নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানির "ভাগের ভাগ" মডেল এর প্রস্তাবনা

০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ১০:১২

ভাগে কুরবানির একটা সাদামাটা প্রস্তাবনা দিচ্ছি। ভুমিকা, মূল পর্ব আর প্রস্তাবনা। এই ভাবে।

ভূমিকা:
নবী ইব্রাহীম (আঃ) গরু কুরবানি দেননি। তিনি নিজের ইচ্ছাকে কুরবানি দিয়েছেন আল্লাহর আদেশের সামনে। দুম্বা কুরবানি ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষার পর পুরস্কারস্বরূপ। ইতিহাসটা খেয়াল করলেই এটা ধরা যায়।

তো এখন আমাদের ইচ্ছা কী? — “চুরি, চামারি, ঘুষ, ভেজাল, জমি দখল”। আল্লাহর ইচ্ছা কী? — “তোমরা চুরি-চামারি করো না, ওজন কম দিও না, ভেজাল দিও না। আরেকজনের জমি দখল করো না।” দেখা যায়, যারা সারা বছর ঘুষ, চাঁদা, চুরি, ভেজাল, দখলের ইচ্ছা কুরবানি দিয়ে গেছেন, তারাই বছর শেষে গরু কুরবানির সামর্থ্য রাখেন না। অথচ সারা বছর নিজের নফসের সাথে যুদ্ধ করে, লালসার গলায় পা দিয়ে যে জয় তারা পেয়েছেন, সেটাই আসল কুরবানি — যা পশু কুরবানির মাধ্যমে একবার উদযাপন করার কথা।

মূল পর্ব:
এই বাস্তবতায়, "ভাগের ভাগ" প্রস্তাবনায় সীমিত সামর্থ্যেও এই উৎসবে তারা শরিক হতে পারেন। চার ভাই মিলে বাবা-মা'র নামে একটি শরিক কুরবানি দিতে পারেন। না হলে, কাজিনরা মিলে দাদার নামে এক শরিক কুরবানি দিতে পারেন। এমনকি চারজন প্রতিবেশী মিলে পর্যায়ক্রমে বছরে একজনের বাবা-মা/দাদা-দাদীর নামে একটি ভাগ কুরবানি দিতে পারেন।

চার ভাইয়ের একজনের ওপর কুরবানি ওয়াজিব না হলেও, বাকি তিনজন এই ভাইয়ের সাথে এক শরিক কুরবানিতে শামিল হতে পারেন, যদি তারা চারজন মিলে বাবা/মা-এর নামে একটি ভাগ কুরবানি দেন। এভাবে পার্টনার খুঁজে পাওয়া খুবই সম্ভব।

ওয়াজিব না হলেও, এক বেলা নিজেদের কুরবানির মাংস পুরো পরিবার খেতে পারলে সেটা এক ধরনের তৃপ্তি আর পারিবারিক বরকত নিয়ে আসবে।

অংশীদারিত্বের "ভাগের ভাগ" মডেল:

গরুর দাম ও মাংস:
একটি মাঝারি আকারের গরুর মোট খরচ (গরুর দাম + খাদ্য + পরিবহন + কসাই + রান্না সামগ্রীসহ) ধরা হলে ১৫০,০০০ টাকা।
সাত ভাগে ভাগ করলে প্রতিভাগে খরচ হবে: ৳১৫০,০০০ ÷ ৭ = প্রায় ৳২১,৪৩০। এই এক ভাগ যদি চারজন মিলে দেন — যেমন ভাই, কাজিন বা প্রতিবেশী — তাহলে একজনের খরচ:
২১,৪৩০ ÷ ৪ = প্রায় ৳৫,৩৫৮। এটা মাসে মাত্র ৳৫০০–৬০০ করে জমালেই সম্ভব।

কতটা মাংস পাওয়া যায়?
৳১,৫০,০০০ টাকার একটি গরুর ওজন গড়ে ৩০০ কেজি, যা থেকে সাধারণত ১৫০–১৮০ কেজি খাঁটি মাংস পাওয়া যায়। এক ভাগে পাওয়া যাবে প্রায় ২১.৪ কেজি, যা চারজনে ভাগ করলে প্রায় ৫ কেজি করে মাংস মিলবে — যা দুই-তিন বেলার জন্য যথেষ্ট।

বুঝা দরকার, মাংস তিন ভাগ করা ফরজ বা ওয়াজিব না, এটি সুন্নত — এক ভাগ আত্মীয়, এক ভাগ গরিব, এক ভাগ নিজেরা খাওয়া। পুরোটা নিজেরাও খেতে পারেন। আর এই প্রস্তাব তাদের জন্য যাদের উপর কুরবানি ঠিক ওয়াজিব হয়নি। না দিলেও চলে। এই ব্যবস্থায় আরো অনেক পরিবারেরই কুরবানির উৎসবের এই পর্বে অংশ নেয়া সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্‌। না হলে বাকি পর্ব নামাজ, বেড়ানো, সমাজের তিন ভাগের এক ভাগে অংশ নেয়াতো থাকেই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: একই বিষয়। নতুন কিছু তো নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.