![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ ও হত্যা মিশনে ৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র দাবি করেছে, সুপরিকল্পিত এই ঘটনায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্যসহ কিলিং মিশনে অংশ নেয়া খুনিদের মধ্যে এই টাকা ভাগবাটোয়ারা হয়েছে। আর অর্থের জোগান দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের এরশাদ শিকদার খ্যাত নূর হোসেন ও বিএনপির স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া গেছে এই তথ্য।
সূত্রমতে, নূর হোসেন ও বিএনপির ঐ নেতা মিলে সেভেন মার্ডারে ৮ কোটি টাকা জোগানের খবর ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকেও অবহিত করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এ কারণে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘এই অপহরণ-হত্যায় বিরোধীদলেরও কেউ জড়িত থাকতে পারে।’
সূত্র আরও জানায়, পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডে নূরের উদ্দেশ্য ছিল— দীর্ঘদিনের শত্রু ও ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা প্যানেল মেয়র নজরুলকে চিরতরে সরিয়ে দিয়ে এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করা। আর বিএনপির ঐ নেতার উদ্দেশ্য ছিল— এক ঢিলে দুই পাখি মারা। একজনকে খুন ও একজনকে সদল বলে খুনি বানিয়ে এলাকাছাড়া করে তার হারানো আধিপত্য পুনরুদ্ধার করা। কারণ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ঐ নেতার দখলে থাকা বিভিন্ন স্থাপনা ২০০৮ সালের পর নূর হোসেন দখল করে নেয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার পরিবর্তনের আশঙ্কায় নূর হোসেন বিএনপির ঐ নেতার সঙ্গে হাত মেলায়।
সূত্র জানায়, পরিকল্পিত এই হত্যায় আগেই অর্থ লেনদেন হয়। ফলে পূর্বপরিল্পনা অনুযায়ী অপহরণের আগেই আদালত চত্বরে অপহরণকারীরা অবস্থান নেয়। যা ধরা পড়ে আদালত প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের চোখে। অপহরণের আধাঘণ্টা আগেই সাদা পোশাকে অস্ত্র হাতে দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ঐ ব্যক্তি নজরুলের চলাফেরা লক্ষ করছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ছাড়া পায় সে। হঠাত্ করে আদালতপাড়ায় ওই অস্ত্রধারীর অবস্থান এখন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তদন্তকারীরা খুঁজছেন তাকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, খুন হওয়া ৭ জনের মরদেহে যে ইট পাওয়া গেছে তা একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যালয়ের সামনের ব্রিক ফিল্ডের।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৬ সদস্যকে এরইমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন এসপি অফিসের আরেক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। এরইমধ্যে ওই কর্মকর্তার অতীত রেকর্ড পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। তাকেও দ্রুত অপসারণ করা হতে পারে বলে সূত্র দাবি করছে।
২| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: আপনি কি আশা করেছিলেন যে সরকারের গয়েন্দা বাহিনী বিএনপি নেতাকে দোষ না দিয়ে শামীম ওসমানকে চার্জ করবে?
আপনি কি বাংলাদেশে থাকেন, নাকি আসমান থেকে নাজিল হয়েছেন?
৩| ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:১০
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: শামীম ওসমানের ভক্ত নাকি? তা ঐ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের নাম নিশ্চই 'শামীম ওসমান' নাকি?
আবালে ব্লগ সয়লাব.....যামু কই!!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
অস্তিত্বহীন বলেছেন: সূত্র কি?
৬ কোটি টাকায় অপহরণ ও খুন!