নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
১.
ইভা টায়ামেট মেডুসা খুব প্রসঙ্গিক এই দিনের বাংলাদেশে। উনি সেভেন এর বই এর শরীফা আপাদের অধিকার আদায়ে কাজ করেন। কারন উনি নিজেও টায়ামেট ভাই থেকে ইভা আপা হয়েছিলেন। ছেলে হয়ে জন্মানোর পর বড় হতে হতে শরীফ ভাইয়ের মতই ভাবতে থাকেন যে –”ভাই” হয়ে জন্মালেও মনে মনে তিনি আসলে এক জন “আপা”। মনের অধিকারকে জোর দিয়ে তিনি উন্নত দেশের উন্নত বিজ্ঞান দিয়ে নিজেকে “আপায়” রুপান্ত করেন। কিন্তু উনার বিভ্রান্ত মন এতেই থামে না। এর কিছু দিন পর উনি বুঝতে শুরু করেন যে উনি মানুষ হলেও মনের দিক থেকে উনি আসলে একটা ”সাপ” কিংবা ড্রাগন জাতিয় কিছু। মনের উপরতো আর জোর খাটানো যায় না। তাই আবারো তিনি বিজ্ঞান এর স্বাধীন প্রয়োগ করেন নিজের উপর। কান আর নাক কেটে দীর্ঘ্য সার্জারী করে নিজেকে ড্রাগন এ রুপান্তর করেন।
টাইমস্ আব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এমন আন্তত নয় জন আদমের বিস্তারিত জানা যায়, যারা মনের দিক থেকে মানুষই না। আর উনারা মনের চিকিৎসা না করে শরীরের চিকিৎসা করেছেন। তাই কেউ হয়েছেন বিলাই, কেউ কুত্তা, কেউ সাপ তো কেউ আবার তোতা পাখি। এরকমর পশু মন নিয়ে নিশ্চয়ই আরো অনেকেই বসবাস করতেছেন। টেকা টুকার অভাবে সার্জারিগুলো করতে পারতেছেন না। অদূর ভভিষ্যতে হয়তো কেউ কেউ মনের দিক থেকে এ্যালিয়েনও হবে। মন বড়ই বিচিত্র।
https://timesofindia.indiatimes.com/life-style/spotlight/web-stories/9-people-who-transformed-themselves-into-animals/photostory/102724235.cms
২.
মনের দিক থেকে ভাইয়েরা হয় আপু, আবার আপুরা হয় ভাইয়া। জন্মগত শারীরিক সমস্যায় কেউ কেউ তৃতিয় লিঙ্গের হয়। যাদেরকে বাংলায় হিজড়া বলে। মন আর শরীরের অমিলে ভোগা আদমদের কাউকে কেন যেন মনের দিক থেকে এই তৃতিয় লিঙ্গের, মানে হিজড়া হতে দেখা যাচ্ছে না। কেউ এখনো দাবি করে বসেনি যে সে মনের দিক থেকে হিজড়া! এখানে মন বিশেষজ্ঞদের জন্যে রয়েছে চিন্তার খোরাক।
৩.
শরীফ থেকে শরীফা আপার গল্পটাতে দেখা গেছে পুরাতন বোতলে কিছুটা নতুন মদ ঢালতে। বোতল হলো হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবন বর্ননা। তাদের প্রতি যেহেতু অনেক মানুষের সহানুভুতি আছে তাই তারা হলো গল্পের বোতল। আর সেই বোতলে ঢালা হলো শরীফা আপাকে, যে কিনা জন্মগত ভাবে হিজড়া না। বরং সে হলো ভাইয়া কিন্তু মনের দিক থেকে আপা সম্প্রদায়। এই মনের দিক থেকে আপাকে গল্পে জন্মগত তৃতিয় লিঙ্গের হিজড়া সম্প্রদায়ের সাথে ভিড়িয়ে দেয়া হলো। অথচ মনের দিক থেকে কেউই নিজেকে এখন পর্যন্ত হিজড়া দাবি করতে দেখা যায় নি। সাজগোজে কাছাকাছি হয়ে গেলেও তাহারা মূলত এক না। সার্জারি টার্জারি করে কিছুটা কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। এই বিকারকে স্বাভাবিক করার শিক্ষা স্বাভাবিক ভাবে নেয়া কঠিন। তাই এই মিক্সারটাই ফেসবুকের ওয়াল গরম করে দিচ্ছে। কারন 'শরীফ' 'শরীফা' হওয়ার পরেও যে আবার অশরীরি কিছু হতে চাইবে না তার কি ভরসা।
আর মনের দিক থেকেতো কেউ সাদ্দাম, কেউ বুশ্ আবার কেউ হিলারী হয়ে বসে থাকে। মনের এত খোরাকী যোগাবে কে!
।
#আফনান আব্দুল্লাহ্
.
সুত্র:
২. Click This Link
.
3. Click This Link
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা পড়লাম।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: সমকামিতা এবং ট্রান্সজেন্ডার কি একই জিনিস?
না, সমকামিতা এবং ট্রান্সজেন্ডার একই জিনিস নয়। তারা পরিচয়ের দুটি পৃথক দিক এবং তাদের আলাদা আলাদাভাবে বোঝা উচিত।
সমকামিতা হল যৌন অভিমুখিতা, যার অর্থ তারা কাদের প্রতি রোমান্টিক বা যৌন আকর্ষণ অনুভব করে।
সমকামী ব্যক্তিরা তাদের নিজের লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে।
উদাহরণ: একজন lezbian নারী নারীদের প্রতি আকর্ষিত, একজন gay পুরুষ পুরুষদের প্রতি আকর্ষিত।
ট্রান্সজেন্ডার হল লিঙ্গ পরিচয়, যার অর্থ তারা তাদের নিজস্ব লিঙ্গকে কীভাবে অভ্যন্তরীণভাবে উপলব্ধি করে, যা তাদের জন্মের সময় নির্ধারিত লিঙ্গের সাথে মিলতে পারে বা নাও পারে।
ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা তাদের নির্ধারিত লিঙ্গের থেকে ভিন্ন লিঙ্গের পরিচয় নিতে পারে।
উদাহরণ: একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী জন্মের সময় পুরুষ হিসাবে নির্ধারিত হয়েছিল কিন্তু মহিলা হিসাবে পরিচয় দেয়, একজন ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ জন্মের সময় মহিলা হিসাবে নির্ধারিত হয়েছিল কিন্তু পুরুষ হিসাবে পরিচয় দেয়।
মূল পার্থক্য:
ফোকাস: সমকামিতা হচ্ছে যৌন আকর্ষণ সম্পর্কে, কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার লিঙ্গ পরিচয় সম্পর্কে।
স্পেকট্রাম: যৌন অভিমুখিতা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে যার মধ্যে সমকামিতা একটি ধরণ। কিন্তু লিঙ্গ পরিচয় যদিও প্রায়শই দ্বি-মেরু শরীর ও মনে পুরুষ এবং নারীর মিশ্রন অথবা দ্বি-মেরু ছাড়াও হতে পারে। যেমন শরীরের দিক থেকে পুরুষের মত বা নারীর মত দেখতে কিন্তু মনের দিক থেকে ভিন্ন।
সংযোগ: কিছু ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিও সমকামী হতে পারে, তবে সব ট্রান্সজেন্ডার সমকামী নয়। অন্য যেকোনো ব্যক্তির মত একজন ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি যেকোনো লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত হতে পারে।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
নতুন বলেছেন: পাঠ্য বইয়ে এসব শেখানোর অর্থ হইলো বড় হইয়া এরা যেন ভিন্ন মত, ধরনের মানুষে ঘৃনা করতে না শেখে।
এরাও মানুষ তাদেরকে অন্য সবার মতন বেচে থাকার অধিকার আছে। যৌনতার পছন্দের পার্থক্যের কারনে কাউকে ঘৃনা করা উচিত না।
একজন স্ট্রেইট মানুষ যদি জোর করে নারীর সাথে কিছু করে সেটা যেমন ধর্ষন। তেমনি কোন সমকামীও যদি কিছু করে তবে একই সাজা হবে।
কিন্তু সমকামী, গে, লেসবিয়ান হলে তাকে হত্যা করতে হবে এমন মনভাব ঠিক না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৩
বিজন রয় বলেছেন: সব কিছু সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারলেই মনের খোরাকীর যোগান পাওয়া যাবে।
অনেক সময় অনেক কিছু নিয়ম মেনে হয় নাম করা যায় না।