নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
মানুষ একেক জন একেক ক্যাপাসিটি নিয়ে জন্মায়। তাদের সবার জন্যেই দূনিয়ায় ক্যাপাসিটি অনুযায়ি সুযোগ সুবিধা দেয়া আছে। কেউ কেউ তারটা আদায় করে নিতে পারে। কেউ পারে না নিজের নড়াচড়ার অভ্যাস নাই বলে। আবার কখনো হারায় কারন তারটা আরেক জন ভোগ করে বসে থাকে। এক জনের নিজের সামর্থ, তার দলগত সামর্থ, চার পাশের প্রকৃতির উপর তার নিজের আর দলগত জ্ঞান, দখল সব কিছুর কো-ইন্সিডেন্সই ভবিষ্যৎ ঠিক করে। অন্যদের উপর যার প্রভাব বেশি, জ্ঞান বেশি, দখল বেশি সে তত বেশি কোইন্সিডেন্স গুলো নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মানে ক্ষমতাবান মানুষ দুর্বল মানুষ থেকে বেশি বেশি ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। সামনের দিনে কি হবে সে বলতে পারে কারন সে দিনগুলো সে যথা সম্ভব নিজেই তৈরী করে। কোইন্সিডেন্স গুলোর বেশির ভাগই সে নিয়ন্ত্রণ করে বলে।
.
ব্যপারটা যেন এমন - ১০০ নাম্বারের (অসীম বা অজানা নাম্বার) কেস স্টাডি জাতীয় পরীক্ষায় বসলো দশ জন এক সাথে। নাম্বার পাবে ইন্ডিভিজুয়াল আবার দলগত ভাবে। এখানে যে যত নাম্বার পাবে তা তাদের টিচার দিচ্ছে। আবার যে যত নাম্বার হারাবে তাও তার জন্যে টিচার দিয়ে রেখেছিলো, তারা নস্ট করেছে। আবার এক জনের করা সমাধান আরেক জন নিজের বলে চুরি করে নিজের নামে নাম্বার নিয়ে নিচ্ছে। যেহেতু খেলাটা দলগত, টিচার তাই চুরির ব্যপারে শুধু সতর্ক করেই সারা। দায়টা আমাদের নিজেেদের।
.
এভাবে এক জনেরটা আরেক জন নিয়ে যাওয়ার সিস্টেমটা কিছু মানুষ নিজেরা বানায়। আর দুর্বলদের মাঝে এই বিশ্বাস ছড়ায় যে তোমাদের যত দুর্ভোগ সব তোমাদের কপালের দোষ, অদৃষ্টের লিখন, যা উপরওয়ালা লিখে রেখেছে। এতে কিছু না করতে পারা দুর্বল শ্রেণী মানষিক ভাবে একটা স্কেইপ পয়েন্ট পায়। এক ধরনের রিলিফ বোধ করে। তাই তারাও এই থিওরী লুফে নেয়। আর বলে বেড়ায় আমার কপালে লিখা ছিলোনা তাই পাই নাই। কিংবা উপরওয়ালা কপালে এমনই মরা লিখে রাখছিলো, কি আর করা।
.
আর এই ভাবে হালাল হয়ে যায় যত চুরি, চামারি, জোচ্ছুরি, ভন্ডামি, খুন, রাহাজানি, ব্যাভিচার, অত্যাচার ...
.
Afnan_Abdullah
07032020
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৭
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ব্যপারটা এমনই দাঁড়িয়েছে আজকাল।
২| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। অর্থনৈতিক যে বৈষম্যের কথা বলেছেন ,এই বিষয়টা ব্যাখ্যা করে লিখা আছে কার্ল মার্ক্সের,দাস ক্যাপিটাল বইতে।ধন্যবাদ
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৮
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়ে দেখবো।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সঠিক চিন্তা।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৮
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের মানূষের কথা না ভেবে,
যারা লন্ডন যায় নিজের চিকিতসা করাতে ভেবে তারা ভালো লোক নয়।
তাদের উচিত দেশে চিকিৎসা খাতের উন্নয়ন ঘটানো।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১০
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: সঠিক মানুষ সঠিক জায়গায় আছে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। যারা দেশের কথা ভাবে তারা কি নেতৃত্বে আসতে পারছে কিনা দেখতে হবে।
৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: নিয়তিতে আমি বিশ্বাস করি, বলতে পারেন না করেও উপায় নেই। তবে আপনি যা বলতে চেয়েছেন বা বলেছেন সেটাও সত্য বলে মনে করি। কারো অধিকার কেড়ে নেওয়া কখনোই যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি দুর্বলের উপর সবলের এই শোষণ, বঞ্চনা সেটাও ঘৃণ্য। লিখার জন্য ধন্যবাদ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২০
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: আমি যেটা বুঝি, যদি দূনিয়ায় ১০০ জন মানুষের বিপরিতে ৫০ কেজি খাবার উৎপাদন হয় তবে
ঐ ৫০ কেজী ১০০ জন মানুষেরই ভাগ্য, রিযিক, নিয়তি। কিন্তু এর বন্টনের দায়িত্ব ঐ ১০০ জনের। একক ভাবে এবং দলগত ভাবে দায়িত্ব বর্তায়।
৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২০
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০০
মুজিব রহমান বলেছেন: কপালের দোষ দিয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করা যায়। আবার অন্যরা দোষ চাপিয়ে নিজেকে নিষ্কৃতিও দেয়।