নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখের হাটে সুখ বেচি, শান্তি খুঁজি অশান্তির বাজারে। দাম দিয়ে কিনি যন্ত্রণা।

গেঁয়ো ভূত

ব্লগে নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যা সঠিক মনে করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে লিখতে চেষ্টা করি।

গেঁয়ো ভূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকের সাথে কথোপকথন

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪২



একজন নাস্তিক, প্রশ্ন করলেন -- তের শ কোটি আলোক-- বর্ষ দূরের ছবি নাসার পাঠানো টেলিস্কোপ পাঠিয়েছে। কিন্তু স্রষ্টার সন্ধান পাওয়া যায় নি, তার কোন ছবি ও পাওয়া যায় নি। সুতরাং তার অস্তিত্ব কি প্রশ্নের মুখেই বরাবরের মত থেকে যায় না?

আমি বললাম স্রষ্টা নিরাকার, জগতের কোনো ক্যামেরা দিয়ে তার ছবি তোলা সম্ভব নয়।

এবার তিনি প্রশ্ন করলেন, যা দেখা যায়না তার অস্তিত্ব কিভাবে থাকে?

: দেখুন বিদ্যুতের কথা যদি বলি, বিদ্যুৎ এর কি আকার আছে? দেখা যায়? তবে কি বিদ্যুৎ নেই??
মধ্যাকর্ষন শক্তিই কি দেখা যায়? নাকি আকার আছে? তবে কি মধ্যাকর্ষন শক্তি ও নাই??? আগে সৃষ্টির ব্যাপারে একটা ফয়সালা হোক তারপরে না হয় স্রষ্টার খোঁজ খবর নেয়া যাবে।

: স্রষ্টা কি বিদ্যুৎ এবং মধ্যাকর্ষণের মতো শক্তি? শক্তির কিন্তু চিন্তা করার ক্ষমতা থাকে না। শক্তি পরিমাপের একক থাকে, স্রষ্টার একক কি?
: আমি অল্প জ্ঞানে যতটুকু বুঝতে পারি বলছি, তিনি শক্তি না, তিনি মহাশক্তি - মহান সত্তা যিনি কোটি কোটি গ্যলাক্সি এবং তার অন্তস্থ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি জগতের কতটুকু আমরা জানি বলেন? আগে তো সৃষ্টি কে জানুন, তারপর না হয় স্রষ্টার খবর নেয়া যাবে। সমগ্র সৃষ্টি জগতের অন্তত ১% জ্ঞান ও কি আমাদের আছে ? তাহলে এত কিছু কে সৃষ্টি করল তা জানা আমাদের পক্ষে কিভাবে সম্ভব হবে বলুন? আমরা যাহা জানি না বা বুঝতে পারিনি এ জন্যই সেটা নাই তা বলা কি ঠিক হবে?? সুতরাং আগে সৃষ্টিকুল ভালোভাবে অবলোকন করি, তারপর স্রষ্টার ধারণা বুঝতে সহজ হবে।

: তিনি যে শক্তি না বরং মহাশক্তি। তিনি যে সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। এসব আপনি কি ভাবে বুজলেন?? সৃষ্টি জগত মানে কি? জগত যে সৃষ্টি হয়েছে কিভাবে জানলেন? আমরা যাহা জানি না সেটা আছে বলা কি ঠিক হবে? যেমন ধরেন আমি যদি বলি ব্যাঙ্গমি আছে। আপনি আমার এই দাবির প্রমাণ চাইলেন, তখন আমি বললাম যেহেতু ব্যাঙ্গমি আছে নাকি নাই আমরা জানি না সুতরাং ব্যাঙ্গমি আছে। এটা কি যৌক্তিক হবে? তার মানে যেটা জানি না বলতে হবে জানি না। স্রষ্টা আছে কি নাই আমরা জানি না, এখন পর্যন্ত স্রষ্টার কোন প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এবং স্রষ্টা থাকার কোন প্রয়োজনীয়তা ও এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় নাই।

: আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, এই যে আপনি আছেন তা আপনার কি কোন স্রষ্টা আছে বা নাই? আপনি কিভাবে আপনি হলেন তার কোন প্রমাণ কি আপনার কাছে আছে??

: মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়েছি, সৃষ্টি হই নাই। মানুষকে সৃষ্টি করা হয় এমন কোন প্রমাণ আছে আপনার কাছে?

: আপনি মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়েছেন ঠিক আছে। সেখানে কিভাবে এলেন আপনার কাছে কি কোন প্রমাণ আছে?

: হ্যাঁ প্রমাণ আছে। আমার বাবার একটা শুক্রাণু মায়ের ডিম্বাণু কে নিষিক্ত করার মাধ্যমে আমার শুরু।

: বাবার শুক্রাণুতেই যে আপনি হয়েছেন এতটা নিশ্চিত কিভাবে হলেন? এমনও কি হতে পারে না যে শুক্রাণু ছাড়াই হঠাৎ দৈব ঘটনায় আপনি মাতৃগর্ভে অস্তিত্ব লাভ করেছেন এবং ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছেন?

: শুক্রাণু ছাড়া জন্ম লাভ করা সম্ভব না। মাইক্রবায়োলজি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা থাকলে বুঝতে পারতেন।

: ধরুন পৃথিবীতে ৮০০ কোটি মানুষ, এর মধ্যে দু-একজন ও কি প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে দৈব ঘটনায় জন্মলাভ কিম্বা অস্তিত্ব লাভের সুযোগে আছে? একটু ভেবে বলুন। আপনি এবারে ও হাসছেন। ভাবছেন এ আমি কার সঙ্গে কথা বলছি যে কিনা মাইক্রোবায়োলজি সম্পর্কে একেবারে নুন্যতম বেসিক ধারানাটুকুও রাখে না! আপনার কথায় ফিরে আসি, তাহলে সবাইকে জন্ম নেয়ার জন্য একজন বাবার শুক্রাণু অবশ্য অবশ্যই লাগবে। তাহলে পৃথিবীতে যখন প্রথম মানুষের আবির্ভাব হলো সেই আদি মানবের শুক্রাণু আপনি কোথায় পেয়েছিলেন?

: পৃথিবীতে হুট করে একদিন প্রথম মানুষ আবির্ভাব হয়নি। প্রথম এককোষি প্রাণী থেকে মানুষ পর্যন্ত সব স্তরের বংশ বৃদ্ধির ব্যাখ্যা আছে জীববিজ্ঞানে।

: ওকে, এখন মাইক্রোবাইয়োলজি থেকে চলে আসলেন বিবর্তনবাদে! ঠিক আছে। আমি যে ডিভাইস দিয়ে এখানে লিখছি এটা কেউ তৈরী করেনি। আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরিত লাভার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছিল, তারপর বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় উন্নত হয়ে আজকের এই লেটেস্ট ডিভাইসে পরিনত হয়ে আজকে আমার হাতে। এর পেছনে কেউ ছিল না। এটা কি বিশ্বাস করেন??

: না বিশ্বাস করি না। কারণ মোবাইল যে মানুষ বানায় তার প্রমাণ আছে। আপনি ইচ্ছা করলে মোবাইল এর কারখানা পরিদর্শন করতে পারবেন। অসংখ্য মানুষ মোবাইল তৈরির সাথে জড়িত। তাই প্রমাণ সাপেক্ষে আমরা জানি মোবাইল মানুষ তৈরী করে। কেউ আমাকে স্রষ্টা বিশ্বাসের একটা কারণ দেখাতে পারলে তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।

: আপনি বলেছেন মোবাইল মানুষ বানায়, এটা তো সবারই জানা। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে কারো সাহায্য ছাড়া বিবর্তনের মাধ্যমে এ ধরনের বা এর চাইতে উন্নত কোনো ডিভাইস সৃষ্টি হওয়া সম্ভব কিনা? কিম্বা অন্য কোন ধরনের উন্নত যন্ত্র এভাবে তৈরি হয়েছে এমন কোন প্রমান আপনার কাছে আছে কি? কিম্বা একটা কম্পিউটার তৈরির কারখানা মানুষ বা অন্য কারো সাহায্য ছাড়াই একা একাই দীর্ঘ দিনের বিবর্তনের মাধ্যমে গড়ে উঠা সম্ভব কিনা?

: ডিভাইস বা কম্পিউটার কারখানা মানুষের তৈরী। এগুলোকে কৃত্রিম বলে। একই বা আরও বেশী কর্মক্ষম কিছু প্রকৃতিতে তৈরী হতে পারে। আর বিবর্তন এর মাধ্যমে যা তৈরী হয় সেগুলো প্রাকৃতিক। যেমন মানুষ, উদ্ভিদ, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি। মানুষের ব্রেন কম্পিউটার থেকেও বেশী শক্তিশালী, প্রাণীর চোখ অনেক পাওয়ার ফুল। এসব বিবর্তন এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী।

: দেখুন কম্পিউটার কারখানা যে মানুষের তৈরি এটা তো সবারই জানা কথা। আমার প্রশ্ন ছিল এধরণের প্রযুক্তি কারো সাহায্য ছাড়া বিবর্তনের মাধ্যমে গড়ে উঠা সম্ভব কিনা? এর উত্তর হতে পারতো "হা" অথবা "না" অথবা "জানা নাই" কিন্তু আপনি প্রশ্নটার উত্তর দেন নাই, এড়িয়ে গিয়েছেন। আপনাকে আরেকটি প্রশ্ন করি, আপনি যে বিবর্তনবাদ সমর্থন করেন বিবর্তনের শুরু টা নিশ্চয়ই বিগব্যাং থেকেই ধরবেন, বিগব্যাং সংগঠিত হওয়ার আগে কি ছিল? এর পেছনের মহাশক্তিই বা কি? এই মহাজগত ও গ্যালাক্সি এগুলো কে সৃষ্টি করল? এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড কোটি কোটি নক্ষত্র কে সৃষ্টি করল? এগুলো কি শূন্য থেকে এমনি এমনি হয়ে গেল?? শূন্য থেকে কোন কিছু সৃষ্টি করা যায়??? এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে??

এবার তিনি চুপ!

এক সপ্তাহ পর বললাম আমার প্রশ্নের উত্তর দিন প্লিজ। এবারও তিনি চুপ ।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯

সাসুম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌, এতেই প্রমাণিত হয়ে গেল স্রষ্টা আছে।

জাজাকাল্লাহ খায়রান। এভাবেই যুগে যুগে নাস্তেক রা পরাস্ত হবে আমাদের হাতে, কারন জ্ঞান বিজ্ঞান চিন্তা চেতনায় বুদ্ধিতে বাংগালি ধার্মিক কে কেউ হারাতে পারে নাই, পারবেওনা।

আসলে নাসা আর আম্রিকার ষড়যন্ত্র দিয়ে বাংগালিকে বেশি দিন দমিয়ে রাখা যাবেনা, এটাই একমাত্র সত্য।

আমীন

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম।
আর শয়তান আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছে সে
মানুষকে তার থেকে দূরে রাখবে। এবার ইসলাম
যদি আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম হয়
তাহলে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকের উপর কে
ভর করে সেটা তো বোঝাই যায়!

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:



আমার বক্তব্য হচ্ছে এই পৃথিবী এবং বিশ্ব-ভ্রমান্ডের একজন স্রষ্টা বা মালিক আছেন। তিনি আল্লাহ না গড নাকি ভগবান সেটাও আর একটা ইস্যু। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৯

কিশোর মাইনু বলেছেন: সামান্য একটা যন্ত্র মোবাইল বানাতে এত এত মানুষ লাগে। আর মোবাইল-কম্পিউটারের থেকে হাজারগুণ জটিল কলকব্জার অধিকারী মানুষ কীভাবে নিজে নিজে সৃষ্টি হয়ে গেল, তাদের এই লজিক আমি এখনও বুঝিনা।
আবার জীন নিয়ে ও তাদের প্রশ্নটি আমার মাথায় কাজ করেনা। তারা সিলিকন বেইসড এলিয়েন থাকতে পারে এটা বিশ্বাস করতে রাজি, কিন্তু আগুণের তৈরি জীনে বিশ্বাস করতে রাজি না, কেন?
কোন নাস্তিক যদি থেকে থাকেন, তার কাছে আমার বিনীত নিবেদন এই প্রশ্নের উত্তরটি আমাকে একটু বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।

ধন্যবাদ গেয়োভুতকে। অনেকদিন পর। আশা করি ভাল আছেন। শুভকামনা রইল।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


ভাই আমি বা আমরা যা বিশ্বাস করি, তা অন্য সবাই বিশ্বাস নাও করতে পারে, সমস্যা নাই, কিন্তু তারা কি বিশ্বাস করে, করে না কিংবা অবিশ্বাস করে? কেন করে বা করে না? তাতো আমরা জানতে চাইতেই পারি, যেহেতু তারা আমাদেরকে প্রশ্ন করে, অনেকটা তোতা পাখির শিখানো বুলির মতো, এর বাইরে তাদেরকে প্রশ্ন করলে কিন্তু তারা আর উত্তর দিতে পারেনা বা দেয়না, এটাই আমার প্রশ্ন।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:




ঈশ্বরের অনুগ্রহে মানুষ বেঁচে থাকে কি না, ধর্মপ্রাণরা দাবি করলেও অনেকেই ভেতরে ভেতরে সন্দেহ প্রকাশ করে।
তবে প্রাচীন ইতিহাস দেখলে এটা নিশ্চিত বলা যায় মানুষের উপাসনা, বন্দনা, প্রার্থনা, অনুগ্রহেই ঈশ্বর বেঁচে আছে।

আদী মানব ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় হাজার হাজার ধরনের সমাজে বিভিন্ন শক্তিমান পুজনীয় রূপে দেবতা ঈশ্বর এসেছিল,
প্রথমদিকে আদী পেশীবহুল সমাজপতিই দেবতা ঈশ্বর রুপে গন্য করা হচ্ছিল, তাকেই পুজা দেয়া হত। (জাপানেও এই গত সতাব্দিতে রাজাকে ঈশ্বর বলা হত)
আদী সমাজে একসময় গোত্রপ্রধানকে আর দেবতা রুপে থাকতে পারেনি কারন বার বা্র নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ, পরাজিতকে আর কে ঈশ্বর মানবে? তাই সমাজপতির পেছনের খুটি বা খাম্বাটিই পুজনীয় দেবতা বা ঈশ্বর হয়ে গেল। এরপর এই ঈশ্বরও বেশিদিন বাচলো না, ঈশ্বর হয়ে গেল কাছের উঁচু পর্বত, এরপর আগুন এরপর চন্দ্র দেবতা, সুর্য পুজারি, আগ্নেওগিরি। এরপর মনুষ্যরুপি মুর্তি বানিয়ে, স্বর্গনরকের লোভ ভয়ে ঢুকিয়ে ধর্মপ্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল, পিরামিড মুর্তি ফেরাউন মমি বানানো মুর্তি বানানো, কিন্তু কোনটাই টিকে না একে একে সবাই মারা গেছে, এরপর ভিন্ন রুপে ভিন্ন নামে আবার এসেছে, এরপর পুজার অভাবে আস্তে আস্তে সব নাই হয়ে গেছে।
মুলত বান্দার বন্দনা স্থায়ী না হওয়াতেই মারা গেছিল সব ঈশ্বর আর স্রষ্টা।
অনেক পরে ধর্মব্যাবসায়ীরা বদ্ধপরিকর। আর মরতে দিবেনা বর্তমান ঈশ্বরকে। এবার ঈশ্বরকে করতে হবে অদৃশ্ব।
শুরু হয়ে গেল চতুর বুজুর্গি দেখানো। শাপ দেখানো, যাদু দেখানো। সমাজপ্রধানরা মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখানো শুরু করে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়। গোত্রের মাস্তান চতুররা নিজেকে সরাসরি ঈশ্বর না বলে ঈশ্বররের প্রতিনিধি দাবি করে, একজন তো নিজেকে ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে! এভাবেই মুলত মানব মননে অদৃশ্য ঈশ্বরের আবির্ভাব।

অনেক পুথি পুস্তক গিতা বক্তৃতা অহি হিসেবে লেখা হল। অনেক পরে একসময় একজনকে অহি সহ ঈশ্বররের সর্বশেষ প্রতিনিধি দাবি করে আঞ্চলিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হল, বিপুল রক্তপাত করে।
এত বিপুল রক্তপাত অঞ্চল দখল করার পরও সেটাও পরে দেখা গেল ঢিলা হয়ে গেল, ধর্মব্যাবসায়ীরা তো থেমে থাকার নয়, এত লোভনীয় ব্যাবস্থা নগর দখল গনীমত দাস দাসী, স্বর্ন মুদ্রা লুটের সুযোগ কে ছাড়তে চায়? তাই ৩০০ বছর পর হাজার মাইল দূরে আবার নতুন 'সহযোগি পুস্তক' একাধিক সহি গাইড বই করার করে প্রতিষ্টা করা হল। প্রার্থনা শুধু সন্ধায় নয়, দিনে পাঁচ বার, আর শত শত বার ঈশ্বরের নাম জপ/জিকির চলবে, এই ঈশ্বরকে আর মরতে দেয়া যাবে না।। আর ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সামান্য সন্দেহকারিকেও সহ্য করা হবে না।
নুন্যতম সন্দেহকারিকে যার যা কিছু আছে তা নিয়েই কোপানো হবে।

এরপরেও বিলুপ্তির আতঙ্ক কাটে না। চলছে ওয়াজ ফটোশপ ভুয়া ছবি, মাংশের ভেতরে লেখা ভিডিও, প্রচলিত বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে অগনিত লেখালেখি, সর্বশক্তিমানকে মহান করে রাখা চলছেই। ঈশ্বরকে আর মরতে দেয়া যাবে না কোন মতেই।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


অনেক সুন্দর ও বিশ্লেষণধর্মী আপনার মন্তব্যটি ভালো লেগেছে। মানুষের ধর্ম পালনের ইতিহাস ধারাবাহিক ভাবে অনেক সুন্দর করে তুলে এনেছেন যা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য।

আপনি বলেছেন, "একজনকে অহি সহ ঈশ্বররের সর্বশেষ প্রতিনিধি দাবি করে আঞ্চলিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হল, বিপুল রক্তপাত করে।" বাস্তবতার নিরিখে যদি দেখি, প্রবল শক্তিশালী মহা প্রতাপশালী সমাজপতিদের বিরুদ্ধে একজন এতিম অসহায় দুর্বল মানুষের পক্ষে টিকে থাকা আদৌ কিভাবে সম্ভব হলো? সে এই বিপুল শক্তি কোথায় পেলো? তাঁর তো প্রথমেই একেবারে নিঃশ্বেস হয়ে যাওয়ার কথা, তাই না?

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৬

কামাল৮০ বলেছেন: স্রষ্টা বলতেই আল্লাহ বুঝায়।আল্লাহ ছাড়া কি অন্য কোন স্রষ্টা আছে?

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


এই পৃথিবী এবং বিশ্ব-ভ্রমান্ডের একজন স্রষ্টা বা মালিক আছেন।

এটা আপনি বিশ্বাস করেন নাকি করেননা? সেটা আগে স্পষ্ট করে বলুন। তার পরে না হয় প্রশ্ন করুন তিনি আল্লাহ না গড নাকি ভগবান। বিশ্বাস না করলে প্রশ্নটিই তো অবান্তর তাই না ?

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:২৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: ভাইসাব, নাস্তিকেরা জাহান্নামী, এরা শুধু প্রমান চায়, তাদের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করে কি লাভ? পৃথিবীর চার ভাগের তিনভাগ আস্তিকেরাই ত আল্লাহকে বিশ্বাস করে না। তারা কি সব গড মড, কালী ফালি, বুংগা বুঙ্গা বানায়ে সেজদা দেয়। সমস্যা ত এখানেই। কার ঈশ্বর সত্য তা কেউই প্রমান করতে পারে না। সবাই বলে বিশ্বাস করতে হবে। মরার পর দেখা গেল সাত আসমানে বুঙ্গা বুঙ্গা খাড়ায়ে আছে, বিচার বসায়েছে। আল্লা বাচাও বলে চিতকুর দিলাম, বুঙ্গা বুঙ্গা আরো রাইগা মাইগা একটা বাতকম্পন ঝাইড়া দিলেন, বাপরে বাপ, গন্ধে সেখানেই আরো তিন চার বার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে বাধ্য হলাম। এই সব নানান তাল আকথা কুকথা মাথায় আসে। এই আমাদের বলির বকরা না বানায়ে, রাম, আল্লাহ, কালী, গড, বুঙ্গা বুঙ্গা এরা সবাই একটা ডব্লু ডব্লু এফের মত একটা কুস্তি দিতে পারে, চ্যাম্পিনরেই আমরা সেজদা দিমু, নাস্তিকেরাও প্রমান পাইয়া নেজা উচায়ে সেজদা দিবে। সমস্যা সমাধান। কি কন?

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


একজন জন্মান্ধ লোক যদি বলে পৃথিবীতে কালো ভিন্ন আর কোনো রং নাই, কারন আমি তো রঙধনুর সাত রঙ দেখিনা, পৃথিবীতে শুধু কালো রঙই আছে এর বাইরে যত রঙ এর কথা বলা হচ্ছে সব মিথ্যা। তবে সাতটি রঙই মিথ্যা হয়ে যাবে। ঠিক আছে ! যে কিনা কানে কিছুই শোনেনা সেও যদি বলে পৃথিবীতে কোনো শব্দই নাই কোনো আওয়াজ নাই, তাহলে পৃথিবীর যত শব্দ আছে সব মিথ্যে হয়ে যাবে। ঠিক আছে এটাও মেনে নিলাম ! যেহেতু কানাকে রঙ দেখাতে আর কালাকে শব্দ শোনাতে পারছিনা, তাহলে প্রমানের অভাবে ওদের কথা আমি মেনে নিতে বাধ্যই হলাম। এবার খুশি হলেন তো?

এবার বলেন, মৃত্যুর পর যদি দেখেন স্রষ্টা ঠিকই আছেন, তার অবাদ্ধতার জন্য আপনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, কোনো ক্ষমা নাই। তখন আপনি কি করবেন??

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:৪২

অগ্নিবেশ বলেছেন: ভাই সাব, আপনে নাস্তিকের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিছেন, আপনারে চুমাইতে ইচ্ছে করতাছে।
কিন্তু সমস্যা একটা থাইকা যায়।
বিগব্যাং সংগঠিত হওয়ার আগে কি ছিল? -- বুঙ্গা বুঙ্গা বিরাজমান আছিল।
এর পেছনের মহাশক্তিই বা কি? -- মহান বুঙ্গা বুঙ্গা।
এই মহাজগত ও গ্যালাক্সি এগুলো কে সৃষ্টি করল? -- মহান বুঙ্গা বুঙ্গা।
এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড কোটি কোটি নক্ষত্র কে সৃষ্টি করল? -- মহান বুঙ্গা বুঙ্গা।
এগুলো কি শূন্য থেকে এমনি এমনি হয়ে গেল?? -- এমনি এমনি কি আর হয় সব -- মহান বুঙ্গা বুঙ্গার কেরামতি।
শূন্য থেকে কোন কিছু সৃষ্টি করা যায়??? -- বুঙ্গা বুঙ্গা সব অসাধ্য সাধন করে।
এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে?? -- বিজ্ঞানের বাপেও কিছু বলতে পারবে না।
উত্তর দিলাম, এইডা আপনার বিশ্বাস করতে হবে, কোনো প্রমান চাইলে পরকালে আছে বুঙ্গা বুঙ্গার গন্ধময় বাতকম্পন।
এই বার কি আপনে নাস্তিকদের মত প্রমান চাই, প্রমান চাই বলবেন??




০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


আমি নাস্তিককে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেই নাই। আমি প্রশ্ন করেছি। জানতে চেয়েছি।

আমার প্রশ্নের সঠিক উত্তর যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আমি আপনার কাছ থেকে জানব এবং অবশ্য অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকবো।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি নিজে যা বোঝেন না সেই বিষয়ে জ্ঞ্যান ধারন করে তারপর নাস্তিক আস্তিক যে কারো সাথে কথপোকথন করন এটাই উত্তম।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


দুঃখিত আপনার মন্তব্যের বিষয়বস্তু আমি ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হইনি, একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে বলা যাবে কি?

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:৫০

অগ্নিবেশ বলেছেন: ভাইসাব কি বোঝাতে চাইলেন মাথার উপর দিয়ে চলে গেল।
যেহেতু কানাকে রঙ দেখাতে আর কালাকে শব্দ শোনাতে পারছিনা, তাহলে প্রমানের অভাবে ওদের কথা আমি মেনে নিতে বাধ্যই হলাম। এবার খুশি হলেন তো? এর মানে কি এটা বোঝাতে চাইছেন যে ২০০০টা ধর্মের ভিত্রে ইসলাম ব্যতীত অন্য সব ধর্মের অনুসারীরা কানা এবং কালা???? অনেকদিন পরে একজন ইন্ট্টারেস্টিং মানবের লগে বাতচিত হল। ধন্যবাদ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


ঘুরে ফিরে সেই একই গরু রচনা লেখা শুরু করে দিলেন।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:৫৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: এবার বলেন, মৃত্যুর পর যদি দেখেন স্রষ্টা ঠিকই আছেন, তার অবাদ্ধতার জন্য আপনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, কোনো ক্ষমা নাই। তখন আপনি কি করবেন?? -আসলে স্রষ্টাটা কে?? কালী, ভগবান, গড, খোদা, আল্লাহ?? কে?? না জানলে বাধ্য হব কেমনে??

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ালান।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সাহাদাত উদরাজী ভাই, সম্ভবত মন্তব্যে টাইপো হয়েছে এজন্য পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হইনি।

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৬

জ্যাকেল বলেছেন: আল্লাহ মানুষকেই শুধুমাত্র ইন্টেলিজেন্স দান করেছেন, তাই মানুষকে আল্লাহর নিদর্শন বুঝতে হবে নিজে থেকেই। রেসপন্সিবিলিটি তাই মানুষের, এটা না নিতে পারার দায় হবে জাহান্নাম। সোজা সাপ্তা কথা।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


মেসেজ ক্লিয়ার। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার এই গল্প ফেইসবুকের অলিতে গলিতে ঘুড়ে ঘুড়ে পচে গ্যাছে। ওখানেই অনেক বিজ্ঞ লোকের ধ্যাতানি পচানি খেয়ে গল্প টল্প হয়ে মাটির সাথে মিসে যাচ্ছে তো আপনি সেই মরা লাশ এখানে কেনো তুলে আনলেন আর আনলেনই সাথে করে লিংটাও আনতেন। আরো কতো কাল গেয় থাকবেন ইসমার্ট হন এখানে সব্বাই ওভার ইসমার্ট।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


ফেইসবুক এর একটা নাস্তিক গ্ৰুপ ঢুকে পড়েছিলাম! একটা মন্তব্যের ফাঁদ এ ফেলে একদম অপ্রত্যাশিত ভাবেই কয়েকজন আমাকে উল্টা-পাল্টা প্রশ্ন করা আরম্ভ করে, আমিও তাদের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই, তার সার সংক্ষেপই এটা।

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: এই ধরনের যুক্তি তর্ক গুলো কোথায় কখন থামবে তা নির্ভর করে উভয় পক্ষের জ্ঞানের গভীরতা, তর্ক চালিয়ে যাওয়ার ধৈর্য আর হুজ্জুতির উপরে!! যত যুক্তি আর তর্কই করা হোক না কেন, সৃষ্টিকর্তা যুক্তিতে বা প্রমানে পুরপুরি প্রতিষ্ঠা পাবেন না। কিন্তু বিশ্বাসে উনি আছেন, থাকবেন। ব্যাপারটা সিম্পল, মানুষের পারসেপসনের বহু রকমের লিমিটেশন আছে, যা আপনার ব্রেইন পারসিভ করতে পারে না বা সৃষ্টিকর্তা যা পার্সিভ করার ক্ষমতা আপনাকে দেন নাই তা আপনি প্রচলিত পদ্ধতিতে কি ভাবে প্রমান করবেন? এখানেই যত কনফ্লিক্ট , মানুষ মনে করে মানুষ জানাকে দিয়ে অজানাকে প্রমান করে, কিন্তু নিজের পারসেপসনের বাইরে কিছুই করে না। আর আল্লাহ এই জীবনে পার্সিভেবল নয়, তাই প্রমান যোগ্যও নয়, হাঁ বেহেস্তে আমরা উনার দেখা পাব ইনশাল্লাহ, কিন্তু তখন আর প্রমানের কিছুই থাকবে না।

"হুয়াল আউয়ালু,ওয়াল-আখিরু, ওয়া-যযহিরু, ওয়াল-বাতিনু, ওয়াহুয়া বি-কুল্লি শাইইন আলিম।"

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


অত্যন্ত গভীর বিশ্লেষনপূর্ণ মন্তব্য। এর পর আর কিছু বলার থাকে না। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: বলা হয়ে থাকে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। বিশ্বাসী অবিশ্বাসীদের এই দ্বন্দ্ব চিরকাল থাকবে।
যারা অবিশ্বাসী তাদেরকে আপনি যত যুক্তি দেন না কেন, তারা অবিশ্বাস থাকবেই এবং সেটা থাকার জন্য এর পিছনে তাদের অবশ্যই অনেক অনেক যুক্তি থাকে যেগুলো তারা নিজেরা যৌক্তিক বলে বিশ্বাস করে।
যৌক্তিকতা কোন ব্যক্তির জ্ঞানের বহর এবং তার গভীরতার উপর নির্ভর করে। ‌ আমি এই ধরনের তর্ক-বিতর্ক পছন্দ করি না।
তার মূল কারণ হলো ধর্মীয় তত্ত্ব হচ্ছে বিশ্বাসের বিষয় এটা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করা যাবে না।‌‌ পৃথিবীর কোন ধর্মেই বলা হয়নি সেটাকে বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণ করতে। তাই অযথা বিজ্ঞানকে ডেকে নিয়ে এসে ধর্মকে প্রমাণ করতে যাওয়ার মতন নির্বোধিতার কাজ না করাটাই উত্তম।
শুভকামনা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমি নিজেও ধর্মীয় বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক খুব একটা পছন্দ করি না। পেছনের ঘটনা হচ্ছে, খুব সম্ভবতঃ বাংলাদেশ যুক্তি ও বিজ্ঞান সমিতি কিংবা এই জাতীয় নামের একটা ফেইসবুক গ্রপ এ লাইক দেয়ার পরে সেখানে একটা পোস্ট এ আমাকে একরকম টোপ এ ফেলে আমার সাথে তর্ক জুড়ে দেয়, আমিও কন্টিনিউ করি, এক পর্যায়ে একজন আমার সাথে কুলিয়ে উঠতে না পেরে আরেকটা আইডি কে আমার সাথে কন্টিনিউ করতে বলে। শেষমেষ তারা আর আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়া থেকে বিরত থাকে। তারপর আমি সেই সংলাপ গুলো কপি করে এনে এই পোস্ট তা তৈরী করি এবং ওই ফেসবুক গ্রুপ থেকেও লিভ নিয়ে নেই। এই হলো ঘটনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.