![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লোকসভা নির্বাচনের শেষ দিকে এসে মোদি ঢেউয়ে ভাটার টান পড়েছে। এ হাওয়ার পুরোটাই যে মিডিয়ার সৃষ্টি এবং পরিকল্পিত এ জারিজুরি ফাঁস হয়ে যাওয়া এবং কংগ্রেসের রণকৌশল পরিবর্তনের কারণে মোদি হাওয়ায় উল্টো টান পড়েছে। বিশেষ করে বারানসীতে মোদির মনোনয়নপত্র জমাদানের রোডশোতে যে বাঁধভাঙ্গা জোয়ার দেখা গেছে সেটাও যে পরিকল্পিতভাবে বাইরের লোকজন নিয়ে করা হয়েছে তাও ফাঁস হয়ে গেছে। এসব কারণেই নির্বাচনের শেষদিকে এসে মোদি জোয়ারে ভাটার টান দেখা দেখা দিয়েছে। এতে ভাবমূর্তি কিছুটা বাড়লেও এর সুফল ঘরে তুলতে পারবে না সরকারী দল কংগ্রেস। এর সুফল ছোট দলগুলোর ঘরেই যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে যখন সরকার গঠনের দৌড়ে বিজেপিকে এগিয়ে রাখছেন, তখন প্রচারের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে প্রচারের রণকৌশল পাল্টেছে কংগ্রেস। রাহুল ও সোনিয়ার পাশাপাশি প্রচারের মুখ্য মঞ্চে একদিকে তুলে আনা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও ঝাঁঝালো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।
পাশাপাশি মোদি ওয়েভ যে মিডিয়ার সৃষ্টি তা আরও জোরেশোরে তুলে ধরছে কংগ্রেস ও তার জোটের নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে বারানসী লোকসভা আসনে গত ২৪ এপ্রিল যে ব্যাপক রোডশোর মধ্য দিয়ে মনোনয়ন পেশ করেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী, এবং সেটা যে পরিকল্পিত ও বাইরে থেকে লোক এনে ওই জোয়ার সৃষ্টি করা হয়েছে তা অনেকটাই প্রকাশিত হয়ে পড়েছে।
ইউপিএ জোটের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বৃহস্পতিবার আসামে তাঁর নির্বাচনী আসনে ভোট দিতে গিয়ে বেশ জোরেশোরেই বলেছেন, কিসের মোদি ঢেউ? ওইসব সংবাদমাধ্যমের তৈরি করা। দেশের মানুষ তাতে গা-ভাসাননি।’
মনমোহন দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, ‘কে বলছে কংগ্রেস দেশজুড়ে জমি হারিয়েছে? আমি আত্মবিশ্বাসী ফের কংগ্রেসই জিতবে। অপেক্ষা করুন। ১৬ মে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই অসমে নির্বাচনী প্রচারসভায় তাঁকে ‘মনমোহন’ বলে আক্রমণ করেছিলেন মোদি। তারই পাল্টা হিসেবে ওইদিন কিছুটা আক্রোশও ঝেরেছেন মোদির প্রতি।
উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতীও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, গণমাধ্যম মোদির পক্ষে মিথ্যা হাওয়া সৃষ্টি করেছে।
শেষ চার ধাপের আগে কংগ্রেস তার নির্বাচনী প্রচারের কৌশল বদল করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি মাঠে নামিয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। তার ফলও কংগ্রেস পেতে শুরু করেছে। নির্বাচনী মাঠে নেমেই প্রিয়াঙ্কা পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী মোদি শিবিরের ওপর। তিনি মাঠে নেমেই মহিলাদের মর্যাদার প্রশ্নে মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রিয়াঙ্কা। ব্যাঙ্গালোরের এক মহিলার ফোনে আড়ি পাতার যে অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠেছিল, তার জের টেনে রায়বেরেলীতে রাজীবকন্যা বলেন, ‘মহিলাদের ক্ষমতায়নের বুলি আউড়ে তলে তলে যারা মেয়েদের ফোনে আড়ি পাতেন, তাদের ভুলেও ক্ষমতায় আনবেন না। বরং এই ভোটেই ছুড়ে ফেলে দিন।’
প্রিয়াঙ্কা আক্রমণে আসার পর তাঁর উপস্থিতিও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বেড়ে গেছে। দিনভর ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ঘুরেফিরে আসছে প্রিয়াঙ্কার এই আক্রমণ। আর সেই আবহে যথাক্রমে গুজরাট ও উত্তর প্রদেশে মোদিবিরোধী প্রচার আরও তীব্র করে তোলেন সোনিয়া ও রাহুল।
বারানসীতে মোদির রোডশোর পাল্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার লখেœাতে রোডশো করেন রাহুল। তার আগে সকাল থেকে উত্তর প্রদেশের সীতাপুর, হরদোই ও জলাউয়ে তিনটি জনসভা করেন কংগ্রেসের সহসভাপতি। আর সোনিয়া পরদিন সভা করেন গুজরাটে।
মোদি অবশ্য প্রিয়াঙ্কার সমালোচনার জবাব দিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা কংগ্রেসের মুখে মানায় না। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।’
বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি নেতৃত্বের মুখে এমন চটজলদি জবাব প্রত্যাশিত। বরং কংগ্রেসের প্রচার কৌশলেই বদলটা চোখে পড়ছে। প্রথমত, রাহুল ঢাকা পড়ে যাবেন, সেই আশঙ্কায় গোড়ার দিকে প্রিয়াঙ্কাকে তেড়েফুড়ে প্রচারে নামাতে চাননি দলের নেতারা। কিন্তু এখন তাঁদের অনেকে মনে করছেন, মোদির বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কার আক্রমণেরই গ্রহণযোগ্যতা বেশি। তিনি প্রচারে যখনই নেমেছেন, আলো কেড়েছেন। আর প্রিয়াঙ্কার মধ্যে ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া তো দেখেন অনেকেই। তাই দেরিতে হলেও মোদিকে রুখতে প্রচারের মূল মঞ্চে আনা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে।
দ্বিতীয়ত, সরাসরি মোদিকে আক্রমণ করার ব্যাপারে দ্বিমত ছিল কংগ্রেসে। রাহুলকে ‘শাহজাদা’ বলে মোদি যখন কটাক্ষ করছিলেন, তখন রাজনৈতিক আক্রমণে সৌজন্য দেখাতে গিয়ে নিষ্প্রভ ছিলেন সোনিয়া-রাহুল। কিন্তু হাইকমান্ডই এখন মনে করছে, মোদিকে জবাব দিতে হবে তাঁরই ভাষায়। বস্তুত, মোদি যেমন প্রতিটি আক্রমণের জবাব মুহূর্তের মধ্যেই দিচ্ছেন, কংগ্রেসেরও গোড়া থেকে একই মনোভাব নেয়া উচিত ছিল।
প্রিয়াঙ্কার সক্রিয় হয়ে ওঠার বিষয়টি নজর এড়ায়নি বিরোধী শিবিরের। তাঁরা প্রচারে বলছেন যে, রাহুলকে দিয়ে কাজ হচ্ছে না বুঝেই প্রিয়াঙ্কাকে প্রচারে নামাতে হয়েছে কংগ্রেসকে। স্বভাবতই সেই জল্পনা খারিজ করে কংগ্রেস হাইকমান্ড বলছে, ভাই-বোনের তালমিল সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই বিরোধীদের। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, প্রিয়াঙ্কা প্রচার করলে দলের যে ভাল হবে, তা রাহুল জানেন। তাই তিনিই মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্রতর করার জন্য প্রিয়াঙ্কাকে পরামর্শ দিয়েছেন। আবার প্রিয়াঙ্কাও জানেন, তিনি অমেথি-রায়বেরেলীর বাইরে গিয়ে প্রচার করলে রাহুলের ক্ষতি হবে। তাই দাদা ও মায়ের লোকসভা আসন থেকেই তিনি মোদিবিরোধী বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন গোটাদেশে।
বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেন সেদিন উত্তর প্রদেশের ১২টি আসনে ভোট ছিল। সেটা হিসাব করেই মোদি পরিকল্পিতভাবে মনোনয়নপত্র পেশের জন্য ভোটের দিনটি বেছে নিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য তার ওই দেখানো জোয়ারের যাতে ভোটে প্রভাব পড়ে। আর এ জোয়ার সৃষ্টি করা হয়েছিল গুজরাট থেকে লোক এনে। তীর্থ শহর কাশি দর্শনের টোপ দিয়েই বেশিরভাগ মানুষকে সেদিন বারানসীতে আনা হয়েছিল। সেটা এখন অনেকটাই প্রকাশিত।
এ ব্যাপারে উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতিও অভিযোগ অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার যাত্রাপথে যে বিপুল জনসমাবেশ ঘটিয়ে মোদি তাক লাগাতে চেয়েছিলেন, তাদের বেশিরভাগই বাইরের মানুষজন। তীর্থশহর কাশী দর্শনের টোপ দিয়ে বিজেপি বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষজন নিয়ে এসেছিল। কর্পোরেটের টাকা ছড়িয়ে এত টিভি চ্যানেল, সাংবাদিক, আলোকচিত্রী নিয়ে আসা হয়েছিল। ষষ্ঠ দফার ভোট চলার দিন মোদির এই মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার প্রচারে নির্বাচনীবিধি ভঙ্গ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করার চেষ্টায় ধনতন্ত্রীরা নেমে পড়েছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলিত নেত্রী মায়াবতী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালও অভিযোগ করেছেন, নরেন্দ্র মোদির মনোনয়ন পেশ নিয়ে যে এলাহী ঘটা করা হয়েছে, তা পরিকল্পিত। বারানসীতে লোক আনা হয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে, রাজ্যের বাইরে থেকেও। কপিল বললেন, বারানসীর কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রায় যেদিন মনোনয়নপত্র পেশ করবেন, সেদিন বারানসীর বাসিন্দারা বিরাটভাবে জড়ো হবেন।
আর্থিক প্রলোভনে মনমোহনের ভাই বিজেপিতে
আর্থিক প্রলোভনে পা দিয়েই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সৎ ভাই দলজিত সিং কোহলি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দলে টানতে বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর পরিবারকে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মনমোহনের ভাইপো। এদিকে দলজিত জানিয়েছেন, বিজেপিতে যোগ দেয়া তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে বিব্রত মনমোহন সিং। এ নিয়ে মিডিয়ায় সৃষ্ট বিতর্কের কারণে শনিবার তিনি নীরবতা ভেঙ্গে সরব হয়েছেন। এ ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমার ভাই প্রাপ্তবয়স্ক। যা ভাল বুঝেছে করছে। ভাই হলেও এ ব্যাপারে বাধা দেয়ার অধিকার আমার নেই।’
নির্বাচনের ঠিক আগে শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে কংগ্রেসকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ভাই। এর পরেই এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে আর্থিক প্রলোভনের অভিযোগ ওঠায় বিতর্ক নয়া মোড় নিল। অমৃতসরে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন দলজিত। একই সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্ব মনমোহনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার দাদা সর্দার মনমোহন সিং সম্মানিত ও সৎ মানুষ। দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু কংগ্রেস তাঁকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। বার বার তাঁর কাজে হস্তক্ষেপ করেছে।’
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছে মনমোহনের পরিবার? তিনি এবং তাঁর পরিবার দলজিতের বিজেপিতে যোগ দেয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ। সিং পরিবারের ব্যক্তিগত সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় পারিবারিক বিরোধ চরমে উঠেছে।
দলজিতকে আলিঙ্গন করে মোদি বলেন, ‘মনমোহন সিংয়ের ভাই বিজেপিতে যোগ দিয়ে দলের শক্তি বৃদ্ধি করেছেন। পাঞ্জাবে কাজ করার জন্য দলজিতের যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়িত করতে সম্পূর্ণ সাহায্য করবে বিজেপি।’
মুসলমানদের জন্য কোটা
ভারতে অনগ্রসর মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কংগ্রেস। মূল ইশতেহারে বিষয়টি ছিল না। ভোটের মধ্যপর্বে এসে দলের ওয়েবসাইটে তারা প্রকাশ করেছে সংখ্যালঘুদের ক্ষমতাদানের জন্য কিছু ‘প্রস্তাব।’ যাকে পরিপূরক ইশতেহার বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তা নিয়ে কংগ্রেসকে তুমুল আক্রমণ করেছে বিজেপি? বলছে, হার অনিবার্য দেখে মরিয়া হয়েই অতিরিক্ত ইশতেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র প্রকাশ জাওড়েকর বলেন, কাল ওরা হাতে চাঁদ এনে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিতে পারে। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করবে না।
অবশ্য বিজেপির প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। কংগ্রেস নেতা, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিবালের বক্তব্য, এটাকে ঠিক ইশতেহার বলা যাবে না। মুসলিমদের অনগ্রসর অংশের জন্য সংরক্ষণের বিষয়টি এখন সুপ্রীমকোর্টের বিবেচনাধীন। তাই ইশতেহারে বিষয়টি রাখা যায়নি। তবে ইশতেহার নিয়ে খোলা আলোচনায় এ বিষয়ে যে প্রস্তাব উঠে এসেছে দল সেটাই তুলে ধরেছে পরবর্তী সরকারের জন্য। কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অনগ্রসর সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের সুযোগ দেয়ার নীতিতে দল অবিচল থাকবে, সুপ্রীমকোর্টে এই নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং এই প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য আইন আনা হবে।
মোদির বিরুদ্ধে ভোট দিতে আসছেন অমর্ত্য
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির বিরোধিতাকারী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন আসছেন ভারতে। ৩০ এপ্রিল বোলপুর লোকসভা আসনে তাঁর ভোট। ওইদিন সকালে তিনি লন্ডন থেকে বিমানে কলকাতায় আসবেন। সেখান থেকে সরাসরি চলে যাবেন শান্তিনিকেতনে। নিজের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। এর পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ফিরে আসবেন কলকাতায়। ওইদিন রাতেই ফের বিমানে তাঁর দিল্লী চলে যাওয়ার কথা। হঠাৎ জরুরী কোন কাজ না পড়লে এমনই কর্মসূচী রয়েছে অমর্ত্য সেনের।
গত বছর নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, গুজরাট-দাঙ্গার কারণে তিনি নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান না। তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। এমনকি তাঁর ভারতরতœ খেতাবও ফেরতের দাবি তোলেন বিজেপি নেতা। বিজেপির এই ভূমিকার প্রতিবাদ জানায় দেশের বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক মহলও।
©somewhere in net ltd.