নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে এই পিয়াস করিম?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:০৪

দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ঢাকার শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দেয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. পিয়াস করিমের বাবা ও নানা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী। তাঁরা ছিলেন কুমিল্লা জেলা শান্তি কমিটির নেতা। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বাবা এ্যাডভোকেট এমএ করিম ও নানা জহিরুল হক লিল মিয়ার বাড়িতে গ্রেনেড চার্জ করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের পর ড. পিয়াস করিমের বাবা এ্যাডভোকেট এমকে করিমকে দালালির অপরাধে দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি অনেকদিন কুমিল্লা কারাগারে বন্দী ছিলেন।

ড. পিয়াস করিম কুমিল্লা শহরের জজকোর্ট রোডের এ্যাডভোকেট এমএ করিমের ছেলে। তাঁর বাবা এ্যাডভোকেট এমএ করিম মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলা শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন। তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতি করতেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি হোমনার রামপুরে। পিয়াস করিমের বাবা এমএ করিম বিয়ে করেন আরেক মুসলিম লীগ নেতা জহিরুল হক লিল মিয়ার মেয়ে বাচ্চুকে।

জহিরুল হক লিল মিয়া এর আগে আওয়ামী মুসলিম লীগের জেলা সভাপতি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি অংশ নেন। ছিলেন যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় জহিরুল হক লিল মিয়া মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এ কারণে মুক্তিযোদ্ধারা কুমিল্লার জজকোর্টের উত্তর পাশে জহিরুল হক লিল মিয়ার বাড়ি এবং জজকোর্ট রোডের এমএ করিমের বাড়িতে গ্রেনেড চার্জ করেছিলেন। আর এ গ্রেনেড চার্জে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল কবির বীরপ্রতীক, বাহার উদ্দিন রেজা বীরপ্রতীক ও মুক্তিযোদ্ধা খোকন।

বাহার উদ্দিন রেজা বীরপ্রতীকের কাছ থেকে জানা গেছে, মেলাঘর থেকে কমান্ডার হায়দারের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধারা জহিরুল হক লিল মিয়া এবং এমএ করিমের বাসায় গ্রেনেড হামলা করা হয়। তাঁদের বাড়িতে পাকিস্তানী বাহিনীর যাতায়াত ছিল। তিনি জানিয়েছেন, কী পর্যায়ে গেলে একজন কমান্ডার তাদের বাড়িতে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তা বুঝে নিতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলে দালাল আইনে গ্রেফতার হন ড. পিয়াস করিমের বাবা এ্যাডভোকেট এমএ করিম। তিনি অনেকদিন কুমিল্লা কারাগারে ছিলেন।

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর বাবাকে বাঁচাতে পিয়াস করিম কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগে নাম লেখান। যদিও জেলা ছাত্রলীগে তাঁর কোন পদবি ছিল না। সে সময়ের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট রুস্তম আলী তাঁর ছাত্রলীগে যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পিয়াস করিম কুমিল্লা মডার্ন স্কুল, কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াশোনার পর আমেরিকায় চলে যান।

স্বাধীনবাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এ্যাডভোকেট রুস্তম আলীর কাছ থেকে জানা গেছে, পিয়াস করিম তাঁর বাবাকে বাঁচাতে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত সঙ্গে থাকেননি। তিনি জানান, পিয়াস করিম নকশালের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০০

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: বুবুর আঁচল তলে যে হাড্ডি না চুষে তারা সবাই রাজাকার তা আমরা জানি। "শাহবাগ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার" মুক্তিযুদ্ধ দেখছ? মুক্তিযুদধের মানে বুঝ? নরকের কিট ,মুক্তিযুদ্ধ যেন মামার হাতে মোয়া! মুক্তিযুদ্ধকে খেলনা বানিয়ে ফেলছে হাড়ামীর দল!
২য় মুক্তিযুদ্ধ!! লজ্জাহীন স কিট..........ছি

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: তখখন থেকেই ছাত্রলীগ এক ভ্রষ্ট সংগঠন! এখন যেমন জামাতীদের আওয়ামীলীগে যোগ দিতে দেখি তা শুরু সেই ৭১/৭২ এ!! বাহ্ চেতনার ভন্ডামীর শুরু তাহলে আজকে নয়!! লজ্জাহীন এক সংগঠন সেই ৭২ থেকেই!! বাহ্ চমৎকার........
আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবা মরে বেচে গেছে যে খুব বেশিদিন এই ভন্ডামী দেখতে হয়নি।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২০

কলাবাগান১ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলেই কাদের গায়ে আগুন লাগে তা উপরের কমেন্ট দেখেই বুঝা যায়... আপনি উনার কোন তথ্য টা ভুল তা নিয়ে কোন কথা নাই ৭১ নিয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। পিয়াস করিমের বাবা যে রাজাকার ছিল, তা কি ভুল????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.