নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখের হাটে সুখ বেচি, শান্তি খুঁজি অশান্তির বাজারে। দাম দিয়ে কিনি যন্ত্রণা।

গেঁয়ো ভূত

ব্লগে নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যা সঠিক মনে করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে লিখতে চেষ্টা করি।

গেঁয়ো ভূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই ব-দ্বীপে ঐক্যের স্থায়িত্বকাল স্বার্থসিদ্ধির আগ পর্যন্ত

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০



বাংলাদেশ, এক রহস্যময় ভূখণ্ড, যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মূলসূত্রেই রয়েছে ঐক্য। কিন্তু এই ঐক্যের স্থায়িত্ব কতটুকু? ইতিহাস বারবার আমাদের দেখিয়েছে, এদেশে ঐক্য প্রায়শই স্বার্থসিদ্ধির একটি কৌশল। স্বার্থ পূরণ হয়ে গেলে, ঐক্যের সেই দৃঢ় ভিত্তি ধসে পড়তে সময় লাগে না।

ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ একটি সর্বজনীন ঐক্যের অনন্য নিদর্শন। কিন্তু স্বাধীনতার পরপরই ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলোর মতবিরোধ ঐক্য ভেঙে দেয়। একইভাবে ১৯৯০-এর দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বৃহত্তর ঐক্য দেখা গেলেও, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর বিভেদের শুরুর ইতিহাস সবাই জানি।

স্বার্থকে কেন্দ্র করে ঐক্য

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুগে যুগে সাময়িক ঐক্যের পেছনে একটি বিশেষ ধারা কাজ করেছে। যখনই জাতীয় স্বার্থের বিষয় ওঠে, তখন নেতা-নেত্রীরা ঐক্যের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে তা বেশিরভাগ সময়ই থাকে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত লাভ নিশ্চিত করার জন্য। দলীয় রাজনীতি, কর্পোরেট স্বার্থ এবং প্রভাবশালী শক্তিগুলোর ছত্রছায়ায় এই ঐক্যগুলো জন্ম নেয় এবং ভেঙে যায়।

সামাজিক এবং ধর্মীয় পরিমণ্ডলেও একই প্রবণতা

শুধু রাজনীতি নয়, সামাজিক এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রেও এই ব-দ্বীপে ঐক্য টিকে থাকে সাময়িক স্বার্থ মেটানোর জন্য। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা অন্য কোনো বিপর্যয়ের সময় আমরা ঐক্যের একটি আদর্শ চিত্র দেখি, কিন্তু সংকট কাটিয়ে উঠলে আবার বিভক্তির চাকা ঘুরতে শুরু করে।

সমস্যার কারণ

এই সমস্যার মূলে রয়েছে নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাব এবং ক্ষমতাকেন্দ্রিক মানসিকতা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কোনো নেতা বা গোষ্ঠী দেখা যায়নি যারা দীর্ঘমেয়াদে সার্বিক জাতীয় ঐক্য স্থাপন করতে পেরেছেন। রাজনীতিবিদদের অপরিপক্বতা, আমজনতার অসচেতনতা, এবং বাহ্যিক প্রভাব এই চক্রকে অনবরত চালিয়ে যাচ্ছে।



ঐক্যের স্থায়িত্বকাল স্বার্থসিদ্ধির আগ পর্যন্ত একটি অপ্রিয় সত্য যা এদেশের ইতিহাসে ঘুরেফিরে আসছে। তবে, এই বাস্তবতাকে অতিক্রম করার জন্য প্রয়োজন সমষ্টিগত সচেতনতা, জাতীয় ঐক্যের জন্য নিরপেক্ষ নেতৃত্ব এবং একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি। ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার মধ্যেই রয়েছে সমস্যার সমাধান। অন্যথায়, এই ব-দ্বীপে ঐক্যের এমন ক্ষণস্থায়ী চিত্র দেখে যেতে হবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দারূন লিখেছেন ভূত বাবু !

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


লিখাটি পড়েছেন, অতঃপর ভালোলাগা জানিয়ে প্রথম মন্তব্য লাইক দিয়ে অনুপ্রাণিত করলেন!

অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাসেল বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রকৃত চরিত্র (জনগণকে ধোঁকা দেয়া) তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


এই এই ব-দ্বীপের পুরো রাজনীতির ইতিহাস হচ্ছে মানুষের আশা ও আশা ভঙ্গের ইতিহাস!!

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:

ব্লগার জেনারেশন৭১ এর পোস্ট এ গিয়ে এই পোস্ট এর জন্য কমেন্ট চেয়েছিলাম তিনি কমেন্ট করেছেন: "আপনার পোষ্ট পড়লে সময় নষ্ট হয়। পোষ্ট দরকারী কিছু থাকে না।"

মন্তব্যের জন্য উক্ত ব্লগারের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা রইলো।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: প্রতিটা সংগ্রাম ও আন্দোলন থেকে কিছু না কিছু শিখার থাকে।সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার গড়ে উঠে নতুন আন্দোলন।এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।চুড়ান্ত বিজয় অর্জন পর্যন্ত চলতেই থাকবে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: হ্যা, প্রতিটি ঘটনাই আমাদের কিছু না কিছু শেখায়, আমাদের অনৈক্য যেন এক অমোঘ নিয়তি, ইতিহাস এখানে বারবার পুনরাবৃত্তি হতেই থাকে হতেই থাকে ....

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:৫০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহমত

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯

ক্লোন রাফা বলেছেন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ ছিলো ৭০% মানুষ । এই সত্যটা উপল্ব্দি করে বঙ্গবন্ধু সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন নাই। উনি বাকশাল করে সেটা শুরু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার পুর্বের হোমওয়ার্ক ঠিকমত করেন নাই। প্রথমেই উচিত ছিলো মুক্তিযুদ্ধ ডিনায়াল ল করে বিরোধী শক্তির রাজনীতির কবর রচনা করা। অর্থাৎ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হোলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে করতে হবে। এত রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা তার বিরোধীতাকারীদের কি রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত ! অবশ্যই না/ এই একটি এজেন্ডায় ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা প্রয়োজন ছিলো। ২০ বছরের জন্য যারা বাংলাদেশ সৃষ্টির বিপক্ষে ভোট দিয়েছালো । তাদের ভোটাধিকার বাতিল করা উচিত ছিলো।

উপরোক্ত কাজগুলো না করাতে খুনি জিয়া ক্ষমতায় আসার সাহস পেয়েছিলো।এবং এসেই বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে রাজাকারদের সকল দলকে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিলো। মুলত আওয়ামিলীগের বিভক্তি করার লক্ষ নিয়ে শুরু করেছিলো ।
সেই থেকে বিপথে চলে গেছে আমাদের রাজনৈতিক পটভুমি। জিয়া ইচ্ছে করলে আওয়ামিলীগের ভুল রাজনীতির সুযোগ গ্রহণ করে সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে পারতেন। অর্থাৎ জাতিয় রাজনিতিবিদদের স্বীকৃতি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেওয়া। সমুহের রাজাকার ধ্বংস করে দেওয়া । তাহলেই শুধু বাংলাদেশ মৌলিক ইস্যুতে আজিবন একতাবদ্ধ থাকতে পারতো।

একটা ব্যাপার আমরা ভুলে যাই ! ক্ষমা করে দেওয়া আর নিজের সমকক্ষ করা এক নয়! কোন চোরকে আমি ক্ষমা করে দিতে পারি কিন্তু তাকে আমার পাশাপাশি বসার সুযোগ কখনই দেবোনা। কারন চারিত্রিক স্খলনের জন্য সে সেই মর্যাদা হারিয়েছে । আশা করি কিন্চিত পরিমান হোলেও বুঝাতে পেরেছি ।
ধন্যবাদ, গে. ভুত।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:

সুন্দর বিশ্লেষণ !


আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫২

ক্লোন রাফা বলেছেন: সমূলে*

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ঠিক আছে।

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আম্লিগকে ঝেটিয়ে বিদায় করা পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ঐক্য ধরে রাখতেই হবে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: হ্যা ভাই, আমরা পতনে বিশ্বাসী জাতি। কারোর পতনে আমরা যে পরিমান শান্তি পাই আর কিছুতেই অতটা পাই না। পতন চলতেই থাকবে এই ভূখণ্ডে।


অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.