নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখের হাটে সুখ বেচি, শান্তি খুঁজি অশান্তির বাজারে। দাম দিয়ে কিনি যন্ত্রণা।

গেঁয়ো ভূত

ব্লগে নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যা সঠিক মনে করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে লিখতে চেষ্টা করি।

গেঁয়ো ভূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার শৈশব - ১

১১ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:০০


স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হবার ছমাস আগের ঘটনা। আমার মা-বাবার দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে আমি এই পৃথিবীতে জন্ম নেবার সুযোগ লাভ করি।আমার বড় বোন জন্ম নেবার প্রায় নয় বছর পরে আমি পৃথিবীতে আসি। আমার মায়ের একমাত্র বোন, বড় বোন। আমার খালা। নিয়ত করেছিলেন ছোট বোনের ছেলে সন্তান হলে প্রথম দিন তাকে বিছানায় শোয়াবেন না, তাই তিনি আমাকে কোলে নিয়ে সারারাত জেগে বসে ছিলেন। অথচ আজ সেই স্নেহ ভালোবাসা বিলিয়ে দেওয়া খালার মুখচ্ছবিটাও মনে করতে পারছি না। কারণ, খালা যখন আামাদের ছেড়ে না ফেরার পথে চলে গিয়েছেন তখন আমি খুব ছোট্ট একটা শিশু ছিলাম।

আমার বাবার কোন ভাই ছিল না, এজন্য আমার আপন কোন চাচা কিম্বা চাচাতো ভাই বোনও ছিল না। খালাতো ভাইয়েরাই ছিল আমার ছোট বেলার প্রথম বন্ধু। আমাদের বাড়ি একই গ্রামে ছিল বলে ওদের সান্নিধ্য খুব ভালভাবেই পেয়েছিলাম। স্বপন ভাই ও সবুজ ভাই আমাকে হাতে ধরে প্রাইমারী স্কুলে নিয়ে যেতেন। তখন ছোট্ট আমি কোন ক্লাসের ছাত্র ছিলাম না, তবুও মা আমাকে তাদের সঙ্গে স্কুলে পাঠাতেন। ওদের সাথে আমি ক্লাসে হাজির হয়ে চুপচাপ বসে থাকতাম। ছুটির আগে অংক স্যার সবাইকে বড় খেলার মাঠের মাঝখানে নিয়ে যেতেন। মনে পরে চৈত্রের খাখা রৌদ্রে সবাইকে বৃত্তাকারে গোল করে বসাতেন। তারপর একজন ছাত্রকে সেই বৃত্তের মাঝখানে নিয়ে যেতেন। বৃত্তের কেন্দ্রে থাকা ছাত্রটি খুব জোরে জোরে আওয়াজ করে বলতো একে পক্ষ, দুইয়ে নেত্র,.... চার এ দিক....সাত সমুদ্র.....। আমরাও তাকে অনুসরণ করে তার একেকটা বাক্য উচ্চারণ শেষ হবার পরে সমস্বরে সবাই একসংগে উচ্চস্বরে চিৎকার দিয়ে বলতাম একে পক্ষ, দুইয়ে নেত্র,.... চার এ দিক....সাত সমুদ্র.....। এক দশ এক এগারো, এক দশ দুই বার, এক দশ তিন তের.....নয় দশ নয় নিরানব্বই, দশ এ শুন্য একশ।

কোনদিন পড়ানো হতো দুই এক্কে দুই, দুই দিগুনে চার, তিন দিগুণে ছয়, চার দিগুনে আট.....তারপর ছুটি হলে সবাই একসংগে ভো দৌড় দিয়ে মাঠের বাইরে এসে বাড়ির পথে হাটা আরম্ভ করতাম আর সমস্বরে চিৎকার করে বলতাম "ছুটি গরম গরম রুটি "।

যখন খুব বেশি গরম পড়তো তখন মর্নিং স্কুল হতো। সকালে কি নাস্তা খেয়ে স্কুলে যেতাম নাকি না খেয়েই যেতাম তা এখন আর মনে নেই। তবে অনেকে মিষ্টি আলু পোড়া স্কুলে নিয়ে যেতো সেগুলো সবাই মিলে খেতে কিন্তু বেশ লাগতো। কেউ কেউ স্কুলে কাচা আম নিয়ে যেতো। খোসা সহ সেই আম প্রথমে ক্লাসের দেয়ালে জোরে ছুড়ে মারা হতো তারপর সেই আঘাতে আম গুলো টুকরো টুকরো হয়ে ক্লাসের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তো, অতঃপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমের টুকরো গুলো তুলে এনে আমরা তা লবণ মেখে খুউব মজা করে খেতাম।

খালাত ভাইদের পুরাতন বই আমাকে পড়তে দিত। আমি ওগুলো নিয়ে তাদের সাথে বসে থাকতাম। তখন প্রথমে যে বই পড়তে দেয়া হতো সেটার নাম ছিল "শিশু শিক্ষা"। শিশু শিক্ষা শেষ হলে দেয়া হতো "বাল্য শিক্ষা" এই বইটা বেশ কঠিন ছিল। এর পরে যে বইটা পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম সেটার নাম ছিল সম্ভবত "সবুজ সাথী"। আমি তাদের সাথে স্কুলে যেতাম এবং বাড়িতে আমার বড় বোনের কাছে লিখা পড়া বেশ ভালভাবেই আয়ত্ব করতে আরম্ভ করলাম।

আমরা লিখতাম কালো একধরণের সমতল শ্লেটে, বাইরের দিকটা কাঠের ফ্রেমে বাঁধানো থাকতো। ইহা সম্ভবতঃ মাটি বা এজাতীয় কোনো কঠিন শিলা দিয়ে তৈরী হতো। কালো এক ধরণের মাটির তৈরী পেন্সিল দিয়ে লিখতে হতো। লিখা স্যার কে দেখানোর পরে আবার ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলা যেত ফলে একটা শ্লেট বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করা যেত যতদিন না সেটা ভেঙে যেত। আমাকে খেলাচ্ছলে দেয়া হয়েছিল আমার সেই ভাইদের অব্যাবহৃত একটা পুরাতন শ্লেট যেটার বাইরের কাঠের ফ্রেম ছিল না। ওটাই আমি পরম যত্নে ব্যবহার করতাম। স্কুল থেকে ফিরে এসে ওটাকে পানি দিয়ে ভিজিয়ে কয়লা দিয়ে ঘষে পরম যত্নে পরিষ্কার করতাম প্রতিদিন।

আমি জীবনে কোনোদিন প্রথম শ্রেণীতে পড়িনি! মাঝে মধ্যে খালাত ভাইদের সাথে গিয়ে তাদর ক্লাশে বসে থাকতাম এটুকুই। একদিন স্কুলের স্যার আমাকে প্রথম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা দিতে বসিয়ে দিলেন, আমার হাতের লিখা ভীষণ খারাপ ছিল। আমি আমার মত করে কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং লিখে পরীক্ষা দিলাম। বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট দিল। আমার নাম ডাকা হল। আমি পাশ করলাম। আমি পাশ আর ফার্স্ট এর পার্থক্য বুঝতাম না। বাড়িতে এসে আমি বললাম আমি ফার্স্ট হয়েছি। খবর শুনে আমার মা যে কি খুশি। পরে জানা গেল আমি শুধু পাশ করেছি ফার্স্ট হইনি।

যাইহোক এরপর আমি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠে গেলাম, আমার প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা আরম্ভ হয়ে গেল। দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠার পর ঘটল একটা ভারী মজার ঘটনা যা আমি জীবনে কোনদিন ভুলবো না।

চলবে....

পরের পর্বের লিংক:
(সম্মানিত ব্লগারদের কাছে অনুরোধ থাকল বাক্য গঠন ও বানানে কোন ভুল পেলে অনুগ্রহ পূর্বক ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।)

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: স্মৃতিচারণ মূলক লেখা নিশ্চয়ই?
সুন্দর লিখেছেন। ভাষা সুন্দর।

১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয় রাজীব নূর ভাই,

হ্যা, ইহা স্মৃতিচারণ মূলক লিখা। প্রথম মন্তব্য এবং ভাল লাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

ভাল থাকবেন। শুভকামনা।

২| ১১ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বেশ স্মৃতিময় লেখা।+++

১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত বোধ করছি। ভাইয়া ++ দিয়েছেন কিন্তু লাইক এ আপনার নাম দেখাচ্ছে না। সামুর কি হলো আবার। =p~

ভাল থাকবেন। শুভকামনা।

৩| ১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

শাওন আহমাদ বলেছেন: কেউ স্মৃতিচারণ করবে আর আমি তা গোগ্রাসে গিলব না তা আবার হয় নাকি? মজার ঘটনার অপেক্ষায় রইলাম।

১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করবেন জেনে মনের মধ্যে সত্যিই একটা ভাল লাগা কাজ করছে। খুব ভয়ে ভয়ে লিখেছি, ভাবছিলাম এই আনাড়ি অখ্যাত মানুষের স্মৃতিকথা আবার কে পড়বে? কিছুটা দ্বিধা দ্বন্ধে ছিলাম।

৪| ১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:



নিয়ত করেছিলেন ছোট বোনের ছেলে সন্তান হলে প্রথম দিন তাকে বিছানায় শোয়াবেন না

এ কথাটা পড়লেই প্রশ্ন চলে আসে কেনো এরকম নিয়ত, বিছানায় শোয়ালে কি হবে?
কোন স্পেসিফিক কারণ ছিলো কি, ইফ সো, কি সেটা?
আদারঅয়াইজ এই বাক্যটা অপ্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে অথচ এটাই কিন্তু শিরোনাম।

ছুটির আগে অংক স্যার (গনিত যিনি পড়াতেন তাকে সবাই অংক স্যার বলতাম)

অংক স্যার যে গনিত পড়ায়, এটা এতোটাই স্বাভাবিক যে এর এক্সপ্লেনেশন দেয়ায় একটা দুর্বল দিক দাঁড়ালো যে যারা লেখা পড়ছে তারা কি জানে না যে অংক স্যার বলতে কি বোঝায়! ব্র্যাকেটের অংশটা তুলে দিলে ভালো হবে।

১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপু,

গঠন মূলক সমালোচনা এবং ভুল শুধরে দেবার আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য স্যালুট জানাই আপনাকে। খালা আমার মাকে ভিষণ স্নেহ করতেন। যেহেতু মায়ের কন্যা সন্তান ছিল এজন্য তাঁর সংসারে একটা পুত্র সন্তান কামনা করে তাকে পরিপূর্ণ সুখী দেখতে এমন একটা তীব্র আকাঙ্খা তার মনে দীর্ঘদিন যাবত প্রোথিত ছিল হয়তোবা। মনোস্কামনা পূরনের খুশিতে এমন অভিপ্রায় তাঁর মনে বপন করে রেখেছিলেন হয়তোবা।
শিরোনাম এবং অংক স্যার ঠিক করে দিয়েছি।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

৫| ১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: ভাইরে এত কিছু মনে রাখলেন কেমনে!! আমার তো কিস্যু মনে নাই :(

১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয় তপন দা,

আসলে মনে রাখি নাই, শুরু করলাম আর স্মৃতি গুলো কিভাবে যেন একের পর এসে ভীড় করতে আরম্ভ করে দিল। আপনিও শুরু করেন দেখবেন পিঁপড়ার মতো লাইন ধরে স্মৃতি গুলো আসতে থাকবে।

ভাল থাকবেন। শুভকামনা।

৬| ১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

মিরোরডডল বলেছেন:



নাসতা না, শব্দটা হবে নাস্তা।

কেউ কেউ স্কুলে কাচা আম নিয়ে যেতো খোসা সহ
এখানে একটা বিরাম চিহ্ন দিতে হবে।

আমি জীবনে কোনোদিন প্রথম শ্রেণীতে পড়িনি!
এই কথাটা লিখতে হতো সেকেন্ড লাস্ট প্যারার প্রথম বাক্য হিসেবে।
Then makes sense, better to understand.

এখানে .........
একদিন স্কুলের স্যার আমাকে প্রথম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা দিতে বসিয়ে দিলেন, আমার হাতের লিখা ভীষণ খারাপ ছিল। আমি আমার মত করে কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং লিখে পরীক্ষা দিলাম। বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট দিল। আমার নাম ডাকা হল। আমি পাশ করলাম। .....................
.........................................................
যাইহোক এরপর আমি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠে গেলাম, আমার প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা আরম্ভ হয়ে গেল। দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠার পর ঘটল একটা ভারী মজার ঘটনা যা আমি জীবনে কোনদিন ভুলবো না।


এতো কিছু লিখলাম পোষ্টের শেষে পারমিশান দেয়া আছে তাই :)
স্মৃতিচারণ পড়তে ভালো লেগেছে।
পরের ঘটনা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অনেক কষ্ট করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লিখার অসঙ্গতি গুলো বের করে আনবার জন্য অনেক ভালবাসা জেনো আপু।

মোবাইল ফোন দিয়ে এডিট করছি না জানি আবার কোথায় ভুল করে বসি।


আবারও অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা। ভালো থেকো আপু

৭| ১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- একেবারে গোড়া থেকে শুরু করেছেন। ভালো লাগলো, চলুক।

১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

৮| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম শ্রেণীতে না পড়েও দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠে গেলেন। অর্থাৎ আপনার শিক্ষাজীবন গ্যালোপিং হর্স হয়ে এগোবে সন্দেহ নেই।আর কখনো কি এমন স্কিপিং ক্লাস করতে হয়েছিল?
মজার পরবর্তী অংশ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্টে সপ্তম লাইক।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: না তৈমুর ভাই জীবনে প্রথম বার ওই একবারই

পোস্টে লাইক এবং কমেন্টের মাধ্যমে উথসাহ প্রদানের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

৯| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শৈশবের স্মৃতি !!
একটানে পড়ে ফেললাম, দারুণ লেখা।

১৩ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয় আপু,

অনেক ভয়ে ভয়ে লিখেছি, ভেবেছিলাম এই আনাড়ি অখ্যাত মানুষের স্মৃতিকথা আবার কে পড়বে? কিছুটা দ্বিধা দ্বন্ধেও ছিলাম। তবে আপনাদের পড়তে ভাল লেগেছে জেনে সত্যিই অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

পোস্টে লাইক এবং কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

১০| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

শায়মা বলেছেন: পাশ আর ফার্স্ট! হা হা

১৩ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: শুধু পাশ আর ফার্স্ট হাহা =p~ লিখলে কি চলে? অনেকদিন আপনাকে মিস করছি। কিছুটা চিন্তায়ও ছিলাম ব্লগে সবাইকে দেখি আপনাকে দেখিনা বলে। হয়তোবা ব্যাক্তিগত কারনে ব্যস্ত ছিলেন। যাক বাবা এবার চিন্তামুক্ত হলাম।


পোস্টে লাইক এবং কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

১১| ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



একদম শুরু থেকেই শুরু ।
ভালই লাগল শৈশবের স্মৃতি কথা
চলতে থাকুক , সাথেই থাকব ।
আমারো ইচ্ছে করছে কিছু লিখতে
শৈশবের স্মৃতিকথা অন্যের সাথে
শেয়ার করার আনন্দই আলাদা ।

শুভেচ্ছা রইল

১৩ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:

শ্রদ্বেয় বিদজ্ঞ ব্লগার, প্রিয় ডঃ এম এ আলী ভাই,

আপনার মন্তব্যে সত্যিই খুবই আনন্দিত এবং দারুণভাবে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। আমার মতো একেবারে কাঁচা হাতের লেখকের প্রতি আপনি সাথে থাকার আশ্বাস দিয়ে লিখাটি কনটিনিউ করতে বলেছেন এটি আমাকে নিশ্চিতভাবেই লিখতে সাহস যোগাবে। ভালবাসা জানবেন।

পোস্টে লাইক এবং কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।


১২| ১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেঁয়ো ভূত,




দুই এক্কে দুই দিয়ে স্মৃতির যাত্রা শুরু করলেন।
এবারে (এ + বি) হোল স্কয়ারের দিকে যাত্রা হতে যাচ্ছে মনে হয়। মাঝখানে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থর বুড়ি ছুঁয়ে যাওয়া।
লেখা ঝরঝরে হয়েছে, একটানে পড়ার মতো।

১৩ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: শ্রদ্বেয়, প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই,

আপনার মন্তব্যে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ থাকে। জানি আমার আনাড়ি কাঁচা লেখার মূল্য খুব একটা বেশি না, তবুও আপনাদের মতো বিদজ্ঞ জনদের নিকট থেকে যখন উৎসাহ দেয়ার জন্য হলেও স্বীকৃতি পাই তখন বুঝি কিছু পারি আর না পারি চেষ্টা করে যেতে হবে। ভালবাসা জানবেন।

পোস্টে লাইক এবং কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

১৩| ১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

চারাগাছ বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত দারুণ ছিল।

১৩ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভালবাসা জানবেন। কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

১৪| ১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতি রোমন্থন। অনেক ছোট যখন ছিলাম তখন স্লেটে লিখেছি বাসায়।

১৩ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:

প্রিয় ব্লগার,
কিছুক্ষনের জন্য আসলেই সেই ছোট্ট সময়ে চলে গিয়েছিলাম, চোখের সামনে সবকিছু যেন ভেসে উঠছিলো। পোস্টে লাইক এবং কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

১৫| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

জটিল ভাই বলেছেন:
পর্ব ১ মানে সবেতো শুরু! দেখা যাক সামনে কি হয়...... (জানেনতো সিরিজ লিখা আমার জন্য বড্ড পীড়াদায়ক?) :(

১৪ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: একটু চেষ্টা করছি আর কি। টিভি ওয়ালাদের মতো করে বলি, কোথাও যাবেন না, গেঁয়োভুতের শৈশবের বৈচিত্রময় সব কাহিনী জানতে সাথেই থাকুন। =p~

পোস্টে লাইক এবং কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

১৬| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর ও প্রাঞ্জল। নিজের বাল্যকালকে খুঁজে পেলাম।

২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সংক্ষেপে এত চমৎকার মন্তব্যে প্রাণিত হলাম। গ্রাম বাংলার মোটামোটি কিছু চিত্র প্রায় সবখানেই অনেক মিল পাওয়া যায়, তাছাড়া আপনি আমি ভৌগোলিক ভাবেও কাছাকাছি এলাকায় বেড়ে উঠেছি।

শুভকামনা।

১৭| ০৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়ে ফেললাম। আপনার সেই এতো আগের কথা এতো ভালোভাবে মনে আছে দেখে চমৎকৃত হলাম। বেশ শক্তিশালী মগজ আপনার। আমার তো বলতে গেলে কিছুই মনে নাই।

যাই হোক, আপনার লেখা পড়ে আরাম পেলাম। ঝরঝরে লেখা। কোন ভুল-ভ্রান্তি নাই। আপনার লেখার হাত চমৎকার বলাই বাহুল্য। এই যোগ্যতা নিয়ে যেই শেইকিনেসের অভিনয় করছেন, তার কি দরকার আছে? =p~

বাই দ্য ওয়ে, আমাদের মিডকে মাস্টারনীর ভূমিকায় দেখে ভালো লাগলো। ;)

০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার সেই এতো আগের কথা এতো ভালোভাবে মনে আছে দেখে চমৎকৃত হলাম। বেশ শক্তিশালী মগজ আপনার। আমার তো বলতে গেলে কিছুই মনে নাই।


এতটা পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করতে পারবো সত্যিই লেখা শুরু করবার আগে ভাবি নাই। শুরু করার পর স্মৃতিরা লাইন ধরে একের পর এক সামনে আসতে আরম্ভ করলো আর আমি তাদেরকে ব্লগের পাতায় বসিয়ে দিলাম। আসলেই স্মৃতি খুবই অদ্ভূত জিনিস! আপনি খেয়াল করলে দেখবেন কিছুদিন আগের কোনো বিষয় বা ঘটনা অনেক চেষ্টার পরও মনে করা যাচ্ছে না, আবার বহুদিন আগের স্মৃতিগুলো পয়েন্ট টু পয়েন্ট বলে দেয়া যায়। বিষয়গুলো আমার কাছে খুবই রহস্যময় মনে হয়! আপনি শুরু করেন দেখবেন ব্যাপারখানা আপনার কাছেও হয়তো এভাবেই ধরা দিবে।

আপনার লেখা পড়ে আরাম পেলাম। ঝরঝরে লেখা। কোন ভুল-ভ্রান্তি নাই। আপনার লেখার হাত চমৎকার বলাই বাহুল্য। এই যোগ্যতা নিয়ে যেই শেইকিনেসের অভিনয় করছেন, তার কি দরকার আছে?

লেখা পড়ে ভালো লেগেছে এবং লেখার অনেক প্রশংসা করেছেন এজন্য দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হলাম। বিশ্বাস করেন শেইকিনেসের অভিনয় আমি মোটেও করি নাই, আসল ব্যাপারখানা হচ্ছে আমার পূর্বে কখনো লিখার অভিজ্ঞতা ছিল যা দেখছেন এখানেই শুরু।

আমাদের মিডকে মাস্টারনীর ভূমিকায় দেখে ভালো লাগলো।


হ্যা আপুকে তো আমি মেন্টর হিসেবে গ্রহণ করেছি। যদিও ব্লগের সবাইকেই আমি আমার মেন্টর মনে করি।
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

১৮| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা পড়ে আপনার বয়স সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া গেল। আমি ভেবেছিলাম, আপনার বয়স হয়তো আরও বেশ কিছুটা কম হবে। যাহোক, আপনার সাথে আমার দুইটা মিল আছে, আমারও কোন চাচাতো ভাইবোন ছিল না। আমার আব্বার একজন ছোটভাই ছিলেন বটে, তবে তিনি একজন কামেল ব্যক্তি ছিলেন, সংসারী ছিলেন না। আর আমিও প্রথম শ্রেণী্তে পড়িনি, দ্বিতীয় শ্রেণীতেও পড়িনেি। আমার পড়াশুনা শুরু হয়েছিল তৃতীয় শ্রেণী দিয়ে।
একটা "কাঠের ফ্রেমবিহীন শ্লেট" এরও কত যত্ন! আপনার এ স্মৃতিটা বেশ মনে ধরলো। আমরাও ছোটবেলা হতে মিতব্যয়ী হতে এবং নিজ নিজ জিনিসের প্রতি যত্নবান হতে শিখেছিলাম।
স্মৃতিকথা ভালো লাগল। প্লাস। + +

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:০৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

একটা "কাঠের ফ্রেমবিহীন শ্লেট" এরও কত যত্ন! আপনার এ স্মৃতিটা বেশ মনে ধরলো।


খুব ভয়ে ভয়ে লিখেছি, ভেবেছিলাম এই আনাড়ি অখ্যাত মানুষের স্মৃতিকথা আবার কে পড়বে? তারপরও আপনাদের মত হৃদ্য জনদের ভাল লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। আমার ছোটবেলার সাথে আপনার বাল্যকালের বেশ কিছু মিল আছে জেনে ভাল লাগল।

পোস্টে লাইক এবং কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানের জন্য আবারও অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.