নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেইপ - দাম্ভিকের অধ:পাতিত পাপ।

০৯ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৫৫

সব ক্রাইমেই অপরাধী ভিকটিমের উপর ক্ষমতা দেখাতে চায়, রেইপও তাই। এমন অপরাধ শুধু পুরুষ-মহিলার মধ্যে নয়; ছেলে-ছেলের, মেয়ে-মেয়ের উপরও এই আগ্রাসন চলে। রোমান যুগে প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেটর ও যুদ্ধবন্দীদের বলৎকারের নজির আছে। মহাবীর আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের বাবা রাজা ফিলিপ (২) তরুণ বয়সে বন্দী হয়ে এমন হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। পরে তার সেনাবাহিনীও পরাজিত শত্রুদের উপর একইভাবে চড়াও হতো। প্রতিপত্তি দেখাতে ছেলেদের উপর চড়াও হওয়ার নজির এই যুগে বাংলাদেশেও আছে। দুয়েকটা কমেন্ট এ দিচ্ছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে স্তালিনের রেড আর্মি বার্লিনে লক্ষাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছিল। সুলতান সুলেমানের স্ত্রী হুররাম তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনকিউবিনদের দাসীপল্লীতে গুম করতেন বলে বলা হয়।


রেপিস্টরা নিজেদের ভিকটিমের থেকে উচ্চ জাতের, ক্ষমতাবান মনে করে। তাই পরিবারের পুরুষ সদস্যদের অপরাধ জানলেও ঘরের মহিলাদের প্রায়ই কোনো বিকার দেখা যায় না। বাংলাদেশের মুনিয়া হত্যার পর যেমন হয়েছিল। যেমন, রোহিঙ্গা নারীদের উপর নির্যাতনের প্রতিক্রিয়ায় নোবেলজয়ী সূচী বলেছিলেন, তার সেনারা নোংরা রোহিঙ্গাদের ছোঁবে না। বাংলাদেশে—২০০১ সালে পূর্ণিমা রাণী শীল থেকে ২০১৮-তে সুবর্ণচরের চল্লিশ বছরের মা সবই ক্ষমতা দেখানোর জন্যই অপরাধ হয়েছে। আর ২০২৫ এর আছিয়া যেন এক সাইকোপ্যাথ পরিবারের এক অদ্ভুত বিকৃতির শিকার। এই গল্প কেমন যেন অসম্পূর্ন। এই পরিবারের আরো কোন কাহিনী বের হবে সামনে।


ভিকটিমের উপর প্রতিপত্তি দেখানোর এই অপরাধ সাধারনত রেপিস্ট একা করে না। তার সাথে থাকে তার সমমনা দলের ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই। এক-একটা স্ক্যান্ডাল যখন চাউর হয়, তখন তাই গড়পরতা মানুষ গোষ্ঠী নির্ণয়ে নামে। এক পক্ষ খোঁজে, "মেয়েটার পোশাক ঠিক ছিল না?" আরেক পক্ষ ভাবে, "সে কি রাত করে বাইরে ছিল?" বা "একা গণ্ডির বাইরে ঘুরতে গিয়েছিল?" "মেয়েটার সাথে কে ছিলো?" এর যেকোনোটা মিলে গেলেই এই দল বুঝে যে "এই ভিকটিম তার মতের বিপক্ষ দলের।" যেটা তাকে এক ধরনের মানসিক আরাম দেয়, দায়মুক্তি দেয়। তাদের বয়ান থাকে -"এই ভাবে চললে তো এইসব হবেই, আগেই বলে আসতেছি।" —এভাবে রেপিস্ট নৈতিক সমর্থন পায়। সে সাহস পায়। সে ক্রাইম এর গল্প করে, মিষ্টি বিলোয়, ভিডিও করে। সে প্রচার করে নিজের প্রতিপত্তি, অহম। সে প্রতিপক্ষকে হুমকি দেয় একই ক্রাইম আবার করার। আরেক গোষ্ঠী আছে উদাম বাহিনী। তারাও হুবহু একই জিনিস খোঁজে। মেয়েটার বোরকা ছিল কিনা, বয়স অতি কম কিনা, ক্রাইমটা ঘরের ভেতরেই ঘটলো কিনা! কোন বিচার আচার নয়, তারা যেন উদম চলার লাইসেন্স খোঁজে। আর এর মাঝেই দাপটের সাথে চলতে থাকে একটার পর একটা অপরাধ।

সব গোষ্ঠীর জন্য এক আইন হলেই এসব বন্ধ হবে। নিজ দলের প্রমাণিত খুনিকে সাধারণ ক্ষমা দিয়ে যে দেশের প্রেসিডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনে স্ট্যান্ডআপ কমেডি করতে যান, সেখানে বিচার কঠিনই ছিল। কিন্তু এখন সময় ঝুলানোর। Women and Children Repression Prevention (Amendment) Bill, 2020 এ ঝুলানোর সুযোগ আছে। সুবর্ণচরের ছয় ধর্ষকের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। বাকি অপরাধেরও বিচার হোক। মব জাস্টিস কঠোরভাবে দমন করা হোক। এখন তো কোনো বৈষম্য নেই।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সত্য অথা হলো- সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করার জন্য এই দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। এই দেশে আনন্দ নিয়ে বেচে থাকা সম্ভব নয়।

২| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১১

রাসেল বলেছেন: অপরাধের শাস্তি না দেবার উদ্দেশ্য হলো অপরাধীকে উৎসাহী করা। যদি বিচারিক প্রক্রিয়ার (বিচার ব্যবস্থায় গলদ, আইনের অপপ্রয়োগ) মাধ্যমে অপরাধীকে অপরাধ করতে উৎসাহিত করা হয়, তাহলে বিচার ব্যবস্থার সাথে জড়িতদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত। আপনি ধার্মিক লোক, আশাকরি আপনিও জানেন শেষ বিচারে বিচারকদের শাস্তির ধরন কি হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতার নূন্যতম শিক্ষা নাই। সবশেষে বলি, যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, সে দেশের অবস্থা আমাদের প্রানের (!) বর্তমান বাংলাদেশের মতোই হবে। আমাদের দেশের দেশপ্রেমিক (!!) মহাজ্ঞানী মহাজনরা ইহা ভালো করেই জানে এর প্রতিকার আরো ভালো জানে এবং কেন এই জানার প্রয়োগ করে না তাও জানে।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১

নতুন বলেছেন: রাজনিতিক দলগুলি যারা তাদের লাঠিয়াল তাদের সমর্থন করে।

গত ৫৪ বছরে অনেক নজির আছে সেখানে ধর্ষন, হত্যার অপরাধীরা দলীয় বিবেচনায় ছাড় পেয়ে গেছে।

সব গোষ্ঠীর জন্য এক আইন হলেই এসব বন্ধ হবে। +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.