![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।
তালহা-জঙ্গে জামালের যুদ্বের অগ্নি প্রজ্বলনকারী ১ম ব্যাক্তি
ইতিহাসবিদগন এব্যাপারে একমত যে,মারোয়ান ইবনে হাকাম তালহাকে খুন করেন।বিস্তারিত তথ্যে জানা যায় যে,তালহা যখন স্বীয় বাহিনীকে পলায়নরত আর নিজেকে মরনের দরজায় দেখতে পেলেন,তখন পলায়নের পথ বেছে নিলেন।এসময় মারোয়ানের চোখ তার উপর পড়লো এবং তার মনে পড়লো যে ,তিনি ৩য় খলিফা ওসমান হত্যার মুল হোতাদের মধ্যে ১জন ছিলেন।একারনে ১টি তীর নিক্ষেপের মাধ্যমে মারোয়ান তালহাকে খুন করেন।।...........
.......।
তালহার কাটা রগ থেকে যখন রক্ত বের হচ্ছিল তখন তিনি নিজেই বলছিলেন,"আমার মতো কোন নেতার রক্তই এভাবে বৃথা যায়নি"।একথা বলার সঙ্গেই তার প্রানবায়ূ বের হয়ে গেল।
যুবাইর-জঙ্গে জামালের যুদ্বের অগ্নি প্রজ্বলনকারী ২য় ব্যাক্তি
জঙ্গে জামালের যুস্বে যুবাইর যখন অনুভব করলেন,তখন মদীনায় পালিয়ে যাবার সিদ্বান্ত গ্রহন করলেন।তা-ও আবার আহনাফ ইবনে কায়েসের গোত্রের মাঝ দিয়ে-যারা ইমাম আলী(আঃ)এর অনুকুলে যুদ্বে অংশগ্রহন করা থেকে বিরত ছিলেন ।উক্ত গোত্রের প্রধান যুবাইরের কাপুরুষোচিত কাজের জন্য ভীষন রাগান্বিত হলেন।কারন মানবিক মৌিলি. নীতির বিরুদ্বে গিয়ে তিনি নিজের স্বারথের পথে বলি দিয়ে এখন নিজেই রনক্ষেত্র থেকে পলায়ন করতে চাইছিলেন।
'আমর ইবনে জারমুয নামক আহনাফের জনৈক সহচর যুবাইরের নিকট থেকে এত রক্তপাত ঘোতানোর প্রতিশোধ গ্রহনের সিদ্বান্ত নিলো।মাঝপথে যুবাইর যখন নামাজে দাড়ালেন,তখন সে পিছন থেকে তার উপর আক্রমন করলো এবং তাকে হত্যা করলো।আর তার ঘোড়া,আংটি ও হাতিয়ার জব্দ করলো।আর তার সাথে থাকা যুবকটিকে ছেড়ে দিল।যুবকটি যুবাইরকে ওয়াদিউস সাব্বা' নামক স্থানে সমাধিস্থ করলো( সুত্রঃআল-জামাল,পৃঃ২০৪;তারিখে ইবনে কাছির,৩য় খন্ড,পৃঃ ২৪৩-২৪৪)।
'আমর ইবনে জারমুয আহনাফের কাছে ফিরে এলো এবং তাকে যুবাইরের পরিনতি সম্পরকে অবহিত করলো।তিনি বললেন,"জানি না তুমি পুন্যের কাজ করেছ নাকি মন্দ কাজ করেছ"।
অতঃপর উভয়েই ইমাম আলী(আঃ)এর কাছে উপস্থিত হলেন।ইমামের চোখ যুবাইরের তলোয়ারের উপর পড়লে তিনি বললেনঃ"এ তলোয়ার রাসুলের(সাঃ) চেহারা থেকে একাধিক বার কষ্টের ধুলি মুছে দিয়েছে"।অতপর সেটিকে তিনি হযরত আয়েশার কাছে পাঠিয়ে দিলেন(তারিখে ত্বাবারী,৩য় খন্ড,পৃঃ৫৪০;শরহে নাহজুল বালাগ্বাহঃইবনে আবিল হাদিদ,১ম খন্ড,পৃঃ২৩৫)।
ইমাম আলী(আঃ) যুবাইরের উদ্দেশ্যে বলেনঃ"আপনি দীরঘদিন রাসুলের(সাঃ) সাহাবী ছিলেন।আর তাঁর সাথে আত্নীয়তার সম্পরকযুক্ত ছিলেন।কিন্তু শয়তান আপনার মাথার ওপর কতৃ্ত্ব প্রতিষ্টা করে।ফলে আজ আপনার এই পরিনতি"(আল-জামাল,পৃঃ২০৯)।
২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০১
নিষ্কর্মা বলেছেন: তালহা এবং যুবাইর কে? তারা কেন আলীর বিরুদ্ধে গেলেন এবং কেন মুসলমান হয়ে মুসলমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করলেন? এটা কি পারিবারিক কোন গভীর দ্বন্দ্বের কারনে যে প্রিয়তমা স্ত্রী এবং কন্যার ভেতরে কে বংশের পতাকা তুলে ধরবেন সেই দ্বন্দ্ব?
রাসুলের কনিষ্ঠা স্ত্রী কখনোই প্রথম পক্ষের ঘরে জন্ম নেওয়া কন্যাকে পছন্দ করতেন না। যেহেতু কন্যার মৃত্যুর অনেক পরে এই স্ত্রী মৃত্যুবরন করেন, সেহেতু তিনি নিজেকে কন্যার চেয়েও রাসুলের কাছে অধিক প্রিয়তম বলে প্রতিষ্ঠা করে যেতে পেরেছেন। কন্যা বেঁচে থাকলে হয়তো তা সম্ভবপর হত না। এমন কি সেই কন্যার জামাই যখন খলিফা মনোনীত হতে যাচ্ছেন, সেই সময়ে ভাতৃঘাতি এক যুদ্ধের সূচনা করেন তিনি।
কন্যার জীবিত কালেও প্রিয় কন্যার প্রতি এই স্ত্রীর আচরন অনেক সময়েই তার স্বামীকে কষ্ট দিয়েছে, যার অনেক কিছুই অতীত থেকেই গোপন করা হয়ছে। যে কারনে বিস্তারিত কিছুই জানা যায় না।
ইসলাম ধর্মের প্রথম পরিবারের আভ্যন্তরীন পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারনে এই যুদ্ধ হয়েছিল কি, তা জানার জন্য উদ্গ্রীব থাকলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আউজুবিল্লাহি মিনাশ শ্বায়তোয়ানির রাজিম.....!!!
আল্লাহ আমাদের সকলকে বিতাড়িত শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্ত থাকার তোফিক দান করুন।