নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেসব শিয়া মতবিরোধ জোরদারের জন্য লন্ডন ও আমেরিকা থেকে নানা টেলিভিশন বা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা প্রকৃত শিয়া না-আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইসলামের শত্রুরা মুসলিম মাজহাবগুলোর মধ্যে মতবিরোধকে পুঁজি করে মুসলমানদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক ও বাহরাইনের মত দেশগুলোতে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বের নামে শত শত নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করছে।







ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আজ (বুধবার) তার দেশের হজ্ব কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।





তিনি বলেছেন, ইসলামের শত্রুরা এটা ভালো করেই বুঝেছে যে, মুসলিম মাজহাবগুলোর অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের জন্যই লাভজনক। তাই একদিকে কিছু ওয়াহাবি তাকফিরি গ্রুপ বা দল গঠন করে এবং বাহ্যিকভাবে ইসলামী মিডিয়া ও এমনকি কথিত শিয়া গণমাধ্যম বা রেডিও-টিভি প্রতিষ্ঠা করে মুসলমানদের মধ্যে বিবাদ-সংঘাত ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে ইসলামের শত্রুরা।





ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেছেন, মরহুম ইমাম খোমেনীসহ শিয়া মাজহাবের মহান মনীষীরা এবং অন্য মাজহাবগুলোর মহান নেতৃবৃন্দ সব সময়ই মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ধরে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন; তাই যেসব শিয়া মতবিরোধ জোরদারের জন্য লন্ডন ও আমেরিকা থেকে নানা টেলিভিশন বা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা প্রকৃত শিয়া নন।





আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী হ্জ্ব প্রসঙ্গে বলেছেন, হজ্ব মুসলিম উম্মাহর রাজনৈতিক, আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক শক্তির মাধ্যম।





হজ্বের ক্ষেত্রে মুসলমানদের পারস্পরিক ভ্রাতুসুলভ আচরণকে এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের অন্যতম জরুরি দিক হিসেবে উল্লেখ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, হজ্বের সময় ঝগড়া-বিবাদ বা বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে যে নির্দেশ পবিত্র কুরআনে দেয়া হয়েছে তার অর্থ হল মুসলমানরা যেন পরস্পর বিতর্ক না করেন এবং মুখের কথার মাধ্যমে বিতর্ক করা ছাড়াও মনে মনেও যেন কোনো মুসলমান ভাইয়ের প্রতি ঘৃণা পোষণ না করেন।





তিনি হজ্বের সময় বিতর্ক থেকে দূরে থাকার নির্দেশ সম্পর্কে কোনো কোনো মহলের অপব্যাখ্যার ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, তারা আসলে হজ্বের অন্যতম ফরজ হিসেবে মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার অনুষ্ঠানটির যে দর্শন রয়েছে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, অথচ শিরক বা আল্লাহর ব্যাপারে অংশীবাদীতা ও কুফর বা আল্লাহকে অবিশ্বাসের ধারক-বাহকদের সঙ্গে বিতর্ক ইসলামী বিধি-বিধানের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।





আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আধ্যাত্মিকতা জোরদার করাকে প্রকৃত হজ্বের আরেকটি প্রধান দিক হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, জোরালো ঈমান, আল্লাহর ওপর ভরসা করা এবং আল্লাহর ওয়াদার ব্যাপারে সুধারণা রাখার মত গুণগুলো নানা সংকট অতিক্রম করাসহ পরাশক্তিগুলোর বাহ্যিক পরাক্রমে ভীত না হওয়ার জন্য জরুরি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইসলামের শত্রুরা এটা ভালো করেই বুঝেছে যে, মুসলিম মাজহাবগুলোর অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের জন্যই লাভজনক। তাই একদিকে কিছু ওয়াহাবি তাকফিরি গ্রুপ বা দল গঠন করে এবং বাহ্যিকভাবে ইসলামী মিডিয়া ও এমনকি কথিত শিয়া গণমাধ্যম বা রেডিও-টিভি প্রতিষ্ঠা করে মুসলমানদের মধ্যে বিবাদ-সংঘাত ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে ইসলামের শত্রুরা।


ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেছেন, মরহুম ইমাম খোমেনীসহ শিয়া মাজহাবের মহান মনীষীরা এবং অন্য মাজহাবগুলোর মহান নেতৃবৃন্দ সব সময়ই মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ধরে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন; তাই যেসব শিয়া মতবিরোধ জোরদারের জন্য লন্ডন ও আমেরিকা থেকে নানা টেলিভিশন বা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা প্রকৃত শিয়া নন।

যে কোন মূল্যে সীসাঢালা ঐকের প্রাচীর শুধূ গড়তে পারলে- কাফেররা পালাবার পথ খুজে পাবেনা।

মুসলিম ঐক্য জিন্দাবাদ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

আল-মুনতাজার বলেছেন: কোরানে কোথাও শিয়া সুন্নী হতে হবে বলা নেই।আছে মুমিন,মোত্তাকী ও মুসলমান হবার কথা।কিন্তু দেখা যাচ্ছে যারা খাটি ইসলামকে অনুসরন করছে,তাদেরকে অপবাদ দেয়া হচ্ছে যে, তারা শিয়া।শিয়ারাই ইরানে কোরান প্রতিষ্টা করেছে।আর ওহাবী,সালাফী,তাকফিরি বা তথাকথিত মুয়াবিয়ার সুন্নী মুসলমানেরা (আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রতিষ্টাতা মুয়াবিয়া)) আজ পর্যন্ত কোথাও ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্টা করতে পারেনি।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: ভাই শিয়া নিয়ে যেসব প্রশ্ন আছে সুন্নিদের মনে সেগুলো নিয়ে ধারাবাহিক পোস্ট দিলে বিভ্রান্তি।দূর হত । যেমন মুতা বিবাহ আসর যুহর একসাথে পড়া ইত্যাদি

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

সকাল>সন্ধা বলেছেন: মুয়াবিয়ার সুন্নী মুসলমানেরা (আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রতিষ্টাতা মুয়াবিয়া)) আজ পর্যন্ত কোথাও ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্টা করতে পারেনি।

অপজেক্সন:

সালাউদ্দীন আ্ইউবী হরমতুল্লাহি আলাইহি ওনার নাম সুনছেন কখনো? তিনি শিয়া দের হটিয়ে মিশরে খিলাফতের মসনদে বশেছিলেন এবং তখন কাফিরদের শাথে যে যুদ্ধ হয় তা ইতিহাসে ক্রুসেডরের যুদ্ধ বলে পরিচিত এবং তার পর কাফির মুশরিক রা সমুক্ষ যদ্ধ এড়িয়ে মুসলমান নেতাদের চরিত্র হনন এবং প্রকিত ও সহি ইসলাম থেকে দুরে বহু দুরে মুসলমানদের নিয়ে আশার জন্য জন্ম দেয় বর্তমান ওহাবী গোষ্ঠীর এবং হেজাজ বর্তমান আরব ভূমি তুলে দেয়া হয় মূলত ইহুদীদের হাতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.