নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর চুদুর বুদুরে বিশ্বাসী নই, আওয়ামীর অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, আর তার প্রমাণই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬





শেষ পর্যন্ত সব ধরনের আশঙ্কা দূর করে কোন ধরনের নাশকতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে কোন প্রকার ভয়ভীতি ছাড়াই ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে শনিবার সকাল ৮টা থেকে একযোগে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। কোন প্রকার বিরতি ছাড়াই বেলা চারটায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয় ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। ফলে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে কোন পক্ষ থেকেই ভোট কারচুপির অভিযোগ করা হয়নি। ভোট কেন্দ্রেও বড় ধরনের কোন গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে চার সিটির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন তাদের আস্থা ও নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে পেরেছে।

এদিকে চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সর্বশেষ ফলাফলে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৩১৪ ভোট। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক পেয়েছেন ২২ হাজার ৮২৮ ভোট। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১১০টি কেন্দ্রের ফলাফলে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পেয়েছেন ৯১ হাজার ৪০৫ ভোট এবং খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন ৬৩ হাজার ২৯০ ভোট। বরিশাল ৭৫টি কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আহসান হাবিব কামাল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৬১ ভোট এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শওকত হোসেন হিরণ পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৮২ ভোট। সিলেটে বিএনপি সমর্থিত আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৯২০ ভোট। অপরদিকে বদরউদ্দিন কামরান পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৯৩ ভোট।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণকালে চার সিটি এলাকায় তিনটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একটি কেন্দ্রে হট্টগোলের সময় পালাতে গিয়ে একজন হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বরিশালে একটি কেন্দ্রে উভয়পক্ষের ভোটারদের হাতাহাতির কারণে ভোটগ্রহণ এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া ভোটারের সঙ্গে বাগ্বিত-ায় এক নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়া আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি।

এদিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানোর মতো নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছাড়া বড় কোন অভিযোগ দিতে পারেনি। এমনকি বিএনপির সমর্থিত মেয়রপ্রার্থীরা নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের অভিযোগ করেননি। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোট প্রয়োগ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। এমনকি তাঁরা ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে তাঁরা যে কোন রায় মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। তাঁরা উভয়েই নগরীর স্যাটেলাইট টাইন হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন। একই কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে তাঁরা উভয়েই কোলাকুলি করেন।

এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ শেষে তিন মেয়রপ্রার্থীই নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেছেন। সকাল আটটার দিকে পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট প্রয়োগ শেষে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও সম্মিলিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী তালুকদার এমএ খালেক ভোট প্রদান শেষে বলেন, ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি সন্তোষজনক। অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত ও ঐক্যবদ্ধ নাগারিক ফোরামের প্রার্থী মোঃ মনিরুজ্জামান আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বলেন, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়রপ্রার্থীরা ভোট প্রদান শেষে ফলাফল মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন। তবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ভোট প্রদান শেষে বলেন, ফলাফল ছিনিয়ে নেয়ার চক্রান্ত চলছে।

তবে বরিশাল সিটি নির্বাচনে বড় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাতাহাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থী শওকত হোসেন হিরণ এবং আহসান হাবিব কামালের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। দুই মেয়রপ্রার্থীর সামনেই এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ফলে এর জের ধরে নগরের পূর্ব রূপাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এক ঘণ্টা পর বেলা পৌনে তিনটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ওই কেন্দ্রে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এদিকে খুলনায় একজন ভোটারের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সিইসির ব্রিফ ॥ চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ বলেছেন, সকলের সহযোগিতায় চার সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। তবে চার সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে আমাদের বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। সেটা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি আরও বলেন, দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে ভোটার, প্রার্থী, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য সহযোগিতায়।

কাজী রকিব উদ্দিন আরও বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে চার সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে আমাদের বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। সেটা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন।

বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, আমরা তাদের অভিযোগগুলো আমলে নিয়েছি এবং তাৎক্ষণিক এ্যাকশনে গিয়েছি। আমি যথাসময়ে কমিশন সচিবালয়ে উপস্থিত না থাকলেও প্রযুক্তির যুগে সব জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করা যায়। আমি সকালে চার সিটি কর্পোরেশনে টেলিফোনে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত সব নির্বাচন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষে ইসি সচিব ড. মুহম্মদ সাদিক এক প্রেস বিফ্রিংয়ে জানান, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব ভোটার বিকেল ৪টার আগে কেন্দ্রে পৌঁছেছেন তাঁদেরও ভোট নেয়া হয়েছে। বিএনপি কয়েকটি কেন্দ্রের ব্যাপারে যে অভিযোগ করেছিল তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কোন প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে সরাসরি ইসির কাছে কোন অভিযোগ করেননি। প্রার্থীর এজেন্টরা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনার কোতয়ালি থানার ওসিকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বরিশালের একটি কেন্দ্রে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছিল।

চার সিটিতে ১২ লাখের বেশি ভোটার তাদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনছে। কে হন তাদের নগরপিতা। ভোট নেয়া উপলক্ষে আজ চার সিটির নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এদিকে ইসি সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে কমিশন সচিবালয়ের সব কর্মকর্তার দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল ॥ চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। ফলে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে নির্বাচনের একদিন আগেই কমিশনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা রক্ষায় ১১৮টি মোবাইল টিম ও ৪০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত করা হয়। এছাড়া চার সিটিতে ২১ প্লাটুন বিজিবি ও খুলনা এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পাঁচ প্লাটুন কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনী এলাকায় মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে ৯১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) নিয়োগ করা ছিল। নির্বাচন চলাকালে সংঘটিত অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পাঁচজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ, এপিবিএন, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ব্যাটালিয়ন, আনসার ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ায় ভোটার মধ্যেও আস্থা ফিরে আসে। ফলে তারা নির্বিঘেœ ভোট প্রদান করতে পেরে খুব খুশি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকের পাশাপাশি কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষকও মাঠে ছিল বলে কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়। চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ৬৫২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আগেই ৪২৩টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দু’শতাধিক কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাবলয়। এছাড়া ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চার সিটিতে ভোটগ্রহণের জন্য ১২ হাজার ৮০ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এঁদের মধ্যে ৬৫৩ প্রিসাইডিং অফিসার, তিন হাজার ৮০৯ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও সাত হাজার ৬১৮ পোলিং অফিসার।

কমিশনে বিএনপির অভিযোগ ॥ এদিকে নির্বাচন চলাকালে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রশাসনের সহায়তায় ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন। শনিবার বেলা ১২টায় বিএনপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল কমিশনে গিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়। বিএনপি প্রতিনিধি দল যখন কমিশনে যায় তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। প্রথমে তাঁরা কমিশনার আব্দুল মোবারকের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরের সিইসি দুপুর ১টায় কমিশনে উপস্থিত হলে তাঁরা সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

বিএনপির সাংসদ বরকত উল্লাহ বুলু নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারকের কাছে অভিযোগ করেন, খুলনার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিএনপির সমর্থকদের মারধর করছেন এবং ভারপ্রাপ্ত একজন ডিআইজির স্ত্রী কেন্দ্রে প্রভাব খাটাচ্ছেন। তাঁরা আরও অভিযোগ করে বরিশালে ১৮টি কেন্দ্রে ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সিলেট সদর উপজেলা জেলা চেয়ারম্যান এবং রাজশাহীর ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভোটে প্রভাব খাটাচ্ছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তাঁরা সংশয় প্রকাশ করেন। বিএনপি সংসদীয় প্রতিনিধি দলের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন, এসব অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সঠিক হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া অভিযোগের কোন সততা ইসি পাননি বলে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: হ্যা, এটাই তো বলতে চাইছি

২| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: হুমম জিতলে এ বিজয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জয়, শাহবাগের বিরিয়ানী চেতনার জয়। আর হারলে কেয়ারটেকার ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন। শাখেঁর করাত, আইতেও কাটে যাইতেও কাটে।

পলিটিক্স খালি আম্লীগ'ই বুঝে আর বাকিরা সব কুতকুত খেলে ................... :P :P :P

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

আমি হনুমান বলেছেন: এখন ইভিএম এর রেজাল্ট মডিফিকেশন সফটঅয়্যারটা এপলাই করতে হবে...:-)

৪| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

তিক্তভাষী বলেছেন: তত্বাবধায়ক হলেই যে বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। তবে এটা ঠিক যে, নির্দলীয় তত্বাবধায়ক হলে উভয়ের সমসুযোগের সৃষ্টি হবে। জনগন নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। মুখে জনগনের ভোটের অধিকারের কথা বলে ফেনা তুললেও বাস্তবে সমসুযোগের সৃষ্টি হোক আওয়ামী লীগ তা’ চাচ্ছে না। কেন চাচ্ছে না তার কারণ জনগনের বুঝতে বাকী নেই। কাজেই, আওয়ামীদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, এসব চুদুর-বুদুর করেও শেষরক্ষা হবে না। নজির বর্তমান!

৫| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

পথহারা সৈকত বলেছেন: পলিটিক্স খালি আম্লীগ'ই বুঝে আর বাকিরা সব কুতকুত খেলে .................. :P :P :P :P

৬| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০২

নতুন বলেছেন: পথহারা সৈকত বলেছেন: পলিটিক্স খালি আম্লীগ'ই বুঝে আর বাকিরা সব কুতকুত খেলে ..................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.