নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়াহাবিরা ইসলামী নির্দশনগুলো ধ্বংস করলেও ইহুদি ও খ্রিস্টানদেরগুলো রক্ষা করছে!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২



১৭ আগস্ট (রেডিও তেহরান): আজ থেকে প্রায় প্রায় ৩০০ বছর আগে ওয়াহাবি মতবাদের প্রবক্তা আবদুল ওয়াহহাব নজদি সৌদ বংশের সহায়তা নিয়ে ইবনে তাইমিয়ার বিভ্রান্ত চিন্তাধারা প্রচার করতে থাকে। তার ভুল দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে নজদি অলি-আওলিয়ার উসিলা দিয়ে দোয়া করা, তাদের মাজারে মানত করা ও শ্রদ্ধা জানানোসহ অলি-আওলিয়ার মাজার ও কবর জিয়ারতের মত ইসলামের মৌলিক কিছু ইবাদত এবং আচার-অনুষ্ঠানকে হারাম ও শির্ক বলে ঘোষণা করেছিল। ফলে ওয়াহাবিরা মাজার ও পবিত্র স্থানগুলো ধ্বংস করে আসছে। শুধু তাই নয় নজদি তার চিন্তাধারার বিরোধীদেরকে কাফির ও তাদেরকে হত্যা করা ওয়াজিব বলে উল্লেখ করত।



অথচ বিশ্বনবী (সা.) নিজে কবর জিয়ারত করতেন এবং বিশেষ করে তাঁর মাতা হযরত আমিনা (সালামুল্লাহি আলাইহা)’র কবর জিয়ারত করতে ছুটে যেতেন। তিনি নিজের মায়ের কবরের পাশে কাঁদতেন। (আল মুস্তাদরাক, খণ্ড-১, পৃ.৩৫৭, মদিনার ইতিহাস, ইবনে শাব্বাহ, খণ্ড-১, পৃ.১১৮) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবী (সা.) বলেছেন, “তোমরা কবর জিয়ারত কর। এই জিয়ারত তোমাদেরকে পরকালের স্মরণে মগ্ন করবে।”



ওয়াহাবিরা আলে সৌদের বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণের ওপর নৃশংসভাবে গণহত্যা চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করত এবং জনগণকে ওয়াহাবি মতবাদ মেনে নিতে বাধ্য করত। প্রাথমিক পর্যায়ে যখন তাদের কেন্দ্রীয় শাসন ছিল না সে সময় ওয়াহাবিরা লুটপাট ও ডাকাতির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। শহরগুলোতে লুটপাটের পর সেইসব অঞ্চলের ওপর দখলদারিত্ব ধরে রাখার ক্ষমতা তখনও তাদের ছিল না। ওয়াহাবিরা বিশ্বনবী (সা.)’র পবিত্র মাজারে এবং কারবালায় হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) মাজারে হামলা চালিয়ে মূল্যবান অনেক সম্পদ, উপহার ও নিদর্শন লুট করেছিল।



ইসলামের পবিত্র ও ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো ধ্বংস করে ওয়াহাবিরা শুধু মুসলিম উম্মাহর হৃদয়কেই ক্ষত-বিক্ষত করেনি, একইসঙ্গে মানব সভ্যতার অবমাননার মত জঘন্য কলঙ্কও সৃষ্টি করেছে। কারণ, প্রত্যেক জাতি ও সভ্যতাই নিজের পুরনো ঐতিহাসিক চিহ্ন ও নিদর্শনগুলোকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে সংরক্ষণ করে। এ জন্য বিপুল অংকের অর্থ খরচ করে থাকে জাতিগুলো। অথচ ওয়াহাবিরা ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনগুলোও ধ্বংস করে দিচ্ছে যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মগুলো এইসব নিদর্শন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে। এটা ইসলাম ও মানব সভ্যতার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।



ওয়াহাবিরা অতীতেও জান্নাতুল বাকিতে হামলা চালিয়ে নিষ্পাপ ইমামদের মাজার ধ্বংস করেছিল। প্রথমবার তারা হামলা চালিয়েছিল হিজরি ১২২১ সালে (১৮০০ খ্রিস্টাব্দে)। (এ সময় হিজাজে সৌদি ওয়াহাবিদের গঠিত প্রথম বিদ্রোহী ও অবৈধ সরকারটি নির্মূল হয়েছিল তুরস্কের ওসমানিয় খেলাফতের মাধ্যমে। ) সে সময় ওয়াহাবিরা দেড় বছর ধরে মদীনাকে অবরুদ্ধ করে শহরটি দখল করতে সক্ষম হয় এবং বিশ্বনবী (সা.) পবিত্র মাজারের দামী পাথর ও সোনা-রূপাসহ মূল্যবান জিনিষগুলো লুট করে এবং জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে ধ্বংসযজ্ঞ ও লুটপাট চালায়। তারা পবিত্র মক্কায়ও হামলা চালিয়েছিল।



তারা ওই একই বছর কেবল বিশ্বনবী (সা.)’র মাজার ছাড়া মক্কা ও মদীনায় সব মাজার ধ্বংস করে। শ্রদ্ধার জন্য নয়, বরং জনগণের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে ও ভয়াবহ পরিণামের ভয়ে বিশ্বনবী (সা.)’র মাজার ধ্বংস করার সাহস তারা করেনি। ওয়াহাবিরা মক্কা ও মদিনার কাজি বা বিচারকদের অপসারণ করে সেখানে নিজেদের কাজি নিয়োগ করে। নবনিযুক্ত ওয়াহাবি কাজি বিশ্বনবী (সা.)’র মাজার বা কবর জিয়ারত থেকে জনগণকে বিরত রাখার চেষ্টা করতেন। মক্কা ও মদিনার জনগণকে জোর করে ওয়াহাবি মতবাদ মেনে নিতে বাধ্য করেছিল ওয়াহাবিরা।



ধর্মপ্রাণ সুন্নি ও শিয়া মুসলমানরা অর্থ ব্যয় করে আবারও জান্নাতুল বাকির মাজারগুলো পুনর্নির্মাণ করেন। কিন্তু ওয়াহাবিরা দ্বিতীয়বার মক্কা দখলের পর পর ১৩৪৪ বা ১৩৪৫ হিজরিতে তথা ১৯২৫ সালে মদীনা অবরোধ করে এবং প্রতিরোধাকামীদের পরাজিত করে এই পবিত্র শহর দখল করে। ওসমানিয় পুলিশদের শহরের বাইরে হটিয়ে দিয়ে এবারও তারা জান্নাতুল বাকিতে অবস্থিত নবী (সা.)- পরিবারের নিষ্পাপ ইমামদের মাজারসহ সব মাজার ধ্বংস করে এবং লুটপাট চালায়। মুসলমানরা এই দিনটিকে ইয়াওমুল আলহাদাম বা ধ্বংসের দিন বলে অভিহিত করেছেন।



ওয়াহাবিরা এখানে বিশ্বনবী (সা.)’র পিতা হযরত আবদুল্লাহ (আ.), পুত্র ইব্রাহিম (আ.), মুমিনদের নেতা আলী (আ.)’র স্ত্রী উম্মুল বানিন প্রমুখের মাজারও ধ্বংস করে। এ ছাড়াও তারা মদীনায় ওহুদ পাহাড়ের মসজিদসহ এখানে বিশ্বনবী (সা.)’র চাচা হযরত হামজা (আ.)’র মাজার এবং ওহুদের অন্যান্য শহীদ সাহাবিদের মাজার ধ্বংস করে। এখানে ১২ জন শহীদ ও সাহাবিদের মাজারের মধ্যে হযরত মুসআব বিন উমাইর (রা.), জাফর বিন শামস (রা.) ও আবদুল্লাহ বিন জাহাসের মাজার ছিল লক্ষণীয়।



লন্ডন-ভিত্তিক হিজাজের ঐতিহাসিক নিদর্শন বিষয়ক আন্তর্জাতিক গ্রুপ জানিয়েছে, সৌদি আরবে ইসলামী নিদর্শনগুলোর শতকরা ৯৫ ভাগই ধ্বংস করে ফেলেছে ওয়াহাবিরা। ইসলামের দুই প্রধান কেন্দ্র তথা মক্কা ও মদিনায় ইসলামের প্রধান নিদর্শনগুলোর বেশির ভাগই ধ্বংস করে ফেলেছে তারা। অথচ ওয়াহাবিরা হিজাজে তথা সৌদি আরবে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের নিদর্শনগুলো রক্ষা করছে! এটা খুবই বিস্ময়কর ও লক্ষণীয় বিষয়। যেমন, খায়বরের মারহাব দুর্গ রক্ষা করছে তারা। মারহাব ছিল মদিনার অন্যতম ইহুদি গোত্র-প্রধান ও পালোয়ান যে হযরত আলী (আ.)’র সঙ্গে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। এমনকি ওয়াহাবিদের প্রথম শাসনামলের দিকে নির্মিত খ্রিস্টানদের একটি গির্জাকে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে রক্ষা করছে ওয়াহাবিরা। অথচ বিশ্বনবী (সা.)’র পবিত্র স্মৃতি-বিজড়িত নিদর্শনগুলো ধ্বংস করছে তারা।



বিভিন্ন দলিল প্রমাণে দেখা গেছে ওয়াহাবিরা সৌদি আরবে, বিশেষ করে, মক্কা ও মদিনায় অলি-আওলিয়ার মাজার বা কবর ধ্বংসের পাশাপাশি তাদের অবমাননার জঘন্য ও দুঃখজনক পদক্ষেপও নিয়েছে। যেমন, ওয়াহাবিরা মক্কায় বিশ্বনবী (সা.)’এর স্ত্রী ও প্রথম মুসলমান উম্মুল মুমিনিন হযরত খাদিজা (সালামুল্লাহি আলাইহার) বাসভবনটিকে ধ্বংস করে সেখানে টয়লেট নির্মাণ করেছে। তারা ‘মৌলুদুন্নবি’ নামে খ্যাত বিশ্বনবী (সা.)’র জন্মের স্থানটিকে পশু রাখার স্থানে পরিণত করেছে।



কেউ কেউ বলে থাকেন যে সৌদি রাজ-পরিবার আসলে “দোমনেহ” নামের বিভ্রান্ত ইহুদিবাদী গোষ্ঠীর বংশধর। এই গোষ্ঠী ভণ্ড ইহুদিবাদী নবী ‘শাব্বিটি জিভি’র অনুসারী। তারা প্রকাশ্যে ইসলামের অনুসারী বলে দাবি করত। কিন্তু তারা বাস্তবে মদ্যপ ও নির্বিচার যৌনাচার বা যৌন অনাচারসহ নানা ঘৃণ্য কাজে অভ্যস্ত ছিল।

বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন এই ওয়েব সাইটের (রেডিও তেহরানের) নির্বাচিত প্রবন্ধ: “ইসলামী ঐতিহ্য ধ্বংসে সৌদি-ইসরাইলি তাণ্ডব : সৌদ বংশ ইহুদিবাদী?”



ওয়াহাবিদের নারকীয় তাণ্ডব আজও অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন তাদের অনুগত সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হচ্ছে ইরাক, পাকিস্তান ও সিরিয়ার নিরপরাধ নারী, পুরুষ ও শিশু। শুধু তাই নয় তারা লাশের অবমাননা করে কলিজা বের করে তা চিবিয়ে খেতেও দ্বিধা করছে না। মানুষ-খেকো এই ওয়াহাবিদের নৃশংসতা বিশ্বনবী (সা.)’র চাচা ও শহীদদের নেতা হযরত হামজার কলিজা-খেকো নারী হিন্দার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। হিন্দা ছিল ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু আবু-সুফিয়ানের স্ত্রী ও মুয়াবিয়ার মা তথা ইয়াজিদের দাদী।



আজ বিশ্বের মুসলমানদের সচেতন হতে হবে এবং মক্কা ও মদীনার মত পবিত্র শহরগুলো পরিচালনার দায়িত্ব থেকে ওয়াহাবিদের সরিয়ে দিয়ে তা মুসলমানদের প্রকৃত প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করতে হবে। #



সুত্রঃ

Click This Link

























মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মক্কা মুক্ত কর আন্দোলন কবে শুরু হবে?


ইসলামী নেতৃবৃন্দ কি এখনো মুখোশ আর ভেক ধরে থাকবে!!! নাকি তারা আল্লাহ এবং রাসূলের ওয়াদা হতে নিরাশ হয়ে গেছে???!!!!
নইলে কি তাদের কে বিরত করে রাখছে-সত্যের জন্য অস্ত্র ধারন থেকে!

এভাবে গোমরাহির সাথে ওআইসি সহ ইসলামী বিশ্ব নেতৃবৃন্দ চলে তারা কিভাবে রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে?

তাদের কি বিশ্বাস নষ্ট হয়ে গেছে?

তারা কি তবে মাহরুম হয়ে গেছে আল্লাহর ওয়াদা এবং প্রতিশ্রুতি থেকে???

হে আল্লাহ, যোগ্যদের হেদায়াত দান কর এবং নেতৃত্ব দান কর। যারা সত্য এবং মিথ্যাকে নির্মোহ পৃথক করতে সক্ষম হবে। এবং তোমার দুনিয়াতে তোমার বিধান কার্যকরী করতে সফল হবে।
নিশ্চয় তুমি মহাপরাক্রমশালী, অমূখাপেক্ষি, পরম দয়ালু দাতা।।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এটা ঠেকানোর কি কোন পথ আছে ? একমাত্র পথ হল সৌদি বাদশাহকে সিংহাসন থেকে নামানো। সেটা করতে পারে সৌদির জনগণ। কিন্তু মনে হয় না সৌদির জনগণ কখনও রাজপথে নামবে।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মুসলিমদের মধ্যে যখন হাজারটা মতভেদ, ঠাপাঠাপি লেগেই রয়েছে। তখন লালনের এই উক্তিটি
স্মরণ করা বাঞ্ছনীয়।

এক কানা কয়, আরেক কানারে
চলো আবার ভবো পাড়ে
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারংবার
-------------লালন ফকির

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩০

অন্য কথা বলেছেন: লেখক বলেছেন......... অলি-আওলিয়ার উসিলা দিয়ে দোয়া করা, তাদের মাজারে মানত করা ......... ইসলামের মৌলিক কিছু ইবাদত

এটা স্পষ্টতই বিদআত ।

মৃতরা কখনো কারো নাজাতের উসিলা হতে পারে না ।

আল্লাহ বলেন,

"বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ গায়বের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে।" (সূরা নামলঃ ৬৫)

"আপনি আহবান শোনাতে পারবেন না মৃতদেরকে এবং বধিরকেও নয়, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে চলে যায়।" (সূরা নামলঃ ৮০)


আল্লাহ আরও বলেছেন,

“আরও সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ শ্রবণ করান যাকে ইচ্ছা। আপনি কবরে শায়িতদেরকে শুনাতে সক্ষম নন।”। (সুরা আল ফাতিরঃ ২২)


তাই কোন পীর বা ইমাম যদি বলে মৃত বা কবরে শায়িত অলি আওলিয়ারা / পীর / ইমাম যে কাউকে বেহেশতে নিয়ে যেতে বা সুপারিশ করতে সক্ষম তা বিশ্বাস করা বড়ই গোনাহের কাজ । বিদআত ।

কুরআন এবং সুন্নাহ ছাড়া অন্য সব কিছুই বেদআত ।


আল্লাহ তাআলা বলেন -

"তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। নিশ্চিত এটি আমার সরল পথ। অতএব, এ পথে চল এবং অন্যান্য পথে চলো না। তা হলে সেসব পথ তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা সংযত হও।" (সূরা আনআম, আয়াত : ১৫৩)

"এটি এমন একটি গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ণ করেছি, খুব মঙ্গলময়, অতএব, এর অনুসরণ কর এবং ভয় কর-যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও।" (সূরা আনআম, আয়াত : ১৫৫)


অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে সব কিছু যখন বলে দিয়েছেন তখন ধর্মে নতুন কোন বিষয় সংযোজন বা বিয়োজন করার প্রয়োজন নেই। যে কোন ধরনের সংযোজন ও বিয়োজনই বিদআত বলে গণ্য হবে।

"হে ঈমানদারগণ, খেয়ানত করোনা আল্লাহর সাথে ও রসূলের সাথে এবং খেয়ানত করো না নিজেদের পারস্পরিক আমানতে জেনে-শুনে।" (সূরা আনফাল , আয়াত : ২৭)

"আর আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে।" (সূরা আনফাল , আয়াত : ৪৬)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন -

অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করাও। (সূরা নিসা, আয়াত : ৫৯)

"আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম।" (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৯)

"যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।" (সূরা নিসা, আয়াত : ৮০)

অর্থাৎ, যখন কোন বিষয়ে মত বিরোধ সৃষ্টি হবে তখন তার সমাধান আল্লাহ তাআলার কিতাব কুরআনুল কারীম ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসে খুঁজতে হবে। আল্লাহর বিধানে সমাধান না খুঁজে নিজেদের বা কোন পীরের পক্ষ থেকে যুক্তি দিয়ে কোন বিষয় সংযোজন ও বিয়োজন করা যাবে না। কুরআন-সুন্নাহর মূল ধারার বাইরে কোন ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যাবে না।

অতএব এটা পরিস্কার -

সত্য, সঠিক ও সরল পথ একটিই। আর তা হল ইসলাম। ইসলাম বলতেই কুরআন এবং সুন্নাহ । এ দুটো বাদ দিয়ে অথবা এ দুটোর পরিবর্তন বা সংযোজন অর্থই বিদআত । সত্য, সঠিক ও সরল নয়।

আল্লাহ তাআলা বলেন -

বল, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১)

অতএব, দেখা যাচ্ছে .........


(ক) দরগা ও মাজারে ওরশ করা টাকা পয়সা দেয়া, পশু জবাই করা বিদআত ।

(খ) মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করা, মৃত ব্যক্তির কাছে কিছু চাওয়া, মৃত ব্যক্তিকে পরকালের মুক্তির উছিলা করা, পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কুরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা করা এ বিশ্বাসে যে, মৃত ব্যক্তির জন্য উপকার হবে । এ সমস্ত কর্মকান্ডই বিদআত ।


বিদআত থেকে বাচার একমাত্র পথ হলো আল্লাহর কিতাব ও রাসুলের (সাঃ) সুন্নাত কে মজবুত ভাবে আকড়ে ধরা ।

রাসুল (সাঃ) বলেন ,
যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব মেনে চলে, সে দুনিয়ায় পথ ভ্রষ্ট হবে না, এবং পরকালেও সে হতভাগ হবে না (মিশকাত)।

রাসুল (সাঃ) আরো বলেনঃ আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতক্ষন তোমরা তা দৃঢ়ভাবে ধারন করে থাকবে, ততক্ষন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না, তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসুলের সুন্নাহ (মিশকাত) ।

আমাদের উচিত বিদআতী কর্মকান্ড পরিহার করে আল্লাহ,র কিতাব ও রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ আলোকে সঠিক আমল করে দুনিয়ায় ও আখেরাতের সাফল্য অর্জন করা । আমিন

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

চিকন আলি বলেছেন: অলি-আওলিয়ার মাজার ও কবর জিয়ারত ইসলামের মৌলিক ইবাদত এডা আপনারে কে কইছে.....???

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৬

ব্লগার রানা বলেছেন: ব।ল।দ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.