নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গে জামালের যুদ্ব

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪



মদীনার পথ থেকে আয়েশার মক্কায় প্রত্যাবর্তন

ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মিসরীয় ও ইরাকী বিদ্রোহীরা যখন ওসমানের ঘর অবরোধ করেছিল,তখন আয়েশা হজ্বের উদ্দেশ্যে মদীনা ত্যাগ করেছিলেন। মক্কায় তিনি ওসমানের নিহত হবার খবর পেলেন,কন্তু সেখানে এ খবর পৌছেনি যে,খলীফার নহত হবার পর খেলাফতের বিষয়টি কোথায় গিয়ে পৌছেছে।ফলে তিনি ঠিক করলেন যে, মদীনার উদ্দেশ্যে মক্কা ত্যাগ করবেন।

তিনি মক্কা থেকে ফিরে আসার পর সারাফ নামক স্থানে ইবনে উম্মে কাল্লাব নামক এক ব্যক্তির সাথে দেখা হলে মদীনার সংবাদ জানতে চাইলেন।তিনি বললেন যে,খলীফার ঘর অবরোধ আশি দিন ধরে চলছিল।অতপর তাকে হত্যা করা হয়।কয়েকদিন পর জনগন আলীর(আঃ) হাতে বায়াত হয়।

হযরত আয়েশা যখন,আলী(আঃ)এর হাতে আনছার ও মুহাজিরদের সকলের বায়াতের কথা জানলেন তখন ভীষন বিচলিত হলেন এবং বললেনঃ”হায় আমার ম্থায় যদি আকাশ ভেঙ্গে পড়তো”!অতঃপর তিনি তার বাহন মক্কার দিকে ফিরিয়ে নিতে আদেশ দিলেন।ওসমান সম্পর্কে তার মত পরিবর্তন হয়ে গেল।তিনি বললেনঃ “আল্লাহর শপথ,ওসমান মযলুম্ভাবে নিহত হয়েছে এবং আমি তার হত্যাকারীদের নিকট থেকে তার রক্তের বদলা নিব”।

তখন ওই সংবাদদাতা তার দিকে ফিরে বললেনঃ “ আপনিই তো ১ম কেউ ছিলেন যিনি বলতেন,”ওসমান কাফের হয়ে গেছে-যার চেহারা ইহুদী না’ছালের মতো; তাকে হত্যা করতে হবে।“। একহ্ন কি হয়েছে যে,আপনার আগের কথা থেকে ফিরে এলেন?”

তিনি জবাবে অন্দ্বকারে তীর ছোড়ার মত বললেনঃ “ ওসমানের হত্যাকারীরা তাকে তাওবাহ করিয়ে হত্যা করেছে।ওসমানের ব্যাপারে সকলেই কথা বলতো, আমিও বলতাম।তবে আমার শেষের কথা আগের কথা থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো”।

ঐ ব্যক্তি আয়েশার অজুহাতে হতবাক হয়ে কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করলেন যার অংশ বিশেষের অনুভাদ নিম্নরুপঃ

“খলিফাকে হত্যার জন্য আদেশ দিয়েছিলে,আমাদেরকে বলতে যে,সে দ্বীন থেকে খারিজ হয়ে গেছে।নিশ্চিত যে,তাকে হত্যার জন্য ব্যাপারে আমরা তোমার আদেশ শুনেছিলাম।অতএব,তার হত্যাকারী আমদের নিকট সে-ই যে তাকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলো”।

আয়েশা মসজিদুল হারামের সম্মুখে হাওদাহ থেকে নামলেন।তিনি হিজরে ইসমাইলের দিকে গেলেন এবং সেখানে পর্দা টানালেন।লোকজন তাকে ঘিরে দাড়ালো।তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বললেনঃ “ হে লোকেরা!ওসমান অন্যায়ভাবে নিহিত হয়েছে;আমি তার হত্যার প্রতিশোধ নেবো”।



ইমামের(আঃ) বিরোধীদের ঘাটি

ওসমানের হত্যাকান্ড ও ইমাম আলীর(আঃ) হাতে জনগনের বায়াতের পর মক্কা নগরী তাঁর বিরোধীদের কেন্দ্র বলে পরিগিনিত হতো এবং যারা আলীর(আঃ) বিরুদ্বে ছিল ও তাঁর ন্যায়পরায়নতাকে ভয় করতো, বিশেষ করে সমানের গভর্নর ও সেনাপতিরা-যারা জানতো যে,ইমাম(আঃ) তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবেন এবং তারা যে সমস্ত খেয়ানতে লিপ্ত রয়েছে সে কারনে তাদেরকে ডেকে পাঠানো হবে,তাদের সকলেই মক্কায় পবিত্র কা’বাঘরের পাশে জড়ো হল ও জামাল যুদ্বের পরিকল্পনা করলো।

চলবে.....।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.