নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
মৃতরা আবার জীবিত হয় কিভাবে
এরকম লেজারাস সিনড্রোম এর কেস গুলো নিয়ে যখন এক জন ট্যাফোফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষ ঘাঁটাঘাঁটি করবে তখন তার এই ফোবিয়া কতটা তীব্র হবে সেটা ভাবার বিষয়। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষ ভাবে যে তার কাছের লোকজন ভুল করে মৃত ভেবে তাকে জীবন্ত কবর, না হয় পুড়িয়ে দিবে। তারা নিজেকে লেজারাস ভাবে, আর আশা করে একজন জেসাস তাদের জাগিয়ে তুলবে।
.
৬০ থেকে ৬৫ টি ঘটনার মধ্যে সর্বউচ্চ ছয় ঘন্টার লেজারাস সিন্ড্রোম এর উদহারনটি হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরে।
ব্রিটন অউডরি নামের ব্রিটিশ ভদ্র মহিলা ইস্টার্ন স্পেন এ জামাই সহ হাইকিঙ করছিলেন। সেখানে তুষার ঝড়ে পরে তীব্র ঠান্ডায় হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হার্টফেইল করে বসেন। জামাই মি. স্কিউম্যান তার হার্ট, নার্ভ, নিশ্বাস পরিক্ষা করে বুঝেন যে অউডরি মারা গেছেন। এর ঘন্টা দুয়েট পর ইমার্জেন্সি টিম তাদের উদ্ধার করে হসপিটালে নেয়। সেখানে ডক্টর এ্যাডওয়ার্ড আর্গুডো হাইপোথারমিয়ায় হার্ট এ্যাটাক হয়েছে জেনে সুদূরের হলেও একটা আশা দেখেন। আর ঘন্টা চারেক অতি উন্নত যন্ত্রপাতি নিয়ে ঐতিহাসিক যুদ্ধ করার পরে ব্রিটন অউডরি এর শরীরে আবার প্রানের চীহ্ন নিয়ে আসেন।
রেয়ার কিছু ক্ষেত্রে CPR সাথে সাথে কাজ না করে হার্টবন্ধ হওয়ার কিছু পরে রেসপন্স করে বিট ফেরত আনে। আর তখনই আপাত মৃত মানুষটি আবার জীবিত হয়ে উঠে। সাধারণত এটা কিছুক্ষণ এর জন্যেই হয়।
.
লেজারাস নামটা বাইবেল থেকে নেয়া।
"আমিই পুন:রুত্থান এবং জীবন। যারা বিশ্বাসী তারাই বেঁচে থাকবে, এমনকি মরার পরেও। এবং যারা বেঁচে আছে আমার উপর বিশ্বাস নিয়ে তারা কখনোই মারা যাবে না। তুমি কি এটা বিশ্বাস করো?" (New Testament, Gospel of John 11:25)। নিজের বন্ধু লেজারাসকে কবর দেয়ার চার দিন পর পুনরায় জীবনে ফিরিয়ে আনার আগে জেসাস লেজারাস এর বোন মার্থাকে এই প্রশ্ন করেন। মার্থা নিজেকে বিশ্বাসি দাবি করেন। তখন জেসাস কবর থেকে লেজারাসকে উঠে আসতে বলেন। লেজারাস পুন:জীবন পেয়ে উঠে আসেন।
.
প্রতিটা মহা কিতাব এ বলা মহা মহা ঘটনা গুলো দৃশ্যত পরাবাস্তব মনে হলেও মূলত জটিল কোন বিদ্যার মহা বাস্তব অস্তিত্বেরই ইঙ্গিত দেয়।
.
#Afnan_Abdullah
12.25.2021
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ধারনা যিশু চরিত্রটা সম্পূর্ন কাল্পনিক।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৩৫
সোবুজ বলেছেন: আল্লাহ পাক যীশুকে নাপাক বস্তু থেকে সৃষ্টি করেন নাই।তাই খৃস্টানরা বিশ্বাস করে একমাত্র যীশুই পবিত্র ও নিষ্পাপ।সেই পারে মানুষকে উদ্ধার করতে।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪২
বিটপি বলেছেন: আপনি যে ঘটনা বর্ণনা করলেন, সেটা কয়েক ঘন্টার ব্যাপার, আর যীশু যাদেরকে জীবিত করতেন, তারা কয়েক বছর আগে মারা যাওয়া। তিনি মৃতের কবরে গিয়ে বলতেন, "আল্লাহ্র হুকুমে জীবিত হও" তাদের যেহেতু আল্লাহ্র হুকুম না মানার ক্ষমতা ছিলনা, তাই তারা জীবিত হয়ে যেতেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যীশু আল্লাহর কুদরতে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতে পারতেন, জন্মান্ধকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারতেন।