![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি রপ্তানীমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠান--- গ্রুপ অব কোম্পানীজ/ইন্ডাস্ট্রীজ এর হিসাব বিভাগের প্রধান নিরীক্ষক(চার্টার্ড একাউন্টান্ট) হিসেবে চাকুরী করি। অর্থনৈতিক বিষয়......পড়তে ভালোবাসি, বিভিন্ন পত্রিকায় কিছু কিছু লিখতেও চেস্টা করি।সামহোয়্যারইনব্লগের পাঠক ছিলাম । পাঠক হিসেবে মনে হলো-আমিও কিছু লিখতে পারবো-অন্তত আমার পেশাভিত্তিক অভিজ্ঞতা নিয়ে। সেই ইচ্ছানিয়েই সামহোয়্যারইন এ রেজিঃ করেছি। নিয়মিত নাহলেও মাঝে মাঝে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু লিখতে চেস্টা করবো।
দুর্নীতি নিয়ে ইদানীং আমাদের আলাপ-আলোচনা লেখালেখির আর অন্ত নেই। বিগত কয়েকবছর যাবৎ আমাদের দেশের দুর্র্নীতি নিয়ে যত সভা-সমিতি আর পত্র-পত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় লেখালেখি হয়েছে তার ফিরিস্তি বাড়িয়ে লাভ নেই। এ নিয়ে বহু মামলা-মোকদ্দমা, জেল-জরিমানাও হয়েছে।
আমাদের দেশের দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো প্রধানত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী মহলে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনক্রম আমাদের দেশে অনেকগুলো- বিশটি। সর্বনিম্ন বেতন আর সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্যও বিরাট রকমের-যেমনঃ একজন সচিবের বেতন ৪৫৫০০ টাকা+বাড়ী ভাড়া+চিকিৎসা+উৎসব ভাতাঃ ইত্যাদি আর সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে মাত্র ২৫০০ টাকাঃ বাড়ী ভাড়া ইত্যাদি এদেরকেও দেয়া হয়।
এত পার্থক্য বোধকরি কোন সভ্যদেশে নেই। এমনকি স্বল্প উন্নত দেশেও নেই। বিভিন্ন দেশে বেতনক্রম (পে-স্কেল) ৭ কিংবা ৮টি মাত্র। আমার মনে হয় আমাদের দেশেও তাই করা উচিত। এক নম্বর স্কেল আর সর্বনিম্ন বেতন এর মধ্যে পার্থক্য কমিয়ে আনা সমীচীন বলে আমি মনে করি। কোন সচিব যদি মূল বেতন ৫০০০০ টাকাও পান- [তাদের কিন্তু অন্যান্য সুযোগ আছে সেগুলো উল্লেখ করছি না] তাহলে একজন সর্বনিম্ন বেতনধারী এবং বেতন অন্তত আট হাজার টাকা/দশ হাজার টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি।
সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে দুর্নীতিরোধে তার আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বা অন্যান্য কিছু সুযোগ দেয়াও সমীচীন। যেমন-কমমূল্যে রেশন ইত্যাদি। এই তো গেল সরকারি কর্মচারিদের কথা।
কিন্তু রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত তারা কি দরিদ্র তারা কেন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
সেখানে একটাই কারণ লোভ-লালসা। মন্ত্রী, সাংসদ ও রাজনৈতিক নেতারা দেশ সেবার জন্য এসব করে থাকেন। কিন্তু প্রকাশ্যে তারা সেই কথাই বলেন, কিন্তু তারা কেন দুর্নীতির মধ্যে পড়ে যান। আর ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে দুর্নীতি কেন? তারা কি দরিদ্র? মোটেই না। দুর্নীতির কারণ হচ্ছে- লোভ-লালসা ও নীতিহীনতা। মজুদদারী ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। আসলে দুর্নীতির কারণ লোভ-লালসা। নৈতিক চরিত্র হারিয়েছে দুর্নীতিবাজ মানুষ।
দুর্নীতিবাজদের শোষণ আর কত দিন চলবে। আসলে এ যুগের মানুষ যেন মানবিক ধর্ম ভুলে গেছে। একজন লোকের একটি পরিবারে কত টাকা, কত অথর্, কত বাড়ি, দালান-কোঠা, গাড়ি প্রয়োজন। যে খেতে পায় না সে চুরি করে ক্ষুধায়- কিন্তু আমাদের দেশের অবস্থা এমন কেন? যার আছে অনেক- সে আরো অনেক অনেক চায়। মানুষের লালশা লোভের অন্ত নেই কেন?
©somewhere in net ltd.