নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমামত

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আয়াতুল্লাহ মুঃ তাকী মিসবাহ ইয়াজদী

(ইমামতঃশিয়া ও সুন্নীর মধ্যে অন্যতম পার্থক্যের বিষয়)

আগের লেখার লিঙ্কঃ

Click This Link

ইমামের নিয়োগ

আগের পাঠে আমরা আলোচনা করেছি যে,পবিত্র ইমামের নির্বাচন ছাড়া,নবুয়তের পরিসমাপ্তি আল্লাহর প্রজ্ঞার পরিপন্থী।প্রকৃতপক্ষে বিশ্বজনীন ও চিরন্তন ধর্ম ইসলামের পরিপুর্নতা এর সাথে সম্পর্কিত যে,মহানবীর(সাঃ) পর তাঁর এমন সকলযোগ্য উত্তরসুরী নির্বাচিত হবেন,যারা নবুয়ত ও রিসালাত ছাড়া মহানবীর(সাঃ) সকল ঐশী মর্যাদার অধিকারী হবেন।

এ বিষয়টিকে পবিত্র কোরানের আয়াতসমুহ এবং শিয়া সুন্নী উইউজার তাফসীরে বর্নিত অসংখ্য রেওয়ায়েতের মাধ্যমে প্রমান করা যায়।

উদাহরনস্বরুপ সুরা মায়িদাহর ৩য় আয়াতটির কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছেঃ

“আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীন পুর্নাংগ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পুর্ন করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম।“

এই আয়াতটি মহানবীর(সাঃ) ইন্তেকালের কয়েক মাস আগে বিদায় হজ্জ্বের সময় অবতীর্ন হয়েছে বলে মোফাসসেরগন একমত হয়েছেন।ইসলামের কোন ক্ষতি করতে গিয়ে কাফেররা হতাশ হয়ে পড়েছে এ কথাটির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে উল্লেখিত আয়াতটির আগেই।যথাঃ

“আজ কাফিররা তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্বাচরনে হতাশ হয়েছে.......”

তারপর গুরুত্ব সহকারে বলা হয়েছে যে,আজ তোমাদের দ্বীনকে পরিপুর্ন এবং আমার অনুগ্রহ সম্পুর্ন করলাম।উপরোক্ত আয়াতটি অবতীর্ন হওয়ার স্থান,কাল ও পাত্রের উপর বর্নিত অসংখ্য রেওয়ায়েতের আলোকে সুষ্পষ্ট রুপে প্রতীয়মান হয় যে,এ পরিপুর্নতা ও সম্পুর্নতা,যা ইসলামের ক্ষতি করতে কাফেরদের হতাশার সাথে সংশ্লিষ্ট তা মহানবীর(সাঃ) উত্তরসুরী নির্বাচনের মাধ্যমে বাস্তব রুপ লাভ করেছে।কারন ইসলামের শত্রুদের প্রত্যাশা ছিল মহানবীর(সাঃ) ইন্তেকালের পর(যেহেতু তাঁর কোন পুত্র সন্তান ছিল না) ইসলামের কোন পৃষ্টপোষক থাকবে না এবং ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে বিলুপ্তিতে পতিত হবে।কিন্তু তাঁর উত্তরাধিকারী নির্বাচিত হওয়ায় ইসলাম ধর্ম এর পরিপুর্নতা ও ঐশী অনুগ্রহের সম্পুর্ন্তায় পৌছেছে।ফলে কাফেরদের সকল আশা ভস্মীভুত হয়েছে(এ আয়াতের বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য ‘ তাফসীর আল মিজান’ দ্রষ্টব্য)।

আর এর ঘটনাপ্রবাহ ছিল এরুপঃ মহানবী(সাঃ) বিদায় হজ্জ্ব

থেকে ফেরার পথে ‘গাদীরে খুম’ নামক স্থানে সকল হাজীদের একত্রিত করলেন এবং বিস্তারিত বক্তব্য দেয়ার পর উপস্থিত লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ

“ ওহে আমি কি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের উপর বেলায়েত(কর্তৃ্ত্ব) প্রাপ্ত নই”?( ইঙ্গিত করা হয়েছে সুরা আহযাবের ৬ নং আয়াতের প্রতি)।সকলেই একবাক্যে ইতিবাচক জবাব প্রদান করলো।তারপর আলীর(আঃ) বাহু ধরে তাঁকে সকল মানুষের সম্মুখে উচু করে প্রদর্শন করলেন এবং বললেনঃ

”আমি যার নেতা,এই আলীও তাঁর নেতা”।

এভাবে ঐশী বেলায়েতকে(কর্তৃ্ত্ব) হযরত আলীর(আঃ) জন্যে মহানবী(সাঃ) ঘোষনা করলেন।তারপর উপস্থিত সকলেই তাঁর(আলী আঃ) আনুগত্য স্বীকার করলেন।তাদের মধ্যে ২য় খলিফা হযরত উমরও আমিরুল মু’মিনিন আলীর(আঃ) আনুগত্য স্বীকারোত্তর অভিনন্দন জানাতে গিয়ে বলেছিলেনঃ

“ হে আলী,তোমাকে অভিনন্দন!(আজ থেকে) তুমি আমার মাওলা(নেতা) হয়ে গেলে এবং মাওলা হলে সকল মু’মিন নর-নারীদেরও(এ হাদিসের সনদের বৈ্ধতার চুড়ান্ত দলিলের জন্যে “আবাকাতুল আনওয়ার এবং আল গাদীর” গ্রন্থ দ্রষ্টব্য)।

আর এ দিনেই এ আয়তটি নাজিল হয়েছিলঃ”আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পুর্নাংগ করলাম আর তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পুর্ন করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম”।

মহানবী(আঃ) তাকবীর দিলেন এবং বললেনঃ” আমার পরে আলীর বেলায়েতই হচ্ছে আল্লাহর দ্বীনের পুর্নতা এবং আমার নবুয়তীর পুর্নতাস্বরুপ।“

এছাড়া আহলে সুন্নাতের কোন কোন মনীষীও বর্ননা করেছেন যে,আবুবকর ও ওমর ‘জাবিরের’ নিকট চেয়েছিল রাসুলকে(সাঃ) জিজ্ঞাসা করতে যে, এ বেলায়েত কি একমাত্র আলীর জন্যই নির্ধারিত? হযরত রাসুল(সাঃ) বল্লেনঃবিশেষ করে আলী এবং কিয়ামত পর্যন্ত আমার ওয়াসিগনের জন্যেই নির্ধারিত।তারপর ওয়াসি কারা এ প্রশ্নের উত্তরে বললেনঃ

“ আলী(আঃ) আমার ভাই,উজির উত্তরাধিকারী,ওয়াসি এবং আমার উম্মতের জন্যে খলিফা ও আমার পর মু’মিনগনের অভিভাবক।অতপর হাসান(আঃ) অতঃপর হুসাইন(আঃ) অতঃপর হুসাইনের(আঃ) সন্তানগনের মধ্যে থেকে ৯ জন, উত্তোরোত্তর ওয়ালী হবেন।কোরান তাঁদের সাথে এবং তাঁরাও কোরানের সাথে।আর এ কোরান তাঁদের নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না এবং তাঁরাও এ কোরান থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না,যতক্ষন না হাউজে কাউসারে আমাদের সাথে মিলিত হবে [(গায়াতুল মারাম,অধ্যায়-৫৮,হাদিস# ৪(ফারায়িদ হামভিনি)]।

বিভিন্ন রেওয়ায়েত থেকে জানা যায়,তাতে দেখা যায় মহানবী(সাঃ) আগেই আলীর(আঃ) ইমামতের আনুষ্টানিক ঘোষনা দিতে আদিষ্ট হয়েছিলেন।কিন্তু তিনি এতে সন্ত্রস্ত ছিলেন যে,হয়তো মানুষ এ বিষয়টিকে হযরতের(সাঃ) ব্যক্তিগত মতামত বলে মনে করবে এবং একে গ্রহন করতে অস্বীকৃ্তি জানাবে।এ দৃষ্টিকোন থেকে তিনি যথাযথ সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন,যাতে এ ঘোষোনার জন্যে উপযুক্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়।ফলে নিম্নলিখিত আয়াতটি অবতীর্ন হয়ঃ “ হে রাসুল!তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ন হয়েছে প্রচার কর;যদি তা না কর তবে তো তুমি তাঁর বার্তা প্রচার করলে না।আল্লাহ তোমাকে মানুষের হাত হতে রক্ষা করবেন(সুরা মায়িদাহ-৬৭,বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন ‘তাফসীরে আল মিজান’)।

এ বিষয়টির প্রচারের আবশ্যকতার উপর গুরুত্বারোপ করতঃ(যে এ বিষয়টি অন্যান্য সকল বানীর মতই এবং এর প্রচার না করা সমস্ত রিসালাতের প্রচার থেকে বিরত থাকার শামিল) হযরতকে(সাঃ) এ সুসংবাদ দেয়া হয়েছিল যে,মহান আল্লাহ তাঁকে সকল অনাকাংখিত প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা করবেন।আর এ আয়াতটি অবতীর্ন হওয়ার সাথে সাথে মহানবী(সাঃ) অনুধাবন করলেন যে,সে শুভলগ্ন উপস্থিত হয়েছে এবং এর অধিক বিলম্ব করা সঠিক নয়।অতএব ‘গাদীরে খুম’ নামক স্থানে এ দায়িত্বটি সম্পন্ন করতে উদ্যোগী হলেন।(এ বিষয়টি আহলে সুন্নাতের মনীষিগন মহানবীর(সাঃ) ৭ জন সাহাবী থেকে বর্ননা করেছেন।তারা হলেনঃযাইদ ইবনে আরকাম,আবু সাঈদ খুদ্রী ইবনে আব্বাস,যাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী,বা’রা ইবনে আযিব,আবু হোরায়রা ও ইবনে মাসউদ(আল গাদীরঃখন্ড-১)।

তবে এ দিনটির বিশেষত্ব হলো এই যে, এ দিনে আলীর(আঃ) জন্যে ইমামতের আনুষ্টানিক ঘোষনা ও বাইয়াত বা আনুগত্যের স্বীকৃ্তী প্রদান করা হয়েছিল।নতুবা রাসুল(সাঃ) তাঁর রিসালাতের সময়কালে একাধিকবার ও একাধিক রুপে আলীর(আঃ) উত্তরাধিকারিত্বের কথা বর্ননা করেছিলেন। নবুয়তের প্রারম্বিক বছরগুলোতে যখনঃ তোমার নিকট আত্নীয়কে সতর্ক কর(সুরা আশ সুয়ারা-২১৪)-এ আয়াতটি নাজিল হয়েছিল এবং মহানবী(সাঃ) তাঁর সকল নিকট আত্নীয়দেরকে উদ্দ্বেশ্য করে বলেছিলেনঃ সর্ব প্রথম যে আমার আহবানে সাড়া দিবে ,সেই আমার উত্তরাধিকারী হবে।দলমত নির্বিশেষে সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে, সর্ব প্রথমেই যিনি ইতিবাচক সড়া দিয়েছিলেন তিনি আলী ইবনে আবি তালিব(আঃ) ছাড়া আর কেউ নন( আবাকাতুল আনওয়ার,আল গাদীর,আল মো্রাজায়াত)। অনুরুপ,

”হে ইমানদারগন!আনুগত্য কর আল্লাহর ও রাসুলের এবং তাঁর উলুল আমরদেরকে”(উত্তরসুরীগন)(সুরা নিসা-৫৯)।

উল্লেখিত আয়াতটি যখন নাজিল হয়েছিল এবং “উলুল আমর হিসাবে যাদের পরম আনুগত্য বাদ্গ্যতামুলক করা হয়েছে আর তাঁর আনুগত্য করাকে নবীর(সাঃ) আনুগত্য করার সমকক্ষ বলে বর্ননা করা হয়েছে” তখন জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসার’ রাসুলের(সাঃ) কাছে জানতে চেয়েছিলেন এই উলুল আমর কারা,যাদের আনুগত্য করা আপনার আনুগত্যের সমকক্ষ বলা হয়েছে?তিনি(সাঃ) বললেনঃ হে জাবির!তাঁরা হলেন আমার পর,আমার খলিফা ও মুসলমানদের ইমাম।তাঁদের ১ম ব্যক্তি হলেন আলী ইবনে আবি তালিব,অতপর হাস্ন,অতপর হুসাইন,অতপর আলী ইবনে হুসাইন,অতপর মুহাম্মাদ ইবনে আলী,যিনি তৌ্রাতে বাকির বলে পরিচিত,হে জাবির!যখন তাঁর সাক্ষাত লাভ করবে,আমার পক্ষ থেকে তাঁকে সালাম জানাবে।অতপর সাদিক জাফর ইবনে মুহাম্মাদ,অতপর মুসা ইবনে জাফর,অতপর আলী ইবনে মুসা,অতপর মুহাম্মাদ ইবনে আলী,অতপর আলী ইবনে মুহাম্মাদ,অতপর হাস্ন ইবনে আলী,অতপর আমার নাম ও কুনীয়াতধারী পৃথিবীতে আল্লাহর হুজ্জাত তাঁর (মনোনীত) বান্দাগনের মধ্যে সর্বশেষ হাস্ন ইবনে আলী........।(গায়াতুল মারাম,খ-১০,পৃঃ২৬৭,ইসবাতুল হুদা,খঃ৩, পৃঃ১২৩, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাহ,পৃঃ৪৯৪)।

এবং রাসুলের(সাঃ) ভবিষ্যত বানী অনুসারে জাবির(রাঃ) হযরত ইমাম বাকির(আঃ) পর্যন্ত জীবিত ছিলেন এবং রাসুলের(সাঃ) তাঁর নিকট পৌঁছে দিয়েছিলেন।

অপর একটি হাদিসে আবু বাসির থেকে বর্নিত হয়েছে যে,উলুল আমর প্রাসঙ্গিক আয়াতটি সম্পর্কে ইমাম সাদিকের(আঃ) নিকট প্রশ্ন করেছিলাম।তিনি বললেনঃ(আয়াতটি) আলী ইবনে আবি তালিব(আঃ),হাস্ন(আঃ) ও হুসাইনের(আঃ) সম্মানে অবতীর্ন হয়েছে।সবিনয়ে নিবেদন করলাম,মানুষ জানতে চায় পবিত্র কোরানে আলি(আঃ) ও আহলে বাইতগনকে(আঃ) তাঁদের নাম উল্লেখপুর্বক পরিচয় দেয়নি কেন?তিনি বললেনঃতাদেরকে বল,নামাজের যে আয়াত নাযিল হয়েছে তাতে তিন বা চার রাকাতের কোন উল্লেখ করা হয়নি এবং মহানবীই(সাঃ) ঐগুলো মানুষের নিকট ব্যাখ্যা করেছিলেন।অনুরুপ যাকাত,হজ্ব ইত্যাদি সম্পর্কিত আয়াতস্মুহ ও মহানবীকে(সাঃ) ব্যাখ্যা করতে হয়েছে এবং তিনিই এরুপ বলেছিলেন,আমি যার নেতা ,এই আলীও তার নেতা।এছাড়াও তিনি বলেছিলেনঃতোমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব এবং আমার আহলে বাইতের(সান্নিধ্যে) থাকার জন্য সুপারিশ করছি বাস্তবিকই মহীয়ান,গরীয়ান আল্লাহর কাছে এ আবেদন জানিয়েছিলাম যে,তিনি যেন কোরানকে আহলে বাইত থেকে পৃথক না করেন,যতক্ষন না আমাদের সাথে হাউজে কাওছারে মিলিত হয়, এবং মহান আল্লাহ আমার আবেদন গ্রহন করেছেন।অনুরুপ বললেনঃ “ তাঁদের জ্ঞান সম্পর্কে অবহিত হতে তোমরা সক্ষম নও,তাঁরা প্রকৃতই তোমাদের থেকে অধিকতর জ্ঞাত।বস্তুত তাঁরা তোমাদেরকে কখনই হেদায়াত থেকে বঞ্চিত করবেন না এবং পথভ্রষ্টতার দিকে ধাবিত করবেন না।

এছাড়া মহানবী(সাঃ) একাধিকবার(বিশেষ করে তাঁর জীবনের অন্তিম দিন গুলোতে) বলেছিলেনঃ “ বস্তুত আমি তোমাদের মাঝে ২টি ভারী বস্তু রেখে গেলামঃআল্লাহর কিতাব এবং আমার আহলে বাইত।প্রকৃতপক্ষে এতদ্ভয় পরস্পর থেকে কখনোই বিচ্ছিন্ন হবে না,যতক্ষন না হাউজে কাউসারে আমাদের সাথে মিলিত হয়”((তিরমিযি,নাসাই ও মোস্তাদ্রাকে লেখক কর্তৃক রাসুল(সাঃ) থেকে বর্নিত হয়েছে)।

আরো বলেছিলেনঃ জেনে রাখ,বস্তুত আমার আহলে বাইতের উদাহরন হলো নুহের তরীর মত-যে কেউ এতে আরোহন করবে সে নিস্তার পাবে,আর যে কেউ একে পরিত্যাগ করবে নিমজ্জিত হবে(মোস্তাদ্রাকে হাকিম,খন্ড-৩,পৃঃ১৫১)।

অনুরুপ আলী ইবনে আবি তালিবকে(আঃ) উদ্দেশ্য করে মহানবী(সাঃ) একাধিকবার বলেছিলেনঃ “ তুমি হলে আমার পর সকল মু’মিনিনের ওয়ালী(মুস্তাদ্রাকে হাকিম,খঃ৩,পৃঃ১৩৪,পৃঃ১১১,মুসনাদে ইবনে হাম্বল,খঃ১,পৃঃ৩৩১,খঃ৪,পৃঃ৪৩৮)।

এ ছাড়াও এমন অনেক হাদিস বিদ্যমান যেগুলো সম্পর্কে আলোকপাত করা ক্ষুদ্র পরিসরে সম্ভব নয়( আরো জানার জন্য পড়ুনঃমরহুম সাদুকের কামালুদ্দিন ও তামামুন্নিয়ামাহ,বিহারুল আনওয়ারঃমাজলিসি)।

চলবে..............।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.