নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আব্দুল্লাহ ইবনে সাবাহ ও তার কল্প কাহিনী

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭



আগের লেখার লিঙ্কঃ

Click This Link

র্ইরতিদাদ্ (ইসলাম-ত্যাগ)

মদীনার বাইরে যারা আবু বকররে বরিোধতিা করে তাদরেকে মুরতাদ হসিবেে অভহিতি করা হয়ছেে এবং তাদরে বরিুদ্ধে পরচিালতি যুদ্ধ সমূহকওে জহিাদ হসিবেে অভহিতি করা হয়ছে।ে সাইফরে রওেয়াইয়াত র্পযালোচনা প্রসঙ্গে আমরা এখানে এ বষিয়রে ওপরও আলোকপাত করবো।

ইসলামের্ ইতদিাদ্

আরবী শব্দ “রদ্দিা” ও র্“ইতদিাদ্” অভন্নি মূল থকেে উৎসারতি। র্“ইতদিাদ্” মানে হচ্ছে ‘প্রত্যার্বতন’। কোরআন মজীদে শব্দটি এ র্অথে ব্যবহৃত হয়ছে।ে যমেন, হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর জামা এনে হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর চহোরার ওপর ফলোর ঘটনা সর্ম্পকে এরশাদ হয়ছেে ঃ “অতঃপর যখন সইে সুসংবাদবাহক এলো এবং সটেি তার চহোরার ওপর ফলেলো তখন তার দৃষ্টশিক্তি ফরিে এলো র্(ইতাদ্দা)।”১

এছাড়া কোরআন মজীদে মুসলমানদরে ইসলাম থকেে মুখ ফরিয়িে নয়ো এবং ইসলাম ত্যাগ করয়িে কুফরীতে প্রত্যার্বতন করানো র্অথওে “রাদ্দা” ক্রয়িাপদরে র্বতমান কালরে রূপ ব্যবহৃত হয়ছে।ে যমেন এরশাদ হয়ছেে ঃ “হে ঈমানদারগণ! যাদরেকে কতিাব দয়ো হয়ছেলিো তোমরা যদি তাদরে মধ্যকার কছিু লোকরে আনুগত্য করো তাহলে তারা তোমাদরেকে তোমাদরে ঈমান আনয়নরে পর পুনরায় ফরিয়িে নয়িে (ইয়ারুদ্দূ) কাফরেে পরণিত করব।ে”২

অন্যদকিে র্“ইতদিাদ্” কথাটি ‘দ্বীন থকেে ফরিে যাওয়া’ র্অথওে ব্যবহৃত হয়ছে।ে যমেন, কোরআন মজীদে এরশাদ হয়ছেে ঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমাদরে মধ্য থকেে যে ব্যক্তি তার দ্বীন থকেে ফরিে যাবে (র্ইয়াতাদ্দা) (সে জনেে রাখুক য,ে) তাহলে অচরিইে আল্লাহ্ এমন একদল লোককে নয়িে আসবনে তনিি যাদরেকে ভালোবাসবনে এবং তারাও তাঁকে ভালোবাসবে Ñ যারা মু’মনিদরে জন্যে খুবই বনিয়াবনত ও কাফরেদরে বরাবরে খুবই কঠোর হব।ে”৩

অন্য এক আয়াতওে এ পরভিাষাটরি ব্যবহার প্রণধিানযোগ্য। এরশাদ হয়ছেে ঃ “আর তারা তো তোমাদরে বরিুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না তোমাদরেকে তোমাদরে দ্বীন থকেে ফরিয়িে নয়ে (ইয়ারুদ্দু), যদি তা তাদরে পক্ষে সম্ভব হয়। আর যে তার দ্বীন থকেে ফরিে যাবে (র্ইয়াতাদদ্)ে, অতঃপর কাফরে অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে তাহলে এ ধরনরে লোকদরে আমল দুনয়িা ও পরকালে বনিষ্ট হয়ে যাব।ে”৪

তবে সাধারণ্যে ব্যবহৃত পরভিাষা হসিবেে র্“ইতদিাদ্”-এর তাৎর্পয ‘ইসলাম থকেে ফরিে যাওয়া’ বা ‘ইসলাম ত্যাগ’ এমন ব্যাপকভাবে প্রচলতি হয়ছেে য,ে এ ছাড়া অন্য কোন তাৎর্পয মাথায় আসে না।

রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর যুগের্ ইতদিাদ্

হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর যুগে মুসলমানদরে মধ্য থকেে কছিু লোক মুরতাদ হয়ছেলিো (ইসলাম ত্যাগ করছেলিো)। এদরে মধ্যে আবদুল্লাহ্ বন্ িসা‘দ্ বন্ িআবি সারাহ্ অন্যতম।

সে ইসলাম গ্রহণরে পর মদীনায় হজিরত করছেলিো এবং সে ছলিো রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর) লখেক (কাতবে)গণরে অন্যতম। সে ইসলাম ত্যাগ করে মক্কায় কুরাইশদরে নকিট ফরিে যায়। সে কুরাইশদরে নকিট গয়িে বলে ঃ “আমি ছলিাম ওয়াহী-লখেকগণরে অন্যতম; আমি মুহাম্মাদকে আমার পরকিল্পনা মোতাবকে একদকিে টনেে নয়িছে।ি যমেন, সে আমাকে বলতো, লখেো “আযীযুন্ হাকীম্”, আমি বলতাম, নাকি “আলীমুন্ হাকীম্” লখিবো? সে বলতো, হ্যা, উভয়টইি যর্থাথ।”

মক্কা বজিয়রে দনি সন্নকিটর্বতী হলে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ) আবদুল্লাহ্র খুনকে সম্মানরে অযোগ্য বলে ঘোষণা করনে। তনিি নর্দিশে দনে য,ে যে কউে তাকে যে অবস্থায়ই পা’ক না কনে, এমন কি সে যদি কা‘বাহ্ শরীফরে র্পদার প্রান্ত ধরওে থাকে তথাপি যনে সাথে সাথে তাকে হত্যা কর।ে তখন সে তার দুধ ভাই ওসমানরে নকিট আশ্রয় গ্রহণ করে এবং ওসমান তাকে তাঁর নজি গৃহে লুকয়িে রাখনে। এরপর তনিি তাকে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর নকিটে নয়িে আসনে এবং তার জন্যে নরিাপত্তা গ্রহণ করনে।৫



অপর একজন মুরতাদ ছলিো আবদুল্লাহ্ ইবনে জাহাশ্। সে ছলিো উম্মে হাবীবাহ্র স্বামী। তাদরে উভয়ই প্রাথমকি যুগে মক্কায় ইসলাম গ্রহণকারী ও হাবাশায় হজিরতকারীদরে অন্যতম। হাবাশায় থাকাকালে আবদুল্লাহ্ খৃস্ট র্ধম গ্রহণ করে এবং সখোনইে মৃত্যুবরণ কর।ে৬

আরকে জন মুরতাদ ছলিো আবদুল্লাহ্ বন্ িখাতাল্। তাকে কা‘বার র্পদা আঁকড়ে ধরে থাকা অবস্থায় হত্যা করা হয়।৭

এই হলো হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর যুগরে মুরতাদদরে অবস্থা Ñ যারা সুস্পষ্টভাবে ইসলাম ত্যাগ করছেলিো এবং এ কারণইে ইসলামরে দৃষ্টতিে মুরতাদ রূপে পরগিণতি হয়ছেলিো। এখন আমরা দখেবেো আবু বকররে শাসনামলে কাদরেকে মুরতাদ বলে গণ্য করা হয় এবং তাদরে অবস্থা কী ছলিো।

আবু বকররে আমলের্ ইতদিাদ্

হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর ইন্তকোলরে খবর বদ্যিুত গততিে সমগ্র আরব উপদ্বীপে ছড়য়িে পড়।ে তখনকার যুগরে আরব উপদ্বীপরে অধবিাসীরা দুই ভাগে বভিক্ত ছলিো ঃ ১) যারা ইসলাম গ্রহণ করছেলিো এবং ২) যারা তখনো তাদরে র্পূবর্বতী র্ধমরে ওপর বহাল ছলিো।

যারা তখনো ইসলাম গ্রহণ করে নি তারা হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর ওফাতরে ফলে অত্যন্ত স্বাভাবকিভাবইে র্পূবাপক্ষো শক্তশিালী হয়ে ওঠে এবং প্রকাশ্যইে ইসলামরে বরিুদ্ধে শত্র“তা মূলক তৎপরতা শুরু কর।ে

অন্যদকিে মুসলমানদরে সকলরেই মনোযোগ ছলিো মদীনার দকিে এবং তারা প্রতদিনিই মদীনা থকেে আগত যে কোন মুসাফরিরে নকিট হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর ইন্তকোল পরর্বতী মদীনার ঘটনাবলী জানতে চাইতো যা তাদরে ওপর ভাবাবগে মূলক প্রতক্রিয়িা বস্তিার করছলিো। অত্যন্ত স্বাভাবকিভাবইে তাদরে নকিট প্রতদিনি নতুন নতুন খবর আসছলিো এবং নতুন নতুন ভাবাবগে মূলক প্রতক্রিয়িা সৃষ্টি করছলিো Ñ যা আজ র্দীঘ কয়কে শতাব্দী পরে যথাযথভাবে অনুভব করা সম্ভব নয়।

তাদরে কাছে সংবাদ পৗেঁছে য,ে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর ছাহাবীগণ বাই‘আতরে প্রশ্নে পরস্পররে ওপরে ঝাঁপয়িে পড়ছেনে। এরপর তাদরে নকিট আবু বকররে খলীফাহ্ হওয়ার খবর পৗেঁছ।ে অতঃপর তারা শুনতে পায় য,ে বানী হাশমে সম্মলিতিভাবে বাই‘আত থকেে বরিত রয়ছেনে এবং খাযরাজ গোত্ররে প্রধান সা‘দ বন্ ি‘ইবাদাহ্ও বাই‘আত হওয়া থকেে বরিত আছনে। ফলে স্বভাবতঃই তাদরে নকিট পরস্থিতিি অস্বাভাবকি ও বশিৃঙ্খল বলে প্রতভিাত হচ্ছলিো।

এভাবে বভিন্নি ধরনরে সংবাদ আসার ফলে কতক আরব গোত্র বাই‘আত হতে ও খলীফাহ্র প্রতনিধিকিে যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়। নচৎে তারা নীতগিতভাবে যাকাত প্রদান বা নামায আদায়রে অপরহর্িাযতাকে অস্বীকার করে ন,ি যদওি তাদরেকে যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতরি অভযিোগে অভযিুক্ত করা হয়। বরং সমকালীন সরকাররে ওপর তাদরে আস্থা ছলিো না বলইে তারা সে সরকাররে প্রতি আনুগত্য প্রর্দশনে রাযী হয় ন।ি কন্তিু র্শীষস্থানীয় ছাহাবীগণ সহ মদীনায় বসবাসকারী যে সব ছাহাবী আবু বকররে অনুকূলে বাই‘আত হতে অস্বীকৃতি জানান তাঁরা যে ধরনরে মযবূত অবস্থানরে অধকিারী ছলিনে মদীনার বাইররে এ মুসলমানরা সে ধরনরে মযবূত অবস্থানরে অধকিারী ছলিো না। এ কারণে সমকালীন সরকার তাদরে বরিুদ্ধে রক্তক্ষয়ী পদক্ষপে গ্রহণ করে এবং তাদরে সকলকইে হত্যা কর।ে ফলে মদীনার বাইরে মুসলমানদরে মধ্যে আর আবু বকররে বরিোধীদরে অস্তত্বি থাকে ন।ি

আবু বকর তাঁর এ বরিোধীদরে দমন করার পর মদীনার বাইরে আরব উপদ্বীপরে বভিন্নি স্থানে ছড়য়িে ছটিয়িে থাকা মুশরকিদরে ও ভণ্ড নবীদরে বরিুদ্ধে Ñ যারা স্বয়ং হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর জীবদ্দশায়ই বদ্রিোহরে পতাকা উত্তোলন করছেলিো Ñ অভযিান অব্যাহত রাখনে ও তাদরে মূলোৎপাটন করনে।

এভাবে বরিোধীদরে দমন করার পর সরকার বজিয়াভযিান শুরু করে এবং সন্যৈ সমাবশে করার কাজে হাত দয়ে। ইসলামরে ইতহিাসকারগণ হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর ইন্তকোলরে পর থকেে

শুরু করে আবু বকররে খলোফত কালে পরচিালতি এ সবগুলো যুদ্ধকইে “রদ্দিা-র যুদ্ধ” নামে অভহিতি করছেনে।

আবু বকররে বরিোধতিার্ ইতদিাদ্ নয়

ড. হাসান ইবরাহীম তাঁর লখিতি “তারীখুল্ ইস্লামস্ িসীয়াসী” (ইসলামরে রাজনতৈকি ইতহিাস) গ্রন্থ৮ে এ মতামতই ব্যক্ত করছেনে। তনিি লখিছেনে ঃ

হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর ইন্তকোলরে পর কছিু লোক তাঁর রখেে যাওয়া দ্বীনরে মূল ভত্তিরি ব্যাপারে সন্দহেে নপিততি হয়। অপর এক দল কুরাইশ ইসলামী হুকুমতকে তাদরে গোত্রীয় একনায়কতান্ত্রকি সরকারে পরণিত করে কনিা এ দুশ্চন্তিায় ছলিো এবং এর ফলে নজিদেরে ভবষ্যিত ভবেে উদ্বগ্নি হয়ে পড়ছেলিো। কারণ তারা লক্ষ্য করছেলিো য,ে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ) ছলিনে আল্লাহ্র রাসূল এবং তনিি মানুষরে নকিট আল্লাহ্ তা‘আলার আদশে ও নষিধে যথাযথভাবে পৗেঁছে দচ্ছিলিনে। এছাড়া তনিি যে কোনো রকমরে গুনাহ্ ও ভুল-ভ্রান্তি থকেে সংরক্ষতি ছলিনে। তনিি ইন্তকোল করছেনে এবং অনুরূপ গুণ-বশৈষ্ট্যি সম্বলতি অন্য কোনো লোকই নইে। এমতাবস্থায় বভিন্নি গোত্ররে মধ্যে সমভাবে আল্লাহ্র আইন র্কাযকর করার জন্যে এমন কোনো ব্যক্তরি প্রয়োজন যনিি হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর অনুরূপ গুণাবলীর অধকিারী হবনে। এ কারণে তাদরে মধ্যে এরূপ আশঙ্কা তরৈী হয়ছেলিো য,ে যে ব্যক্তি হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর স্থলাভষিক্তি হবনে তনিি হয়তো মুসলমি জনগণরে ওপরে তাদরে সামষ্টকি র্স্বাথরে বরিুদ্ধে স্বীয় পরবিার ও গোত্ররে আশা-আকাক্সক্ষা চাপয়িে দবেনে। তাদরে মনে এ ভয় জাগে য,ে নতুন শাসক হয়তো স্বীয় ও স্বীয় গোত্ররে অবস্থানকে এগয়িে নয়োর লক্ষ্যে তাদরে বরিুদ্ধে দমন নীতরি আশ্রয় গ্রহণ করবনে।

সম্ভবতঃ এ কারণইে আরবরে বভিন্নি গোত্র রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে নয়ো ও পরস্থিতিরি নয়িন্ত্রণ নজিদেরে মুঠোয় আনার লক্ষ্যে পরস্পর প্রতযিোগতিায় লপ্তি হয় এবং প্রতপিক্ষকে প্রতযিোগতিার ময়দান থকেে

হটয়িে দয়োর জন্যে চষ্টো কর।ে এভাবইে তাদরে মধ্যে আরবদরে পুরনো বশৈষ্ট্যিরে বহঃিপ্রকাশ ঘট।ে

আনছাররা ভয় করতে থাকে য,ে কুরাইশ ও মুহাজরিরা হয়তো এগয়িে যাবে এবং এ ব্যাপারে (খলোফতরে ব্যাপার)ে হয়তো আনছারদরেকে কোনো ভূমকিাই পালন করতে দবেে না। কুরাইশ ও মুহাজরিরাও আনছারদরে ব্যাপারে একই ধরনরে ভয়রে মধ্যে ছলিো। তমেনি আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ও পরস্পরকে একইভাবে ভয় করছলিো।৯

এই ছলিো মদীনার রাজনতৈকি অবস্থা। সে সময় মক্কাহ্র রাজনতৈকি অবস্থাও মদীনার তুলনায় কম উত্তজেনাকর ছলিো না। কারণ মক্কাহ্র বভিন্নি গোত্ররে মধ্যওে একই ধরনরে রষোরষেি বদ্যিমান ছলিো। আবু বকররে অনুকূলে বাই‘আত অনুষ্ঠতি হলে বানী হাশমেরে লোকরো খুবই মনে কষ্ট পায় এবং আলী (আঃ) র্দীঘ কয়কে মাস বাই‘আত হওয়া থকেে বরিত থাকনে। এমতাবস্থায় খলোফত বানী আব্দ্ মানাফরে (যহেতেু বানী হাশমে এর শাখা) নকিট থকেে চলে যাওয়ায় আবু সুফয়িান বন্র্ িহাব্ হযরত আলী (আঃ)কে আবু বকররে খলোফতরে বরিুদ্ধে প্রতরিোধ গড়ে তোলার জন্যে উস্কানি দতিে থাকনে।

যদওি বানী হাশমে ও গায়রে বানী হাশমে নর্বিশিষেে মুহাজরিগণ এবং আউস ও খাযরাজ নর্বিশিষেে আনছারগণ হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর সাথে খুবই ঘনষ্ঠিতার অধকিারী ছলিনে এবং তাঁরা ইসলাম গ্রহণরে ক্ষত্রেে অগ্রণী ছলিনে, আল্লাহ্র দ্বীনকে সহায়তা করছেলিনে ও এর সীমারখোকে ধন ও প্রাণ দয়িে হফোযত করছেলিনে, আর তাঁরা তাঁদরে এ সব গুণাবলী ও উঁচু র্মযাদার জন্যে র্গব বোধ করতনে, এ সত্ত্বওে তাঁদরে সকলইে স্ব স্ব গোত্ররে নতোকে খলোফতে অধষ্ঠিতি করার জন্যে আকাক্সক্ষিত ছলিনে। কন্তিু অন্যান্য আরব গোত্র না ইসলাম গ্রহণরে ব্যাপারে এ ধরনরে অগ্রগণ্যতার অধকিারী ছলিো, না হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর সাথে ঘনষ্ঠি সাহর্চযরে গৌরব তাদরে ছলিো। কন্তিু এ সত্ত্বওে তারা দখেতে পাচ্ছলিো য,ে খলোফতরে ব্যাপারে মুহাজরি ও আনছাররা ঝগড়ায় লপ্তি হয়ছে;ে মুহাজরিরা আনছারদরেকে বলছলিো ঃ শাসক আমাদরে মধ্য

থকেে হবনে আর তোমাদরে মধ্য থকেে মন্ত্রী গ্রহণ করা হব,ে অন্যদকিে আনছাররা সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মুহাজরিদরেকে বলছলিো ঃ বরং আমাদরে ও তোমাদরে উভয়রে মধ্য থকেইে শাসক হতে হবে ।

এ অবস্থা দখেে আরব গোত্র সমূহরে মধ্যে খলোফতরে ব্যাপারে পুরোপুরি হতাশা ছড়য়িে পড়।ে তাই তারা খলোফতরে বরিুদ্ধে বদ্রিোহরে পতাকা উত্তোলন কর।ে তাদরে অনকেইে আবু বকররে আনুগত্য করতে ও তাঁর নকিট যাকাত হস্তান্তর করতে রাযী হয় ন।ি

সাইফ তাদরে এ অবস্থানকের্ ইতদিাদ্ বা ইসলামকে পৃষ্ঠপ্রর্দশন ও তাদরেকে মুরতাদ বা ইসলামত্যাগী বলে তার রওেয়াইয়াতে উল্লখে করছেে এবং এমন একটি ধারণা দয়োর চষ্টো করছেে য,ে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর ওফাতরে পর অধকিাংশ আরব গোত্র মুরতাদ হয়ে গয়িছেলিো।

কতক প্রাচ্য বশিারদও১০ সাইফরে দাবীর ভত্তিতিে অভমিত ব্যক্ত করছেনে য,ে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর ওফাতরে পরে কতক আরব গোত্র মুরতাদ হয়ে গয়িছেলিো। আর এদরে বরিুদ্ধে যুদ্ধকে দলীল হসিবেে গ্রহণ করে তাঁরা অভমিত ব্যক্ত করনে য,ে ইসলাম তরবারী ও র্বশার শক্তরি বদৌলতে অগ্রগতি লাভ করছেে এবং একমাত্র যে জনিসিটি আরবদরেকে এ দ্বীন মনেে নতিে বাধ্য করছেলিো তা হচ্ছে তলোয়ার।

কন্তিু প্রকৃত ব্যাপার হলো এই য,ে আবু বকররে খলোফত কালের্ ইতদিাদরে কোনো ঘটনা সংঘটতি হয় ন।ি বস্তুতঃ আবু বকর যাদরে বরিুদ্ধে যুদ্ধ করছেলিনে তারা না মুরতাদ ছলিো, না ইসলামরে হুকুম-আহ্কাম মনেে চলতে অস্বীকৃতি জানয়িছেলিো। বরং তাদরে মধ্যকার একদল আগওে মুসলমান ছলিো না এবং অপর একদল শুধু আবু বকররে নকিট যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানয়িছেলিো। কন্তিু এ উভয় দলকইে ভুল বশতঃ মুরতাদ হসিবেে অভহিতি করা হয়ছে।ে

যাদরে বরিুদ্ধে যুদ্ধ

আবু বকর যাদরে বরিুদ্ধে যুদ্ধ করনে ড. হাসান ইবরাহীম তাদরেকে দুই ভাগে ভাগ করছেনে ঃ

প্রথমতঃ সইে সব লোক যারা যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানয়িছেলিো। তাদরে এ অস্বীকৃতরি পছিনে কারণ এই য,ে তারা যাকাতকে এক ধরনরে কর মনে করছেলিো যা ব্যক্তগিতভাবে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর নকিটে দয়ে ছলিো, আর যহেতেু তনিি ইন্তকোল করছেলিনে সহেতেু তারা যাকাত মওকুফ হয়ে গয়িছেলিো বলে মনে করছেলিো।১১ এই গোষ্ঠীর লোকদরে বরিুদ্ধে যুদ্ধরে ব্যাপারইে ওমর আবু বকররে বরিুদ্ধে প্রতবিাদ জানয়িছেলিনে এবং যুক্তি পশে করছেলিনে য,ে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ) এরশাদ করছেনে ঃ “আমাকে লোকদরে বরিুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে আদশে দয়ো হয়ছেে যতক্ষণ না তারা তাওহীদকে স্বীকার করে নয়ে। অতএব, যে কউে মুখে তাওহীদরে ঘোষণা প্রদান করবে তার জান ও মাল আমার দকি থকেে নরিাপদ থাকব,ে যদি না তার ওপর কারো কোনো অকাট্য অধকিার (হক) থাক।ে আর তার হসিাব আল্লাহ্র ওপর সোর্পদ।”

দ্বতিীয়তঃ একদল লোক মুরতাদ হয়ে গয়িছেলিো এবং প্রকৃত পক্ষে তারা মুসলমান ছলিো না। ...

ড. হাসান এরপর লখিছেনে ঃ কন্তিু ইসলাম১২ মুরতাদদরে জন্যে যে শাস্তি নর্ধিারণ করছেে এবং তাদরে জন্যে মৃত্যুদণ্ডাদশে দয়িছেে তা হচ্ছে সমকালীন সরকাররে পক্ষ থকেে তাদরে জন্যে জারীকৃত একটি রাজনতৈকি আদশে। আর এর লক্ষ্য ছলিো তাদরে ইসলামরে নকিট আত্মসর্মপণরে র্পূবইে তাদরেকে হত্যা করা। অথচ ইসলামে মুরতাদদরে ব্যাপারে চূড়ান্ত সর্তকতা অবলম্বন করা হয়ছেে এবং কখনোই সন্দহেরে বশে কাউকে পাকড়াও করে নি এবং কবেল মুরতাদ বলে অভযিুক্ত হবার কারণইে কাউকে মুরতাদ বলে গণ্য করে ন।ি বরং ইসলাম মুরতাদকে তনি দনিরে অবকাশ প্রদান কর।ে ইসলামরে বরিুদ্ধে সে যে সব আপত্তি উত্থাপন করে এই তনি দনি ইসলামী পণ্ডতি ও মুজতাহদিগণ সগেুলো নয়িে আলোচনা করে ইসলামরে যর্থাথতা প্রশ্নে তার মনে সৃষ্ট সংশয় দূর করার চষ্টো করনে।

এ ব্যাপারে ইমাম আবু হানফিাহ্ বলনে ঃ কোনো মুসলমান যখন মুরতাদ হয়ে যায় তখন তার নকিট ইসলামে ফরিে আসার প্রস্তাব দতিে হবে এবং এ জন্য তাকে তনি দনিরে অবকাশ দতিে হব।ে কারণ, দৃশ্যতঃ তার মনে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়ছেে যে কারণে সে মুরতাদ হয়ছে।ে অতএব, আমাদরে দায়ত্বি হচ্ছে সে ভুল ধারণা দূরীভূত করা। আর এ ব্যাপারে তার জন্যওে চন্তিা করার অবকাশ প্রয়োজন যাতে তার নকিট সত্য সুস্পষ্ট হয়ে ওঠ।ে আর অবকাশ প্রদান ছাড়া এটা সম্ভব নয়। অতএব, মুরতাদ যদি অবকাশ চায় তাহলে ইমামরে জন্যে তাকে অবকাশ প্রদান করা অপরহর্িায। আর ইসলামী শরীয়তরে দৃষ্টতিে কোনো ব্যাপারে চন্তিা-ভাবনা করে সদ্ধিান্ত গ্রহণরে জন্যে দয়ে অবকাশ হচ্ছে তনি দনি। যমেন ঃ লনেদনেরে ক্ষত্রেে লনেদনেরে র্শত বাতলি করা ও পণ্য র্পযবক্ষেণরে জন্যে দয়ে অবকাশ হচ্ছে তনি দনি। অতএব, মুরতাদকে তনি দনিরে অবকাশ দতিে হব।ে১৩

মালকেী মাযহাবরে কতক ফকীহ্র মতে ঃ মুরতাদ দাস হোক বা স্বাধীন ব্যক্তি হোক, পুরুষ হোক বা নারী হোক, তাকে তাওবাহ্ করার জন্যে তনি দনি ও তনি রাত অবকাশ প্রদান অপরহর্িায। এ তনি দনি শুরু হবে তার মুরতাদ হওয়ার বষিয়টি প্রমাণতি হবার সময় থকে,ে প্রকৃত পক্ষে সে যখন কাফরে হয়ছেে তখন থকেে নয়। অবশ্য এ তনি দনি যনে সে ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় কষ্ট না পায়, বরং এ সময় তার ধনসম্পদ থকেে তার জন্যে খাদ্য ও পানীয়রে ব্যবস্থা করে তাকে সরবরাহ করতে হবে এবং সে তাওবাহ্ না করলওে তাকে নর্যিাতন করা যাবে না বা কষ্ট দয়ো যাবে না।১৪

ইমাম শাফয়েী বলনে ঃ মুরতাদ পুরুষ হোক বা অ-পুরুষ১৫ হোক, তাকে তাওবাহ্ করার সুযোগ দয়ো অপরহর্িায, কারণ হতে পারে য,ে সে ইসলামরে প্রতি সম্মান দখোবে এবং সে যে ভ্রান্ততিে নপিততি হয়ছেে হয়তো তা দূরীভূত হব,ে আর অনকেে বলছেনে য,ে তাকে তনি দনি অবকাশ দতিে হব।ে১৬

আর ইমাম আহ্মাদ বন্ িহাম্বাল্ বলনে ঃ নারী ও পুরুষ নর্বিশিষেে পাগল নয় এমন যে কোন বালগে¦ ব্যক্তি ইসলাম থকেে প্রত্যার্বতন করলে (মুরতাদ হল)ে তাকে তনি দনি যাবত ইসলামরে দাওয়াত দতিে হব।ে১৭

এসব ফতোয়া ছাড়াও নীতগিতভাবইে যে মুসলমানরে কোনো কথা বা কাজরে কারণে কাফরে হয়ে যাওয়া ও না যাওয়া উভয়রেই সম্ভাবনা রয়ছেে তাকে কাফরে গণ্য করা সঙ্গত নয় যদি না সইে মুসলমানরা নজিরোই সে কথা বা কাজকে কাফরে হওয়ার কারণ বলে গণ্য কর।ে এছাড়া ইসলামী মনীষীগণ সুস্পষ্ট ভাষায় বলছেনে য,ে কোনো মুসলমানরে কথা থকেে তার কাফরে হওয়ার শতকরা ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা ও ঈমানদার হবার ১ ভাগ সম্ভাবনা থাকলওে এ ধরনরে মুসলমানরে ব্যাপারে কুফরীর রায় দয়ো যাবে না।১৮

ঐতহিাসকিগণরে অভমিত

ইতহিাস গ্রন্থাবলী থকেে যা জানা যায় তা হচ্ছ,ে আবু বকর যে সব লোকরে বরিুদ্ধে যুদ্ধ করছেলিনে তারা ইসলামকে স্বীকার করতো এবং নামায আদায় করতো। তারা তাওহীদ ও নবুওয়াতরে সাক্ষ্য দতিো। তারা কবেল আবু বকরকে খলীফাহ্ হসিবেে মনেে নতিে ও তাঁর নকিট যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানয়িছেলিো।

ইবনে কাছীর বলনে১৯ ঃ ইবনে মাজাহ্ ব্যতীত সকল হাদীছ সংকলক তাঁদরে গ্রন্থে আবু হুরাইরাহ্ থকেে রওেয়াইয়াত করছেনে য,ে ওমর বন্ িখাত্তাব্ আবু বকরকে বলনে ঃ “কী জন্য আপনি লোকদরে সাথে যুদ্ধ করছনে? অথচ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলছেনে, আমাকে লোকদরে বরিুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে আদশে দয়ো হয়ছেে যতক্ষণ না তারা আল্লাহ্র একত্বরে ও মুহাম্মাদরে রসিালাতরে সাক্ষ্য প্রদান করে এবং এ দু’টি বষিয়ে সাক্ষ্য দয়োর সাথে সাথইে তারা আমার দকি থকেে তাদরে জান ও মালকে সংরক্ষতি করলো যদি না তাতে কারো কোনো অধকিার র্বতে থাক।ে”

তখন আবু বকর বলনে ঃ “আল্লাহ্র কসম, তারা রাসূলুল্লাহ্কে যে যাকাত দতিো আমাকে যদি তা না দয়ে, এমন কি তা উটরে পা বাঁধার একটি রশি হলওে, তাহলে অবশ্যই আমি তাদরে বরিুদ্ধে যুদ্ধ করবো। কারণ, যাকাত হচ্ছে মালরে হক। আল্লাহ্র কসম, যে ব্যক্তি নামায ও যাকাতরে মধ্যে র্পাথক্য করবে অবশ্যই আমি তার বরিুদ্ধে যুদ্ধ করবো।”

ওমর বলনে ঃ “আমি যখন দখেলাম য,ে আল্লাহ্ আবু বকররে অন্তঃকরণকে যুদ্ধরে জন্যে প্রস্তুত করছেনে তখন মনে করলাম য,ে তনিি সত্যরে ওপরে আছনে।”

আর ত্বাবারী বলনে২০ ঃ মুরতাদ হয়ে যাওয়া আরব গোষ্ঠীসমূহরে লোকরো আবু বকররে নকিট এলো। তারা নামায আদায়রে কথা স্বীকার

করতো, কন্তিু যাকাত প্রদানে বরিত ছলিো। আবু বকর তাদরে এ আচরণ মনেে নতিে অস্বীকৃতি জানালনে এবং তাদরেকে ফরিয়িে দলিনে।

ইবনে কাছীর বলনে২১ ঃ বভিন্নি আরব গোষ্ঠীর লোকরো মদীনায় আসছলিো যারা নামায আদায় করছলিো কন্তিু যাকাত প্রদান থকেে বরিত থাকছলিো, আর তাদরে মধ্যে এমন ব্যক্তরিা ছলিো যারা ব্যক্তগিতভাবে আবু বকররে নকিট যাকাত প্রদানে বরিত ছলিো।

তাদরে মধ্যে অনকেে এ কবতিাটি আবৃত্তি করতো ঃ

“আনুগত্য করছেি রাসূলুল্লাহ্র যদ্দনি ছলিনে আমাদরে মাঝে

আর্শ্চয! আবু বাক্ররে শাসন ক্ষমতায় কী কাজ?

তার পরে কি বাক্র্ক২ে২ তার উত্তরাধকিারী করব?ে

আল্লাহ্র শপথ, এ এক কোমর ভাঙ্গা ব্যাপার।”

ত্বাবারী২৩ সাইফ থকেে র্বণনা করনে এবং সে আবু মাখন্াফ্ থকেে র্বণনা করছেে ঃ খালদে বানী আসাদ ও বানী ফাযারাহ্র ওপর হামলা চালানোর আগে এ দুই গোত্ররে লোকদরে সাথে ত্বাই গোত্ররে লোকদরে সাক্ষাত হলে তারা পরস্পর যুদ্ধ না করে একে অপরকে গালি দতিো। বানী আসাদ ও বানী ফাযারাহ্র লোকরো বলতো ঃ “না, কক্ষনোই আমরা আবূল ফাছীলরে অনুকূলে বাই‘আত হবো না।” জবাবে (ত্বাই গোত্ররে) অশ্বারোহীরা বলতো ঃ “আমরা সাক্ষ্য দচ্ছিি য,ে আবু বকর তোমাদরে বরিুদ্ধে এমনভাবে যুদ্ধ করবনে য,ে তোমরা তখন তাঁকে আবূল্ ফাহ্ল্ আল্-আর্কবা (মহান আবূল্ ফাহ্ল্) বলে নামকরণ করতে বাধ্য হব।ে”২৪

উপরোক্ত আলোচনা থকেে চন্তিাশীল গবষেকদরে নকিট সুস্পষ্ট হয়ে যায় য,ে আবু বকররে যুগে যের্ ইতদিাদরে ঘটনা ঘটছেলিো বলে বলা হয় তা ইসলাম থকেের্ ইতদিাদ ছলিো না, বরং তা ছলিো স্রফে আবু বকররে বরিোধতিা। যহেতেু আবূূ বকররে অনুকূলে বাই‘আতরে বরিোধতিাকারীরা ছলিো ঐ সব আরব ও মরুবাসী বদেুঈন গোত্ররে লোক যারা পরে যুদ্ধে পরাজতি হয় এবং রাষ্ট্রক্ষমতা তাদরে বজিয়ী দুশমন ও দুশমনদরে উত্তরাধকিারীদরে হাতইে থকেে যায় এবং এই পরাজতিরা বা তাদরে পরর্বতী প্রজন্ম কখনোই রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে পারে ন,ি অন্যদকিে এসব রাজনতৈকি ও সামরকি সংঘাতরে তথ্যাদি পরাজতিদরে প্রতপিক্ষরে ধারাবাহকিতায় আমাদরে নকিট পৗেঁছছে,ে সহেতেু এসব ঘটনার এবং তার ওপরে আরোপতি বশিষেণ সমূহরে যর্থাথতা ও অযর্থাথতা অত্যন্ত সর্তকতার সাথে পরীক্ষা করে দখো আমাদরে জন্যে অপরহর্িায।

সংক্ষপেে এই হলো আবু বকররে যুগরে মুরতাদদরে পরচিয়।

সাইফ কী বল?ে

এসব যুদ্ধ সর্ম্পকে সাইফ বন্ িওমর কী বল?ে

ত্বাবারী২৫ সাইফ্ থকেে উদ্ধৃত করছেনে ঃ আবু বকররে অনুকূলে যখন বাই‘আত অনুষ্ঠতি হলো তখন আরবরা সাধারণভাবে বা প্রতটিি গোত্রইে এককেটি দল মুরতাদ হয়ে গলেো।

তনিি সাইফ্ থকেে আরো উদ্ধৃত করছেনে২৬ ঃ কুফ্র্ গোটা ধরণীকে গ্রাস করে ফলেলো এবং লোকরো দ্বীন থকেে মুখ ফরিয়িে নলিো এবং কুরাইশ ও ছাক্বীফ্ ব্যতীত প্রত্যকে গোত্রইে হয় গোত্ররে সব লোক অথবা তাদরে মধ্যকার কতক লোক মুরতাদ হয়ে গলেো।

সাইফ্ কথতির্ ইতদিাদ্ সংক্রান্ত যুদ্ধ নয়িে বভিন্নি কাল্পনকি কাহনিী তরৈী করছে।ে তারীখে ত্বাবারীতে বক্ষিপ্তিভাবে এসব কল্পকাহনিী চোখে পড়।ে তার কল্পনার দৌড় ছলিো রূপকথার রচনাকারী ‘আন্তারাইবন্ শদ্দাদরে চাইতওে অনকে ব্যাপক। সাইফরে কল্পকাহনিীতে শুষ্ক মরুর বুকে পানরি ফোয়ারা প্রবাহতি হয়ে যায়, সমুদ্ররে পানরি ওপর দয়িে পথ তরৈী হয়ে যায়, পশুরা তাদরে সাথে কথা বল,ে ফলেশেতারা এসে তাদরেকে বভিন্নি বষিয় জানয়িে যায় ইত্যাদি যা অন্যান্য যুদ্ধ সংক্রান্ত কল্পকাহনিীতে দখো যায় না। সাইফরে কল্পকথার আরকেটি বশৈষ্ট্যি হচ্ছে এই য,ে জনসাধারণরে দ্বারা সমালোচতি সমকালীন সরকারী র্কতৃত্বশালী ব্যক্তদিরে প্রশংসা ও তাদরে সর্মথনে সে অনকে ভুয়া কথা তরৈী করছে।ে সাইফ্ কথতির্ ইতদিাদরে যুদ্ধ সর্ম্পকে যে সব কাহনিী রচনা করছেে এখানে আমরা তার রচতি র্“আ-ফুতূহ্ র্ওয়া-রদ্দিাহ্” পুস্তক থকেে (ত্বাবারী যা থকেে প্রচুর উদ্ধৃতি দয়িছেনে) এরূপ কয়কেটি কাহনিী উদ্ধৃত করবো যা থকেে তার কল্পকাহনিীর ধরন সুস্পষ্ট হয়ে যাব।ে

পাদটীকা ঃ

১. সূরাহ্ ইউসুফ ঃ ৯৬।

২. সূরাহ্ আলে ‘ইমরান ঃ ১০০।

৩. সূরাহ্ আল-মায়দোহ্ ঃ ৫৪।

৪. সূরাহ্ আল-বাক্বারাহ্ ঃ ২১৭।

৫. পরর্বতী কালে (হজিরী ২৫ সাল)ে খলীফাহ্ ওসমান আবদুল্লাহ্ বন্ িসা‘দ্কে মসিররে প্রশাসক নয়িোগ করনে এবং আবদুল্লাহ্ হজিরী ৩৪ সাল র্পযন্ত এ দায়ত্বিে থাক।ে হজিরী ৩৪ সালে সে খলীফাহ্ ওসমানরে সাথে সাক্ষাতরে জন্যে মদীনাহ্ রওয়ানা হয়ে যায় এবং সায়ব্ েবন্ িহশিাম্ ‘আমরেীকে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক নয়িোগ করে যায়। অতঃপর মুহাম্মাদ বন্ িআবি হুযাইফাহ্ তার বরিুদ্ধে অভ্যুত্থান করনে, ফলে আবদুল্লাহ্ বন্ িসা‘দ মদীনা থকেে ফরিে আর মসিরে প্রবশে করতে না পরেে ‘আসক্বালানে চলে যায়। সখোনে হজিরী ৫৭ বা ৫৯ সালে তার মৃত্যু হয়। (আল-ইস্ত‘িআব্, ২য় খণ্ড/ ৩৬৭-৩৭০, ক্রমকি ৪৭১১; আল-ইছাবাহ্, ২য় খণ্ড, পৃঃ ৩০৯-৩১০)

৬. আল-ইছাবাহ্, ১ম খণ্ড, পৃঃ ১১২-১২।

৭. প্রাগুক্ত।

৮. পৃঃ ২৫১।

৯. ইতপর্িূবে সাক্বীফাহ্র যে ঘটনা উল্লখিতি হয়ছেে তা থকেে এ ধারণারই যর্থাথতা প্রমাণতি হয়।

১০. ফন ফুল্টন প্রমুখ।

১১. আমাদরে মত,ে ড. হাসান ইবরাহীমরে এ ধারণা সঠকি ও যথষ্টে নয়। কারণ, এটা ভাবা অসম্ভব য,ে তৎকালীন মুসলমানগণ যাকাত-এর (যা একটি স্থায়ী ইবাদত) তাৎর্পয জানতনে না। বরং তাদরে পক্ষ থকেে যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতরি কারণ তা-ই ড. হাসান ইবরাহীম অন্যত্র ও আরো অনকেে যার সম্ভাবনা ব্যক্ত করছেনে। তা হচ্ছ,ে তারা আবু বকরকে খলীফাহ্ হসিবেে গ্রহণ করে নি এবং এ কারণইে তাঁর নকিট যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়।

১২. ড. হাসান ইবরাহীম এখানে ইসলাম বলতে ইসলামরে খলীফাহ্কে ক্ষুঝয়িছেনে যা তাঁর বক্তব্যরে ধারাবাহকিতা থকেে সুস্পষ্ট।

১৩. শামসুদ্দীন সারাখ্সী প্রণীত “মাব্সূত্ব” গ্রন্থরে র্পাশ্বটীকা, কায়রো থকেে প্রকাশতি, হজিরী ১৩২৪, ১০ম খণ্ড, পৃঃ ৯৮-১০০।

১৪.র্ শাহে কাবীর, বুলাক্ব থকেে প্রকাশতি, হজিরী ১৩১৯, র্৪থ খণ্ড, পৃঃ ২৭০; হাশয়িায়ে সুক্বী (সুক্বী লখিতি র্পাশ্বটীকা), র্৪থ খণ্ড, পৃঃ ২৬৭।

১৫. র্অথাৎ নারী হোক বা হজিড়া হোক।

১৬.র্ শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, হাশয়িায়ে বাজরামী, বুলাক্ব মুদ্রণ, হজিরী ১৩০৯।

কাশ্ফুল্ ক্বনিা‘ ‘আলা মাত্নল্ িইক্বনা‘, কায়রো থকেে প্রকাশতি, হজিরী ১৩১৯, র্৪থ খণ্ড, পৃঃ ১০০-১০৫।

১৮. মসির থকেে প্রকাশতি ইবনে ‘আবদেীন প্রণীত “রাদ্দুল্ মুহ্তার ‘আলাদ্র্ দুরল্ ের্মুখ্তা” গ্রন্থরে র্পাশ্বটীকার মুরতাদ বষিয়ক অধ্যায়।

১৯. আল্-বদিাইয়্যাহ্ ওয়ান্-নহিাইয়্যাহ্, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃঃ ৩১১।

২০. ২য় খণ্ড, পৃঃ ৪৭৪।

২১. আল্-বদিাইয়্যাহ্ ওয়ান্-নহিাইয়্যাহ্, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃঃ ৩১১।

২২. র্অথাৎ আবু বকররে পুত্র।

২৩. ২য় খণ্ড, পৃঃ ৪৮।

২৪. আরবী ভাষায় “বাক্র্” মানে হচ্ছে ‘বাচ্চা উট’, আর “ফাছীল্” মানওে ‘বাচ্চা উট’। তাই তারা আবু বকরকে তুচ্ছ করে “আবূল্ ফাছীল্” র্অথাৎ ‘বাচ্চা উটরে পতিা’ বলে উল্লখে করতো। অন্যদকিে “ফাহ্ল্” মানে ‘র্পূণ বয়স্ক পুরুষ উট’ ।

২৫. ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃঃ ৪৬১।

২৬. প্রাগুক্ত, পৃঃ ৪৭৫।...

...............চলবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.