![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেদিন রাতের বেলা। মিষ্টি আলুর গাছ থেকে পাতা ছিঁড়তে গিয়েছি। নিজের অজান্তেই দেখলাম গাছকে মনে-মনে বলছি: ‘গাছ, মাফ করে দাও। রাতের বেলায় তোমার পাতা ছিঁড়তেছি’!
নিজের কাছে নিজেরই বিস্ময়! নিজের কাছে নিজেই যেনো ঘোর।
আমার মুখ দিয়ে কে কথা বলে! এতো আমি নাহ! সৈয়দ বানু।
সৈয়দ বানু। অর্গ্যানিক পৃথিবীর শেষ বাসিন্দাদের একজন। ২০ টাকার নোটের উপরে টাকা চিনতেন না। টিভির ভিতরে পুরুষ দেখলে মাথায় ঘোমটা টেনে বলতেন, ‘এয়াল্লা! ব্যাডা মানুষ! চাইয়া রইছে’!
সৈয়দ বানু হুক্কা খেতেন। পাড়ার বয়স্করাও কখনো-কখনো আসতো তার সাথে হুক্কা টানতে। হুক্কায় টান দিলে যে ঘরররর... ঘররর আওয়াজ হয়, সোমার তা ভালো লাগতো। সোমাও হুক্কায় টান দিতো। জোরে। পানির মধ্যে আওয়াজ উঠতো ঘরররর...
সৈয়দ বানুর গায়ে অনেক শক্তি। তিন অসুরের তাকৎ তার গতরে। দেখতে ছিলেন ছোটো-খাটো। ৫ ফুট এক-এর বেশি হবে না। কিন্তু শরীর ছিল আধুনিক জিম করা মেয়েদের মতন। একেবারে মেদহীন।
একটা আস্ত বড় গাছ কুড়াল দিয়ে কেটে-কেটে দিনে-দিনেই লাকড়ি বানিয়ে ফেলতে পারতেন।
পাটা ভর্তি-ভর্তি মরিচ, শুকনা হলুদ, জিরা, আদা বাঁটতেন।
খুব চিকন-চিকন রেখা তুলে ঘর লেপতেন।
শীত-গ্রীষ্ম বারমাস ফযরের আযানের আগে, ‘কালি আন্ধাইরের সময়’, ঘুম থেকে উঠতেন। নামায পড়তেন। তারপর বাঁশঝাড়ের নিচে ব্যায়াম করতেন। আন্ধার ফুঁড়ে ভোরের আলো পষ্ট হবার আগেই যেতেন রাস্তায়। হাঁটতেন। মাঝে-মাঝে দৌড়াতেন। বিশেষ করে, শীতকালে এটাই ছিল রুটিন।
সৈয়দ বানু শিমুল গাছের ‘খাল’ (চামড়া) পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেতেন। নিয়মিত।
উলটকম্বল পানিতে ভিজিয়ে রাখতেন। পরদিন সকালে খেতেন। নাতিদেরো খাওয়াতেন।
প্রতিরাতে এলুমিনিয়ামের বড় মগে পানিতে চিরতা ভেজাতেন। পরদিন সকালে এক নিশ্বাসে গিলে ফেলতেন সেই পানি। কিছু পানি সোমাকেও দিতেন।
বহেরা-হরিতকী-আমলকীর ত্রিফলা খেতেন নিয়ম করে।
খালি পেটে কাঁচা হলুদ ধুঁয়ে-ছিলে কচকচিয়ে চিবিয়ে খেতেন। সাথে খেতেন একটুখানি গুড় বা লালচিনি।
নির্ধারিত বিরতিতে চুন ভেজানো পানি সকালে খালি পেটে এক চামচ খেতেন। নাতিদেরো খাওয়াতেন। এই পানি খেলে ‘অজিন্নি মরে’। মানে কৃমি দূর হয়, বলতেন।
বছরের একটা নির্ধারিত দিনে (সম্ভবত চৈত্র সংক্রান্তি) আশপাশের বুনো ঝোঁপ-ঝাড় থেকে হরেক পদের শাক কুড়িয়ে এনে এক সাথে রেঁধে খেতেন। সোমাও সাথে কুড়াতে গিয়েছে কতবার।
কাঁচা হলুদ আর নিম পাতা প্রতি সপ্তাহে বেঁটে শরীরে মাখতেন। নাতিদেরো দিতেন। বিশেষত, শীতকালে। গায়ে মাখতে মাখতে বলতেন, ‘শীতে মানুষ অয় কাউয়া, আর কাউয়া অয় মানুষ’।
সৈয়দ বানু সক্ষম থাকা অবস্থায় কোনোদিন কলের পানিতে গোসল করেন নাই। বলতেন, ‘কলের পানি দিয়া বুর-গোসল অয়’! গোসল করতে যেতেন, বাড়ি থেকে দূরে। বজলুর দীঘিতে। বলতেন, ‘কী সুন্দর পানি! ডালুমের রসের মতন টলমল করে’!
ডালিমের রসের মতন টলটলা পানি দিয়ে গোসল করতে সোমাও সৈয়দ বানুর পিছু নিয়েছে। নারিকেল গাছের খাল দিয়ে সৈয়দ বানু শরীর মাজতেন। সোমা বলতো, ‘ওহ দাদু! আস্তে ডলা দেও! জ্বলে’।
প্রতিদিন গোসল করে এসে লম্বা সময় নিয়ে, পায়ের আঙুল থেকে নিতম্বের ভাঁজ, ডলে ডলে সর্বাঙ্গে সরিষার তেল মাখতেন। তেলমাখা শেষ হলে পিতলের সুরমাদানি থেকে দুই চোখে দিতেন সুরমা।
সপ্তাহে একদিন চুলে সাবান দিতেন। নারিকেল তেল দিয়ে চুল চুপচুপা করে রাখতেন। এমনকি তার সোজা সিঁথি বেয়ে কোনো কোনো দিন কপালেও গড়িয়ে নেমেছে তেল। সৈয়দ বানু বলতেন, ‘তেলে-পাইন্যে মানুষ’।
সৈয়দ বানু খেতে খুব ভালোবাসতেন। এক বসায় আধা কেজি চাউলের ভাত একটা মামুলি ব্যাপার। শুধু ডাল আর শাক দিয়ে ভাত খেলেও খাবারটা তার কাছে ছিল একটা রিচুয়াল।
খেতে বসার আগে পিঁড়ি পাততেন। তারপর রাখতেন এলুমিনিয়ামের বড় মগ ভরা পানি। এরপর লবণদানি। অত:পর পাতে ভাত বাড়তেন। খাবার সময় মাথায় টেনে দিতেন ঘোমটা। খাওয়ার সময় কোনোদিন পায়ে জুতা রাখতেন না। কারণ ‘জুতা পিইন্ধ্যা দানা খাইলে পাপ অয়’। সৈয়দ বানু কোনোদিন খাবার টেবিলে বসেও খেতেন না। সব সময় পিঁড়ি পেতে বসতেন।
সৈয়দ বানুর নাতি সোমাকে মাঝে মাঝে তার মা খাবার সময় ‘মুরগির বাচ্চার মতন খপ করে’ ধরত। মাঠে, নদীর পাড়ে কেন ঘুরতে গিয়েছিলো সেই অপরাধের শাস্তি হিসেবে বাঁশের ঝাড় থেকে কেটে আনা কঞ্চি দিয়ে ‘বানাইতে’ চাইতো। তখন সৈয়দ বানু রে রে করে উঠে বলতেন: ‘ও বউ! ও বউ! এইতা কী করো! খাওনের সময় তো চোরেরেও মারে না’!
কাঁঠালের মৌসুমে সৈয়দ বানুর সুখ দেখে কে! বাড়ির সব গাছের কাঁঠাল তার নখদর্পনে। একটা বিরাট সাইজের কাঁঠাল তার সকালের নাস্তা। সাথে কোনোদিন মুড়ি। কোনো দিন পানতা ভাত। কোনো দিন শুধু কাঁঠাল। ঘোলা কাঁঠালের রস বানিয়ে বড় গামলার মতন বাটি ভরে খায়। রস খাওয়া শেষে একটুখানি কাঁচা লবন কচকচিয়ে খেতে খেতে বলে, ‘লবণ খাইলেই সব হজম’।
এলাকার মানুষ তাজ্জব হয়ে যায় সৈয়দ বানুর কাঁঠাল খাওয়া দেখে। ঘোলা কাঁঠালের রস গ্লাসের ভেতর ভরে, সৈয়স বানু সোমাকেও দেয়। সোমা চুমুকে চুমুকে খায় সোনার বরণ রস! খায় জীবনের মধু!
সৈয়দ বানু ছিলেন অর্গ্যানিক পৃথিবীর শেষ বাসিন্দাদের একজন। অর্গ্যানিক পৃথিবীর মানুষেরা জগতের তাবৎ কিছুর সাথেই যোগাযোগ করতে পারতেন। পেঁপে গাছে পেঁপে না হলে সৈয়দ বানু পেঁপে গাছকে ভয় দেখানোর বন্দোবস্ত করতেন। সোমার মা’কে বলতেন, ‘ও বউ, আমি দাও নিয়া গাছটা কাটতে গেলে তুমি আমারে আটকাইবা। কইবা, থাউক! থাউক! কাডুইন্না যে। সামনের বার ফল দিবো’।
সৈয়দ বানু বিশ্বাস করতেন, গাছ মানুষের কথা বুঝতে পারে।
সৈয়দ বানু বলতেন, ‘মাডির উপ্রে দিয়া হংকার (অহংকার])মনে নিয়া হাঁটন নাই। মাটি খুব ‘রান্দা’ (বিরক্ত) অয়’।
জীবনের আক্ষেপ এবং সামনের দিনগুলোতে জীবনে প্রতিশ্রুত সুন্দর দিন আসা না-আসার দোলাচল প্রকাশ করতে সৈয়দ বানু বলতেন, ‘হ! থাকতে দিছে শীতল পাডি (পাটি), মরলে দিবো কামরাঙ্গা পাডি’!
সৈয়দ বানু কাজ করতেন ধীরে। খুব ধীরে। ‘আতাফাতা’ [তাড়াহুড়ো] করে কিছু করা তার ধাঁতে ছিল না। সৈয়দ বানু খেতেন সময় নিয়ে। গোসল করতেন লম্বা সময় ধরে। রান্নাও করতেন সময় নিয়ে। রান্না আর খাওয়ার স্বাদ যে তাড়াহুড়ো করলে পাওয়া যায় না তা বোঝাতে বলতেন, ‘হাতে [আস্তে] রান্ধে, ধীরে খায়। তে সান্নের স্বাদ পায়’। মানে আস্তে-ধীরে রেঁধে, ধীর-স্থির হয়ে খেলে তবেই সালুনের স্বাদ টের পাওয়া যায়।
সৈয়দ বানু কথায় কথায় সিলুক বলতেন। কথায় কথায় পদ বলতেন।
যৌবনের দিনগুলিতে শ্বশুরবাড়িতে থাকার সময় সেদ্ধ ধানের আধমণি ডেকচি কেমন করে এক ঝটকায় চুলা থেকে উঠিয়ে ফেলতেন সেই কাহিনী বলতেন। বিগত যৌবনের হিরন্ময় দিনগুলির স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে পদ বলতেন, ‘যেইবালা আছিলাম হীরা, ফাল দেয়া ভাংছি বড় ঘরের ফিড়া [পিড়া]’।
সৈয়দ বানু তার নাতি সোমাকে বলতেন ‘মাথা ভাঙ্গা পিয়ারী’। মানে যে কথা শোনে না। কোনো কথা মাথায় যার ঢোকে না। একই অন্যায় বারংবার যে করে। নদীতে সাঁতরাতে যায়। পুস্কুনিতে গোসল করতে যায়। মাঠে ঘুড়ি ধরতে যায়। এতসব অপরাধে তার মা তাকে ‘বানায়’।
নাতিকে ছেলের বউ পেটাতে নিলে সৈয়দ বানু পর্বতের মতন দুই হাত তুলে পুত্রবধূর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নাতিকে ছো মেরে উদ্ধার করে। তারপর, মার খাওয়ার পরেও আবারো একই কাজ করায় খিজালত (লজ্জা) দিয়ে সোমাকে বলে, ‘লইজ্জা নাই নিলইজ্জ ঠাকুর, লইজ্জা নাইরে তোর, গলায় কলুসি বাইন্ধা জলে ডুইব্যা মর’।
এসব ঘটনার বহু বছর পর, দূর ভবিষ্যতে, সৈয়দ বানুর নাতনি দেখবে ‘মহুয়ার’ পালা। পড়বে ময়মনসিংহ গীতিকা। দেখবে, সেই পালায় নদের চাঁদকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে, ‘লজ্জা নাই নির্লজ্জ ঠাকুর লজ্জা নাইরে তর, গলায় কলসী বাইন্দা জলে ডুইব্যা মর’।
না জেনেই ময়মনসিংহ গীতিকার ভেতর কাটে অর্গ্যানিক পৃথিবীর শেষ বাসিন্দাদের একজন সৈয়দ বানুর দিন। এই পৃথিবীর বাসিন্দাদের জীবনটাই যেনো মহাভারত। সেখানে পাখি কথা বলে। কবুতর বার্তা নিয়ে আসে। সেখানে শয়তান, ফেরেস্তা ও জ্বীনেরা কখনো কুকুর কখনো বিড়াল কখনো মানুষ কখনো সাধু-সন্ন্যাসী, কখনো মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে আসে। সেখানে মানুষ-পাখি-পানি-আকাশ-বাতাস-রাত-অন্ধকার-চাঁদ-তারা-জোনাকীপোকারা একে অন্যের আত্মীয়। তারা একে অপরের সহগ। তারা সবাই অবিচ্ছিন্ন পৃথিবীর বাসিন্দা।
‘চান্নি পসর রাইতে’ সৈয়দ বানু উঠানে পিঁড়ি পেতে বসে বা ঘরের পালায় হেলান দিয়ে পিড়ামুখে বসে। চান্নির দিকে চেয়ে থাকে। নাতিদের ডেকে বলেন, ‘দেখ! চান্দের মইধ্যে বইয়া বুড়ি কিমুন সুতা কাটতাছে’! কোনো দিন হাতের বিসুইন দিয়ে বাতাস করতে করতে নাতিদের ডেকে চাঁদের চারপাশ ঘিরে তৈরি হওয়া রংধনুর মতন বলয়ের দিকে আঙুল তাক করে বলেন, ‘দেখ! চন্দ্রসভা বইছে! আমাত্যদের লইয়া চান্নি সভা করতো বইছে’।
ভাত খেতে গিয়ে নাতিদের গলায় কাটা লাগলে সৈয়দ বানু বলে, ‘বিলাইয়ের পা-ও ধর’! কোনো কোনো দিন নিজেই নাতিদের গলায় আলতো করে হাত বুলাতে বুলাতে মন্ত্রের মতন করে জপে: ‘বিলাইয়ের পাও ধরি। বিলাইয়ের পাও ধরি। বিলাইয়ের পাও ধরি’। এই মন্ত্রেই কাজ হয়। বেড়ালের অলৌকিক কেরামতিতে গলার কাঁটা চলে যায়।
সৈয়দ বানুকে গীত গাইতে বললে, বেশির ভাগ সময়ে একটা গীতই গাইতো: ‘জালো (জেলে) ব্যাডার মুখটা যেমন আইষ্টা বরন লাগে’...
সৈয়দ বানু কখনই রাতের বেলায় গাছের পাতা ছিঁড়তেন না। মরিচ ছিঁড়তে দিতেন না। কেউ ছিঁড়তে গেলে বলতেন, ‘রাইতের বেলা মায়ের কুলেত্থে ঝি-ফুত নেওন পাপ’। (মায়ের কোল থেকে ছেলে-মেয়ে নেয়া অন্যায়)। আর খুব দরকারে কদাচিৎ রাতের বেলায় গাছ থেকে পাতা বা মরিচ ছিঁড়তে হলে, গাছের গাছে সশব্দে মাফ চেয়ে বলতেন, ‘ও গাছ, মাফ কইর্যা দে। রাইতের বেলায় মরিচ ছিঁড়তাসি’।
টবগুলো অযত্নেই ছিল। মহামারীর অবরুদ্ধ দিনগুলোতে বারান্দায় বসে থাকতে থাকতে সেগুলোর দিকে নজর গিয়েছে। রোজ সকালে পানি দেয়া হচ্ছে। পানি পেয়ে গাছ বাড়ছে। ফুল ফুটছে। তাই দেখে সকালের সাথে বিকেলেও পানি দেয়া শুরু। ভেজা মাটির চেহারা মায়াবতী শ্যামল মেয়ের মতন। এমন মাটি দেখলেই মানুষ নোঙর করতে চায়।
এই মাটি দেখেই হয়তো, রান্না ঘরের তাকে অযত্নে বেড়ে উঠা মিষ্টি আলু ও আদার চারা টপে রুইয়ে দেয়া। সেগুলো মাথা তুলছে দেখে, সবজি কাটার সময় আলাদা জমিয়ে রাখা হয় করলা, মিষ্টি কুমড়ার বিচি। বরবটি রোদে শুকিয়ে তার থেকে বীজ বের করা হয়।
এসব বীজ মাটিতে বপন করতে গিয়ে যেনো সায়েন্স ফিকশান ঘটে যায়। টাইম মেশিন সোমাকে নিয়ে যায় ৩০ বছর পেছনে। সেখানে সোমার হাতে ধরে রাখেন সৈয়দ বানু। তার কচি হাতের আঙুলের ফাঁকে লাউ কি কুমড়ার বিচী। সৈয়দ বানুর হাত তাকে শেখায় কতখানি গভীরে পুঁততে হয় বীজ!
এইসব ব্যাপার-স্যাপার ঘটতে থাকে লকডাউন জুড়ে। আমি ও সোমা টারমিনেটর সিনেমার রোবটের গলে যাওয়া শরীরের মতন থেকে থেকে ছড়িয়ে পড়ে নিজের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েও আবার এক হতে থাকি।
মিষ্টি আলুর লতায় ঝাকড়া হয়ে পাতা এসেছে। রাতের বেলায় রান্ধতে গিয়ে মনে হয়, আলুর কয়টা পাতা নিয়ে আসি।
হায়! কে জানতো! পাতার মধ্যে গোপন আছে টাইম মেশিন! আলোকবর্ষের দূরত্ব ঘুচিয়ে অবরুদ্ধ বারান্দায় একাকার হয়ে যায় সোমা ও সৈয়দ বানুর সংসার। পাতা ছিঁড়তে গিয়ে লীন হয়ে যায় দেহ ও বৈদেহ!
৩০ মে, ২০২০
২| ৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ডালিমের রস কখনও টলটলা পানির মতো হয় না।
৩| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৭
আমি সাজিদ বলেছেন: আমি আরও অনেকবার এই লেখাটা পড়তে চাইবো। আমাদের এই সৈয়দ বানু ছিলেন। করোনাকাল শুরুর সময় ছেড়ে চলে গেছেন।
৪| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগের দিনের মায়েরা সবাই সৈয়দ বানু। সহজ সরল সব কিছু তাদের।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: হায়! কে জানতো! পাতার মধ্যে গোপন আছে টাইম মেশিন! আলোকবর্ষের দূরত্ব ঘুচিয়ে অবরুদ্ধ
বারান্দায় একাকার হয়ে যায় সোমা ও সৈয়দ বানুর সংসার। পাতা ছিঁড়তে গিয়ে লীন হয়ে যায় দেহ ও বৈদেহ!
.............................................................................................................................
লকডাউনে কল্পকথা ? হা হা হা