নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা

নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার শরৎ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২২

শরৎ। একটি ঋতু। একটি অনুভূতি। এক যে সে অভিমানীনী। শরৎ। একটি ঋতু। আমার প্রিয়। কেবলি প্রিয় নয়, প্রিয়তম এক অধ্যায়।

শরৎ। আমার জন্মঋতু। মায়াবী রোদের ঋতু। টলোমলো দুই চোখ মেলে যেভাবে শস্যের দিকে তাকায় কৃষাণের সরলা ঝি, সেভাবেই চরাচরকে শরৎ করে আলিঙ্গন। সেভাবেই শরৎ আমাকে ভুলিয়ে তার জাদুর ঝোলায় ভরে নেয় বহু বহু বর্ষ আগে।

আমি এই শরতের দিকে কখনো যাইনি পা বাড়িয়ে। কখনোই এই শরৎ আমাকে পাঠায়নি চিঠি হলুদখামে ভরে। তবু, অজানিতেই দু’য়ে হলো মাখামাখি। দোহে হলো এমনি প্রণয়।

তীব্র তুমুল ঘাতে শরৎ আসে না কখনই। মৃদুপায়ে সে এসে চলে যায়। এমনি মৃদু ও নিঃশব্দে সে প্রকাশিত যে, তার আগমনে ডাকে না একটি পাখিও। শরৎ। যেনো সে প্রণয়ীর হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে জাত খোয়ানো এক মেয়ে। জন্মগৃহে যার আর নেই প্রবেশাধিকার। তাই নিঃশব্দে চুপিচুপি সে আসে জন্মভিটার ঘাসের পরশ নিতে। চুপিচুপি সে আসে আশৈশবের সাথী সফেদা-পেয়ারা গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে দোলনচাপা ফুলের গন্ধ নিতে। যেনো সে আসে দেওরিতে দাঁড়িয়ে আরবার দেখে যেতে বাড়ির সামনের জোড়া দিঘীর ঘাট। নিজেকে নিঃশব্দ করতে গিয়ে সে খুলে রাখে হাতের কাঁকন। খুলে রাখে কানের ঝুমকা। খুলে রাখে পায়ের মল। খুলে রাখে চাবির গোছা। শুধু প্রাণের ধুকপুক সাথে নিয়ে আসে সে পিতৃগৃহে, আসে সে জন্মভিটায়, আসে সে স্মৃতির কাছে, আসে সে নিজের কাছে ফিরে। আসে সে মৃদু পায়ে, নিঃশব্দে, বুকের ভেতর নিয়ে ঝড় উথাল-পাথাল।

শরতকে কতই-না বার আমি করতে চেয়েছি বিধৃত। কিন্তু কেবলি মনে হয়, শরৎ বুঝিবা তারাশঙ্কর-এর ঠাকুরঝি। সেই যে কবি উপন্যাসের ঠাকুরঝি। কেবল ঠাকুরঝি-ই হতে পারে শরৎ-এর উৎকৃষ্ট উদাহরন। মাথায় সোনালী ঘটিটি নিয়ে রেললাইন ধরে হেঁটে যেতে যেতে ঠাকুরঝি যেমন মিলিয়ে যায়, মিলিয়ে যেতে যেতেও স্বর্ণশীর্ষ বিন্দুর মতন যেমন ঝিকমিক করতে থাকে তার সোনালি ঘটি তেমনি এই শরৎ। আড়ম্বরহীন। অথচ চোখের মধ্যে তার কতই-না গীতের লহর! কবিয়ালের প্রাণের মধ্যে কতই-না নিবিড় তার উপস্থিতি।

খুব মনে পড়ে, আশৈশব আমার প্রিয় নীলাকাশ; আকাশে সাদা মেঘের চলা। আমার প্রিয়, চরাচরকে ভাসিয়ে দেয়া রোদ। ভাদ্রের ঘোরলাগা রোদে সবুজ ঘাসের গালিচায় অকারণে শুয়ে থেকে আমার কত যে দুপুর গেছে সেই হিসেবে কি রেখেছে শরৎ? বাড়ির পিছে বহু বছর ধরে পতিত, অকর্ষিত ক্ষেতের সবুজ ঘাসের উপর বসে বই পড়তে পড়তে, আকাশ দেখতে দেখতে আমার কেটেছে কত যে বিকেল সেই হিসেব কি রেখেছে শরৎ? নরসুন্দার পাড়কে মায়ায় ঢেকে দিয়ে জেগে উঠা রাশি রাশি কাশফুলের কোমল বনের মধ্যে লুটোপুটি করে আমার গায়ের জামা, দেহের ত্বক আর প্রাণের মধ্যে কত যে মেখেছি কাশের রেণু সেই হিসেব কি রেখেছে শরৎ? ফজরের আযানের পরপরই ঘুম থেকে উঠে আধো-অন্ধকার আধো-আলো গায়ে মেখে অন্য শিশুরা ঘুম থেকে জেগে উঠার আগেই প্রতিবেশি কন্ট্রাক্টর বাড়ির দেওরির কোণায় দাঁড়িয়ে থাকা ফুলবতী শিউলি গাছের তলায় ছড়িয়ে থাকা ফুলগুলো চুরি করে কুড়িয়ে আনার জন্য কতই-না প্রভাতে ছেড়েছি ঘর, কতই-না খেয়েছি মায়ের গালি, কতই-না সয়েছি গঞ্জনা সেই কথা কি কোনোদিন জেনেছে শরৎ?


শরৎ যে এসেছে ভাদ্রের শেষদিকেও খালি চোখে তা ধরা পড়েনি। আজো পড়ে না। শরৎ যে এসেছে তা বুঝতে হলে ছুঁয়ে দেখতে হয়। ভোর-বিহানে, ব্যাস্ত লোকের দল জাগার আগেই; খরতাপ নিয়ে সূর্য জাগার আগেই, ঘাসের উপর রাখতে হয় পা। দেখতে শুকনো মনে হলেও, জুতো খুলে খালি পায়ে ঘাসে হাঁটতে গেলেই বোঝা যায় ফিনফিনে পাতলা কুয়াশায় ভিজে আছে ঘাসের বুক।

শরৎ যে এসেছে তা বুঝতে হলে প্রভাতে ছুঁয়ে দেখতে হয় লাউয়ের কি কচুর একটা পাতা। চোখের কাছে দেখতে শুকনো মনে হলেও হাতের আঙুল দিয়ে আলতো করে পরশ বুলালেই আঙুল ভিজে আসে। পাতার উপরে পড়ে কেমন একটা ভেজা দাগ। তাই দেখে বোঝা যায়, রাত-বিরেতে নিজেকে নিঃশব্দ করে জন্মভিটায় এসেছিল অভিমানীনী। বোঝা যায়, বুকের ভেতর উথাল-পাথাল নিয়ে মৌন মুখে কেবলি নয়ন বুলিয়ে নিজভূমির সকল বস্তু ছুঁয়ে গেছে শরৎ।

শরৎ। আহা! কী তুমুল উৎসব। আমার শৈশবের শরৎ-এর কথা যতবার, যতবার আমি ভাবি, আমার বুকের ভেতর রিনিঝিনি আনন্দের কেমন একটা উষ্ণ নহর বয়ে যায়! শরৎ মানেই মা দুর্গতীনাশিনী আসবেন। আর দূর দূর এলাকার হিন্দু রমণীরা রঙীন শাড়ি পড়ে হেঁটে যাবেন আমাদের বাড়ির পাশের লাগোয়া বড় রাস্তাটা ধরে। নারীদের কোলে-কাঁখে-আঙুলে ধরা থাকবে নানান বয়সী শিশু। কপালে চন্দনের টিপ এঁকে পান খেতে খেতে বাড়ির পাশের বড় রাস্তাটা ধরে হেঁটে যাবেন নানা বয়সী দিদিমা ও দাদাদের দল। দিদিমাদের গায়ে চিকনপাড়ের কেমন ভাঁজ ভাঙা শাদাটে-নীলচে শাড়ী। দাদাদের পড়নে ধুতি। সিঁথিতে সিঁদুরের টান, কপালে টকটকে লাল টিপ পড়ে সধবারা আমাদের বাড়ির পাশের রাস্তাটা ধরে দল বেঁধে দুপুরের পরপর যখন যেতো শহরের দিকে আমার মনের মধ্যে সে যে কী ভালো লাগতো! সেই কথা কি কোনো দিন টের পেয়েছে শরৎ!

দল বেঁধে তারা সকলে যেতো কালীবাড়িতে। দূর্গাপূজায় কেবল কালিবাড়ি নয় সারা শহর জুড়ে লাগতো উৎসব। ঢাকের আওয়াজে চারিদিক থাকতো মুখরিত। আমার ভেতরে অবিরত বাজতে থাকতো কেমন রিনিঝিনি রিনিঝিনি রিনিঝিনি।

আমাদের বাড়ির একটু সামনে যে শ্মশ্মান ছিল, সেখানে ছিল এক শ্মশ্মানকালীর মন্দির। আমি তখন সবে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি কি হইনি, এমনকি সুযোগ পেলে মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে আদুল গায়েও কোমরে কেবল একটা ন্যাংকট জাতীয় হাফপ্যান্ট জড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি। সেই সময় সেই শ্মশ্মানঘাটে শ্মশ্মানকালীর মন্দিরে সান্ধ্য ধূপ দেওয়ার সময় ঢাকে যে আওয়াজ উঠতো সেই আওয়াজ আমার কানে আসলে আমাকে ধরে রাখে, বেঁধে রাখে এমন শক্তি ত্রিভুবনে নেই। কত-না দিন সন্ধ্যার আঁধার ঘন হয়ে যায়-যায় সময়ে আমার দাদি গিয়ে আমাকে ধরে এনেছে সেই শ্মশ্মানকালীর মন্দির থেকে। সেই থেকেই বোধ করি, ঢাকের শব্দটা শুনলে আমাকে ভূতে পায়; আমার কেমন চিত্তবিকল হয়; আমার কেমন মন টেকে না ঘরে। আর এই দারণ শরৎ-এ সারা শহর যখন উৎসবে মাতোয়ারা, শহরের এখানে-ওখানে যখন বসেছে হরেক রকমের মণ্ডপ তখন আমার ভেতরে কুলকুলু করে উৎসবের একটা নদী শরতেরই মতন নিঃশব্দে বইবে এ আর আশ্চর্য কী!

দুর্গাপূজার উৎসবটা ছিল আমার জন্য বিশেষ আনন্দময়। যতবারই আমি স্কুল থেকে ফেরার পথে কালিবাড়ি গিয়ে দেবীদর্শন করি না কেন দূর্গাপূজার সময় কোনো একটা বিকেল কী সন্ধ্যায় বিশেষভাবে আয়োজন করে আমার বাবা আমাকে নিয়ে বের হবেনই। রঙীন জামা গায়ে দিয়ে মা আমাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে দেবেন। আমি বাবার আঙুল ধরে থাকবো। রিকশায় উঠে বসবো। নামবো কালিবাড়ির সামনে। সেখানে গিয়ে বহুক্ষণ সময় নিয়ে দেবীকে দেখবো। আমার বাবার আঙুল ধরে এই মণ্ডপ, ওই মণ্ডপ ঘুরতে ঘুরতে শহরের সব ক’টা মণ্ডপ ঘুরবো। হয়তো রথখোলার দিকে একটা মণ্ডপ বাকি থাকবে। ফিরে আসতে গিয়ে আমার বাবা বলবে, ‘আইচ্ছা লও, একটা আর বাকি রাহনের দরকার নাই। হেইডাও তুমারে দেহাইয়া লইয়াই।’

মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতে ঘুরতে আমার দুই হাত পুতুল ও খেলনায় ভরে ওঠে। আমার বাবার পরিচিতজন, বন্ধুদের সাথে দেখা হলে তারা বিস্কুট, কলা, আপেল, কমলা, কিসমিস খেতে দেয়। সব আমি খেতে পারি না। আমার ছোট্ট দু’হাত খেলনা ও খাবারে ভরে ওঠে। আমি সব হাতে ধরেও রাখতে পারি না। খাবার ও খেলনা সামলাতে আমার বাবাকে একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ নিতে হয়।

বাবার আঙুল ধরে আমি মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরি। খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে দেখি দেবীর চোখে কাজলের টান, তার শাড়ীর ভাঁজ, তার মুখভঙ্গিমা; দেখি রাক্ষসের বুকে কেমন বিঁধে আছে দেবীর হাতের ত্রিশুল। দেখি দেবীর দশটা হাত কেমন জগতের দিকে দিকে প্রসারিত।

মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতে ঘুরতে আমাদের রাত হয়ে যায়। রাত নয়টা কি দশটা নাগাদ সব মণ্ডপ ঘুরে আমরা ধরি বাড়ির পথ। কিন্তু মন্দিরের ধূপ-ধোঁয়া, বাদ্য-বাজনা, মানুষের কলরব, দেবীর চোখের মায়া, পিঠ ছাড়িয়ে কোমর পর্যন্ত নেমে আসা দেবী মায়ের ঘন কালো কোঁকরা চুল আমাকে মায়াজালে ভুলিয়ে শরতেরই মতন জাদুর ঝোলায় ভরে নিয়ে চলে যায়। কোথায় যায়! আমি জানি না। আমি আমার ঠিকানা হারিয়ে ফেলি। আমি আর আমাকে খুঁজে পাই না। পাই না বলেই হয়তো আজো আমি অর্ধেক ‘আমি’ হয়ে আছি। আমি হয়ে আছি একটা কে যেনো। আমি যার পুরোটা জানি না।

শরৎ। আমাকে জাদুর ঝোলায় ভরে নিয়ে চলে যাওয়া এক ঋতু। শরৎ। বড় সংবেদনশীল। বড় চুপচাপ। বড্ড আলতো করে সে রাখে পায়ের পাতা। শরতকে দেখতে হলে তার নিকটে যেতে হয়। তার দিকে করতে হয় গভীর দৃকপাত। শরৎ। সে নয় শীতের মতন আগ্রাসী। সে নয় গ্রীষ্মের মতন ফুল-ফলে সজ্জিত রোদ ও ঝড়ের তীব্রতা। সে নয় বর্ষার মতন দু’কূল-প্লাবি ঘোরলাগানো কাল। সে নয় বসন্তের মতন সুতীব্র প্রকাশিত।

শরৎ। তার রাতের আকাশ কতটা মোহনীয় তা জানে চুপিচুপি বাপের ভিটায় ঘুরতে আসা জাত-খোয়ানো মেয়ে। মেঘমুক্ত আকাশে হীরকচূর্নের মতন রাতের আঁচল জুড়ে তারারা মিটিমিটি জ্বলে। লালচে-নীলচে জ্বলজ্বলে তারাদের দিকে চেয়ে হয়তো সেই জাত-খোয়ানো মেয়ে তার চোখে বইতে দেয় বুকে জমা ব্যাথার নদী। কেউ না দেখে মতন যেমন সে আসে, তেমনি কেউ না দেখে মতনই বুকের মধ্যে মণিমাণিক্যের মতন সে গোপন রাখে নিজের ব্যাথা সকল।

সেই জাত-খোয়ানো মেয়ে আর মৃদু শরৎ কি কোনো দিন ছিল সহোদরা? তারা কি ছিল সখীদ্বয়? এসবের জানি না উত্তর। শুধু জানি, শরতের আছে এক মায়াবী ঘ্রাণ। সেই মোহন ঘ্রাণ কারো কারো প্রাণে ধরা দেয়। শুধু জানি, মোহন ঘ্রাণে মুগ্ধ করে জাদুর ঝোলায় ভরে আমাকে নিয়ে গেছে শরৎ। শুধু জানি, আমি আর আমাকে চাই না ফেরৎ। আমি চাই, আমার বুকের মধ্যে শরৎ তুমি থাকো ঠাকুরঝির মাথায় সোনালি ঘটির মতন ঝকমক করতে থাকা একটা স্বর্ণশীর্ষ বিন্দু। আমি চাই, তোমাতে আমাতে একদিন দেখা হোক প্রভাতের শিশির মাখানো ঘাসের গালিচায়; শিউলি গাছের তলায় ফুল কুড়ানোর ছলে একদিন তোমাতে আমাতে হোক দৃষ্টি বিনিময়।

১৮.০৯.১৬

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

মো:সাব্বির হোসাইন বলেছেন: শরৎ এর রচনা টা ভালো হয়েছে। আরেকটু বড় হলে আরো ভালো লাগতো।


শুভকামনা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

আফরোজা সোমা বলেছেন: লেখাটা পড়া এবং মন্তব্য জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ, সাব্বির হোসাইন। আপনার জন্যেও অনেক শুভ কামনা।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: আফরোজা সোমা ,



শরৎ আপনার জন্ম ঋতু । সে কারনেই বুঝি প্রকৃতির তুমুল উৎসব !

বেশ সুন্দর লিখেছেন । ঋতু প্রসঙ্গে আমার একটি সিরিজ লেখা আছে , সেখান থেকে শরৎ অংশটুকুর লিংক দিলুম জন্ম ঋতুর শুভেচ্ছা হিসেবে ----
পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেই দিন, ফিরে আর আসবে কি কখনও ......


১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

আফরোজা সোমা বলেছেন: আহমেদ জী এস, অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে লেখাটি পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য। আর বিশেষভাবে ধন্যবাদ আপনার লেখার লিংকটি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন। কল্যাণ হোক।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই চমৎকার হয়েছে আপনার এ শরৎ বন্দনা। ভাষা সাবলীল, কিন্তু গুরুভার। সাথে উপমার বাহার, যেমন সোনালি ঘটির মতন ঝকমক করতে থাকা একটা স্বর্ণশীর্ষ বিন্দু, তখন আমার ভেতরে কুলকুলু করে উৎসবের একটা নদী শরতেরই মতন নিঃশব্দে বইবে এ আর আশ্চর্য কী ইত্যাদি। তবে, চুপিচুপি বাপের ভিটায় ঘুরতে আসা জাত-খোয়ানো মেয়ে -- এমন কথা বলেছেন, তা আমার কাছে স্পষ্ট হয়নি।
ঘন আবেগমাখা অসাধারণ একটা লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে চলে গেলাম। তবে যাবার আগে শরতের একটি গানের কথা ও লিঙ্ক দিতে চাই আপনার উদ্দেশ্যেঃ শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলী
'শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলী
ছড়িয়ে গেলো ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি।
শরৎ তোমার শিশির-ধোওয়া কুন্তলে,
বনের-পথে লুটিয়ে-পড়া অঞ্চলে
আজ প্রভাতের হৃদয় ওঠে চঞ্চলি।
শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলী।।
মানিক-গাঁথা ওই যে তোমার কঙ্কণে
ঝিলিক লাগায় তোমার শ্যামল অঙ্গনে।
কুঞ্জ-ছায়া গুঞ্জরণের সংগীতে
ওড়না ওড়ায় এ কী নাচের ভঙ্গিতে,
শিউলি-বনের বুক যে ওঠে আন্দোলি'।
শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলী।।'
--
ভিডিও চিত্রটি হয়তো আরো সুন্দর হতে পারতো, তবে গায়িকার কন্ঠটি চমতকার।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য এবং খুব যত্ন নিয়ে আপনার মতামতটি লিখে জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা। আপনার কাছে স্পষ্ট হয়নি বলে যে উদাহরণগুলো তুলে দিয়েছেন আমি নিশ্চয়ই আরেকবার পড়ে দেখবো এবং আপনার বিষয়টি-ও ভেবে দেখবো। তবে, লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারো খুব ভালো লাগলো। গানের লিংকটা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন। আপনার কল্যাণ হোক।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: উপরের মন্তব্যে- এমন কথা বলেছেন, তা আমার কাছে স্পষ্ট হয়নি -- মাঝখানে একটা শব্দ 'কেন' বাদ পড়ে গেছে, তা হয়তো না বললেও বুঝে নিতেন। লেখাটা "প্রিয়" তে নিলাম।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

স্বপ্ন ফেরারী বলেছেন: অসম্ভব প্রিয় এই শরৎ, আমার আত্মকথায় একটি ইচ্ছে প্রকাশ করেছি।
আমার মন বলে আমার মৃত্যু হবে কোন এক শরৎ এর সকালে.


#আত্মকথন

রাত… রাতের নামটা নিলে ভেতরে কোথায় যেন শীতলতা অনুভুত হয়।
রাত এভাবে কতোটা আমার গভীরে মিশে আছে টের পাই,
যখন ব্যস্ত দিনশেষে একা নিজের মাঝে ফিরে আসি
তখন আমাকে সঙ্গ দেয় কেবলই রাত…
রাতের প্রায় সবকটা রুপ আমার জানা!
রাতের যে রুপের প্রেমে আমি বিমুগ্ধ সেটা হচ্ছে গহীন অন্ধকার!
জোছনা রাত ভালো লাগা হয়তো কয়েক মহুর্তের,
কিন্তু আমাকে গভীর মায়ায় আঁকড়ে রাখে জন্মান্ধ কালো রাত।
আমার যত ব্যর্থতা অপুর্নতা অমুছনীয় পাপের সবটুকু কালীমা
তার পুরোটাই এই কালো রাতের গাঁয়ে লেপ্টে দিয়ে যখন নিজের কাছে ফিরে আসি,
তখন নিষ্পাপ অবোধ শিশুর মতো আমার অন্তিম চাওয়াটা চেয়ে নেই ঈশ্বরের কাছে।
ঈশ্বরের খুব কাছে যেতে চাই…
আমার চলে যাওয়ার দিনটা হবে কোন এক শরৎ এর ভোরের আকাশ।
আমি ধবধবে শাদা মেঘ দু'হাত দিয়ে সরিয়ে
ঝকঝকা সাতটা আকাশের সবটা নীল আমার শরীরে মেখে ঈশ্বরে কাছে চলে যাবো…

আমার মৃত্যু হবে কোন এক শরৎ এর সকাল এ…

- স্বপ্ন

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

আফরোজা সোমা বলেছেন: স্বপ্ন ফেরারী, শরৎ আপনার প্রিয় ঋতু জেনে ভালো লাগছে। আপনার ইচ্ছে পূর্ণ হোক। শরতের সুন্দর দিনেই হোক আপনার ছুটি। আমারও ভীষণ ইচ্ছে একটা খুব চমতকার ফুরফুরা রোদের দিনে ভোরবেলায় একদিন ঘুম থেকে আমি আর জাগবো না। সেই দিনটা শরৎ না হলেও আমার খুব একটা দুঃখ থাকবে না। কিন্ত, সেই দিন অবশ্যই, অতি অবশ্যই হতে হবে রোদ্রোজ্জ্বল এক রঙীন দিন। তবে, আমি খুব খুশী হবো যদি ভাদ্রের বা আশ্বিনের একটা রোদঝলমলে দিন সেটা হয়।

আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কাছে স্পষ্ট হয়নি বলে যে উদাহরণগুলো তুলে দিয়েছেন আমি নিশ্চয়ই আরেকবার পড়ে দেখবো - উদাহরণগুলো নয়, মাত্র একটা উপমাই অস্পষ্ট- চুপিচুপি বাপের ভিটায় ঘুরতে আসা জাত-খোয়ানো মেয়ে - এই কথাটা। বাকী উপমাগুলো তো খুব সুন্দর!

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

অপ্‌সরা বলেছেন: শরৎ আমারও প্রিয়!!!!!!

শরতের নীলাকাশ দেখলেই আমই গুনগুন গাই নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা.....:)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

আফরোজা সোমা বলেছেন: আহা! এই গানটা যে আমার কী প্রিয়, অপ্সরা! আমি তো হেরে গলাতেই মাঝে মাঝে জগতের কান ঝালাপলা করে দিয়ে চিৎকার করে করে গাই, 'যাবো না আজ ঘরে রে ভাই, যাবো না আজ ঘরে'।

ভালো থাকুন, অপ্সরা। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিকটা ও নামটা বদলায়ে ফেললাম, এখন থেকে আমি 'শরৎ'।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

আফরোজা সোমা বলেছেন: হাহ হাহ হা .. .

কেন! শরৎ বুঝি আপনারো খুব প্রিয় ঋতু, চাঁদগাজী?

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

স্বপ্ন ফেরারী বলেছেন: সোমা আপু, আপনার ইচ্ছে পূর্ণ হোক।
শুভকামনা রইল

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

আফরোজা সোমা বলেছেন: আহা! অনেক ধন্যবাদ, স্বপ্ন ফেরারী। সত্যি মন থেকে আমার জন্য এই আশীর্বাদ রাখবেন যেনো আমার এই ইচ্ছে পূর্ণ হয়।

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা

তোমার বুঝি হেড়ে গলা আপু!!!!!!!!!

তাইলে চাঁদগাজী ভাইয়াকে গান শুনাই দাও !

গান শুনে যেন ভাইয়ার শরৎ হবার সাধ ঘুচে যায়!!!!!!!!
আর
আমরাও বাঁচি!!!!!!! :P

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

আফরোজা সোমা বলেছেন: শুধু হেরে নয়। এমনি হেরে গলা যে, আমার অতি নিকটজন আমার গানের গলাকে মাই টিভির অনুষ্ঠানের মানের সাথে তুলনা করেছেন। অতএব বুঝতেই পারছেন কতটুকু হেরে গলা হতে পারে, অপ্সরা।

আর চাঁদগাজীর ভেতরে যদি শরৎ ঢুকেই যায় সে কি কেবল আমার হেরে গলায় থামবে! যদি মনে করেন, 'হেরে গলার গান শোনা ওষুধে' কাজ হবেই তাহলে আমার গান শোনানোর বদলে বছর দুই তিন আগের মাই-টিভির কোনো একটা অনুষ্ঠান, দেখেন, শুনিয়ে দেওয়া যায় কি-না :)

শুভ শরত।

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

শরৎ যে এসেছে তা বুঝতে হলে প্রভাতে ছুঁয়ে দেখতে হয় লাউয়ের কি কচুর একটা পাতা। চোখের কাছে দেখতে শুকনো মনে হলেও হাতের আঙুল দিয়ে আলতো করে পরশ বুলালেই আঙুল ভিজে আসে। পাতার উপরে পড়ে কেমন একটা ভেজা দাগ। তাই দেখে বোঝা যায়, রাত-বিরেতে নিজেকে নিঃশব্দ করে জন্মভিটায় এসেছিল অভিমানানী। বোঝা যায়, বুকের ভেতর উথাল-পাথাল নিয়ে মৌন মুখে কেবলি নয়ন বুলিয়ে নিজভূমির সকল বস্তু ছুঁয়ে গেছে শরৎ।

অভিমানানী, আমাকেও ছুঁয়ে গেছে! ছুঁয়ে গেছে আপনার লেখনশৈলী! শরতের পেলবতায় ভরা পেজো পেজো তুলোর মত শব্দমালা অনুভবে মন জুড়িয়ে গেল!

প্রিয়তে নিচ্ছি! শুভকামনা রইল!!!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: ভ্রমরের ডানা, লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে এবং এটি আপনি প্রিয়তে নিচ্ছেন জেনে আমারো বড্ড ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন। আপনার কল্যাণ হোক।

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"কেন! শরৎ বুঝি আপনারো খুব প্রিয় ঋতু, চাঁদগাজী? "

-না, শরৎ, বসন্ত, বর্ষা, হেমন্ত কোনটাই আমার প্রিয় ঋতু নয়; এই লেখা কোন একভাবে আমার উপর কাজ করছে; শরৎ কখন আসে আমি জানিও না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

আফরোজা সোমা বলেছেন: হাহ হাহ হা...

আপনার হৃদয়টাই তো একটা শরৎ বলে মনে হচ্ছে, চাঁদগাজী! ভালো থাকবেন।

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ফিরে আসায় অভিনন্দন। শুভেচ্ছা রইল। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত লিখবেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

আফরোজা সোমা বলেছেন: ধন্যবাদ, কাল্পনিক ভালোবাস। আশা করি, নিয়মিতই লিখবো। ভালো থাকবেন। অনেক শুভকামনা রইলো।

১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সুমন কর বলেছেন: এতো সুন্দর কিভাবে লিখলেন !!! এক কথায়, চমৎকার !!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সুমন কর। লেখাটা যে আপনার ভালো লেগেছে এ্‌ই আমার আনন্দ। আপনার অনুভূতি জানানোর জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন। অনেক শুভ কামনা।

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আহা চমৎকার

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০১

আফরোজা সোমা বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য এবং আপনার অনুভূতি আমার সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন। অনেক শুভ কামনা।

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

নেক্সাস বলেছেন: শরত বন্দনা আমাকে মুগ্ধ করেছে শরতের মত করেই।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: শরৎ-এর মতই শরৎ-বন্দনা আপনাকে মুগ্ধ করেছে জেনে আমিও প্রীত হলাম। আপনার ভালোলাগাটুকু আমাকে জানানোর জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন। অনেক শুভকানা।

১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১

প্রামানিক বলেছেন: শরত বন্দনা খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০০

আফরোজা সোমা বলেছেন: প্রামানিক, লেখাটি পড়ার জন্য এবং আপনার ভালোলাগাটুকু জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
শরৎ অন্যরকম। তবু শরৎ আমার প্রিয় নয়। আসলে প্রিয় ঋতু বসন্ত পড়তে পড়তে শরতের প্রেমে পড়া হয় নি। এখন ভাবছি মস্ত বড় ভুল হয়েছে। দিনক্ষণ দেখে পড়তে হবে।
পূজোর আমেজটা দারুণ লাগল। গেল কয়েক বছর আনন্দটা স্পর্শ করে নি।
শেষ ইচ্ছেটা কোন এক শরতে সত্য হোক।
+

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩

আফরোজা সোমা বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র,

আমার শেষ ইচ্ছেটা পূর্ণ হওয়ার আশীর্বাদ জানানোয় অশেষ কৃতজ্ঞতা।

বসন্ত তো পাগল করা ঋতু। এই ঋতুর প্রেমে না পরে উপায় কী! একেবারে আবেশে বন্দী করে এই ঋতু। তাই, ভুল হবার কিছু নেই। তবে, হ্যা খালি লোকের মুখে শুনে প্রিয় হয়ে থাকলে নিজের বোধের পরিবর্তনে তো সেই 'প্রিয়' আবার পরিবর্তন হতেই পারে। বসন্তের হাওয়া নিয়ে-ও এমনই একটা গদ্য আছে আমার। দেখি, সময় সুযোগ পেলে কখনো এখানে আপ করে দেবো।

ভালো থাকবেন। অনেক শুভকামনা।

১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শরৎ আমারও প্রিয় ঋতু। এই সময়ের প্রকৃতির রঙটাকেই আমার অদ্ভুত রকমের ভাল লাগে।
এই একটা ঋতুতেই শুধু নিজেকে তাজা তাজা মনে হয়।

শরতের আবহাওয়া রীতিমত মুগ্ধ করার মত। এই সময়ের পরিবেশটাই আসলে কেমন খুবই অদ্ভুত। মনকে ভাল করে দেয়।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: রক্তিম দিগন্ত, শরৎ আপনারও প্রিয় জেনে ভালো লাগলো। আমারো সেই ছোটোবেলা থেকেই শরৎ-এর আবহাওয়া, প্রকৃতির প্রতি সমর্থন, টান। এসময়টায় বৃষ্টির বাড়াবাড়ি নেই, শীতের কড়াকড়ি নেই, গরম-ও ততো তীব্র নয়, আকাশ স্বচ্ছ ঘন নীল, নীলের মাঝে সাদা সাদা মেঘ! আহা! কী পরিমিত একটা ঋতু! ওই সময়টাতে মনটা আমার নাচতো!

২০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর লেখনি।

৫ বস্তা লাইক আপুমনি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

আফরোজা সোমা বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য এবং মতামত জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ, বিলিয়ার রহমান। আর এতোগুলো লাইকের জন্য ধন্যবাদ তো বটে। ভালো থাকবেন।

২১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: বসন্ত নিয়ে ভেবেছি, শীত নিয়ে ভেবেছি, বর্ষা নিয়ে ভেবেছি, কিন্তু শরৎ নিয়ে কখনো এমন করে ভেবে দেখিনি। খুব সুন্দর উপস্থাপন। জন্ম ঋতুতে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম। সুন্দর পোস্ট।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

আফরোজা সোমা বলেছেন: ভাগ্যিস শরৎটা নিয়ে কিছু ভাবেননি। আপনি তো শীত, বসন্ত, বর্ষা কিছু নিয়েই তো ভাবতে বাকি রাখেননি, অনু! লেখাটি পড়ার জন্য এবং মতামত জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। অনেক শুভকামনা রইলো।

২২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কতদিন শরতে খালি পায়ে হাটিনা। ছোট বেলায় এটা খুব করতাম। শরতের ভোরে ঘাসের উপর খালি পায়ে হাটতাম। এখন আর হাটা হয়না। ভালো লাগে শরতের কাশফুল।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

আফরোজা সোমা বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, রুহী। ভালো থাকবেন। অনেক শুভকামনা।

২৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর লিখা , লিখায় মাটির গন্ধ আছে , অনেক টা কবি জসিম উদ্দিনের স্টাইল । চমৎকার কিছু রূপকের ব্যবহার ভাল লাগলো ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

আফরোজা সোমা বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য এবং আপনার মতামত জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ, লিটন। ভালো থাকবেন।

২৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার প্রিয় ঋতু !!!!
চমৎকার কথামালায় সাজিয়েছেন ।
শুভ কামনা :)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০০

আফরোজা সোমা বলেছেন: বাহ! আপনার এই প্রিয় ঋতুই তো এখন ঘিরে রেখেছে আপনাকে। লেখাটি পড়ার জন্য এবং মতামত জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ, মনিরা সুলতানা। ভালো থাকবেন। অনেক শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.