![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।
সুরা আল-বাকারাহ,আয়াত# ২০৭
“মানুষের মধ্যে এমনও মানুষ আছে যে নিজের জীবনকে খোদার রাস্তায় খোদার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য বিক্রয় করিয়া দেয়।আল্লাহ এই ধরনের বান্দাকে ভালবাসিয়া থাকেন”।
সালাবী নিজের তাফসীরে বর্ননা করিয়াছেন যে,যখন আল্লাহর রাসুল(সাঃ) মক্কা হইতে মদীনায় হিজরত করার প্রস্তুতি নিলেন তখন হযরত আলী(আঃ)কে নিজের স্থানে রাখিয়া গেলেন যেন আমানত ও ঋন মানুষদেরকে পরিশোধ করিয়া দেন।হযরত রাসুলে খোদা (সাঃ) রাত্রে যখন গারে সাওরের দিকে রওনা হইলেন তখন হযরত আলী(আঃ)কে আদেশ করিলেন তিনি যেন নবী পাকের(সাঃ) বিছানায় শায়িত থাকেন।তিনি বলিলেন হে আলী!আমার বিছানায় আমার সবুজ হাজরামী চাদর গায়ে ঘুমাইয়া থাক।আমি আশা করি যে,তোমার নিকট কোন আপদ-বিপদ আসিবে না।হযরত আলী(আঃ) রাসুলের(সাঃ) কথা মত আমল করিলেন।আল্লাহতায়ালা নিজের ২ ফেরেস্তা জিব্রাঈল ও মিকাঈল(আঃ)কে বলিলেন যে,আমি তোমাদের ২ জনের মধ্যে ভ্রাতৃ্ত্ব বন্দ্বন স্থাপন করিলাম।তোমাদের মধ্যে একজনের আয়ু অন্য জনের আয়ু হইতে বৃ্দ্বি করিয়া দিলাম ।এখন তুমি নিজের জীবন অপরের বিসর্জন দিতে রাজী আছ কি? তখন ঐ ২ ফেরেস্তা নিজের জীবনকে প্রাধান্য দিল।তখন মহান রাব্বুল আলামীন ২ ফেরেশ্তাকে বলিলেনঃ তোমরা আলী বিন আবি তালিবের মত হইতে পার না? আমি তাঁহার মধ্যে এবং আমার রাসুলের(সাঃ) মধ্যে ভ্রাতৃ্ত্ব বন্দ্বন স্থাপন করিয়া দিয়াছি।হয্রত আলী রাসুলের(সাঃ) বিছানায় ঘুমাইয়া আছে।যেন নিজের জীবনটা হযরত রাসুলের(সাঃ) জন্য বিসর্জন দিতে প্রস্তুত।তাই তোমরা ২ ফেরেস্তা পৃথিবীতে গিয়া হযরত আলীর হেফাজত কর।হযরত জিব্রাঈল(আঃ) হযরত আলীর(আঃ) মাথার দিকে ঘুরিয়া দাড়াইলেন এবং মিকাঈল(আঃ) তাঁহার পায়ের দিকে দাড়াইলেন।হযরত জিব্রাঈল(আঃ) বলিলেন,ধন্যবাদ হে আলী,তোমার সমকক্ষ কে হইতে পারে?আল্লাহতায়ালা তোমার দ্বারা ফেরেস্তাদের উপর গর্ব করিতেছেন।এই প্রেক্ষিতে আল্লাহ পাক এই আয়াত নাযিল করিলেন।(সুত্রঃ ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ,৩য় খন্ড, পৃঃ২৩৮;আল-গাদীর,২য় খন্ড,পৃঃ৪৭; মুরাজেয়াত, পৃঃ৬৪;মুস্তাদরাকে হাকিম,৩য় খন্ড,পৃঃ৪;তাফসীরে কুমী,১ম খন্ড,পৃঃ৭১।
সুরা আলে ইম্রান,আয়াত# ১০৩
“এবং আল্লাহর রজ্জুকে আকড়াইয়া ধর সবাই মিলে আর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না।“
রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ৫ম ইমাম বাকের(আঃ) ফরমাইয়াছেন যে, হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)এর বংশধররাই আল্লাহপাকের মজবুত রজ্জু যাঁহাকে আল্লাহতায়ালা দৃঢ়ভাবে আকড়াইয়া ধরার আদেশ দিয়াছেন(তাফসীরে কুমী,১ম খন্ড,পৃঃ১০৬;তাফসীরে ফুরাত,পৃঃ১৪;মাজমাউল বায়ান,২য় খন্ড,পৃঃ৪৮২;আল-মুরাজেয়াত,পৃঃ৫৪)।
সুরা নিসা,আয়াত# ৫৪
“তাহারা কি মানুষের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করে সেটারই উপর যাহা আল্লাহপাক তাহাদেরকে নিজ অনুগ্রহ থেকে দান করিয়াছেন।সুতরাং আমি তো ইব্রাহিমের বংশধরগনকে কিতাব ও হিকমাত দান করিয়াছি।“
আয়াশী বিভিন্ন রেওয়ায়েত হতে বর্ননা করিয়াছেন যে,তাঁহারা বলিয়াছেন,যাহাদের সাথে বিদ্বেষ পোষন করা হইয়াছে এই আয়াতে তাঁহারা হইলাম আমরাই।আল্লাহতায়ালা নিজের মেহেরবানীতে আমাদিগকে ইমামতি দান করিয়াছেন।রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ৫ম ইমাম বাকের (আঃ) হইতে বর্নিত হইয়াছে যে,ইহা দ্বারা আল্লাহতায়ালার উদ্দেশ্য এই যে, তিনি ইব্রাহিমের বংশধর হইতে নবীগন,রাসুলগন এবং ইমামগন সৃষ্টি করিয়াছেন।তাহাদের ব্যাপারে সকলের নিকট হইতে শপথ গ্রহন করিয়াছেন।তিনি বলিয়াছেন যে,হযরত মুহাম্মদের বংশধরগনকে যেন কেহ অস্বীকার না করে।আর বিশাল সাম্রাজ্য দ্বারা ইমামত বুঝানো হইয়াছে।ইমামের আনুগত্য আল্লাহর আনুগত্য।আর ইমামের আদেশ অমান্য আল্লাহর আদেশ অমান্য করার সমতুল্য।(সুত্রঃ তাফসীরে কুমী,১ম খন্ড,পৃঃ১৪০;ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ,পৃঃ১২১;মুরাজেয়াত,পৃঃ৫৯;কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন,২য় খন্ড,পৃঃ২০৪)।
সুরা নিসা,আয়াত# ৫৯
“হে ঈমানদারগন,নির্দেশ মান্য কর আল্লাহর এবং রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কতৃ্ত্বের অধিকারী।“
রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ৬ষ্ট ইমাম জাফর সাদিক(আঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হইলো যে,উত্তরাধিকারীর আদেশ মান্য করা কি অবশ্যই কর্তব্য? তিনি ফরমাইলেনঃহ্যা,তাঁহারা ঐসব ব্যাক্তি যাহাদের আদেশ পালন করা এই আয়াতে ফরজ করা হইয়াছে এবং অনেক বর্ননায় আসিয়াছে।আর এই আয়াতে “যারা কতৃ্ত্বের অধিকারী” তারা হইলেন রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ১২ ইমাম।(সুত্রঃ তাফসীরে কুমী,১ম খন্ড,পৃঃ১৪১;ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, পৃঃ২১;কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন,২য় খন্ড,পৃ১৪১,২৯০, ও ৬৪১;মাজমাউল বায়ান,৩য় খন্ড,পৃঃ৬৪।
সুরা মায়েদা,আয়াত# ৩
“আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পরিপুর্ন করিয়া দিলাম। তোমাদের উপর আমার অনুগ্রহ সম্পন্ন করিলাম।আর তোমাদের জন্য ইসলামকে পরিপুর্ন দ্বীন হিসাবে মনোনীত করিলাম।“
গাদীরে খুমে যখন রাসুল(সাঃ) হযরত আলীকে খেলাফত ও ইমামতের উপর সরাসরি নিজের স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করিলেন তখন এই আয়াত পাক নাজিল হইলো।আল্লাহর রাসুল(সাঃ) ফরমাইলেনঃখোদা পাক অতি মহান এবং প্রশংসার যোগ্য যিনি দ্বীনকে পরিপুর্ন করিলেন,নিজের অবদানকে সপুর্ন করিলেন।আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি হইলো আমার রেসালাতের উপর ও আমার পর আলীর বেলায়েতের উপর।(তাফসীরে ইবনে কাসীর,২য় খন্ড,পৃঃ১৪; দুররুল মানসুর,২য় খন্ড,পৃঃ২৫৯;আল-বিদায়া ওয়ান নেহায়া,৫ম খন্ড,পৃঃ২১০;রুহুল মায়ানি,২য় খন্ড,পৃঃ২৪৯;আল-গাদীর,১ম খন্ড,পৃঃ২৩০;আল-মুরাজেয়াত,পৃঃ৫৭;শাওয়াহেদুত তানজিল,১ম খন্ড,পৃঃ১৫৬)।
সুরা নিসা,আয়াত# ৫৪
“তাহারা কি মানুষের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করে সেটারই উপর যাহা আল্লাহ পাক তাহাদেরকে নিজ অনুগ্রহ থেকে দান করিয়াছেন।সুতরাং আমি তো ইব্রাহিমের বংশধরগনকে কিতাব ও হেকমাত দান করিয়াছি।“
আয়াশী বিভিন্ন রেওয়ায়েতে ইমামগন হইতে বর্ননা করিয়াছেন যে, তাঁহারা বলিয়াছেন,যাহাদের সংগে বিদ্বেষ পোষন করা হইয়াছে এই আয়াতে তাহারা হইলেন আমরাই।আল্লাহতায়ালা নিজের মেহেরবানীতে আমাদের ইমামতি দান করিয়াছেন।হযরত ইমাম বাকের(আ হইতে বর্নিত হইয়াছে যে,ইহা দ্বারা আল্লাহতায়ালার উদ্দেশ্য এই যে, তিনি ইবারহিমের বংশধর হইতে নবীগন,রাসুলগন এবং ইমামগন(১২ ইমাম) সৃষ্টি করিয়াছেন।তাহাদের ব্যাপারে সকলের নিকট হইতে শপথ গ্রহন করাইয়াছে।তিনি বলিয়াছেন যে,হযরত মুহাম্মদের বংশধরকে যেন কেহ অস্বীকার না করে।আর বিশাল সাম্রাজ্য দ্বারা ইমামত বুঝানো হইয়াছে।ইমামের আনুগত্য আল্লাহর আনুগত্য।আর ইমামের আদেশ অমান্য আল্লহর আদেশ অমান্যের সমতুল্য।(সুত্রঃ তাফসীরে কুমী,১ম খন্ড,পৃঃ১০;ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, পৃঃ১২১;কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন, ২য় খন্ড,পৃঃ২০৪;মাজমাউল বায়ান,৩য় খন্ড,পৃঃ৬১;মুরাজেয়াত,পৃঃ৫৯; শাওয়াহেদুত তানজিল,১ম খন্ড,পৃঃ১৪৩;মানাকেবে ইবনে মাগাজেলী,পৃঃ২৬৭;সাওয়েকে মুহরেকা,পৃঃ১৫০)।
সুরা নিসা,আয়াত# ৮৩
“যদি তাহারা উহা রাসুল কিংবা তাহাদের মধ্যে যাহারা ক্ষমতার অধিকারী তাহাদের গোচরে আনিত,তবে তাহাদের মধ্যে যাহারা তথ্য অনুসন্দ্বান করে তাহারা উহার যথার্থতা নির্নয় করিতে পারিত।“
হযরত ইমাম বাকের(আঃ) ফরমাইয়াছেন যে,যাহারা বাস্তবতা জানেন আর যাহারা ক্ষমতাসম্পন্ন তাহারা হইলেন হযরত মুহাম্মাদের(সাঃ) বংশধর।
আয়াশী হযরত ইমাম রেজা(আঃ) হইতে বর্ননা করিয়াছেন যে, ইহা দ্বারা হযরত নবী করিমের(সাঃ) বংশধরকে বুঝানো হইয়াছে। কারন তাহারা হইলেন ঐ সব ব্যক্তি যাঁহারা কোরানের বাস্তব তথ্য ব্যাখ্যা করিয়া থাকেন।তাঁহারাই হালাল ও হারামের উপর অবগত হইয়াছেন।আর তাহারাই সৃষ্টির উপর আল্লাহতায়ালার হুজ্জাত বা অকাট্য প্রমানস্বরুপ।(সুত্রঃ তাফসীরে কুমী,১ম খন্ড,পৃঃ১৪৫;রাওয়ানে যাভেদ,২য় খন্ড,পৃঃ৯২;বয়ানুস সায়াদাহ,২য় খন্ড,পৃঃ৪০)।
©somewhere in net ltd.