে আর টানতে পারতেছেন না ব‌লে। বছরের পর বছর ধরে চলা প্রতিষ্ঠান গুলো জমা করা মুনাফা দিয়ে এই সময়ের ধকল নিতে পারলো না! সাথে এত এত প্রণোদনার পরেও। আর আয়ের উৎস পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পরেও কামলারা তাদের বেতনের টাকা আ‌রো কেন জমা‌লো না, সে টাকায় ঢাকায় বসে বসে মুরগী কেন পালছেনা তা নিয়ে জ্ঞানীদের আপত্তি!
.
তো এই গরীবের দল যদি ঐ লাইফস্টাইলে না যেত কি ঘট‌তো! বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে না ঢুকতো, বুফে না খেতো, জামা কাপড় না কিনতো, এপার্টমেন্ট বুকিং না দিতো, দুয়েকটা টূর ট্রাভেলও না করতো তাহলে কি হতো! এই শহরে গুলিস্তানের কাপড় আর মুদি দোকান ছাড়াতো বাকি ব্যবসা সব বসে যেতো। সারা বছরই মহামারি চলতো অর্থনীতিতে। ঢাকা ছাড়ার বিশাল অংশ ঐসব পেশাতেই ছিলো, যেগুলোতে খরচ করাটাকেই বিজ্ঞ অর্থশাস্ত্র বিশারদগন মধ‌্যবিত্তের অন‌ধিকার চর্চা দা‌বি কর‌ছেন। ও‌তে যে মধ্যবিত্বের ঝাঁক ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাতোই না। সবাই গ্রামে বসে রয়েল বেঙ্গল ছাগল পালতো। যেহেতু ঐ সব ইন্ড্রাষ্ট্রিই আর বাড়তো না।
.
তারা জীবনের মান ঐ পর্যায়ে নিয়ে গেছে কারন তাদেরকে এই ভরসা দেয়া হয়েছিলো। আশ্বস্ত করা হয়ে ছিলো যে সড়ক, বিদ্যুৎ সহ চলমান প্রকল্পগুলো হয়ে গেলে দেশের অর্থনীতি সিঙ্গাপুরের মত হয়ে যাবে। তারা ভরসা রেখেছিলো। সেই ভরসায় ভর করে এখানে যেটা ঘটছে সেটা হলো সরাসরি চুরি, ডাকাতি। সাথে বন্টনের জুলুম। আপনি উপভোগ করেন কিংবা জমা করেন দিন শেষে টাকা থাকবে ব্যাংকে, হাত বদল হোক আর না হোক। সেই ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা চুরি গেছে, লোন নেয়ার না‌মে গে‌ছে, এল. সি খু‌লে হ‌য়ে‌ছে পাচার। পাবলিক প্রজেক্ট গুলোতে খ‌্যাতা বালিশ ক‌্যালেঙ্কারির মত মোটা মাথার বুদ্ধি দিয়েও সফল ভাবে জোচ্ছু‌রি চ‌লে‌ছে।
.
এসব অজস্র ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই পাল্লার একটা অংশ আকাশে বাকি অংশ পাতালে নেমেছে। এজন্যে নগরের অতি ক্ষুদ্র এক ভাগ বিমান ভাড়া করে থাইল্যান্ড, কানাডা যাচ্ছে। আর আরেক ভাগ ভটভটি ভাড়া করে গেরামের দিকে রওয়ানা হ‌য়েছে। দ্বিতিয় ভাগকেই মহানন্দে মহা জ্ঞানীর দল বেহিসাবির হিসাব শাস্ত্র শেখাচ্ছে। যা‌দের বার‌গ‌েইন পাওয়ার জি‌রোতে ঠে‌কে‌ছে। যে সকল হাঁসের ডিম বাঘডাঁসে খেয়ে গেছে তাদের বলছে -তোমরা আরো কয়টা ডিম কেন পেড়ে রাখনি বোকার দল!
.
একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি। শুনেছি এটা নাকি সত্যি। একবার গার্মেন্টস এর মালিক শ্রমিক সমাবেশ শেষে শ্রমিকরা চলে গেলো। মালিক পক্ষ নিজেদের মাঝে তখন ফিসফিসিয়ে বলতেছিলো- 'এই গার্মেন্টস ইন্ডষ্ট্রি যদি না থাকতো এই মেয়ে গুলা কি করতো বলেন তো। এই যে এত এত লম্বা লম্বা কথা বলে গেলো, তখনতো সব গুলো রাস্তায় রাস্তায় পতিতা বৃত্তি করতো। ঠিক কিনা বলেন?"
এক শ্রমীক নেত্রী সেখানে তখনো কোন কারনে রয়ে গিয়েছিলো যেটা কেউ খেয়াল করেনি। নেত্রী বলে উঠলেন-'আমরা না হয় ওসবই করতাম হুযুর। কিন্তু আপনেরা তখন কি করতেন। বেশ্যার দালালি?"
.
#Afnan_Abdullah
06242020

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমারও গ্রামে চলে যেতে হবে।
চাষবাস করবো। মনের সুখে থাকবো। বউ বাচ্চা নিয়ে ঝামেলা বিহীন জীবন যাপন করবো।

ও স্যরি। আমার তো কোনো জমিজমাই নাই।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৪

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: চাষবাসের জন্যে কিছু জায়গা জমি থাকলে ভালো। ভয়ঙ্কর দূর্যোগে প্রাইমেটিভ পেশায় ফেরা যায়।

২| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মধ্যবিত্তদেরও দোষ ছিলো টাইপের একটা টাইটেলে একটা লেখা ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুক সহ সব খানে। লেখক নিতান্তই একজন গর্ধব শ্রেণীর। তিনি মধ্যবিত্ত লিখে খালাস হয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি দিন আনে দিন খায় টাইপের মধ্যবিত্ত - নিন্ম মধ্যবিত্ত - সাধারণ মধ্যবিত্ত - উচ্চ মধ্যবিত্ত - ভাব নেওয়া মধ্যবিত্ত ইত্যাদির পার্থক্য করেন নাই।

তিনি ভাব মারা মধ্যবিত্তের দোষ দিয়ে দিন আনে দিন খায় টাইপের মধ্যবিত্তের দফারফা করেছেন।

ঐ লেখক একজন ভালো লেখক; কিন্তু একজন ভালো মানুষ নন!

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৬

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: এই সব লেখায় চুরি চামারির যে মহা উৎসব, হরির লুটের যে তান্ডব, সিন্ডিকেটের যে শোষণ সব কিছুকেই পাশ কাটিয়ে সব দোষ মানুষের নিজের বলে একটা জাত রক্ষার চেষ্টা মনে হয়েছে। জ্ঞান পাপী শ্রেণী।

৩| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শহর হতে গ্রামে ভালো । কিন্তু শিক্ষা এবং চিকিৎসা ভালো না।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৮

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: আমাদের দেশে শহর বলতেও দেখা যাচ্ছে ঢাকা শহরকেই বঝতে হয়। এর বাইরে বের হলেই এই নাই, সেই নাই এর বিশাল হাহাকার। চট্টগ্রামের করোনার চিকিৎসার অবস্থা দেখেন।

৪| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৫

আঁধার রাত বলেছেন: শিরোনামে বক্তব্যের সাথে আমি দ্বিমত পোষন করি।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৯

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: বুঝিয়ে বলুন। কোথায় দ্বিমত।

৫| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে দোষ মধ্যবিত্তর না। এরকম দুর্যোগ ১০০ বছর পর এসেছে তাই মানুষ বুঝতে পারেনি। তবে ইউরোপের অনেক দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র/ কল্যাণ অর্থনীতি আছে যেখানে পুঁজিবাদের দাপট সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা রাষ্ট্র নিশ্চিত করে। আমাদের সংবিধানেও সমাজতন্ত্র দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে রাষ্ট্র অর্থনৈতিক সাম্য বজায় রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে ও সেই অনুযায়ী অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। বাস্তবে ধনীক শ্রেণী আর সরকারের অংশ যারা তারা ছাড়া সাধারণ জনগণের জন্য সরকার কর্তৃক তেমন জোরালো কোনও উদ্যোগ নেই ( সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সামান্য কিছু সাহায্য, ভাতা একদম হত দরিদ্র শ্রেণীর কিছু মানুষ পেয়ে থাকে)। মধ্যবিত্তের অবস্থা সব পুজিবাদি দেশেই প্রায় একই রকম। অ্যামেরিকার মধ্যবিত্তের সঞ্চয় নেই তারা মাস শেষের বেতনের উপর চলে। প্রতি মানুষের গড়ে ২ টা করে ক্রেডিট কার্ড। যখন অবস্থা ভালো থাকে বড় লোকদের মত খরচ করে। এটাকে দোষ দেয়া যায় না। কারণ consumerism এর করাল গ্রাশের মধ্যে পৃথিবীর সব মানুষ পড়েছে। দেশের মধ্যবিত্তের/ নিম্ন বিত্তের জন্য রাষ্ট্র থেকে সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। মধ্যবিত্তের ভোগের কারণেই শিল্পপতিদের ব্যবসা প্রসারিত হয়। মধ্যবিত্ত বসে গেলে পরিণামে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য মন্দায় পরবে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য। ব্যবসায়ীরা এতদিন মানুষকে প্রলুব্ধ করে পকেট থেকে টাকা খসিয়েছে এখন দুর্দিনে আস্তে করে কেটে পড়ছে। বড় কোম্পানি গুলির মার্কেটিং ও প্রমোশনাল বাজেট দেখলে ভয় লাগে। যুক্তরাষ্ট্রের মত ভোক্তা ঋণ সহজ করে দিয়েছে। টাকা নাই। সমস্যা নাই ক্রেডিট কার্ডে EMI ব্যবস্থার মাধ্যমে আপনাকে কিনতে সাহায্য করছে। শিল্পে ঋণ দেয়ার চেয়ে ব্যাংক গুলির ভোক্তা ঋণ দেয়ার আগ্রহ বেশী কারণ এতে ঝুঁকি কম ও লাভ বেশী। আমরা ধার করে ঘি খাচ্ছি। এটাকে অবশ্য সমালোচনা করা যায়। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীর জটিল অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মধ্যবিত্ত আসলে গিনিপিগের মত। পৃথিবীর কিছু জ্ঞানপাপী অর্থনীতিবিদ আছে যারা বুদ্ধি দিচ্ছে যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সময় বৈষম্য বাড়াটা স্বাভাবিক। এক পর্যায়ে বিত্তশালীদের বাড়তি সম্পদ থেকে চুইয়ে চুইয়ে কিছু সম্পদ ধীরে ধীরে নীচের মানুষদের কাছে যাবে। আমার কাছে এইসব থিউরি ভয়ংকর মনে হয়। অনেকটা হীরক রাজার দেশের মত।

৬| ২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: মধ্যবিত্ত তার বেহিসেবি জীবনের মাশুল দিচ্ছে!!!
ভালোই বলেছেন। যেকোনো দুর্যোগে মধ্যবিত্তই সবচেয়ে সমস্যায় পড়ে। তারা না পারে কাউকে বলতে, না পারে চাইতে। অগত্যা সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে এলাকায় চলে যেতে বাধ্য হয়।

কিন্তু মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত বা যে কোনো ধরনের বিত্তের আওতায় যারা পড়েন, তাদের পরিপালনের, তাদের স্বার্থ দেখার একটা দায় রাষ্ট্রের আছে, সরকারের আছে। সে দায় যখন অবলীলায় রাষ্ট্র অস্বীকার করে, তখন বিভিন্ন গল্প ফাঁদা যায় কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না।

৭| ২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শতভাগ লাভ চাই । কোন দায়বব্ধতা নাই যেন শ্রমিক জীবনে বেচে থাকার নিরাপত্তার। বড় বড় বুলি মুখে আসলে মস্তলোভী । এসমস্ত মনোভাব উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। আমরা প্রতি বছর মে দিবস পালন করি। আর মেহনতি মানুষ যারা দেশের ভাগ্যে চাকা বদলায় তাদের বিষয়ে আমাদের মনোভাব বিমাতা সুলভ । এগুলো থেকে উত্তরণের দরকার আছে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী অনেকের মুখোশ উন্মুচন করেন । আমরা বেশির ভাগ সময় চুপ থাকি। সেভ ইয়োর এ্যাস এই মনোভাব প্রকট। তারপর আবার সরকারের বিধিনিষেধ আরোপ । মনটা খারাপ হয়ে যায় ।

৮| ২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: ভাল লাগলো। সবই বাস্তব এবং সঠিক।

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫০

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪২

ডি মুন বলেছেন: সোজা সাপটা কথা ভালো লাগলো।

রাষ্ট্র নাগরিকদের মৌলিক অধিকারটুকু নিশ্চিত করতে পারে না।
পারে শুধু বড় বড় লেকচারবাজি করতে।

১০| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২৭

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: সেভ ইয়োর এ্যাস। এটা ভালো বলেছেন। কিন্তু ঝুঁকি নেয়াটা আসলেই কঠিন। দল হয়ে কিছু চাওয়া এখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.