![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
৫ আগস্ট ২০২৪। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কিছু একটা বলবেন শুনেই সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে গেল। তাঁর কথা বলার আগেই ৬৪ জেলায় উত্তেজনার স্রোত ছড়িয়ে পড়ল, এমনকি যারা তাঁর নামও জানত না, তাদের মাঝেও। কারণ? কারণ তিনি একজন জেনারেল, আর্মির প্রতিনিধি। আর্মি প্রধান।"আমি মেজর জিয়া বলছি"
এই দৃশ্যে ১৯৭১-এর প্রতিধ্বনি আছে। "আমি মেজর জিয়া বলছি"—এই ঘোষণার মাত্র কয়েকটি শব্দই যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছিল। ঘোষণাটার উত্তাপ ওই দুর্যোগের সময়ে কতটা তীব্র হয়েছিল, তা ২০২৪ সালে সহজেই আঁচ করা যায়। আর্মির কাছ থেকে এমন একটি ঘোষণার আকাঙ্ক্ষা ‘২৪-এর গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিলে যায়।
একজন মেজরকে "আর. জে" বলা আর জেনারেল ওয়াকারকে সংবাদ পাঠক বলা প্রায় কাছাকাছি ব্যাপার। যুদ্ধে আর্মিই নেতৃত্বে থাকে। হিটলার, তার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতা রুজভেল্ট, চার্চিল কিংবা স্ট্যালিনের মতো ব্যাটলফিল্ড আর্মির হাতে ছেড়ে না দিয়ে সেখানে নাক গলাতেন। স্টালিনগ্রাদে রেড আর্মির "অপারেশন ইউরেনাস"-এর বিপরীতে নাৎসি বাহিনী রিট্রিট করতে চাইলে হিটলার বাধা দেন। শক্তীশালী নাৎসি বাহিনীর পতনে হিটলার নিজেই ভালো অবদান রাখেন এভাবে।
একাত্তরে রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি জেলে বা কলকাতায় না থেকে জেড ফোর্স, কে ফোর্স গুলোর উপর খবরদারী করতো তাহলে কী হতো, তার নমুনা বাংলাদেশ দেখেছে ২০০৯ সালে। বিডিআর বিদ্রোহের সময় সেনাবাহিনীর উপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলস্বরূপ, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হারানোর ক্ষত এখনো দগদগে।
২| ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মেজর জিয়া নিজে ঘোষণার খসরা তৈরি করে ঘোষণা দিয়েছিলেন। শেখ সাহেবের ঘোষণা তৈরি থাকলে কেন মেজর জিয়াকে খসরা তৈরি করতে হল। এই ব্যাপারে কর্নেল অলি আজকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। দেখে নিতে পারেন।
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৫১
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: দেখলাম। পড়া হয়নি।
৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যার যা ভূমিকা আছে তা স্বীকার করে নিতে দোষ কই?
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: জনগন সত্যটা জানে।
পুরোনো কাসুন্দি ঘেটে লাভ নাই।
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩২
আহলান বলেছেন: এই ইতিহাস এতো কাল ঢেকে রাখা হয়েছিলো বলে অনেকের কাছে নতুন। তাই হটাৎ এসব শুনে আবোল তাবোল বকে ... আজ ডঃ ওয়াজেদ বেঁচে থাকলে এসব সত্য আরো জোরালো ভাবে প্রচার হতো !
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জেনারেল মইন সামরিক বাহিনীর একজন কুলাঙ্গার। সেনারা তার কাধের রাঙ্ক টেনে ছিঁড়ে ফেলতে চেয়েছিল। সে একজন কাপুরুষ।
এই ধরণের কয়েকজন জেনারেলের জন্যই গত সাড়ে ১৫ বছর শেখ হাসিনা আর্মিকে নিজের অন্যায় কাজে ব্যবহার করতে পেড়েছিল।
শেখ সাহেব ৬ মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের জেনারেল খাদিম হুসেইন রাজার কাছে দুইবার লোক পাঠিয়েছিলেন যেন তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২৫ মার্চ রাতে তিনি সুটকেস গুছিয়ে রেখেছিলেন আর্মির কাছে ধরা দেয়ার জন্য। কোন দিক নির্দেশনা তিনি তাজউদ্দিনকে দেননি। বলেছিলেন ২৭ তারিখে হরতাল ডেকেছি। বাসায় গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও। অর্থাৎ উছি চাচ্ছিলেন যে আর্মি তাকে ধরে নিয়ে যাবে আর আর্মি ২/৩ দিনে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করে ফেলবে। স্বাধীনতার ঘোষণা উনি দিয়েছেন বলে মনে হয় না। একজনকে ওয়াইরলেসের মেসেজ পাঠিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। কতটা সত্যি বলা মুশকিল। আবার শোনা যায় ইপিআরের ওয়াইরলেস ব্যবহার করেছিলেন। এটা সম্ভব না। কারণ তখন ইপিআর পাকিস্তান বাহিনী দখলে নিয়ে ফেলেছে। কাজেই তার স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে সন্দেহ আছে।