নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাহাজুল বালাগাহ থেকে,ইমাম আলীর(আঃ)প্রার্থনা মঞ্জুর হওয়ার শর্তাবলী

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০



তাঁর করুণার ভান্ডারসমূহ থেকে এমন কিছু চাও যা তিনি ব্যতীত অন্য কেউ দিতে পারবেন না। যেমন-দীর্ঘায়ূ, সুস্বাস্থ্য ও রিজিক বৃদ্ধি। তিনি তাঁর ভাণ্ডারের চাবিসমূহ তোমার হাতে দেবেন, আর সে চাবি হল প্রার্থনা। সুতরাং যখনই তুমি ইচ্ছা করবে প্রার্থনার দ্বারা প্রভুর রহমতের দরজা খুলতে পারবে এবং এর ফলে রহমতের বারিধারা তোমার উপর বর্ষিত হবে।

তোমার প্রার্থনা মঞ্জুর হতে বিলম্ব হলে কখনো হতাশ হয়ো না। কেননা তোমার নিয়াতের ভিত্তিতেই প্রার্থনা মঞ্জুরী হয়ে থাকে। কখনো কখনো যাচনাকারীকে অধিক পুরস্কার ও পূর্ণরূপে দানের উদ্দেশ্যেই প্রার্থনা বিলম্বে মঞ্জুর হয়ে থাকে। আবার কখনো তুমি হয়ত কিছু যাচনা করেছো কিন্তু তা তোমাকে দেয়া হয় নি।

কেননা, তুমি দেখবে অতিশীঘ্রই অথবা নির্ধারিত সময়ে হয় তোমাকে যাচনাকৃত জিনিসটি অপেক্ষা উত্তম কিছু দেয়া হয়েছে অথবা তোমাকে যাচনাকৃত জিনিসটি অপেক্ষা উত্তম কিছু দেয়ার কারণে তোমার প্রার্থনা কবুল হয় নি। কেননা, তোমার চাওয়া জিনিস সমূহ যদি দেওয়া হতো তাহলে হয়তবা তোমার ধর্মীয় জীবনে পতন নেমে আসতো। অতএব প্রভুর কাছে এমন কিছু চাইতে হবে যার সৌন্দর্য তোমার জন্য স্থায়ী হবে এবং তোমার থেকে দুঃখ-কষ্ট দূর করবে। সুতরাং সহায়-সম্পদ তোমার জন্য স্থায়ী নয় আর তুমিও এই দুনিয়ার সহায়-সম্পদের জন্য টিকে থাকবে না।

মৃত্যুকে স্মরণ করার গুরুত্ব

হে আমার সন্তান! মনে রেখো, পরকালের জন্য তোমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে-দুনিয়ার জন্য নয়। তোমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে এ দুনিয়া থেকে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে; এখানে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য নয়। [তোমাকে পৃথিবীতে অবস্থান দেওয়া হয়েছে] মৃত্যুর জন্য, অনন্তকাল দুনিয়াতে বেঁচে থাকার জন্য নয়। তাই যেকোন মুহুর্তে তুমি দুনিয়া থেকে প্রত্যাবর্তিত হতে পারো এবং পরকালে যেয়ে উপস্থিত হবে। [এটা প্রস্তুতি নেয়ার ঘর] এবং পরকালের দিকে যাত্রার পথ। তোমাকে মৃত্যু দ্বারা পাকড়াও করা হবে এবং এ থেকে পালিয়ে নিস্তার পাবার কোন উপায় নেই। কারণ যে কাউকে পরাভুত করতে মৃত্যু ক্ষমতাবান।

সুতরাং মৃত্যু থেকে সর্বদা সতর্ক থাক! এজন্য যে পাপাচারে লিপ্ত অথবা তওবা করার অপেক্ষায় থাকাকালে মৃত্যু যেন তোমাকে গ্রাস না করে। অতপর তোমাকে মৃত্যু সে সুযোগ না দিয়ে তোমার ও তওবার মাঝে চিরদিনের জন্য ব্যবধান রেখে যাবে। এমনটি হলে তুমি নিজকেই ধ্বংস করবে।

পুত্র আমার! মৃত্যুকে বেশি বেশী স্মরণ করো এবং যেদিকে তুমি অগ্রসর হচ্ছো সে সম্পর্কে সর্বদা চিন্তা কর। আরও চিন্তা কর মৃত্যু আসার পর হঠাৎ তোমাকে কোন্‌ স্থানে চলে যেতে হবে সে সম্পর্কে। মৃত্যুর আগমুহুর্ত পর্যন্ত এভাবে তুমি সমস্ত দিক থেকে প্রস্তুত থাক। এভাবে তোমার শক্তি বৃদ্ধি কর এবং সাহসীকতার সাথে অবস্থান কর তাহলে মৃত্যুর হঠাৎ আগমনে তুমি পরাজিত হবে না। সাবধান, দুনিয়াদার লোকদের দুনিয়ার প্রতি চরম আসক্তি এবং পৃথিবীর প্রতি তাদের লোভাতুর আগ্রাসন তোমাকে যেন প্রতারিত না করে। কেননা, এসকল বিষয় সম্পর্কে আল্লাহ্‌ তোমাকে অবগত করে দিয়েছেন। আর স্বয়ং দুনিয়াও তার অবস্থা সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করেছে এবং নিজের কলুষিত রূপ হতে তোমার কাছে আবরণ উম্মোচিত করেছে।

দুনিয়াদার লোকদের চেহারা

নিশ্চয়ই, দুনিয়ার লোকেরা হিংস্র কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করতে করতে শিকারীর পিছে ছুটে বেড়ায়। কোন কোনটা অন্যদের উপর আক্রমণ করে; এদের শক্তিশালীরা দুর্বলকে খেয়ে ফেলে এবং বড়গুলো ছোটগুলোকে পদদলিত করে। এরা এমন এক উটের পালের ন্যায় যাদের কতেক পা বাধাঁ অবস্থায়, আর কতেক ফাঁকা বিশাল মাঠে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, এরা পথ হারিয়ে অজানা পথে ছুটে চলেছে। তারা দূর্যোগপূর্ণ প্রান্তরে এবং বালুময় চারণভূমিতে যেখানে পথচলার গতি একবারে ধীর হয়ে আসে সেখানে আটকা পড়েছে। তাদের চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়া অথবা বাধা দেয়ার মতো কোন রাখাল নেই।

এ দুনিয়া তাদেরকে অন্ধ করে রেখেছে এবং হেদায়েতের রশ্মি থেকে তাদের চোখ ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। সে জন্য তারা বিভ্রান্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছে এবং দুনিয়ার আনন্দে ডুবে আছে। তারা দুনিয়াকে তাদের খোদা মনে করে আর দুনিয়া তাদের সাথে খেলা করছে; তারাও দুনিয়ার সাথে খেলায় মগ্ন হয়ে আছে। তারা পরকালকে ভুলেগেছে। সামান্য সুযোগ দাও, অন্ধকারাচ্ছন্নতা ক্রমশ দূরীভূত হয়ে যাচ্ছে। এখন এটা এরূপ যেন ভ্রমণকারীরা নিজ গৃহে এসে পৌছে যাবে আর যারা দ্রুতগামী হবে কাফেলায় পৌছাতে পারবে। হে বৎস, জেনে রাখো, যে রাত ও দিনে নিজের বাহনকে প্রস্তুত রেখেছে সে সার্বক্ষণিকভাবে পথ অতিক্রম করছে যদিও সে নিজেকে স্থির ভাবে এবং সে যদি নিজস্থানে দাঁড়িয়ে ও আরামেও থাকে (তবু সে দূরত্ব অতিক্রম করে চলছে)।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: খুব ভালো লাগলো কথাগুলো।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

২| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৪

হাসান বৈদ্য বলেছেন: ভালো লাগলো

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৫

হাসান বৈদ্য বলেছেন: ভালো লাগলো

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ.. সুবহানাল্লাহ..

শোকরিয়া আবার পাঠের স্বাদ আস্বাদনের উছিলা হবার জন্য।

যত বেশি অধ্যয়ন করা যায়, ততই কল্যান। আহা সকলে যদি বুঝতো।

ইয়া আলী রহম ওয়ালী
ইয়া আলী ইয়ারপে কোরবাহে সবই..
ইয়া আলী মদদ আলী
ইয়া আলী ইয়ে মেরে জান ইয়ে জিন্দেগী

কসমছে হা.. কোরবা হে ছবই।।
----

আমি যাহা কিছু করিতেছি তাহা কোন কল্পনা, অনুমান বা অনুসরন নয়- তাহা প্রত্যক্ষ দর্শন- হযরত আলী ক: .

মুর্শিদ কেবলার কাছ থেকে জানা- এই বাক্যটা আমাকে খুবই অনুপ্রাণীত করে-সত্যের গভীরতরে যেতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.