নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
পঁচাত্তরের সরকার উৎখাতে সরকারি বাহিনীর হাতে সরকার প্রধান সহ তিন পরিবারের ১৬ জন মানুষ মারা যান। এর মধ্যে এক জন ছিলো শিশু। এই পরিবারগুলো ছিলো সরকারের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারি। আর ২৪ এর গণঅভ্যুথ্থানে সরকার প্রধানের পলায়ন এর দিনই মারা যায় শ'দেড়েক মানুষ। সব মিলিয়ে প্রায় সাত শ মানুষ খুন করে সরকারের পুলিশ,বিজিবি আর বেসরকারী ভাবে পালা সরকারের দলীয় বাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে জনা ত্রিশেক শিশু-কিশোর। পঙ্গু হয়েছে আরো অসংখ্য মানুষ। কিন্তু, সরকার এবং সরকার ঘনিষ্ঠ লুটতরাজের বড় ভোক্তা সবাই অক্ষত অবস্থায় পালাতে সক্ষম হয়। এখন কেউ কেউ এদিক ওদিক ধরা পরলেও আর্মী তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেছে।
৭৫ এর মত ২৪ এও সরকার পতন হয় গণ মানুষের উৎসবের উপলক্ষ। অসংখ্য লাশ, রক্ত, জখম নিয়েও গণ মানুষ স্বাধীনতা উত্তর অর্ধশত বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উদযাপনে মাতে। অন্যদিকে নজির বিহীন বর্বতা আর লুটপাট এর পরও পলাতক সরকারের পক্ষে লোকজন দেশের বিভিন্ন জায়গায় একটু সময় নিয়ে হলেও রাস্তায় নেমেছে, ইনিয়ে বিনিয়ে প্রকাশ্যে বর্বর সরকারের সমর্থনে কথা বলার রুচি দেখাচ্ছে। টানা পনের বছর অবিশ্বাস্য চুরি ডাকতিতে যে ছ্যাচড়া এলিট শ্রেনী পলাতক সরকার তৈরী করেছে তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে, লাথ্থি উষ্ঠা দিয়েও গণমানুষের কাতারে নামানো কঠিন কাজ। ৭৫ এ আবার সরকারের সমর্থনে কেউ বের হয়নি। বরং তাদের ঘনিষ্ঠজনের অনেকে নতুন সরকারে যোগ দিয়ে বসে। যদিও দেশে তাদের প্রিয় সরকার প্রধান এবং তার গনিষ্ঠজনের লাশ পরে ছিলো।
তো, দেখা যাচ্ছে গণঅভ্যুথ্থানে গণ মানুষের বুকে পাঁড়া দিয়ে পার পায় খুনি শাসক আর তার চোরচোট্টার দল। তারা সাহস পায় আবার ফিরে আসার হুমকি দেয়ার।
এর সমাধান আছে বিচার ব্যবস্থার হাতে। ঠিক ঠাক বিচার করা গেলে, দীর্ঘ্য মেয়াদে গণ মানুষ আর তার সরকার কাঠামোকে ভয় পাবে ভবিষ্যতের যেকোন দস্যু দল। নিজের আপনজনের রক্ত বেচে কোটি কোটি মানুষের রক্ত চোষার আহ্লাদ দেখানোর সুযোগ আসবে না তখন। চান্দার টাকায় এলিট হওয়ার লোভে জিহ্বা ভেজানোর আগে ভয়ে গলা শুকিয়ে আসবে যে কারো। তাই দীর্ঘ মেয়াদে, গণঅভ্যুথ্থানই ভালো ফল আনে সেনা অভ্যুথ্থান থেকে। খুনির হাতে খুনি বিদায় নিলে খুনিরাই ক্ষমতায় থেকে যায় ঐ চক্রে। ৭৫ এর তুলনায় ২০২৪ এর এই রক্তক্ষয়ী অভ্যুথ্থান বাংলাদেশের সামনে এক অফার সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে। এমন সুযোগ বাংলাদেশ এর আগে পেয়েছিলো ৭১ এ, কিছুটা ৯০ এ।
এই সরকারের বড় বড় পরীক্ষা গুলোর ঘন্টা বেজে গেছে পলাতাক সরকারের চোর চোট্টা আর খুনি পিশাচ গুলোর বিচার প্রক্রিয়ার সাথে সাথে। যথেস্ট পরিমান স্বচ্ছ বিচার না করতে পারলে জেল-ফাঁসি যাই হোক ইতিহাস থেকে দায় মুক্তি পেয়ে যাবে এই ভয়ঙ্কর পিশাচের পাল। যে চুরি করেছে তাকে চুরির জন্যেই ধরতে হবে, যে খুন করছে তারে খুনের জন্যে। শর্টকাটে সবগুলোকে একই মামলায়, একই স্বাক্ষীর বরাতে একই রায় দিলে, একই উটের পিঠে চলতে থাকবে বাংলাদেশ।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১৭
বাউন্ডেলে বলেছেন: নির্লজ্জ, বেহায়া, প্রতারক তথাকথিত সমন্বয়করা সাধারন ছাত্রদের নাম ভাংগিয়ে এবং শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে শতকোটী টাকার বিনিময়ে গুন্ডামী করে ট্যাক্স চোর ইউনুসের কাছে গদি বিক্রি করেছে। ধিক্কার, ঘৃনা, জাতির জন্য অভিশপ্ত ।
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে দেশে যতো মানুষ মারা গিয়েছে এবং যতো আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সবকিছুর জন্য দায়ী ছয় সমন্বয়ক। তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কোটা আন্দোলনের অজুহাতে সরকার পতন করতে চেয়েছে। তাদের আন্দোলনকে উত্তপ্ত করতে এবং দেশ বিদেশের জনতাকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলতে লাশের প্রয়োজন ছিলো। অন্যদিকে সরকারের প্রয়োজন ছিলো আন্দোলন থামিয়ে দেশ ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা। তাই সরকার প্রথমে ঢিলেমি করলেও অবস্থা বেগতিক দেখে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়। সরকারকে দাবি মেনে নিতে দেখে সমন্বয়করা সন্তুষ্টি প্রকাশ না করে উল্টো আরো দাবি বাড়াতে থাকে। আন্দোলন থেকে যেনো কিছুতেই সাধারণ মানুষের সমর্থন কমে না যায় এবং তাদের হাত থেকে যেনো আন্দোলন হাতছাড়া না হয়ে যায় সেজন্য "আমার ভাই মরলো কেনো আর আমার ভাইদের জেল থেকে মুক্ত করতে হবে" বলে নতুন করে আন্দোলনের বেগ বাড়িয়ে দেয়। সমন্বয়করা জানতো পুলিশ যাদের ধরেছে সরকার তাদের এমনি এমনি ছাড়বেনা। কারণ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা যারা ভেঙেছে তারা কারা এবং তারা আসলেই ছাত্র কিনা প্রসাশন অন্তত এইটুকু তো যাচাই করবেই। কিন্তু সেসব যাচাই বাছাই করতে গেলে "কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেড়িয়ে যাওয়ার" মতো অবস্থা তৈরী হবে। তখন সমন্বয়করা সাধারণ ছাত্রদের আবেগকে পুঁজি করে "আমার ভাই মরলো কেনো জবাব চাই" বলে আওয়াজ তুললো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার অবশ্যই কঠোর হবে এটা সমন্বয়করা জানতো। তখন তারা সাধারণ ছাত্রদের পুলিশের বন্দুকের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। কারণ যতো লাশ পড়বে সরকার ততো কোণঠাসা হবে। যার হাতে বন্দুক থাকবে সে তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি করবেই। কিন্তু যাদের হাতে বন্দুক নেই তারা তো কৌশল অবলম্বন করবে এবং নিজেদের দাবি আদায় করতে সুযোগ খুঁজবে। কিন্তু ছাত্ররা সেটা করেনি। সরকার তাদেরকে সেই সুযোগ দিলেও তারা সেটা প্রত্যাখ্যান করে। কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্য দাবি পূরণ বা বাকি ছাত্রদের জীবনের নিরাপত্তা নয়। তাদের আসল চাওয়া হলো ছাত্রদের লাশ এবং তার উপর ভিত্তি করে সরকার পতন।
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: ৭৫ এবং ২৪ দুটি অভ্যুথ্থানেই মূল শক্তি মৌলবাদিরা।৭৫ য়ে তারা সামনে ছিলো ২৪ য়ে তারা পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে।আন্দোলনে বিরাট একটা অংশ আছে ধোকার মধ্যে।তারা বুঝতে পারছে না কোথা থেকে কি হচ্ছে।যখন বোঝতে পারবে তখন আর করার কিছুই থাকবে না।কিছুটা টের পেয়েছে ১৫ তারিখে।
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪৮
আরশাদ রহমান বলেছেন: আমরা বাঙালিরা নির্বোধ কিংবা বিশ্বাসঘাতক।
হয়তোবা দুটোই।
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:১৪
নতুন বলেছেন: বাহ শেখ হাসিনার মূর্খতার ফলে তার নেতাদের তৈলবাজীর কারনে উনি অহংকারে দেশকে নিজের বাপের দেশ মনে করতে শুরু করছিলেন সেটা অনেকই দেখছে ভুলে গেছেন।
ছাত্রআন্দোলন ঠিক মতন হ্যান্ডাল না করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী লেলিয়ে পরিস্থাতি খারাপ করে আয়ামীলীগ তার পতন ডেকে এনেছে।
নতুবা শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আলোচনায় বসতে চাইতেন না। উনি ততক্ষন বুঝতে পেরেছিলেন তার নেতারাই তাকে ডোবাচ্ছে।
৪০০-৫০০+ মানুষ হত্যা করে যেই দল তার পক্ষে মানুষ এখনো কিভাবে কথা বলে?
যারা বিরোধিতা করছে তাদের মাঝে শুুধুই গাজী ভাইয়ের বিরোধিতাই যৌক্তিক। উনি শেখহাসিনার হত্যার জন্য তাকে ঘৃন্যা করছেন কিন্তু তার শংকা ছাত্রদের পরিচালিত করছে জামাত। তাহলে আগের চেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হবে।
যদি এটা জামাতের চাল হয় তবে আমিও বলবো এটা ভুল হয়েছে। কারন বাঘ তাড়িয়ে আমরা টাগ আনতে চাইনা।
সোনা যেমন আগুনে পুড়ে খাটি হয় একটা সমাজ আন্দোলনে পুড়ে খাটি হয়।
আশা করি জনগন বর্তমানের এই ছাত্রদের দূনিতি মুক্ত, বৈশম্য বিরোধী সমাজ গড়ে তোলার চেস্টার সাথে থাকে।
সমাজে দূনিতি না থাকলে সবাই আরো বেশি সুখে থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশেই একলা নারী সারা রাত রাস্তায় ভ্রমন করতে পারে। পুলিশ জনগনের বন্ধু হিসেবে পাশে থাকে, কোথাও কোন অফিসে ঘুস দিতে হয় না। রাজনিতিকরা ছাত্রদের লাঠিআল হিসেবে পালে না। মানুষ হাসপাতালে চিকিতসা পায়। রাজনিতিকরা দূনিতি করে পার পায় না।
এমন সমাজ বিশ্বের অনেক দেশেই আছে। আমাদের দেশেও অসম্ভব না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১০
সোনাগাজী বলেছেন:
প্রথমে আপনার ব্লগিং ইতিহাস দেখলাম; দেখে মনে হলো, আপনার লেখা সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।