নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখের হাটে সুখ বেচি, শান্তি খুঁজি অশান্তির বাজারে। দাম দিয়ে কিনি যন্ত্রণা।

গেঁয়ো ভূত

ব্লগে নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যা সঠিক মনে করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে লিখতে চেষ্টা করি।

গেঁয়ো ভূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার শৈশব - ২

২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭



ক্লাসে সবচেয়ে ছোট ছিলাম, একটু বোকাসোকাও ছিলাম, বাকি ছাত্র-ছাত্রীদের সবাই আমার চেয়ে বয়সে বড় ছিল। যারা আমাদের পাড়ার তারা আমাকে ছোট বলে স্নেহ করত, সাথে করে স্কুলে নিয়ে যেত। আমাদের স্কুলে একজন নতুন স্যার আসলেন, বহুদিন পরেও সৰাই উনাকে নতুন স্যারই বলতো। একদিন নতুন স্যার এর ক্লাস এ খুব হৈচৈ চলছিল, আমার সেদিকে কোন খেয়াল নেই, আমি পেছনের বেঞ্চে বসে খেলছিলাম অথবা কিছু আঁকিবুকি করছিলাম, একসময় নতুন স্যার আমার নাম ঘোষণা করলেন, সঙ্গে সঙ্গে ক্লাসের সবাই জোড়ে চিৎকার দিয়ে ক্লাসরুম সরগরম করে তুললো। আমি কোনো কিছু বুঝতেই পারলাম না, অগত্যা স্যারের দিকে তাকিয়ে রইলাম। নতুন স্যার আমাকে বললেন এখন থেকে তুমি এই ক্লাসের ক্যাপ্টেন।

এদিকে ক্যাপ্টেন কি তার কাজ কি এসব কিছুই আমি জানিনা। আসল ঘটনা হলো নতুন স্যার ক্লাস ক্যাপ্টেন বানানোর জন্য সবাইকে ছোট কাগজে নিজ নিজ নাম লিখে স্যারের কাছে জমা দিতে বলেন, লটারির মাধ্যমে ক্যাপটেন নির্বাচিত করা হবে। আমাদের পাড়ার কুদ্দুস, নিজের নাম জমা দেয় পাশাপাশি আর একটা কাগজে আমার নাম লিখে জমা দিয়েছিল যা আমি জানতাম না। যাইহোক, আমি ক্ষুদে মহারাজ হয়ে গেলাম ক্লাস ক্যাপ্টেন। এই ঘোষণার পর যে মেয়েটি প্রায় প্রতিদিন আমাকে চোখ রাঙিয়ে ভয় দেখাতো ওর চেহারাটা হয়েছিল দেখার মতো। একদম যেন আকাশ থেকে পরেছিল।

স্যার আরো একটি ঘোষণা দিলেন যে পরদিন আমি সবাইকে বিস্কিট কিনে খাওয়াবো। ঘোষণার পর আমার মতো ছোট্ট মানুষটির ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া চেহারা দেখে স্যার বললেন কালকে ক্লাসের সবাই কিছু পয়সা নিয়ে এসে নতুন ক্যাপ্টেনের কাছে জমা দিবা ও তোমাদের বিস্কিট এনে খাওয়াবে। পরদিন কেউ দশ পয়সা, কেউ পাঁচ পয়সা আবার দু একজন পঁচিশ পয়সা করে এনে জমা দিয়েছিল। তারপর সস্তার বিস্কিট এনে সবাই মিলে খাওয়া হলো।

মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ছিল সোরহাব স্যার, কিন্তু সেদিন এই আতঙ্ক মনে হয় স্রহস্যগুন বেড়ে গিয়েছিল। শোনা গেল স্কুলে ডাক্তার এসেছেন সবাইকে টিকা (ভ্যাকসিন) দেয়া হবে। ভয়ে সবাই তো একদম কাঠ, পালানোর জন্য সকলে এদিক ওদিক পথ খুজছিলাম, কিন্তু পালানোর কোন সুযোগই সেদিন আমাদের হাতে ছিল না। সবাই ক্লাসের ভিতরে আর সাক্ষাৎ জম আমাদের সোরহাব স্যার বেত নিয়ে দরজার সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে, টিকা দেয়ার সরঞ্জাম নিয়ে টিকাওয়ালা ক্লাসে ঢুকলেন, এদিকে আমাদের চোখে ছলোছল জল, নিজেকে যেন সবাই কোরবানির ছাগল মনে করেছিলাম সেদিন। একজন একজন করে দরজার সামনে এনে টিকা দেয়ার পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছিল আর আমরা অশ্রু সজল চোখে বাড়ির পথ ধরছিলাম। এখন যতই সেদিনের কথা মনে করি আর সেদিনের ভয়গুলো ততই আনন্দে পরিণত হয়।

আরেক দিনের কথা বেশ মনে পড়ে, খুব সম্ভবত তখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তাম, সোরহাব স্যার ইংরেজিতে বারো মাসের নাম লিখতে দিলেন, আমি সবগুলো মাসের নাম ঠিকঠাকই লিখেছিলাম, কিন্তু প্রথম দুই মাসের নাম ভুল করে লিখেছিলাম JANUAR, FEBRUAR । খাতায় লিখা দেখে স্যার প্রচন্ড আক্রোশে আমাকে বেত্রাঘাত করছিলেন আর প্রতিবার হাফাচ্ছিলেন আর বলছিলেন জানোয়ার ফেব্রুয়ার জানোয়ার ফেব্রুয়ার। আসলে আমি এধরনের ভুল করতে পারি স্যার সেটা মেনে নিতে পারেননি তাই খুউব রেগে গিয়েছিলেন।

তৃতীয় শ্রেণীতে সবচেয়ে বড় ছাত্র ছিল রাশেদ, বার্ষিক পরীক্ষায় পর পর তিনবার ফেল করার পর আমাদের সহপাঠী হলো সে। কেন জানি পড়াশোনা তার মাথায় কোনোভাবেই ঢুকতো না। একদিন অংক ক্লাসে অংক না পারাতে স্যার ওর উপর এমনই রেগে গেলেন যে একেবারে রুদ্র মূর্তি, ওকে ক্লাসের বাইরে খেলার মাঠে নিয়ে গিয়ে চৈত্র মাসের খাখা রোদ্রের মধ্যে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকার শাস্তির আদেশ দিলেন। আর ওর কপালে বসিয়ে দিলেন এক টুকরা চাড়া (মাটির হারির ভগ্নাংশ) যাতে ও শাস্তি ফাঁকি দিয়ে মাথা নিচু করার সঙ্গে সঙ্গে চাড়া নিচে পড়ে গেলে ফাঁকিটা স্যার সহজেই ধরে ফেলতে পারেন। ও কিছুক্ষন কষ্ট করে ওখানে ছিল, তারপর লজ্জায় বই-পত্র ফেলে রেখে স্কুল থেকে সেই যে চলে গিয়েছিল আর কোনদিন স্কুলমুখি হয়নি।

আপনারা ছোটবেলায়, মেঝবেলায় বা বড়বেলায় কেউ কি ভূত দেখেছেন ? আমি দেখেছিলাম। তাও একবারে দিনে-দুপুরে! পরের পর্বে সেই ঘটনাটা আপনাদেরকে বলবো।

(সম্মানিত ব্লগারদের কাছে অনুরোধ থাকল বাক্য গঠন ও বানানে কোন ভুল পেলে অনুগ্রহ পূর্বক ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।)

আগের পর্বের লিংক:
আমার শৈশব - ১

চলবে....

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

নাহল তরকারি বলেছেন: স্কুল জীবন কে মিস করি।

২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: হ্যা ভাই ছোটবেলার সেই সব দিনগুলোর সোনালী স্মৃতি ভোলা যায় না। পাঠ শেষে প্রথম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবংকৃতজ্ঞতা।

২| ২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন শৈশবের স্মৃতিচারণ আমিও ঠিক আপনার মত ক্লাসের সবচেয়ে ছোটখাটো অল্প বয়সী ছিলাম আমার অবস্থাটা হয়েছিল আপনারই মত তবে কখনো ক্যাপ্টেন হতে পারেনি।
টিকা নিয়ে ওই বয়সে সবারই এরকম ভীতিকর অভিজ্ঞতা ছিল। পল্লবী মডেলে পড়া আমার এক বন্ধু টাকা নেয়ার ভয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে দৌড়িয়ে গিয়ে রূপনগর লেকে ঝাপ দিয়েছিল।
কষ্টের হলেও সেই জানোয়ার ফেব্রুয়ার বিষয়টা বেশ মজাদার!!
রাশেদের সাথে এমন আচরণ করা স্যারের মোটে উচিত হয়নি। ছেলেটার জন্য খারাপ লাগলো লিখতে থাকুন আছি আপনার সাথে।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয় তপন দা, পয়েন্ট টু পয়েন্ট বিশ্লেষণসহ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমার অভিজ্ঞতার সাথে আপনার ছোটবেলার অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পেয়েছেন জেনে আর একটু আনন্দ যোগ হলো। হ্যা আমি ক্যাপ্টেন হইনিতো ভাগ্য আমাকে ক্যাপ্টেন বানিয়ে ছেড়েছিল। প্রিয় ভাই, এখনো ইংরেজিতে জানুয়ারী লিখতে গেলে সেই কথা মনে করে হাসি ☺।

ওই সময়ে রাগী স্যারদের বেশি নামডাক ছিল, তখনতো সাইকোলজি চাইল্ড সাইকোলজি এসবের ধার ধারতোনা কেউ, আর রাশেদ একেবারে আদুভাই হয়ে গিয়েছিল, স্যার ওর উপর খুব বিরক্ত হয়ে গিয়ছিল কোনদিন পড়া পারতোনা বলে।

ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা।

৩| ২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

জটিল ভাই বলেছেন:
আবার চলবে ক্যান!!! :( =p~

২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভাই নোয়াখালীর লোকজন প্রায়ই বাক্যের শেষে ক্যান বলে, ক্যান!!! =p~

৪| ২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:




ক্যাপ্টেন একটা কথা বলি?
এই পর্বটা খুব সাদামাটা, সেরকম কিছুই পেলাম না জানোয়ার ছাড়া। ওটা মজার ছিলো।

তারপর লজ্জায় বই-পত্র ফেলে রেখে স্কুল থেকে সেই যে চলে গিয়েছিল আর কোনদিন স্কুলমুখি হয়নি।
এটা ছেলেটার সাথে অনেক অন্যায় হয়েছে।

পরের পর্বে সেই ঘটনাটা আপনাদেরকে বলবো।

এই পোষ্টেই ওটা অ্যাড করে দিলে ভালো হয়।
এট লিস্ট একটা মজার কিছু হবে।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মেন্টর, রাশেদের সাথে আসলেই অন্যায় হয়েছিল, এখনকার মতো ফেইসবুক ট্রায়ালের যুগ হলে স্যারের চাকরি চলে যেতো। আপু মোবাইল থেকে আস্তে আস্তে টিপে টিপে কমেন্টের জবাব দিচ্ছি আজকে মাফ কইরা দেন পোস্ট এডিট /আপডেট করতারুমনা, মাফ চাই। আমি কইলাম রাশেদের ক্লাসমেইট বঝছেনতো! =p~

৫| ২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক।
বানান ভুল চোখে ধরা পড়লো না।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পড়ে মনতব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রাজিব নুর খান ভাই সাহেব।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৬| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

মোগল সম্রাট বলেছেন:
স্কুলে আমিও ক্লাশে ছোট খাটো ছিলাম । সবাই পিচ্চি ডাকত। তবে কলেজে গিয়ে হঠাৎ লম্বা হয়ে যাই.....। :D

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:০১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: একদম আপনার সাথে আমার মিলে গিয়েছে। এস এস পাশের পরে দুইতিন বছর পরে যাদের সাথে দেখা হয়েছে বিশেষ করে মেয়েরা একেবারে চোখ কপালে তুলে বলেছে তুই এত বড় হয়ে গিয়ছিস!

৭| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

আমি সাজিদ বলেছেন: স্কুল জীবনের সাবলীল স্মৃতি। চমৎকার। রাশেদের জন্য খুব খারাপ লাগলো ক্যাপটেন।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:০৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পাঠান্তে মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। পরের কোন পর্বে রাশেদের একটা ছবি দিতে চেষ্টা করব আপনারা যদি এ্যালাউ করেন। খুব কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় ওকে।

৮| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১

শাওন আহমাদ বলেছেন: ছোটবেলার স্মৃতি মানেই অন্যরকম কিছু আর যদি তা হয় প্রাইমারী লেভেলের তাহলে তো কথাই নেই।

২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: হ্যা ভাই, এগুলা যে মস্তিষ্কের কোথায় জমা থাকে! লিখা আরম্ভ করলে একটার পর একটা মনের আয়নায় ভেসে উঠতে থাকে। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আগের পর্ব পড়ে এসে এ পর্ব পড়লাম। খুবই ভালো লেগেছে। পড়তে পড়তে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম।

আমার শৈশব নিয়ে অনেক লেখাই আছে। বেশ কয়েকবারই তা ব্লগে দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো একদিন আবারও দেব আশা করি :)

২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয়জন, লেখা ভাল লেগেছে এবং পড়তে পড়তে একাত্ন হয়ে গিয়েছেন জেনে প্রীত এবং প্রাণিত হলাম। আপনার শৈশবের গল্পগুলো আমার খুব পছন্দ হয়, ভাল লাগে। কোন একটি গল্পে গাব গাছে উঠে পাকা গাব খাওয়ার কথা পড়তে গিয়ে আমার শৈশবের একই ধরনের স্মৃতিতে ভেসে গিয়েছিলাম।

আপনার শৈশবের ছোঁয়া লাগা পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।

শুভকামনা।

১০| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৭

শায়মা বলেছেন: জানুয়ার ফেব্রুয়ার শুনে হাসতে হাসতে মরলাম। :P


আর রাশেদের জন্য কষ্ট হচ্ছে! :(

২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপু!!!!!!! তুমি খালি হাসতে মরে গেলা! আর স্যারের বেতের আঘাতে পিচ্চি ছাত্রের পিঠের অবস্থা কি হয়েছিল তা একবারও ভাবলানা। :(

১১| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- স্মৃতি কথা ভালোই জমে উঠেছে।

২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভাললাগা এবং পাঠান্তে মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১২| ২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পুনরায় ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শৈশব স্মৃতি আহা
আমি মার খেয়েছিলাম একদিন স্কুলে না যাওয়ার জন্য :( হাতের তালুতে ঠোসা উঠে গিয়েছিল

২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপু, একটু যখন বড় হলাম, তখন স্কুল কামাই দেয়া, স্কুল পালানো তো ছিল আমার নেশা। স্কুল ফাঁকি দেয়ার অনেক গল্প আছে আমার, আরেকদিন কমুনে।

শুভকামনা। ভাল থাকবেন।

১৪| ২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কখনো ভুত দেখিনি। ভুত দেখার অভিজ্ঞতা হবে অন্য রকম। আমি ভূত বিশ্বাস করি না । সালমান মুয়াজ খুব ভুত দেখে।

২৩ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমিও ভুত বিশ্বাস করতে চাই না, ছোট্ট বলেও একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, একেবারে দিনেদুপুরে, অনেকবার বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি, ব্যাপারটা কোনোমতেই ভ্রম বা দৃষ্টিভ্রম হবার কথা না। পরের পর্বে বিষয়টি থাকছে।

পাঠান্তে মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১৫| ২৩ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক সময় ক্লাসের ভালো ছাত্রদের ভুল শিক্ষকরা মেনে নিতে পারেন না, তাই হয়ত আপনাকে শাস্তি দিয়েছিলেন। টিকা স্কুল জীবনে মোটামুটি সবার আতংক ছিল মনে হয়। ঐ সময়ের শিক্ষকদের এত কঠোর শাস্তি সত্যি কষ্টকর।

২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ছাত্র মোটামোটি ভালোই ছিলাম আপু, তবে কেন যেন স্যারদের এক্সপেক্টেশন আমার প্রতি একটু বেশিই ছিল। আর যতনা ভালো ছাত্র ছিলাম গ্রামের সবাই কেন জানি আমাকে তার চাইতে বেশি ভাল ছাত্র মনে করতো। বলতে পারেন ওভার ভ্যালুড ছিলাম। পড়াশোনায় খুব বেশি সময় দিতাম না পাঠ্য বইয়ের বাইরে অন্যান্য বই পড়তে বেশি পছন্দ করতাম।

পাঠ শেষে প্রথম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা। ভাল থাকবেন।

১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সোরহাব স্যারের নামটা সম্ভবতঃ সোহরাব স্যার হবে। আপনি ভুল বানান ধরিয়ে দিতে বলেছেন, তাই উল্লেখ করলাম।
আপনার এই পোস্ট পড়ে আমারও স্কুলে টিকা নেয়ার সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল। এখনকার ছেলেপুলেরা সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে কিছুই জানে না।
রাশেদ এর মত এরকম কত যে ছাত্র শৈশবে শিক্ষকদের দ্বারা অপমানিত ও নির্যাতিত হয়ে চিরদিনের জন্য স্কুলবিমুখ হয়েছে, তার কোন হিসেব কখনো কেউ রাখে নি।
মিরোরডডল আপনার এই পোস্টটাতে তেমন মজার কিছু না পেলেও, আশাকরি প্রতিমন্তব্যের শেষ বাক্যটিতে আমারই মত অনেক মজা পেয়েছেন।
"পরের কোন পর্বে রাশেদের একটা ছবি দিতে চেষ্টা করব আপনারা যদি এ্যালাউ করেন" - ছবিটা এই পর্বেই যোগ করে দিলে ভালো হতো, যেহেতু এই পর্বেই রাশেদকে নিয়ে পোস্টে এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্টে দ্বাদশ প্লাস। + +

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,
ছয় মাস আগের পোস্ট এ গিয়ে মন্তব্য ও প্লাস এর জন্য সত্যিই অনুপ্রাণিত এবং কৃতজ্ঞ। ইদানিং আপনিও বোধ হয় ব্লগিং একটু কমিয়ে দিয়েছেন। আশা করছি সুস্থ এবং কুশলেই আছেন।

সোরহাব স্যারের নামটা সম্ভবতঃ সোহরাব স্যার হবে। আপনি ভুল বানান ধরিয়ে দিতে বলেছেন, তাই উল্লেখ করলাম।

হ্যা, আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমরা ছোটবেলায় ভুল উচ্চারনে সোরহাব স্যার বলতাম, এজন্য ছোটবেলার স্মৃতিকে জিইয়ে রাখার ইচ্ছে করেই ওভাবে লিখেছি।

আপনার এই পোস্ট পড়ে আমারও স্কুলে টিকা নেয়ার সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল। এখনকার ছেলেপুলেরা সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে কিছুই জানে না।

হ্যা, এই টিকা নেবার বিষয়টি অনেকের কাছেই ছিল সবচাইতে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার স্মৃতি!

রাশেদ এর মত এরকম কত যে ছাত্র শৈশবে শিক্ষকদের দ্বারা অপমানিত ও নির্যাতিত হয়ে চিরদিনের জন্য স্কুলবিমুখ হয়েছে, তার কোন হিসেব কখনো কেউ রাখে নি। "পরের কোন পর্বে রাশেদের একটা ছবি দিতে চেষ্টা করব আপনারা যদি এ্যালাউ করেন" - ছবিটা এই পর্বেই যোগ করে দিলে ভালো হতো, যেহেতু এই পর্বেই রাশেদকে নিয়ে পোস্টে এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে আলোচনা করা হয়েছে।

গ্রামে গেলে রাশেদের সাথে দেখা হয়, কথাও হয়, কিন্তু ওর ছবি তোলা হয়নি কখনো। বিবেক সায় দেয় না। ওকে দেখি রাস্তায় সাইকেলে করে ইট অথবা বালুর বস্তা টেনে নিয়ে ঘর্মাক্ত শরীরে জীবিকার অন্নেষনে।

নিরন্তর শুভকামনা ও ভালবাসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.