নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন অতিতকে জানি, নিজেকে চিনি।

আ.ন.ম. আফজাল হোসেন

আমি বাংলার আমি আমার

আ.ন.ম. আফজাল হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দরজায় পা রাখলে যে ছুটে আসতো, সেই বুড়ি আজ আর নেই

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭



আমাদের বুড়ি (আমার মেয়ে জুথির খেলার সাথি একটি কুকুর) গত দুদিন ধরে অসুস্থ্যতার পর আজ বরিবার সকাল ৯: ২৮ মি: মারা গেল। ২০০৯ সালে মার্চের দিকে আমার মা আর আমার মেয়ে জুথি একে বাড়িতে আনেন। কে যেন পিঠে আঘাৎ করেছিল। পিছনের দুটি পা চলতো না। উত্তম চিকিৎসা আর সেবা-যত্নের পর সে স্বাভাবিক হয়েছিল তখন তার বসয় ছিল ৬ মাসের মত। দুধ ভাত, মাছ মাংশ ছাড়া কোন দিন সে ভাত খায় নি। কাল রাতে ওর জন্যই শুধু মাংশ রান্না করেছিল ওর মা। অসুস্থ্য তবুও দুটুকরা খেয়ে ছিল। মিষ্টি ছিল তার প্রিয় খাবার। কোন দিন মাছ মাংশ না থাকলে ওকে চিনি গুড় দিয়ে ভাত দিতে হতো। এতো ভালো ভক্তছিল আমাদের আমাদের সব আত্মীয় স্বেজনকে সে চিনতো জানতো। জুথির নানী বা দাদী আসলে ছো্ট্ট বাচ্চাদের মত কাপড় টেনে ধরতো পায়ে সালাম করতো। কত দায়ীত্ব পালন করতো শুনলে অবাক হবেন। সে ছিল আমাদের পরিবারের এক বিশ্বস্ত বন্ধু। আজ আর পারছিনা তার গল্প গুলো আর একদিন শুনাবো। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছি। দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্তের মাটি করেন। আমিন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

আ.ন.ম. আফজাল হোসেন বলেছেন: আমার মেয়ে জুথি যাবার সময় যখন দেখছে ওকে বিদায় জানানোর জন্য ওর বুড়ি আসছেনা তখন জুথির কান্নায় আমার আকাশ ভারি হয়ে আসছিল।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

আফজাল বাঙ্গাল বলেছেন: আমার মেঝ ভােই মাহবুব হোসেন এর শোক বার্তা।
<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<
অনেক দিনেৱ পৱিচিত, দুঃসাহসী ও অতন্দ্ৰ প্ৰহৱীৱ চিৱ বিদায়েৱ খবৱ শুনে সবায় ব্যথিত!আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতেৱ মাটি বানায়।সেই মাটিৱ উপৱ যেন আল্লাহ আমাদেৱ বাড়ি বানিয়ে দেন।আমি যতটুকু জানি মহাপ্ৰভুৱ কাছে মনিব বা পৱিবাৱেৱ কাৱো ব্যাপাৱে তাৱ কোন অভিযোগ কৱাৱ কথা নয়।
Like · Reply · September 18 at 12:36pm

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: লেখাটি খুবই সুন্দর, ভাল হত যদি বিষয়বস্তু কুকুর না হয়ে অন্য কিছু হত। আমাদের ধর্মমতে বাসগৃহে কুকুর পালনের বেলায় কিছু বিধিনিষেধ আছে, যেটা বিড়ালের বেলায় নাই। কুকুর যে ঘরে থাকে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা ঢুকতে পারে না, একথা সবকয়টি সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২১

আফজাল বাঙ্গাল বলেছেন: আজিব দুনিয়ার মানুষ :
সে নিয়ম গুলো পরিপুর্ণ ভাবে পালন করে এই জীবটিকে রাখা হয়েছিল। আর এটা কোন গল্প নয় সত্যি।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পোষা প্রাণীদের মরে যাওয়া কোন আত্মীয় মারা যাওয়ার মতোই শোকাবহ হয়ে থাকে অনেক সময়, আমি সেটার ভুক্তভোগী। বিশেষ করে বাচ্চারা এর শোক সহজে কাটিয়ে উঠতে পারেনা।

আজিব দুনিয়ার মানুষ এর আজিব উপদেশে মর্মাহত হলাম আমি।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: আমার কথায় কেউ মর্মাহত হলে আমি সেজন্য দুঃখিত। আসলে এগুলো আমার কথা না। সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে মহানবী (সাঃ) আমাদের সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন জীবন-যাপনের পথ দেখিয়ে গেছেন। এগুলো ওনার কথা।

আমি আর একটা কথা বলতে চাই, ব্লগে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় এমন লেখা এবং বাস্তব জীবনে ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন পোস্ট বেশি আসে। মানুষ বর্তমানে যে ধরনের জিবন যাপন করছে, ব্লগ তারই বহিঃপ্রকাশ।

আপনি যখন আপনার মেয়েকে বা বোনকে হিজাববিহীন অবস্থায় বাইরে ছেড়ে দেন এবং বলেন সকল বিধিনিষেধ মেনেই তাকে বাইরের দুনিয়ায় পাঠান হয়েছে, তখন কিছুই বলার থাকে না। আর আপনি কিভাবে আশা করেন সে ইভটিজিং, রেপ এর শিকার হবে না! অথবা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে না?

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

আ.ন.ম. আফজাল হোসেন বলেছেন: ভাই ”আজিব দুনিয়ার মানুষ” আপনাকেই বলছি। আপনি আমাকে আল্লাহ ও তার রাসুল সাঃ এর কথা স্মরণ করে দিয়েছেন বলে আল্লাহ আপনার উপর খুশি হোক। কিন্তু আমার লিখায় কি কোন ভাবে ইসলামরে বিরুদ্ধে কিছু পেলেন। আমি এই লেখায় আসহাবে কাহাফের কুরুরের কথা উল্লেখ করেছিলাম সেখানেই আপনার বুঝা উচিৎ ছিল আমারও ইসলাম বিষয়ে শরিআ মত চলার নুনতম জ্ঞান আছে। আমি এই বলেছি এরা বেহেশতের মাটি হবে। সে ছিল আমদের পরিবারের প্রহরী। এখন সুরা কাহাফের এই আয়াতটি তুলে ধরলাম নিজে মিলে নিন। তারপর মন্তব্য করুন। আপনাদের মত অতি জ্ঞানী মুসলমানদের জন্য সারা দুনিয়াতে ইসলাম শান্তির ধর্ম না হয়ে অশান্তি সৃষ্টিকারী ধর্মে পরিচিত হচ্ছে। আগে পড়ুন জ্ঞান অর্জণ করুন। তারপর অন্যকে উপদেশ দিবেন। কোরআনকে আল্লাহ পাক প্রথম যে আয়াত নাজিল করলেন সেখানে পড়ার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়নি উপদেশ দাও তোমার প্রভুর নামে...।।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০১

আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: এখানে আমি কিছু হাদিস রেফারেন্স হিসেবে দিচ্ছিঃ

ইয়াহইয়া ইবন সুলাইমান (রহঃ) সালিম (রাঃ) তাঁর পিতার নিকট হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাবী (সাঃ) -কে (সাক্ষাতে) ওয়াদা দিয়েছিলেন। (কিন্তু তিনি সময় মত আসেন নি। নাবী (সাঃ) -এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি বললেন, আমরা ঐ ঘরে প্রবেশ করি না, যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ সৃষ্টির সূচনা হাদিস নাম্বারঃ ৩০০০)

এই হাদিসটি খুবই কমন, ব্যাতিক্রম দুটি হাদিস হলঃ

মুসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি কুকুর রাখবে প্রতিদিন তার আমল নামা তাতে এক ক্বীরাত করে সাওয়াব কমতে থাকবে। তবে কৃষি খামার অথবা পশুর পাল রক্ষার কাজে নিয়োজিত শিকারী কুকুর এর ব্যতীক্রম। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ সৃষ্টির সূচনা হাদিস নাম্বারঃ ৩০৯০)

মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ইবন উমর (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেন তিনি বলতেনঃ যে ব্যাক্তি এমন কুকুর পালন করে যেটি পশু রক্ষার জন্যও নয় কিংবা শিকারের জন্যও নয়। তার আমল থেকে প্রত্যহ দুই কীরাত পরিমাণ হ্রাস পাবে। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ যবাহ করা, শিকার করা হাদিস নাম্বারঃ ৫০৮৫)।

আসহাবে কাহাফের ঘটনা একটি বিশেষ ঘটনা। বর্তমানের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনাকে টেনে আনা যুক্তিযুক্ত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.