নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজির প্রপাগান্ডার দম, বাস্ত‌বে ‌অনেকটুকুই কম।

১৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:২৭

ইংরেজী বলা শেখার জন্যে যে পরিমান সময়, শ্রম, টাকা খরচ করি সেটা ৩০% এ নামিয়ে বাকি ৭০% যদি আমরা কাজ কর্ম শিখায় ঢালতাম তাহলে কি আরেকটু কাজে দিতো না?
.
জেমস্ বন্ড এর মত ইংরেজী বলার যে যুদ্ধটা মানুষ করতেছে, দেশের ভেতরে সারা জীবনে ঐ ইংরেজী তাঁরা কার সাথে বলেন? কিংবা তাঁদের সাথেইবা দেশের কোন কর্মকর্তা ঐ পর্যায়ের ইংরেজী বলে? প্রায় সব ভাইভা আর কর্পোরেট মিটিঙ সিটিঙ গুলো ইন্ট্রো পর্বের পরেই মূল কাজকর্ম নিয়ে লোকাল ভাষাত‌েই বাত‌চিত শুরু হয়।
.
বিদেশি যাদের সাথে কাজ করতে হয় তাদের ৯০% ই এশিয়ান- ভারত, শ্রীলঙ্কা ন‌াহয় চীনা নাগরিক। আর এই এশিয়ানদের ইংরেজী আমাদের মতই। কিন্তু কাজে কর্মে তাঁরা অনেক তুখোড়। এবং এই তুখোড় এশিয়ানরা তাঁদের দেশিয় উচ্চারনের ইংরেজী দিয়েই ইউরোপিয়ানদের সাথে ধুমচে কাজ করে যাচ্ছে।
.
আমরা অজস্র মেথডের, বাহারী সব গুরুদেবদের বিচিত্র সব কোর্স এ শুধু ইং‌রেজী বলা শেখার জন্যে যে সংগ্রাম করতেছি, সেটা যদি টেকনিক্যাল শিক্ষায় খরচ করতাম! ধরা যাক দুয়েকটা একটা প্রোগ্রামিঙ বা কু‌য়ে‌রি ল্যাঙ্গুয়েজ, ভিডিও-ফটো এডিটিঙ, এনিমেশান শেখা; মোদ্দা কথা যার যার প্রফেশানের মূল বিষয়ে তুখোড় হওয়াতে আরো সময় দিলে নিশ্চয় দেশের ভেতরে এতো বিদেশি হায়ার করতে হতো না। আর যে কোন টেকনিক্যাল নলেজ এর সাথে ঐ টেকনিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজটা মানুষ স্বভাবতই শিখে যায়। কোন পড়াশোনা না করা মানুষও কম্পিউটার এসেম্বেল করতে করতে সবগুলো পার্টস আর সেগুলোর কাজ এর ইংরেজী শব্দ গুলো জেনে যায়।
.
মূল কথা টেকনিক্যালি এক্সপার্ট একজন মানুষ টেকনিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজেও এক্সপার্ট থাকে। ভাষার জন্যে সে কখনোই আটকে যাবে না। কিন্তু ভুং ভাঙ করে ইও, টিও হাওকাউ করে ভালো ইন্ট্রো অনেকেই পেতে পারে। কিন্তু শুধু ফোরকে মনিটর দিয়েতো মেশিন চলে না, সেখানে কন্টেন্ট থাকতে হয়। এরকম একটা দল আ‌ছে যারা সে‌কেন্ড ল‌্যাঙ্গু‌য়েজ হি‌সে‌বে ইং‌রেজী শিখ‌তে গি‌য়ে মাতৃভাষাটাই ভু‌লে ব‌সে থা‌কে। দিন শে‌ষে একটা ভাষাই শি‌খে।
.
ইংরেজী শেখা নিয়ে সমস্যা না। রিডিঙ আর রাইটিঙ তো মেন্ডেটরি। পয়েন্ট হচ্ছে স্পোকেন এর পেছনে যে পরিমান সময় আর টাকা গচ্ছা দিচ্ছে ছেলে পেলে, কোচিঙ গুলো যে ভাবে প্রচার করে তার বাস্তবতা ভিন্ন। সময় আর টাকা দুটাই লিমিটেড মানুষের। স্পোকেন এর পেছনে সেটা না ঢেলে মূল স্কিল ডেপলপমেন্টে ঢাললে তা কর্ম জগতে বিরাট কাজে আসবে। উদহারন হিসেবে বলতে পারি, ফাইনান্সে একটা ছেলে স্পোকেন (ধরলাম আই.ই.এল.টি.এস গ্রেড ৭+ ) এর পেছনে সময় না দিয়ে যদি SQL কিংবা কুইকবুক শিখে গ্লোবালি তার কেরিয়ার শুধু ভালো ইংরেজি জানা একটা ছেলে থেকে অন্তত বিশ বছর এগিয়ে যাবে। শখের বসে ব্রিটিশ একসেন্ট কেউ শিখতেই পারে। কিন্তু মূল কাজ বাদ দিয়ে শুধু ইংরেজি দিয়ে চাকরি বাকরির যে প্রপাগান্ডা কোচিঙ সেন্টারগুলো ছড়ায় সেটা কি বাস্তব?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:২০

সাসুম বলেছেন: আমি ইংরেজি যা শিখেছি ক্লাস ৫ পর্যন্ত, এর পর আর তেমন কিছুই শিখা হয় নি।

গ্রামার আর ভোকাবুলারি একদম ই কাচা বলা যায়। ডে ডু টে ইউজের জন্য কয়েকশ বা হাজার খানেক ভোকাব জানা আছে মে বি সব মিলিয়ে।

এই অল্প ভান্ডার নিয়েও গত ১০ বছর দুনিয়ার মাল্টি ন্যাশনাল থেকে দেশ বিদেশে চাকুরি করে চলেছি বিদেশীদের সাথে, বিদেশী দের লিড দিচ্ছি।

স্পকেন বা খুব ভাল ইংরেজি জানা দোষের কিছু না বরং অনেক এগিয়ে রাখে বাট এটাই একমাত্র ধ্যান জ্ঞান ভেবে নেয়া ভুল।

২| ১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বক্তব্য ঠিক আছে তবে কাজ চালানোর মত ইংরেজি জানার দরকার আছে যদি বিদেশীদের সাথে আপনার কথা বলার প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলি শুধু ইন্টার্ভিউের সময় ইংরেজে টেস্ট নেয়। কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না বললেই চলে যদি না ঐ প্রতিস্থানের সাথে বিদেশীদের যোগাযোগ থাকে। অনেকে এই দেশে ফটফট ইংরেজি বলে চাকরি পায়। যদিও আসল কাজে সে দুর্বল। আমাদের দেশের শিল্পপতিরা ভারতীয়দের ইংরেজিতে মুগ্ধ হয়ে ওদেরকে বড় পদে বসায় তিনগুন বেতনে। আসলে ওরা কাজের ক্ষেত্রে আমাদের মতই। যদিও স্বীকার করতেই হবে যে ওরা ইংরেজিতে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। শিল্পপতিদের এই মন মানসিকতার পিছনে উপনিবেশিক হীনমন্যতা একটা কারন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.