নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখের হাটে সুখ বেচি, শান্তি খুঁজি অশান্তির বাজারে। দাম দিয়ে কিনি যন্ত্রণা।

গেঁয়ো ভূত

ব্লগে নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যা সঠিক মনে করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে লিখতে চেষ্টা করি।

গেঁয়ো ভূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের খসড়া \'ডেটা সুরক্ষা আইন\' নিয়ে আমেরিকা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে - সামুর একজন সচেতন ব্লগার হিসেবে বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪১



প্রতিদিন নতুন নতুন প্রযুক্তির পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী দ্রুত বদলে যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত এই অগ্রগতির সাথে তাল মিলাতে গিয়ে বাংলাদেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এইসব পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের আইনি ও নিয়ন্ত্রন কাঠামোকে সাজানোর জন্যে বাংলাদেশ 'ডেটা সুরক্ষা আইন' তৈরির লক্ষে কাজ করছে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সব বিদেশি কোম্পানিকে বাংলাদেশের ভেতরে ডেটা সেন্টারে তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। কোন ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করতে হলে তার সম্মতি থাকতে হবে। ব্যবহারকারীর সম্মতিপত্র ছাড়া কোন স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না। যেসব তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে, তা সংগ্রহকারীর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কোন তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না।

বাংলাদেশ চায়, দেশের ভেতর থেকে যারা ফেসবুক ইউটিউবে সহ বিভিন্ন ধরণের এপ্স ও প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন তাদের তথ্যগুলো দেশের ভেতরেই সংরক্ষণ করা হোক। এই আইন বাস্তবায়ন হলে দেশের নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীদের তথ্য অনুমতি ছাড়া বিক্রি করতে পারবে না।

বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত রাখতে বাংলাদেশের ডেটা সেন্টার তৈরি করতে হবে না কারণ বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে একাধিক ডেটা সেন্টার রয়েছে। এবং এই লক্ষে বাংলাদেশ অবকাঠামো গত অনেক উন্নয়নও করেছে এবং করছে। আবার বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।



বাংলাদেশের সরকার 'ডেটা সুরক্ষা আইন' প্রণয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আপত্তি করেছেন আমরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেছেন, এ ধরণের আইন প্রণয়ন করা হলে আমেরিকান যেসব কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে তারা বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারে। এটাকে এক ধরণের হুমকিই বলা যায়।

আমার কথা হলো বাংলাদেশ 'ডেটা সুরক্ষা আইন' করলে আমেরিকার আপত্তির কারণ কি? তারা সারা পৃথিবীকে গণতন্ত্রের ছবক দিয়ে বেড়ায়, এটা তাদের কি ধরণের গণতান্ত্রিক আচরণ?

প্রত্যেকটা দেশেরই তো অধিকার আছে তাদের নাগরিকদের তথ্য নিজেদের দেশের ভেতরে রাখতে চাওয়ার। আমেরিকা তাদের দেশের নাগরিকদের তথ্য তো সারাবিশ্বে ছড়িয়ে রাখে না। তাহলে বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য দেশের ভেতরে রাখতে চাইলে তাদের সমস্যা কেন? অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই সিঙ্গাপুরে ডেটা সেন্টারে তথ্য সংরক্ষণ করে আঞ্চলিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। সেখানে রাখতে পারলে বাংলাদেশে রাখতে সমস্যা কোথায়?

বাংলাদেশে এধরণের ব্যবস্থা চালু করা গেলে তো প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে এবং তা দেশের অর্থনীতি বিকাশেও তা ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।

সামুর একজন সচেতন ব্লগার হিসেবে বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: সময়ের আলচিত চমতকার একটা বিশয় নিয়ে লিখেছেন। আপনার পোস্টের শেষ লাইনে জানতে চেয়েছেন- সামুর একজন সচেতন ব্লগার হিসেবে বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

প্রথমেই বলবো- এই প্রকৃয়ার ফলাফল সম্পর্কে আপনি আপনার মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেছেন। আমিও বলবো- সিদ্ধান্তটি সময়োপোযোগী নিঃসন্দেহে। তবে যারা এই প্রকৃয়ার সাথে যুক্ত তাদের বিষয়ে কিছু বলা যাবেনা।

ধন্যবাদ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: বড় ভাই,
পোস্ট এর গুরুত্ব অনুধাবন করে মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বাংলাদেশের 'ডেটা সুরক্ষা আইন'।
দেশী ডাটা দেশে রাখবে নাকি বিদেশে, এই সব নিয়া এই হালার মাথাব্যাথা কিল্লাইজ্ঞা?
এই হালার চেহারা দেখলে গেষ্টাপোর খুনি মনে হয়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: খালি কি আর মাথাব্যাথা? ওদের নাকটা এত বেশি লম্বা যে পৃথিবীর তাবৎ বিষয়ে নাক না গলিয়ে থাকতেই পারে না।

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: প্রযুক্তি খাতে একধাপ এগিয়ে যাবে তো বুঝলাম কিন্তু একবার চিন্তা করেন ডাটা সেন্টার যদি এদেশে বাধ্যতামূলক ভাবে করা হয় তাহলে সেইটার উপরে সরকারের আরও কঠিন ভাবে নিয়ন্ত্রন চলে যাবে । সরকার আপনাকে আরও একটু বেশি ভাল ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে ।
আপনি কি তাই চান?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার এবং আমার এমন কোনো ডাটা আছে যেইটা সরকারের কাছে নাই? একটু ডাইন-বাম করলেই দেখবেন সব বেরিয়ে আসবে, সেটা আপনি আমি চাইলেও হবে আর না চাইলেও হবে। তবে এই আইনটাতে নাগরিকদের সুবিধাই আমি বেশি দেখতে পাচ্ছি।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি সচেতন ব্লগার নই।
তাই মন্তব্য করলাম না। ক্ষমা করবেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমি সচেতন ব্লগার নই।

এটাতো আগে জানা ছিলোনা, আর ক্ষমা করার প্রশ্ন কেন?

অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: এটা আলোচনার বিষয়।
এতে সমস্যা সম্ভাবনা দুটোই আছে।

তবে এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই =p~ =p~ =p~

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশের সাথে একমত, তবে আমি সম্ভাবনাই বেশি দেখছি। আর মাথা যেহেতু আমাদেরই তাই মাথা ব্যাথা থাকাটা মন্দ কিছু নয়। অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: এতে কি সামু ব্লগ ও এই সুরক্ষার মধ্যে পড়বে? ব্লগার দের ডাটা তো বাংলাদেশে সেইভ করা হয় না....

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: বিষয়টা ক্লিয়ার না, সামু ব্লগটিম হয়তো বিষয়টা ক্লিয়ার করে বলবেন। তবে যতদূর জেনেছি বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাক্তিগত তথ্য নিয়ে বিদেশি কোম্পানিদের পুরাতন মালের আড়তদারের মতো ব্যবসা বন্ধ করাই আইনটির অন্যতম উদ্দেশ্য।

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৩

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের সরকার ডাটা সংরক্ষনের চেয়ে নিয়ন্ত্রনে বেশি আগ্রহী থাকবে তাই আমার মনে হয় না এতো ভালো কিছু আসবে।

বাইরের দেশের অবকাঠামো উন্নত এবং এর ব্যবহারও প্রফেসনাল ভাবেই করবে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার সম্ভবনা থাকবেনা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমার তো মনে হয় পশ্চমা আইটি কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া ব্যবসার লেভার হার একটু কমে আসবে এই জন্যই এইসব ভুঙভাঙ কথাবার্তা। ওরা সব সময় ওদের লাভের কোথায় আগে চিন্তা করে। ওরা চায়না কোম্পানি হুয়াওয়ে কে থামিয়ে দিয়েছে, কারণ ওরা ঠিকই বুজতে পেরেছে যে হুয়াওয়ে ওদের বাজার দখল করে ফেলবে। ওদের আসল কথাই হলো একচেটিয়া ব্যবসা, এর বাইরে কিছু নাই।

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমরা কি সচেতন হব, পোষ্ট দিয়ে পোষ্ট দাতা নিজেই অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। তাঁর প্রতিমন্তব্যের কোন খবর নেই।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
মওলানা সাহেব, পোষ্ট দাতার ব্যাক্তিগত সময়ের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনা করতঃ দেরিতে প্রতিমন্তব্যের বিষয়টি মার্জনীয়।

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খসড়া ডেটা সুরক্ষা নীতি, বা 'উপাত্ত সুরক্ষা নীতি' এই লিংকে এই লিংকে পাওয়া যাবে।

ডেটা সুরক্ষা কী?

ফেসবুক, টুইটার এবং গুগলসহ ইন্টারনেটে নানা ধরণের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ব্যবহার করছেন বাংলাদেশিরা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সব তথ্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর কাছে সংরক্ষিত থাকে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশে বসে যারা ফেসবুক ব্যবহার করছেন, তাদের প্রতিটি ক্লিকের তথ্য ফেসবুকের কাছে সংরক্ষিত থাকে। যেমন - আপনি কোথায় লাইক দিচ্ছেন, কী শেয়ার করছেন, কোন ধরণের বিষয় সার্চ করছেন - এ সবকিছুই ফেসবুকের ভান্ডারে জমা থাকে।

এভাবে প্রতিটি অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটও তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য সংরক্ষণ করে।

বাংলাদেশ সরকার চায় বাংলাদেশের ভেতর থেকে যারা এসব ব্যবহার করছেন তাদের তথ্যগুলো দেশের ভেতরেই সংরক্ষণ করা হোক। অর্থাৎ সব বিদেশি কোম্পানিকে বাংলাদেশের ভেতরে ডেটা সেন্টারে তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে।


প্রস্তাবিত আইনে কী আছে?

ডেটা বা উপাত্ত সুরক্ষা আইনের প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশের ভেতরে কোনো কেন্দ্র বা ‘ডেটা সেন্টারে’ সংরক্ষণ করতে হবে। মূলত এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মি. হাস।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করতে হলে তার সম্মতি থাকতে হবে। এ ধরণের তথ্য কেউ সংগ্রহ করতে চাইলে ব্যবহারকারীর সম্মতিপত্র দেখা হবে। কোন স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না। যেসব তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে, তা সংগ্রহকারীর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হবে। 'অপ্রয়োজনীয়' কোন তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না।

প্রস্তাবিত আইনে আরো বলা আছে, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে। যে উদ্দেশ্যে তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, তা প্রয়োজনীয় না হলে অথবা মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এসব তথ্য নষ্ট করে ফেলতে হবে। যিনি তথ্য দেবেন, তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার কোনরকম সম্ভাবনা থাকলে তথ্য নেয়া যাবে না।

যারা তথ্য সংগ্রহ করবেন, তারা কী উদ্দেশ্যে সেটা নেবেন, কেন ও কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা তথ্য দাতাকে পরিষ্কার করে বলতে হবে। যে উদ্দেশ্যে তথ্য নেয়া হবে, সেটা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

এসব দেখাশুনা, নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সংস্থা গঠন করা হবে, যার প্রধান হবেন একজন মহাপরিচালক।

মিঃ হাসের উদ্বেগ কেন?

ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার জে হাস উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের উপাত্ত বাংলাদেশের ভেতরে সংরক্ষণ বা ‘ডেটা লোকালাইজেশন’ করা হলে অনেক 'স্টার্ট আপ' বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক বাংলাদেশি ব্যবহারকারী যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সেবা ব্যবহার করতে পারবেন না।

ডেটা বাংলাদেশে সংরক্ষিত হলে সেখানে বাংলাদেশ সরকারেরও প্রবেশাধিকার থাকবে। সেক্ষেত্রে সেসব তথ্য অন্যদের হাতে চলে যেতে পারে বলে তাদের আশংকা রয়েছে।

গত বছর যখন এই আইনের খসড়া প্রকাশ করা হয় তখন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইটিআইএফ (ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ফাউন্ডেশন) তাদের এক প্রকাশনায় আশঙ্কা প্রকাশ করে যে ‘ডেটা লোকালাইজেশন’ বাধ্যতামূলক করা হলে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৬ শতাংশ কমে যাবে।

এই আইন বাস্তবায়িত হলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ব্যবসাায়িক লেনদেন রয়েছে এমন অনেক ব্যবসায়ীরাও।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ‘সংবেদনশীল’ ডেটা বাংলাদেশের ভেতরের ডেটা সেন্টারে রাখলে সেই ডেটার সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এরশাদ আহমেদ।

“ব্যবসায়ী হিসেবে আমাদের কাছে অনেক গ্রাহকের তথ্য আছে। তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক হিসেবে একাধিক ব্র্যান্ডের - যারা একে অন্যের প্রতিযোগী – অর্থনৈতিক লেনদেনের তথ্য আমাদের কাছে থাকে। আমরা যখন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পাঠাই তখন পণ্যের সাথে এই তথ্যও পাঠানো হয়। এখন ডেটা সেন্টার হলে সব ডেটা সেই সেন্টারে রাখতে হবে এবং আন্ত:দেশীয় ডেটা ট্রান্সফার প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।”

মি. আহমেদের মতে প্রস্তাবিত খসড়ায় ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক উপাত্তের বিষয়টি আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়নি এবং ফেসবুক বা গুগলের মত গ্লোবাল ফার্মগুলোর শর্ত ও নীতিমালা আমলে নেয়া হয়নি।

ডেটা ট্রান্সফার প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়া ছাড়াও যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলে তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে এবং তথ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলেও মনে করেন মি. আহমেদ।

“সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি এখন বিশ্বের সব বড় প্রতিষ্ঠানের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যবহারকারী চাইবেন না যে তাদের তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ুক। এসব ঝুঁকির জন্য গ্রাহক বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের ভেতরের ডেটা সেন্টারে নিজেদের তথ্য রাখার ব্যাপারে আগ্রহী হতে চাইবেন না।”

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে যখন এই আইনের খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ করা হয় তখনও বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘ডেটা লোকালাইজেশন’ সংক্রান্ত এই ধারাটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বলে জানান মি. আহমেদ।

মি. আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে যেই ডেটা সেন্টারগুলো থাকবে, সেখানে ডেটা কতটা সুরক্ষিত থাকবে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড তারা মানতে পারবে কি না বা সেখানে কী ধরণের ডেটা সংরক্ষিত থাকবে, এসব বিষয়ে প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় অস্পষ্টতা রয়েছে।”

এরশাদ আহমেদ জানান আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে এসব উদ্বেগের বিষয়ে এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ কী বলছে?

এই আইন বাস্তবায়িত হলে বিদেশের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সেবা ব্যবহার করা বাংলাদেশি নাগরিকদের তথ্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

এই বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, “প্রত্যেকটা দেশের অধিকার আছে তাদের নাগরিকদের তথ্য নিজেদের দেশের ভেতরে রাখতে চাওয়ার। আমার দেশের ও দেশের মানুষের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সেই তথ্য আমরা দেশের ভেতরে রাখতে চাই।”

“আমেরিকা তাদের দেশের নাগরিকদের তথ্য তো সারাবিশ্বে ছড়িয়ে রাখে না। তাহলে বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য দেশের ভেতরে রাখতে চাইলে বাধা কোথায়?”

মি. জব্বার বলেন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত রাখতে তাদের নিজেদের ডেটা সেন্টার তৈরি করতে হবে না কারণ বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে একাধিক ডেটা সেন্টার রয়েছে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই সিঙ্গাপুরে ডেটা সেন্টারে তথ্য সংরক্ষণ করে আঞ্চলিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। সেখানে রাখতে পারলে বাংলাদেশে রাখতে সমস্যা কোথায়?”

তবে মি. জব্বার বলেন প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইনটি এখনও খসড়া পর্যায়ে রয়েছে এবং এতে প্রস্তাবিত নীতিমালা পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে, কাজেই এখনই এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

উপরের কথাগুলো নেয়া হয়েছে এই লিংক থেকে


একজন অনলাইন ব্রাউজার হিসাবে আমার শঙ্কা হবে কেন?

আমার নতুন করে ভয় পাবার কিছু দেখি না। আমার তথ্যাবলি অলরেডি সকল অ্যাপস ক্রিয়েটরের কাছে আছে। এই আইন বাস্তবায়ন করা গেলে সেগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। সো, ফিল সেইফ অ্যান্ড বি হ্যাপি।

এর সাথে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, কপিরাইট আইন, বা তথ্য নিরাপত্তা আইনের কোনো সম্পর্কে আছে বলে আমার মনে হয় না। তথ্য নিরাপত্তা আইন, কপি রাইট আইন, ইত্যাদি আপনাকে/আমাকে ধরার জন্য রচিত :) অন্যদিকে, উপাত্ত সুরক্ষা আইন আপনার ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

ব্লগিং বা ফেইসবুকিং, ইউটিউবিং, টুইটারিঙের জন্য উপাত্ত সুরক্ষা আইন কোনোদিন আপনার হুমকি হবে না, আমি এটা বুঝেছি :)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সুপ্রিয়, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, অনেক ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আপনার মন্তব্যে এই পোস্ট এর ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করে দিয়েছেন। বিশেষ করে ১০ নম্বর মন্তব্যে 'ডেটা সুরক্ষা আইন' এর খসড়া তা যুক্ত করে দেয়াতে অনেক ভাল হয়েছে। আমার রাতের বেলা বিষয়টি মনে হয়েছিল কিন্তু রাতে মোবাইল দিয়ে চেষ্টা করেও পারছিলাম না।

আপনি মন্তব্যের নিচের অংশে যে কথাটি বলেছেন তা যেন আমার কথারই প্রতিধ্বনি!

একজন অনলাইন ব্রাউজার হিসাবে আমার শঙ্কা হবে কেন?

আমার নতুন করে ভয় পাবার কিছু দেখি না। আমার তথ্যাবলি অলরেডি সকল অ্যাপস ক্রিয়েটরের কাছে আছে। এই আইন বাস্তবায়ন করা গেলে সেগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। সো, ফিল সেইফ অ্যান্ড বি হ্যাপি।

এর সাথে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, কপিরাইট আইন, বা তথ্য নিরাপত্তা আইনের কোনো সম্পর্কে আছে বলে আমার মনে হয় না। তথ্য নিরাপত্তা আইন, কপি রাইট আইন, ইত্যাদি আপনাকে/আমাকে ধরার জন্য রচিত :) অন্যদিকে, উপাত্ত সুরক্ষা আইন আপনার ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

ব্লগিং বা ফেইসবুকিং, ইউটিউবিং, টুইটারিঙের জন্য উপাত্ত সুরক্ষা আইন কোনোদিন আপনার হুমকি হবে না, আমি এটা বুঝেছি :)


অনেক অনেক শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খসড়া নীতিটা বোধহয় উপরে আসে নাই। এখানে পাবেন।[link||view this link]

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অনেক অনেক শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

নতুন বলছেন -
বাইরের দেশের অবকাঠামো উন্নত এবং এর ব্যবহারও প্রফেসনাল ভাবেই করবে।


কিন্তু কেউ করছে না। সবাই করছে ব্যাবসা।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার দেশের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় কমে যাওয়ার ভয়, তাদের ব্যাবসাইক স্বার্থ দেখছে।

বাংলাদেশের ডাটা কেন, রেমিটেন্স এক্সপোর্ট সহ উপার্জিত রাষ্ট্রের সব ডলার আমেরিকার রাখা হচ্ছে।
কিন্তু কোন নিশ্চয়তা নেই, চুরি হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক মতভিন্নতা হলে টাকা আটকে দিতে পারে। সম্প্রতি রাশীয়ার টাকা আটকে দিয়েছে। আর আবগানিস্তানের তো পুরো রিজার্ভ আত্নসাত করেছে। মামলা করেও লাভ হচ্ছে না।
বিদেশে রাখা টাকারই নিশ্চয়তা নেই, আবার ডাটা।

তবে চোর ডাকাতদের জন্য পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা আছে,
ব্যাঙ্ক থেকে হাজারকোটি টাকা চুরি করে তথাকথিত আইনের শাসনের দেশে নিয়ে নিরাপদে আশ্রয় দিয়ে রাখছে। চোরাই টাকাসহ চোরকে সুরক্ষা দিচ্ছে।
শুধু চোর কেন, দেশে খুন করে পালিয়ে তথাকথিত আইনের শাসনের দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে আদালতের দন্ডপ্রপ্ত খুনিরা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য! একদিকে আফগানিস্তানের শিশুরা না খেয়ে মরছে অপরদিকে তাদেরই রিজার্ভের কোটি কোটি টাকা আত্নসাৎ করে বসে আছে মানবতার ধ্বজাধারী আমেরিকা! এটাই তাদের আসল চেহারা। এইসব কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ডলারের বিকল্প মুদ্রায় রিজার্ভ সংরক্ষণের চিন্তা ভাবনা করছে। অনেক দেশ স্বর্ণ রিজার্ভের পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে।

একটা জাতির নাগরিকদের ডাটাও তো একটা মূল্যবান সম্পদ।

১২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:১৪

সোহানী বলেছেন: গুড়ুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সবাই ব্যাবসা করতে চায় আমারে আপনারে নিয়া....... ফেসবুক, টুইটার, গুগুল। এখন সরকার যদি তা করতে চায় তাহলে ভালো, দেশের টুপাইস আয় হবে আমার আপনার পার্সোনাল ডাটা বিক্রি কইরা। কিন্তু এই তথ্য যদি আপনারে সাইজ করার জন্য ইউজ করা হবে না তার গ্যারিন্টি কোথায়?? ফেসবুক, টুইটার, গুগুল তো আমাগোরে সাইজের লাইগা ডাটা ইউজ করে না এইটা অন্তত জানি B:-/

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: গুড়ুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সবাই ব্যাবসা করতে চায় আমারে আপনারে নিয়া....... ফেসবুক, টুইটার, গুগুল। এখন সরকার যদি তা করতে চায় তাহলে ভালো, দেশের টুপাইস আয় হবে আমার আপনার পার্সোনাল ডাটা বিক্রি কইরা।

আমারও সেটাই মত।

কিন্তু এই তথ্য যদি আপনারে সাইজ করার জন্য ইউজ করা হবে না তার গ্যারিন্টি কোথায়??

তা যদি করতে চায় তাহলে এক আইসিটি এক্টই যথেষ্ট।

১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর চমৎকার বিশ্লেষণটি আমাকে অধিকতর যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়েছে ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমার কাছেও ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর চমৎকার বিশ্লেষণটি অধিকতর যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়েছে ।

১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার তো মনে হয় পশ্চমা আইটি কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া ব্যবসার লেভার হার একটু কমে আসবে এই জন্যই এইসব ভুঙভাঙ কথাবার্তা। ওরা সব সময় ওদের লাভের কোথায় আগে চিন্তা করে। ওরা চায়না কোম্পানি হুয়াওয়ে কে থামিয়ে দিয়েছে, কারণ ওরা ঠিকই বুজতে পেরেছে যে হুয়াওয়ে ওদের বাজার দখল করে ফেলবে। ওদের আসল কথাই হলো একচেটিয়া ব্যবসা, এর বাইরে কিছু নাই।

ব্যবসা সবাই করবে, বিদেশীরা প্রফেসনাল ভাবে, আর আমাদের দেশের সরকার তাদের পছন্দ আর অপছন্দ অনুযায়ী।




হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: <<<<<

বিদেশে রাখা টাকারই নিশ্চয়তা নেই, আবার ডাটা।


ভাই যারা প্রবাসে স্থায়ী হয়েছে তারা নিজেরাই বিদেশের সরকার/সমাজের প্রতি নিশ্চিত হয়েই গেছেন, যদি দেশের চেয়ে ভালো না লাগতো তবে তারা দেশেই থাকতো।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন। যারা আমার দেশের লুটপাটকরি আর খুনিদের আশ্রয় দেয় তারা অনেক ভাল।

১৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪

শাওন আহমাদ বলেছেন: যুগোপযোগী পোস্ট!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।

১৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: হঠাৎ নির্বাচনের আগে সরকার কেন এই ধরনের কাজে আগ্রহী সেটা আগে বুঝতে হবে। এটার শানে নযুলের মধ্যেই সকল রহস্য লুকিয়ে আছে। সরকার এইসব ডাটা সংরক্ষনের চেয়ে নিয়ন্ত্রনের কাজেই বেশি আগ্রহী থাকবে।
ইদানীং ফেসবুকে বিভিন্ন স্পনসরড এ্যাড আসা শুরু করেছে রাজনৈতিক পোস্টের মতো করে।
দেখেছেন সেইগুলো? কারা সেই পোস্টে কী মন্তব্য দেয় ও দেবে সেটা সরকার জানতে পারবে। আর বেশি কিছু বললাম না।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কারা সেই পোস্টে কী মন্তব্য দেয় ও দেবে সেটা সরকার জানতে পারবে।

তার মানে কি এটাই দাঁড়ালো কে কার পোস্টে কি মন্তব্য দিচ্ছে তা আপনি এবং আমি জানতে পারছি আর সরকার জানতে পারছে না!

১৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

সামছুল আলম কচি বলেছেন: রাজা যদি প্রজাদের এতই ভালোবাসেন: তবে এত এত আইন তৈরী করবে কেন !?
প্রজারা আসলে কী চায়, তার খবর কী রাজা-মহারাজাগন রাখেন ??
ব্লগারদের লেখাগুলোও তো এক প্রকার 'ডাটা' !!! তা সুরক্ষার মানে কী ?? এগুলো কি এ আইনে পয়া-অপয়া হিসেবে চিহ্নিত করে পক্ষে-বিপক্ষে, ব্যক্তিগতভাবে নেয়ার ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে না ???
বিদেশীদের মতামত আমরা অপছন্দ বা উপেক্ষা করবো সে যোগ্যতার প্রশ্ন না-ই তুলি, কিন্তু আমরা নিজেরা কতটুটু দৃঢ় বা সংকল্পবদ্ধ যে, এ আইন করে আমরাই আমাদের স্বাধীন ও নিরাপদ রাখতে পারবো !!
ভালো বা খারাপ; কেউ কাউকে নিয়ন্ত্রন করা, প্রভাব বিস্তার বা কিছু চাপিয়ে দেয়া মানে, সেটা তার যোগ্যতা। তাকে বকা দেই, নিজেরা ব্যর্থ বলে।
আমার মনে হয়, যে কোন আইন/পলিসি বাস্তবায়নের পূর্বশর্ত হলো রাজার প্রতি প্রজাদের বিশ্বাস ও জাতীয় একাত্বতা। অনেক বিশাল শক্তিও জাতীয়তাবোধের কাছে হেরে যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে লেজ গুটিয়ে পলানো এমন পরাশক্তিদের তো আমরা দেখছি। কিন্তু সে বিশ্বাস ও জাতীয় একাত্বতাবোধ আমাদের আছে কী ??
সব শেষ কথা হলো; আইন তৈরী হোক বা না হোক, ব্লগারদের মতামতে কিছু আসে যায় কী ??!!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার,

এখানে আপনি বিষয়টির অনেক গভীরে গিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছেন তা বুঝাই যাচ্ছে, যেটা এই পোস্ট এ আর কারো আলোচনায় প্রকাশিত হয়নি।
বিদেশীদের মতামত আমরা অপছন্দ বা উপেক্ষা করবো সে যোগ্যতার প্রশ্ন না-ই তুলি, কিন্তু আমরা নিজেরা কতটুটু দৃঢ় বা সংকল্পবদ্ধ যে, এ আইন করে আমরাই আমাদের স্বাধীন ও নিরাপদ রাখতে পারবো !!

এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভাইয়ে ভাইয়ে যখন দ্বন্দ্ব হয় - মিল থাকে না তখনই তো পরের মাতব্বরি করার সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরী হয়। তবে এটাও তো ঠিক চিরদিন সবার সমান যায় না। আগামীকাল কি হবে তা কেউ জানেনা। আপনি যত ভয় পাবেন অন্যরা আপনাকে ততই ভয় দেখাবে।

ভালো বা খারাপ; কেউ কাউকে নিয়ন্ত্রন করা, প্রভাব বিস্তার বা কিছু চাপিয়ে দেয়া মানে, সেটা তার যোগ্যতা। তাকে বকা দেই, নিজেরা ব্যর্থ বলে।
কথাগুলি অনেক তিতা সত্য কথা। উপরের উল্লেখকৃত কাজগুলো আমরা খুব ভাল পারি।

আমার মনে হয়, যে কোন আইন/পলিসি বাস্তবায়নের পূর্বশর্ত হলো রাজার প্রতি প্রজাদের বিশ্বাস ও জাতীয় একাত্বতা। অনেক বিশাল শক্তিও জাতীয়তাবোধের কাছে হেরে যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে লেজ গুটিয়ে পলানো এমন পরাশক্তিদের তো আমরা দেখছি। কিন্তু সে বিশ্বাস ও জাতীয় একাত্বতাবোধ আমাদের আছে কী ??

প্রতিটি বাক্যই আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।



১৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশে ডেটা সুরক্ষা বিষয় নিয়ে কে কবে ভেবেছিলো তাইতো জানি না ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: সরকার চায়না রাসা ব্লগে চলে যাচ্ছে তায় বিদেশীরা তৎপর, এসব আইন ছাড়াও সরকার আমাদের এমনিতেই নজরে রাখছে এবং চাপে রাখছে, বিরোধী মতকে দমিয়ে রাখছে, বিদেশীরা আমাদের মানবাধীকার ও নির্বাচন নিয়ে দায়সারা ভাব নিয়ে ছিল এখন সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে এবং প্রতিদিন বিবৃতি দিচ্ছে। কারন সরকারকে বাগে আনতে চাইছে।
মোট কথা হল সরকার কাজটা করতে চাইছে কারন সরকান অগণতান্ত্রিক আর বিদেশিরা তাদের স্বার্থ চাইছে

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে, কিন্তু শেষের বাক্যটি বুঝলাম না, আর একটু ক্লিয়ার করলে সুবিধা হতো।

২০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত সময় উপযোগী পোস্ট। বর্তমান সময়ের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ বিষয়ে যে কোন দেশের এমন নিজস্ব আইন থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। ঠিকই তো আঞ্চলিক তথ্য সংগ্রহকারী দেশ হিসাবে সিংগাপুরে না রেখে নিজের দেশে সুরক্ষিত রাখার নির্দিষ্ট আইন করাটা খুবই যুক্তিযুক্ত। এখানে কোন তৃতীয় কোনো দেশের সার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে আহা উঁহু করাটা গ্রাহ্য না হওয়াই সমীচিন। সোনাবীজ ভাইয়ের দীর্ঘ কমেন্ট থেকে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়েছে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,
অত্যন্ত সুচিন্তিত, যুক্তিসঙ্গত ও মূল্যবান মতামত প্রদান করেছেন। আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি।

অনেক অনেক শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।

২১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমেরিকা গনতান্ত্রিক দেশ বলেই এই নীতির বিরুদ্ধচারন করেছে কারন বাংলাদেশ কোন গনতান্ত্রিক দেশ নয় । পত্রিকায় নিশ্চই দেখেছেন যে জো বাইডেনের 'গণতন্ত্র সম্মেলনে' আমন্ত্রিত দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ । এই দেশে আইসিটি এক্ট বলেন বা ডাটা সুরক্ষা আইন বলেন তা জনগনের জন্য নয় , অবৈধ সরকারকে সুরক্ষা দিতেই করা হয়।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমেরিকা গনতান্ত্রিক দেশ বলেই এই নীতির বিরুদ্ধচারন করেছে

হাঁ। কেমন গণতন্ত্রের দেশ তা ঐ দেশটির সর্বশেষ নির্বাচনের পর ক্যাপিটাল হিলে হামলার সারা দুনিয়া দেখেছে সাথে আমরাও দেখেছি।

পত্রিকায় নিশ্চই দেখেছেন যে জো বাইডেনের 'গণতন্ত্র সম্মেলনে' আমন্ত্রিত দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ ।


বেশ তো! তাহলে মিশর কি এমন গণতান্ত্রিক দেশ যে কারণে তারা আমন্ত্রণ পেল?

এই দেশে আইসিটি এক্ট বলেন বা ডাটা সুরক্ষা আইন বলেন তা জনগনের জন্য নয় ,

তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্র যা করে সেটা এই দেশের জনগণের ভালোর জন্যে করে?

আমি কিন্তু তা মনে করি না। আমি এটাই বুঝি ওরা সারা দুনিয়ায় যা করে বেড়াচ্ছে সেটা ওদের জাতীয় স্বর্থরক্ষা ছাড়া আর কিছু না। সেক্ষেত্রে ন্যায়-অন্যায় বৈধ-অবৈধ বলে কিছু নাই। ।

পিটার হাস ভাল করেই জানে, ওদের সোনার ডিমপাড়া হাঁসগুলো আমার বাড়িতে আইসা যে ডিম গুলা পাড়ে এই আইন পাস হলে সেখান থেইক্যা কিছু ডিম আমারে দিয়া যাইতে হইবো। আর ভবিষ্যতে আমার উপর খবরদারি করার ক্ষমতাও কিছুটা হলেও হ্রাস পাইবো।

এইটাই হইলো আসল কথা।

২২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০২

কালো যাদুকর বলেছেন: ব্যপারটি বেশ জটিল ৷ ডাটা সংরক্ষণ হলে দেশেরই লাভ ৷ তবে সেটা ফেয়ার হতে হবে ৷ এরকম নিয়ম নতুন না। চীনে আছে ৷ সেখানে বিদেশী কম্পানীগুলোকে ডাটা সেন্টার করতে হয় ৷

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। ভবিষ্যতে ডাটা নিরাপত্তা প্রত্যেকটা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে পরিণত হবে। আজকাল যেকোনো ডাটা কিন্তু একটা বিশাল সম্পদ।

২৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০০

নীল আকাশ বলেছেন: তার মানে কি এটাই দাঁড়ালো কে কার পোস্টে কি মন্তব্য দিচ্ছে তা আপনি এবং আমি জানতে পারছি আর সরকার জানতে পারছে না!
লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে বেছে নেয়াটা সুবিধা হবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: হাঁ ঠিক আছে, এব্যাপারে দ্বিমত করছি না। কিন্তু এবিষয়ে আমেরিকার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে তো আপনি কিছুই বললেননা।

২৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ডাটা সংরক্ষণ
........................................................
সব সরকারের মাঝে ভূত আছে ,
আর আমেরিকা হলো দু - মুখো সাপ ।
কাউকে বিশ্বাস করা যায় না ।
এর আড়ালে আছে গোপন বানিজ্য আর চিত্তের উল্লাস্

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে দেশের এক শ্রেণী সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে দুমুখো সাপ আমেরিকার পক্ষে কথা বলছে।

২৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমেরিকার মাথাব্যথা কেন তাদের কী স্বার্থ আছে কে জানে

সময়োপযোগী পোস্ট ধন্যবাদ

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। তাদের নীতি তো একটাই "আওয়ার প্রব্লেম ইউর প্রব্লেম, ব্যাট ইউর প্রব্লেম ইজ ইউর প্রব্লেম।" =p~

২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিষয়টি আপনার ভাবনায় এনেছেন এবং এ নিয়ে ব্লগে আলোচনার সূত্রপাত করেছেন, এজন্য আপনাকে সাধুবাদ। এ আলোচনাটি সামনে না এলে এ বিষয়ে অনেক কিছুই অগোচরে থেকে যেত। আর বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাতেই হয় ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাইকে, তার চমৎকার বিশ্লেষণ এবং সুচিন্তিত, সুবিবেচিত, দীর্ঘ মন্তব্যটির জন্য।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটির গুরত্ব অনুধাবনপূর্বক মন্তব্য করবার জন্য। আমাদের দেশের লোকজনের একটা বড় সমস্যা হলো আমরা সব ক্ষেত্রেই বিভক্ত। বিশেষ করে আপনি উপরের কিছু মন্তব্য যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন আমাদের শিক্ষিত শ্রেণীর নাগরিকরা পর্যন্ত জাতীয় স্বার্থে একমত হতে পারেননা। একটি দলের বিরোধিতা করতে গিয়ে আমরা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলছি কিংবা সরাসরি বিদেশি আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রের সরাসরি পক্ষাবলম্বন করতেও দ্বিধা করছেন না অনেকেই। বিষয়টি অতীব দুঃখজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.