নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্রাণ কার্যক্রম উদযাপন সঠিক এবং পবিত্র।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪২

ফেনী যাওয়ার পথে সার বাঁধা ত্রাণের ট্রাক গুলো দেখছিলাম। সেগুলোতে বস্তার উপর ছেলে মেয়ে গুলো জুবুথুবু মেরে বসে ছিলো। তারা বৃষ্টিতে ভিজছিলো। একটু পরেই কয়েক কিলো কড়া রোদ। সেই রোদে পুড়ছিলো। আবার ভিজতেছিলো। দুলতেছিলো, ঝিমাচ্ছিলো। কি মায়া গো! কি মায়া!
.
এই ভাবে পাঁচ ছয় ঘন্টা পর ওরা জায়গায় পৌঁছাবে। বুক সমান পানিতে নেমে, ভারী বস্তাগুলো ঘাঁড়ে নিয়ে ত্রাণ বিতরন করবে। ওদের প্রজেক্ট শুর হয় টাকা তোলা দিয়ে। এর পর কেনাকাটা, প্যাকেজিঙ। তার পর ট্রান্সপোর্ট, বিতরন আর ফেরত আসা। যাত্রা পথের খাবার দাবার সাধারনত নিজেদের টাকায় হয়। এই ত্রাণ কার্যক্রম এর প্রত্যেকটা স্টেপ এর কাজই খুব কষ্টকর। কষ্টসাধ্য যে কোন কাজ শেষ করতে পারা আনন্দের। এই ছেলেমেয়েদের যাওয়ার পথের, আসার পথের ছবি-ভিডিও, হাসি আনন্দ, ভি চিহ্ন দেখিয়ে উদযাপন সবই সঠিক এবং পবিত্র। ওরা বন্যা উদযাপন করেনি, দুর্যোগ মোকাবেলা করার যুদ্ধ জয় উদযাপন করছিলো। উদ্ধারকারী নৌকায় আঠার জন উঠে যাওয়া বোকামি ছিলো। অপরাধ না।
.
ওদের হাসি খুশি ছবি আর সেলিব্রেশন নিয়ে সমালোচনা করা, গালি দেয়া ছিলো মুর্খতা। অপবিত্র আর কুৎসিত কাজ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ইহা এমন এক দেশ, যাহাই করিবেন, তাহা লইয়াই মানুষ পশ্চাৎদেশের মত দুই ভাগ হইয়া যাইবে!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: হা হা হা। দুই ভাগ হয়ে ঝগড়া করা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

নতুন বলেছেন: নিজের বাড়ীতে বিছানায় বসে, গরম কফিতে চুমুক দিয়ে কম্পিউটারে বসে বসে ত্রান দিতে যাওয়া মানুষের ছবি কেন তুললো সেটা নিয়ে সমালোচনা করাটা খুবই সহজ।

কাজের ছবি দিতেই পারে। তবে ত্রান দিতে গিয়ে যারা ত্রান নিচ্ছে তাদের ছবি না দেওয়াই্ উচিত।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: হুম্। যারা ত্রান নিচ্ছেন তাদের ছবি অবশ্যই না দেয়া উচিৎ।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১

রানার ব্লগ বলেছেন: ওরাই দেশের আলোকবর্তিকা !! ওরাই সুর্য সন্তান !

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ওরাই সুর্য সন্তান! সৌভাগ্য ওরা দেশে আছে

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- একজনের ভুল কাজের সমালচনা হয়েছে। এবার তারা সহ বাকিরা শুধরে যাবে, সহজে আর ভুল করবে না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪১

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: একটাই বোকামি ধরা পরেছিলো বলার মতো- উদ্ধারকারী নৌকায় আঠারো জন বসে পরা। কিন্তু সমালোচনা চলছে সব গুলো হাসি মুখের, ভি চিহ্নের।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কষ্টের কাজে সবাই মিলে একটু আনন্দ করলে কষ্ট কমে যায়। ওরা সেটাই করেছিল। কিন্তু মানুষের সহ্য হয় নাই।

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: আমাদের অফিসের ত্রাণ বিতরণ টীম গত কয়েকদিনে অমানুষিক কষ্ট সহ্য করেছে। পুরো দুই দিন না খেয়েও থেকেছে। একটা মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারপরেও তারা খুব তৃপ্ত এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে কৃতজ্ঞ এরকম কর্মসূচীতে তাদেরকে সুযোগ দেবার জন্য। সারা বছর বোরিং ডেস্কজবের থাকে কয়েকদিনের জন্য হলেও মুক্তি এনে দিয়েছে সেই ত্রাণ কার্যক্রম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.