![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।
লেখকঃআল্লামা সাইয়েদ মুরতাজা আশকারী(রঃ)
অনুবাদকঃ মোঃ নিজামুল হক
লেখকের জীবনী
সাইয়্যিদ মোর্তাজা আশকারী ১৩৩২ হিজরী সালের ৮ই জমাদিউস সানি ইরাকের পবিত্র শহর সামারা-য় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হওজে (ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৩৫০ হিজরীর মুহাররম মাসে তিনি ইরানের পবিত্র কোম শহরে আসেন। তিনি ১৩৫৩ হিজরী পর্যন্ত এই শহরেই অবস্থান করেন।
কোম শহরে তিনি এবং তাঁর দুই বন্ধু, আয়াতুল্লাহ শেখ মোর্তাজা হায়েরি ও সাইয়্যিদ আহমাদ সাজ্জাদি, একসাথে মিলে ইসলামী আইনতত্ত্ব ও মূলনীতির উপরে বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য শিক্ষক ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে শিক্ষালাভ করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আয়াতুল্লাহ সাইয়্যিদ শেহাবুল দীন মারাশি নাজাফি এবং আয়াতুল্লাহ শেখ মুহাম্মদ হুসেইন শারিআত মাদার। আল্লামা আশকারী এছাড়াও ইমাম খোমিনি (রঃ)-এর কাছ থেকে আদর্শের উপরে বিভিন্ন কোর্স, শেখ মির্জা খলিল কামেরির কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাখ্যামূলক কোর্স এবং আয়াতুল্লাহ শেখ মাহদি শহিদি (রাজাভি স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা)-এর কাছ থেকে নীতিবিদ্যার উপরে বিভিন্ন কোর্সে শিক্ষাগ্রহণ করেন। এখানে লক্ষ্যণীয় যে আয়াতুল্লাহ শেখ মাহদি শহিদি দুই বছর রাজাভি স্কুলে কর্মরত ছিলেন। তারপর তিনি হওজে ফওজেহ-তে চলে যান। সত্যি বলতে, আল্লামা আশকারী-র ব্যক্তিত্ব গঠনে আয়াতুল্লাহ শহিদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, এবং তিনিই হলেন আল্লামা আশকারী-র প্রকৃত গুরু।
হওজের শিক্ষাপদ্ধতির মান উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ
হওজে-তে পড়াশোনা করার সময়ে আল্লামা আশকারী ঠিক করেন যে এখানে শিক্ষাদানের পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য তিনি এবং আরো কিছু উৎসাহী ছাত্র হওজের শিক্ষাদানের পদ্ধতি পালটানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যান। তাঁরা শিক্ষাপদ্ধতিকে এমন ভাবে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেন যাতে ইসলামী জাতি গঠনে একটি হওজে সর্বোচ্চ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে।
তাঁদের প্রস্তাবিত শিক্ষা কর্মসূচী বা কোর্সগুলির মধ্যে ছিলো ব্যাখ্যামূলক কোর্স, ধর্মীয় ব্যাখ্যা বা হাদীস কোর্স, ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর তুলনামূলক বিশ্লেষণধর্মী কোর্স, ধর্মীয় আইনতত্ত্ব ও মূলনীতির উপর কোর্স ইত্যাদি। প্রস্তাবিত শিক্ষাপদ্ধতির মধ্যে ছিলো: কিভাবে বক্তৃতা দিতে হয়, কিভাবে সঠিক উপায়ে লিখতে হয় ও সম্পাদনা করতে হয়, কিভাবে ধর্মীয় ছাত্রদের শিক্ষা দিতে হয়। এইসব শিক্ষাপদ্ধতিতে মুসলিমদের অবস্থানের উপরে বিভিন্ন গবেষণা করার উপরে জোর দেয়া হয়। এছাড়া আদর্শ মুসলিম সমাজ গড়ার লক্ষ্যে একটি মুক্তমনা ও শিক্ষিত ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ার উপরেও গুরুত্ব দেয়া হয়।
কোম-এর প্রসিদ্ধ ইসলামী ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র হওজে ইলমিয়াহ-এর প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ উজমা শেখ আবদুল করিম হায়েরি যখন এই হওজের দায়িত্বে ছিলেন, তখন এই সিদ্ধান্তগুলি নেয়া হয়।
এরপর আল্লামা আশকারী তাঁর নিজ শহর ইরাকের সামারা-য় ফিরে আসেন। এখানে তিনি ১৩৬৬ হিজরী পর্যন্ত আয়াতুল্লাহ শেখ হাবিবুল্লাহ এশতেহারদি-র কাছে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে ‘আল কিফায়া’ স্তর পর্যন্ত শিক্ষালাভ করেন। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তাঁর পড়াশোনা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
স্বীয় জ্ঞান ও কর্মে ভাস্বর
মাত্র পনেরো বছর বয়স থেকেই আল্লামা আশকারী ইতিহাস ও বিশ্ব পর্যটকদের ভ্রমনকাহিনীর উপরে দারুন আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এর ফলশ্র“তিতে তখন থেকেই তিনি এইসব বিষয়ে তাঁর যে কোনো সহপাঠীর চাইতে অনেক বেশি জানতেন। এরপর তিনি তামাক আইনের উপর আয়াতুল্লাহ সিরাজি-র ছাত্রদের লেখা বিভিন্ন বই এবং সে সময়ে পশ্চিমাদের ডায়েরিতে লেখা মুসলিম দেশগুলি সম্পর্কে তাদের মনোভাব পড়ে ইসলামী দেশগুলিতে ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের প্রকৃতিটা উপলব্ধি করতে পারেন। তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে তিনি এই ঔপনিবেশিকদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কুচক্রী উদ্দেশ্যটি ধরে ফেলেন এবং সেটা সবার সামনে প্রকাশ করে দেন। ইসলামী দেশগুলির উপর ঔপনিবেশিকতাবাদের সরাসরি আগ্রাসন এখন বন্ধ হয়ে গেলেও বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসন বন্ধ হয়নি, পরোক্ষভাবে এখনো তা অব্যহত আছে। তিনি দেখেছেন কিভাবে ইসলামের সাথে আধুনিক পশ্চিমা মূল্যবোধের মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছে, আর দেখেছেন ইসলামকে এমন বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার ফলে ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর কি ভয়ংকর প্রভাব পড়েছে।
আল্লামা আশকারী হলেন ইরাকের প্রথম দিককার ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একজন যিনি ইসলামী দেশগুলোতে বিদেশী পরামর্শক প্রণীত শিক্ষা কর্মসূচীগুলির আসল উদ্দেশ্যটা ধরতে পারেন। বহু গবেষণা করার পর তিনি জার্মান, ফ্রান্স, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষা কর্মসূচী ও পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তুর সাথে অন্যান্য অনুন্নত দেশের শিক্ষা কর্মসূচী ও পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তুতে যে বিশাল পার্থক্য আছে, সেটা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন।
এসব পার্থক্য দেখে তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে এরকম শিক্ষা কর্মসূচী আর শিক্ষা পদ্ধতি মুসলিম দেশগুলির অনগ্রসরতার পেছনে একটি অন্যতম প্রধান কারন। তিনি তাঁর স্কুলের নামকরন করেন “ভবিষ্যত চাকুরিজীবি প্রস্তুতির কারখানা”, কারন সেসময় স্কুলগুলোতে কর্মকর্তা স্তরের একটি নতুন শ্রেণীর উদ্ভব হয়, যারা বিনা বাক্যব্যয়ে পশ্চিমা প্রভুদের যে কোনো হুকুম তামিল করতে প্রস্তুত ছিলো।
আল্লামা আশকারী বিভিন্ন হওজে এবং আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাবও লক্ষ্য করেন। এই দুইটি প্রতিষ্ঠানই হলো কোনো ইসলামী সমাজের মেরুদন্ড। হওজের ছাত্রদেরকে শুধুমাত্র এভাবেই শিক্ষা দেয়া হতো যাতে তারা ইসলামী বিশেষজ্ঞ হতে পারে, আর ভবিষ্যতে সেই হওজে-তে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পশ্চিমা রীতি মেনে চলতো আর ইসলামী সমাজের কাছে একেবারেই অপরিচিত ছিলো।
এই নিষ্ক্রিয়তাকে দূর করার জন্য, আর এই বিচ্ছিন্নতা ও দূর্বলতাকে কাটানোর জন্য একটা আন্দোলন প্রয়োজন ছিলো। আল্লামা আশকারী তাঁর আন্দোলন শুরু করলেন। ঠিক সেসময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতাও ইরাকে এসে পৌঁছায়। আন্দোলনের প্রথমদিকে তিনি বিভিন্ন সভার মাধ্যমে মানুষকে এ ব্যাপারে জানাতে শুরু করেন।
এ সময় দেশের তরুণ সমাজকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে তিনি নিজে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলের পাঠদান পদ্ধতিও তিনি নিজেই পরিকল্পনা করেন। পরবর্তীতে এই স্কুলকে তাঁর বৃহত্তর পরিকল্পনার একটা অংশ হিসেবে উপস্থাপন করেন। এই স্কুলে শেখ মির্জা নাজমুদিন শরিফ আশকারী, শেখ হাসান কামেলি, সাইয়্যিদ জাফর শাহরাস্তানি এবং শেখ মাহদি হাকিমের মতো বিখ্যাত বিশেষজ্ঞরা শিক্ষাদান করেছেন।
আল্লামা আশকারী তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে গত শতাব্দীর অন্যান্য সমাজ সংস্কারকদের মতোই বেশ কিছু গোঁড়া ও প্রাচীনপন্থী বাধার মুখোমুখি হন। সেসময় তিনি ইসলামী দেশগুলিতে পাশ্চাত্য সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের উপর একটি বই লেখেন। সেখানে তিনি এই আগ্রাসনকে প্রতিহত করার বিভিন্ন পদ্ধতিও আলোচনা করেন। সেই পদ্ধতিগুলোর কয়েকটা নীচে দেয়া হলো।
(ক) আধুনিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সেখানে তরুন সমাজকে শিক্ষিত করে তোলা এবং ইসলামী সংস্কৃতি ও শিক্ষার সাথে তাদের পরিচিত করে তোলা।
(খ) øাতক পর্যায়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম ধর্মের উপর বিশেষজ্ঞ গড়ে তোলা, যাতে করে তারা সমাজে তাদের জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে পারে।
(গ) ইসলাম ধর্মের উপর বিভিন্ন বই ও সাময়িকী প্রকাশ করা।
বইটা লেখা শেষ হলে তিনি বইটার নাম দেন ‘সামাজিক ব্যধি এবং তার প্রতিকার’।
এরপর তিনি ইরাকে ফিরে যান। সেখানে পবিত্র কাজেমিয়ান শহরে তিনি ইসলামী সংস্কৃতির সাহায্যে এই সামাজিক ব্যধিগুলো প্রতিকার করেন। ‘ইসলামের বিবর্তন’ বইটির লেখক প্রফেসর আহমাদ আমিন তখন এই শহরে এসেছিলেন। আল্লামা আশকারী সেসময় প্রফেসরকে তাঁর লেখা একটি বই উপহার দিয়েছিলেন। ১৩৬৩ হিজরীতে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎকারে এই দুই মহান বিশেষজ্ঞ ঠিক করেন যে, তাঁরা একটি প্রিপারেটরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করবেন। আল্লামা আশকারীর আগ্রহ আর উৎসাহে প্রয়াত আহমাদ আমিন নিজেই এই স্কুলটির অবকাঠামোর পরিকল্পনা করেন। অবশেষে কাজেমিয়ানে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলটির নামকরন করা হয় ‘মুনতাদা আল নাসর’।
এর পরে সরকারের অনুমতি পাওয়ার জন্য স্কুলটিকে নাজাফের প্রকাশনা কেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত করা হয়। স্কুল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারটি নিশ্চিত হওয়ার পরে আল্লামা আশকারী সামারা-য় ফিরে আসেন। তবে আহমাদ আমিন কাজেমিয়ানে বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে পড়লে তিনি আবারো আল্লামা আশকারীকে সেখানে আসার আমন্ত্রণ জানান। তিনি আল্লামা আশকারীকে স্কুলটির দায়িত্ব নিয়ে সমাজে ইসলামী সং¯কৃতি ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান।
সঠিকভাবে স্কুলটির একটি অবকাঠামো প্রনয়ণ করা ছিলো তাঁদের পরিল্পনার প্রথম অংশ। এই অংশটি সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ার পরে আল্লামা আশকারী তাঁদের পরিকল্পনার দ্বিতীয় অংশ বাস্তবায়নে উদ্যোগী হন। সেটা হলো, এরকম একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুমতি জোগাড় করা। পরবর্তীতে বাগদাদে এমন একটি ধর্মীয় স্কুল খোলা হয়, যেখানে ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে ছাত্রদের ইসলামী বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর আল্লামা আশকারী তাঁর ধর্মীয় জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেন। সামারা’য় ফিরে গিয়ে তিনি তাঁর শিক্ষক আয়াতুল্লাহ এশতেহারদির কাছে ধর্মীয় আইনতত্ত্বের উপর শিক্ষালাভ করেন।
ইতোমধ্যে তিনি ইসলামের ইতিহাসের উপর বেশ কিছু বই লেখেন এবং সম্পাদনা করেন। তিনি ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে আব্বাসীয় শাসনামল পর্যন্ত ইসলামী ধ্যান-ধারণার বিবর্তন আর পরিবর্তনগুলিকে বেশ কিছু অংশে বিভক্ত করেন।
এসময় গবেষণা করতে গিয়ে তিনি চরম বাধার সম্মুখীন হন। আল্লামা আশকারীর গবেষণার ফলে বেশ কিছু হাদীস তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, যেগুলির বর্ননাকারী ছিলেন উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা, আবু হুরায়রা, ইবনে আব্বাস, আউন ইবনে মালিক প্রমুখ। আর এই হাদীসগুলি মুসলিমদের বেশির ভাগের কাছেই গ্রহণযোগ্য ছিলো। আল্লামা আশকারীর গবেষণার ফলাফল নিখুঁত ছিলো, কারন তাঁর দেয়া প্রমানগুলো ছিলো একেবারে অকাট্য । এখানে বর্ণিত বেশির ভাগ হাদীসই ছিলো ভিত্তিহীন, যেগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিলো ‘আবদুল্লাহ বিন সাবা’ ও ‘একশো পঞ্চাশজন মিথ্যা সহযোগী’ থেকে।
আল্লামা আশকারীর এই গবেষণার ফলে দেখা গেলো যে, মুসলিম উম্মাহ শত শত বছর ধরে যেগুলো সত্যি বলে জানতো, তার অনেক কিছুই তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। এসময় তিনি আল তাবারি ও অন্যান্য বিখ্যাত ঐতিহাসিকদের বলা কথাগুলোকেও সমর্থন করেননি। ১৩৭৫ হিজরীতে আল্লামা আশকারীর লেখা ‘আবদুল্লাহ ইবনে সাবা’ এবং ‘ডঃ আলওয়ার্দির সাথে’ বই দুইটি প্রকাশিত হয়।
পড়াশোনা আর লেখালেখির পেছনে বেশির ভাগ সময় ব্যয় করলেও আল্লামা আশকারী কখনোই ধর্মীয় আর সমাজ সেবামূলক কাজ থেকে সরে আসেননি। এসময় তিনি বেশ কয়েকটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হওজে প্রতিষ্ঠা করেন। তখন প্রচুর বাধা-বিপত্তি আসলেও তিনি সেগুলোকে আমলে নেননি। কিছুদিন পরে তিনি ইরানে চলে যান এবং বিখ্যাত ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যিদ আগা হুসেইন বুরুজেরদি (রঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করেন। এসময় তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে কোম শহরে একটি হওজে প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং আল্লামা আশকারী হবেন তার প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
তবে ইরানে সে সময় চরম রাজনৈতিক গোলাযোগ চলছিলো। তখন আয়াতুল্লাহ কাশানি ও তাঁর অনুসারীদের সাথে ডঃ মুসাদ্দিক ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌঁছালে আল্লামা আশকারী ইরাকের কাজেমিয়ানে ফিরে আসতে বাধ্য হন। তিনি সেখানে একটি হওজে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেশ কিছু লোকের বাধার ফলে তাঁর সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি। তারপর তিনি ‘ইমাম কাজিম (আঃ) স্কুল’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ১৯৬৮ সালের ১৪ই জুলাই ইরাকে অভ্যুত্থান হওয়ার আগে পর্যন্ত এই স্কুলটি চালু ছিলো।
ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন
অভ্যুত্থানের পরে ইরাকে কমিউনিস্ট পার্টি ও বাথ পার্টির মতো বেশ কিছু ধর্ম নিরপেক্ষ দল সক্রিয় হয়ে উঠলো। একই সাথে খ্রীষ্টান মিশনারীদের আগ্রাসনও বেড়ে গেলো। খ্রীষ্টান ধর্ম প্রচারের জন্য তারা ইনস্টিটিউট অভ চ্যালডিয়ান নানস্ (রাহেবাত আলকালদান) ও ইনস্টিটিউট অভ ভার্জিন মেরি নানস্ (রাহেবাত মারিয়াম আল-উজরা)-এর মতো বেশ কিছু স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। আল্লামা আশকারী তখন নাজাফ ও বাগদাদে তাঁর বন্ধু ও সমর্থকদের নিয়ে প্রয়াত আয়াতুল্লাহ সাইয়্যিদ মুহসিন হাকিমের সরাসরি তত্ত্বাবধানে রাজনৈতিক দলগুলি আর মিশনারীদের এই প্রবল আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করেন। ধর্মীয় দায়িত্বের পাশাপাশি আল্লামা আশকারী রাজনৈতিক দায়িত্ব নিতেও বাধ্য হন। এ কারনে তিনি বাগদাদের আল বায়াহ ও পূর্ব কারাদেহ অঞ্চল পরিদর্শন করেন। তিনি ও তাঁর সমর্থকরা এই অঞ্চলকে তাঁদের আন্দেলনের কেন্দ্র হিসেবে ধরে কাজ শুরু করেন এবং গোটা বাগদাদ শহরকে পরিবর্তনে সচেষ্ট হন।
ইসলামী আন্দেলনের শুরু হয়েছিলো ‘হুসাইনিয়াহ’ (যেখানে ইমাম হুসেইন শহীদ হয়েছিলেন) থেকে। আল্লামা আশকারী থাকাকালীন সময়ে ডঃ দাউদ আল আত্তারের নেতৃত্বে একদল ধর্মীয় ছাত্র ইমাম হুসেইনের জন্য বিলাপ করতে করতে কাজেমিয়ানের ইমাম কাজিম স্কুল এবং ইমাম কাজিম (আঃ)-এর মাজারে প্রবেশ করেন। পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যেই এই আন্দোলনটা গতি লাভ করেছিলো।
এই ইসলামী আন্দোলনে যে আল্লামা আশকারীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিলো, সে কথা অনস্বীকার্য। এই আন্দোলন তারপর বাগদাদ, কারবালা, নাজাফের বিভিন্ন মাজার এবং নবী ও ইমামদের বাসস্থান থেকে গোটা ইরাকে ছড়িয়ে পড়ে।
আল্লামা আশকারীর বিশ্বাস ছিলো যে এই আন্দোলনের ধারাটা অব্যহত থাকবে। ইসলামী কোনো আন্দোলন তখনই সফল হবে, যখন এর দায়িত্ব নেবে কোনো ইসলামী দল। অজ্ঞ কোনো লোক দায়িত্বে থাকলে এই আন্দোলন সফল হবেনা। তাছাড়াও, এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরী হওয়া উচিত না। ফলশ্র“তিতে সাইয়্যিদ হেবাতুল দিন শাহরাস্তানি ‘ইসলামী দাতব্য সংস্থা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং হেবাতুল দিন শাহরাস্তানির পরে আল্লামা আশকারী এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হন। এর আগে আল্লামা আশকারী আরেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন, যার নাম ছিলো ‘ইসলামী পথ নির্দেশনার সমিতি’। কিন্তু সেখানে প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাথে দ্বিমত হওয়ায় তিনি সেই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে এসেছিলেন।
‘ইসলামী দাতব্য সংস্থা’-র প্রধান হওয়ার পর আল্লামা আশকারী বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেন। এই সংস্থাটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে বেশ কিছু ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলি থেকে বের হয়ে আসলো ধর্মীয় কাজে আগ্রহী এক নতুন প্রজন্ম, যারা মুসলিম সমাজের কঠিন দায়িত্বগুলো পালন করেছিলেন এবং ইরাকের পবিত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এইসব ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রের কয়েকটির নাম নীচে দেয়া হলো।
ক্স বাগদাদের পূর্ব কারদেহ অঞ্চলে ইমাম জাওয়াদ স্কুল। এখানে পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ডঃ দাউদ আল আত্তার।
ক্স বাগদাদ স্কুল, বাগদাদ। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল রহিম শাওকি।
ক্স রওজাত আল-জাহরা। শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র।
ক্স কাজেমিয়ানে মহিলাদের জন্য আল-জাহরা স্কুল। শিশু ও মহিলাদের জন্য এই স্কুল দুইটির দায়িত্বে ছিলেন প্রয়াত শহিদ বিনতে-আল-হুদা সাদর। তিনি ছিলেন আয়াতুল্লাহ শহিদ সাইয়্যিদ মুহাম্মদ বাকের সাদর-এর বোন।
ক্স বসরা প্রদেশে ইমাম সাদিক স্কুল। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলো বসরা’র ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন সাইয়্যিদ মুহাম্মদ আবদুল হাকিম।
ক্স হেল্লা’য় ইমাম বাকির স্কুল। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শেখ আলী সামাকেহ।
ক্স দিওয়ানিয়েহ-এ ইমাম হাসান হাই স্কুল। এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শেখ মুহাম্মদ মাহদি শামস এবং পরিচালনার দায়িত্বে ছিলো ‘ইসলামী দাতব্য সংস্থা’।
ক্স কুত প্রদেশের নুমানিয়েহ অঞ্চলে মহিলা শিক্ষাকেন্দ্র। এই কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সাইয়্যিদ কাশিম শোবা এবং দায়িত্বে ছিলো ‘ইসলামী দাতব্য সংস্থা’।
আল্লামা আশকারীর বিভিন্ন সামাজিক অবদানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৩৮২ হিজরীতে বাগদাদের পূর্ব কারাদেহ অঞ্চলে ‘মোস্তোসেফ আল-রিয়ায়েহ’ নামে একটি ইসলামী স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা। কাজেমিয়ান অঞ্চলেও ধর্মীয় ছাত্র, মাজারে আসা লোকজন ও গরীব মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি একই নামে আরেকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ‘ইমাম হুসেইন হসপিটাল’ নামে একটি সুপরিসর হাসপাতাল নির্মানের কথাও চিন্তা করেছিলেন।
তবে আল্লামা আশকারীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ১৩৮৪ হিজরীতে বাগদাদে একটি ধর্মীয় স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। এই স্কুলটি ছিলো তাঁর একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যেখানে গড়ে উঠবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
এসময় দেশের ক্ষমতায় আসলো বাথ পার্টি। কাফির এই বাথ পার্টিকে প্রতিরোধ করতে আয়াতুল্লাহ হাকিম (রঃ)-এর নেতৃত্বে আল্লামা আশকারীসহ বহু লোক আন্দোলনে নেমে পড়েন। বাথ পার্টি আল্লামা আশকারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করলে ১৩৮৯ হিজরীতে তিনি ইরাক থেকে লেবাননে চলে যান। লেবাননে তিনি সর্বোচ্চ ইসলামী শিয়া পার্লামেন্টের প্রধান সাইয়্যিদ মুসা সাদর, এবং মুহাম্মদ হুসেইন ফজলুল্লাহ ও শেখ মুহাম্মদ মাহদি শামস আল দীন-এর সাথে একত্রিত হয়ে ইরাকী জান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যহত রাখেন। এরপর ইরাকী জান্তা তাঁকে লেবানন থেকেই গ্রেফতার বা অপহরণের চেষ্টা চালায়। তখন তিনি ইরানে চলে যান।
এখনো আল্লামা আশকারী তাঁর বার্ধক্যকে উপেক্ষা করে বেশির ভাগ সময় তাঁর মূল্যবান প্রকাশনার কাজেই ব্যয় করেন। তাঁর অধিকাংশ লেখাই এখনো প্রকাশিত হয়নি। তারপরও তিনি এখনো বিশ্বের সা¤প্রতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন। ইসলাম ধর্মকে রক্ষার জন্য আর ইসলামী ঝান্ডাকে সমুন্নত রাখার জন্য এখনো তিনি অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন।
ইরানে আল্লামা আশকারীর বেশির ভাগ সময় কাটে লেখাপড়া, গবেষণা আর প্রকাশনার কাজে। তাঁর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবদানের মধ্যে কয়েকটি নীচে উল্লেখ করা হলো।
ক্স ১৩৯৮ হিজরীতে ইসলামী বৈজ্ঞানিক সভা প্রতিষ্ঠা।
ক্স বিভিন্ন হওজে-তে পাঠ্যবইয়ের প্রণয়ন ও প্রকাশনা। এই বইগুলির মধ্যে রয়েছে
১) তালিম আল-লুগা আরাবিয়াহ (কিভাবে আরবী ভাষা শেখাতে হয়)।
২) আল-আমসালেহ ওয়া সারফ মীর।
৩) আল-তাসরিফ।
৪) আল হেদায়াহ ফি আল-নাহাভ।
৫) গাওয়ায়্যিদ আল-এমলাহ।
৬) তাহজিব আল-বালাগাহ।
৭) আল-মানতিক ওয়া মানাহেজ- আল বাত আল-ইলমি।
৮) তাহজিব শারহ ইবন আকিল (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
৯) তাহজিব আল-মোগনি।
১০) মুনতাখাব হেলিয়াত আল-মুতাকিন।
১১) আল-মানহাদ আল-মুকতারাহ লিসানাওয়াত আল-আরবা।
আল্লামা আশকারীর প্রকাশিত কিছু বইয়ের নাম নীচে দেয়া হলো।
ক্স পবিত্র কোরান নিয়ে গবেষণা - তিন খন্ড
১) নবী মুহাম্মদ (সঃ)-এর সময়ে এবং পরবর্তীতে পবিত্র কোরান।
২) পবিত্র কোরান ও ধর্মীয় বর্ণনা (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
৩) পবিত্র কোরান ও আহলে বায়াতের বর্ণনা (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
ক্স ইসলামী তত্ত্বের উপর গবেষণা (ইসলামের শিক্ষা)
১) ইসলামের শিক্ষা (প্রকাশিত)।
২) ইসলামের উপদেশ ও আদেশ (প্রকাশিত)।
৩) মুনতাখাব আল-আদিয়াহ (নির্বাচিত প্রার্থনা)- প্রকাশিত।
৪) ইমামদের নিয়ম (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
৫) সরকারী নিয়মের মধ্যে ইসলামের রাজনীতি (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
৬) পবিত্র কোরানে ইসলামী ধারণা - তিন খন্ড।
ক) সৃষ্টির প্রথম দিন থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত ইসলামী ধারণা (প্রকাশিত)।
খ) নবী ও ইমামদের ব্যবহার ও চরিত্র (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
গ) সর্বশেষ ধর্মীয় আইন। (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
ক্স মাআলিম আল-মাদরাসাতায়ান (দুইটি স্কুলের আদর্শ): দুই খন্ড
১) নবীজী (সঃ) ও ইমাম (আঃ) গণের সহচরদের উপর গবেষণাপত্র।
২) ইসলামের ধর্মীয় আইনতত্ত্বের উপর গবেষণাপত্র।
৩) নবীজী (সঃ)-এর ঐতিহ্যের পূনর্জাগরণে ইমাম হুসেইনের প্রভাব।
৪) এই দুইটি স্কুলে লালিত বিভিন্ন আদর্শ, মোঙ্গলদের সাথে সংঘর্ষ এবং নবীজী (সঃ)-এর পরিবারবর্গের উপর দ্বিতীয় হিজরী থেকে শুরু করে দ্বাদশ হিজরী পর্যন্ত আনা বিভিন্ন অভিযোগের উপর গবেষণাপত্র (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
ক্স নবীজী (সঃ)-এর ঐতিহ্যগুলিকে বিভিন্ন ভুল বর্ণনা থেকে মুক্ত করে বিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে রচিত বিশ্বকোষ
১) উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রঃ) বর্ণিত হাদিস। তাঁর জীবনের বর্ণনা। খন্ড ১ (প্রকাশিত)।
২) উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রঃ) বর্ণিত হাদিস। তাঁর বর্ণনার বিশ্লেষণ। খন্ড ২ (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
৩) আবদুল্লাহ বিন সাবা এবং অলীক গল্প। খন্ড ১ (প্রকাশিত)।
৪) আবদুল্লাহ বিন সাবা এবং অলীক গল্প। খন্ড ২ (প্রকাশিত)।
৫) আবদুল্লাহ বিন সাবা এবং তার অলীক গল্প। খন্ড ২ (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
৬) একশো পঞ্চাশজন মিথ্যা সহযোগী; যেমন গামিম। খন্ড ১ (প্রকাশিত)।
৭) একশো পঞ্চাশজন মিথ্যা সহযোগী, যাদের মধ্যে অন্য গোত্রের মানুষও আছে। খন্ড ২ (প্রকাশিত)।
৮) একশো পঞ্চাশজন মিথ্যা সহযোগী । খন্ড ৩ (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
৯) অশুদ্ধ বর্ণনা (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
১০) বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও মিথ্যাবাদী (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
১১) ইসরায়েলীদের বর্ণনা এবং নাস্তিক ও অতিরঞ্জকদের বর্ণনা (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
১২) নবীজী (সঃ) এবং তাঁর পরিবারবর্গের ব্যবহার ও চরিত্র।
১৩) সেইসব সহচরদের জীবনী যারা নবীজী (সঃ)-কে দেখেছেন এবং তাঁর কথার উদ্ধৃতি দিয়েছেন (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
১৪) সেইসব সহচরদের জীবনী যারা নবীজী (সঃ)-কে দেখেছেন এবং কিন্তু তাঁর কথার উদ্ধৃতি দেননি (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
১৫) সেইসব সহচরদের জীবনী যারা নবীজী (সঃ)-কে দেখেননি এবং তাঁর কথার উদ্ধৃতিও দেননি (প্রকাশিত হওয়ার পথে)।
ক্স ইসলামের শিক্ষাকে অক্ষুণœ রাখার ক্ষেত্রে ইমামগণের ভূমিকার উপর ফারসিতে লেখা কিছু বই
১) ইসলামী পরিভাষা (আরবীতে অনুবাদ করা)।
২-৭) ইসলাম ধর্ম আসার আগে ও পরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৮) ইসলাম আসার আগে আরবের সমাজ ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ।
নবীজী (সঃ)-এর ব্যবহার ও চরিত্রের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ।
৯) নবীজী (সঃ)-এর পরে ইসলামের ঐতিহ্য।
১০) ইসলামের বিভিন্ন উপদল।
১১) দুইটি স্কুলের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইমামত (নেতৃত্ব): নবীজী (সঃ)-এর আদেশ, আদেশ পালনকারী এবং ইসলামের নেতৃবৃন্দ ও রক্ষাকারীগণ।
১২) দুইটি স্কুলের দৃষ্টিভঙ্গিতে তাওহিদ বা এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস।
১৩) বিভিন্ন ইসলামী পরিভাষার ব্যাখ্যা।
১৪) নবীজী (সঃ)-এর ঐতিহ্য বা সুন্নতসমূহের পূনর্জাগরণে ইমামগণের দায়িত্ব।
চলবে...............
©somewhere in net ltd.