![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের সমর্থন কমবেঅপরদিকে বিএনপির সমর্থন বাড়বে বলেই ধারণা করছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কারণ, বিএনপি বিশ্বাস করে কংগ্রসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সুসম্পর্ক বিরাজমান। শেখ হাসিনার সরকার সব সময়ই সব ইতিবাচক কাজে কংগ্রেসের সমর্থন পেয়েছে। বিশেষ করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্কের পাশাপাশি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির গভীর ভালোবাসা রয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। কিন্তু বর্তমান সময়ে ভারতের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নানারকম রাজনৈতিক হিসেবনিকেশ করছে। দলটি মনে করে, ভারতে সরকার পরিবর্তনের সুযোগে তারা নতুন মেরুকরণ ঘটাবে রাজনীতিতে।
একথা চোখ বন্ধ করেই বলা যাচ্ছেÑ আন্তর্জাতিক শক্তিধরদের সমর্থন পাচ্ছে বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদি। তার দলকে আগামী দিনে ভারতে ক্ষমতাসীন করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তাও দিচ্ছে। আরো সহায়তা দেওয়া হবে আগামীতে। এদিকে মোদিকে দিয়ে তারা ভারতে তাদের স্বার্থ সিদ্ধ করা ছাড়াও বাংলাদেশের ব্যাপারে পরিকল্পনা সফল করতে চাইছে। এদিকে বাংলাদেশে আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে কংগ্রেসের আপত্তি রয়েছে। তবে আপত্তি নেই বিজেপির। আগামী দিনে দিল্লির মসদের অধিকারী হতে যাচ্ছে বিজেপি। আর বিজেপির প্রধান মোদিই হতে যাচ্ছেন ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে তিনি ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য আন্তর্জাতিক মহল থেকে সমর্থন ও সিগণ্যালও পেয়েছন। বিশ্বের ক্ষমতাধর শক্তিসহ আন্তর্জাতিক মহল তাদের দিকেই টেনে নিয়েছে মোদিকে। তার সঙ্গে সমঝোতাও করেছে সম্পর্ক উন্নয়ন, বাণিজ্যসহ বাংলাদেশের ব্যাপারে। বাংলাদেশে ওই সব শক্তি চায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এই নির্বাচন করেই বিএনপির অংশগ্রহণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্র্রেলিয়া সেই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ। এদিকে তারা ওইভাবেই বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে সহায়তা করছে না। বরং তারা এখনও আশাবাদী যে, তারা বাংলাদেশে আগাম নির্বাচন করাতে পারবেন। কিন্তু সেটা বিএনপি কতখানি এগিয়ে নিতে পারবেন সেই ব্যাপারে তারা এখনও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না। কারণ বিএনপি সরকারের কৌশলের কাছে মার খেয়ে যাচ্ছে, এগুতে পারছে না।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো জানে যে, বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছে ভারতের কংগ্রেস সরকারের সহায়তায়। কংগ্রেস সরকার একতরফাভাবে বাংলাদেশে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচন করার জন্য সব ধরনের সহায়তা করে। এই অবস্থায় এটা ভালোভাবে নেয়নি ওইসব শক্তি। এরপর থেকে তারা প্রতিশোধ নেওয়ার কৌশল খুঁজতে থাকে আর এরই অংশ হিসাবে তারা ভারতেরও সহায়তা নিতে চাইছে বাংলাদেশের ব্যাপারে আর সেটা করার জন্য এখন তারা ভারতে বিজেপি ও মোদিকেই সহায়তা দিচ্ছেন। আগামী দিনে মোদি ক্ষমতায় আসছে। এই জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে একটি প্রভাবশালী দেশের সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। এদিকে এই অবস্থায় মোদিকে ওই দেশের সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা তাকে সব রকম সহায়তা দিবে। তাকে তার দেশের সঙ্গে ওই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন করার পাশাপাশি ওইসব শক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াবে। এছাড়াও বাংলাদেশের রাজনীতিকে ও সরকার পরিবর্তনে ভারত সরকারের বড় ভূমিকা থাকে। সেটা যাতে মোদি ক্ষমতাধর শক্তির চাওয়াকে পূরণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ তৈরি করে ও বর্তমান সরকারকে কংগ্রেসের মতো সব ধরনের সহায়তা না করেই সেই ব্যাপারেও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এদিকে এই অবস্থায় ওই সরকারের তরফ থেকে মোদিকে ওই দেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর আগে ভারতের মোদির ভিসা নিষিদ্ধ করেছিল ওই দেশে। মোদি তাদের সহায়তা করবেনÑ এই আশ্বাস পাওয়ার পর তার ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছেÑ তিনি যখন চাইবেন তখন যেতে পারবেন। তার সঙ্গে আরো আলোচনা হবে।
সূত্র জানায়, মোদির ভিসার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও এখনই ওই দেশ সফরে যাচ্ছেন না মোদি। কারণ এতে তার ক্যারিয়ারে একটা সমস্যা হতে পারে জনগণ মনে করতে পারেন তিনি মার্কিন সহায়তা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এটা তিনি চাইছেন না। তিনি ওই সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাইছেন। সমঝেতাও করেছেন। কিন্তু এটা তেমনভাবে প্রকাশ্যে হোক তা চান না। এই জন্য তিনি ধীরে চলার নীতিতে রয়েছেন। ওই দেশে তিনি পরে যাবেন বলে জানিয়েছে ওই দেশের ভারতস্থ কর্মকর্তাকে। সেটা চলতি বছরেও হতে পারে। তবে এই ব্যাপারে ক্ষমতাসীন হতে পারলে এক রকম হবে আর না হতে পারলে অন্য রকম হবে। এই কারণে তিনি চূড়ান্ত কোনো দিনক্ষণ জানাননি। সূত্র জানায়, ভারতে মোদি ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এখন যে সম্পর্ক রয়েছে তাতে ভাটা পড়বে। আর সেটা পরলেই শেখ হাসিনার সরকারের জন্য সমস্যা তৈরি হতে থাকবে। কারণ তারা এই সরকারের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতাওতো করবেই না। উল্টো তাদের যা যা চাওয়া আছে তা পূরণ করার জন্য শেখ হাসিনার উপর চাপ দিবে। সেইভাবেই পরিকল্পনা রয়েছে। এই কারণে ভারতে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে লোক সভার নির্বাচন। আগামী মাসে এই নির্বাচন শেষ হবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যাপারে কাজ করবে। যাতে করে তারা তাদের পরিকল্পনা সফল করতে পারেন। বাংলাদেশে চলতি বছরের ডিসম্বরের মধ্যেই আগাম নির্বাচন করানো সম্ভব হবে। এদিকে এটা বিএনপি ও আওয়ামী লীগও জেনে গেছে। বিএনপি এগুনোর চেষ্টা করছে। সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার তা হতে দিচ্ছে না। সরকার জানে যে তারা সংগঠিত হলে ভারতের সরকারের সহায়তা পেলে আগাম নির্বাচন করতেই হবে। সেটা হলে জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এদিকে ভারতের বর্তমান সরকার ও কংগ্রেস বাংলাদেশে আগাম নির্বাচন চায় না ভারত। এই জন্য এখনই বিএনপির সঙ্গে সরকার এনিয়ে সংলাপে বসবে, সমঝোতা করবে তাও চাইছে না। তারা চাইছে এই সরকার আগমী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে। এই জন্য তারা সরকারকে সব রকম সহায়তা দিবে। ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণও প্রভাবশালী মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে ভারত আগাম নির্বাচন না চাইলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ, কানাডা, জাপান চায় আগাম নির্বাচন। দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট এখনও কাটেনি মনে করে তারা দ্রুত বিএনপির সঙ্গে সরকারকে সংলাপ করে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন করার জন্য তাগিদ দিচ্ছে। এদিকে সরকারের মন্ত্রীরা এই সরকার আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা ঘোষণা করছেন। তবে শেখ হাসিনা এখনও এই বিষয় নিয়ে সুস্পষ্ট করে মুখ খোলেননি। বিএনপিকে শর্ত দিয়েছেন। বলেছেন, জামায়াত ও সহিংসতা ছেড়ে আলোচনায় আসার জন্য বলেছেন। বিএনপিও আলাচনায় যেতে চাইছে। দুপক্ষই সংলাপে বসতে চাইলেও সেটা হচ্ছে না। এর আগেও একই অবস্থা হয়েছিল। পরে জাতিসংঘের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো এসে দুপক্ষকে সংলাপে বসাতে সক্ষম হন। এবারও আলাচনায় তেমনই উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা বলেন, সরকার মুখে আলোচনার কথা বললেও আলাচনা চায় না। লোক দেখানোর জন্য আলোচনা কথা বলছে। কিন্তু এটা ঠিক না। আমরা আলোচনা চাই। বিএনপির এই মনোভাব বুঝতে পেরেই আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাবশালীদের পক্ষ থেকে আগাম নির্বাচনের তোড়জোর চলছে। এই জন্য সংলাপেও বসার জন্য সরকারকে বলছে। এদিকে কূটনীতিকরা নির্বাচনের আগে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচনকালীন সরকারকে চাপ দিলেও তারা শুনেনি। তা না শুনে বিএনপিকে বাদ দিয়ে ভাগাভাগির নির্বাচন করে। আওয়ামী লীগ ওই ধরনের এক তরফা নির্বাচন করার কারণে তারা নির্বাচন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। ওই নির্বাচনের পর যে সরকার গঠন করা হয়েছে ভারত, রাশিয়া, মিয়ানমার, ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশ সরকারকে শুভেচ্ছা জানালেও বেশির ভাগ দেশই তাতে স্বাগত জানায়নি। বরং তারা পুনরায় নির্বাচনের জন্য বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করে সমস্যার সমাধানের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার বারবারই বলছে তারা বিএনপিকে আলোচনায় আহ্বান জানিয়েছে। সরকার তাদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত কিন্তু হয়নি। বিদেশি কূটনীতিকরা তা করানোর জন্য এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছে। এদিকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারের কর্মসূচি কি, সরকার এই সময়ের মধ্যে কি কি করবে সেই পরিকল্পনার কথাও জানতে চেয়েছে তারা। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা যখন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তখন বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয়টি ছাড়াও সরকার আগামী ১০০ দিনের মধ্যে কি কি করছে তা জানার চেষ্টা করেছে। শাহরিয়ার আলম অবশ্য তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দিতে পারেননি। কারণ সরকার এখনও প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার বিবেচনা করে ১০০ দিনের কোনো কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করেনি। এই কারণে তিনি ওইভাবে তা না বলতে পারলেও তাদেরকে আশস্ত করেছেন যে, সরকার কাজ করছে। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এদিকে কূটনীতিকদের কেউ না কেউ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন সাক্ষাৎ করছেন। তারা বিএনপিকে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসার তাগিদ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে কোন কোন দেশ বিএনপির সঙ্গে জামায়াতকে দেখতে চায় না সেটাও বলছেন। জামায়াত সঙ্গ ত্যাগ করার বিষয়টিও মনে করিয়ে দিচ্ছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন ওই সব দেশকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, ১৮ দলীয় জোট ক্ষমতায় আসলে জঙ্গিবাদ দমন করবে এবং এই দেশে তারাই এর আগে জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছে। সেই সঙ্গে এটাও বলছে আওয়ামী লীগের আমলেই প্রথম এই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে। আওয়ামী লীগ কি করেছে ও করছে সেটাও তুলে ধরছেন। প্রতিদিন কূটনীতিকরা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার বিষয়ে সরকার চিন্তিত বলে সরকারি দলের প্রভাবশালী এক নেতা বলেছেন। সূত্র জানায়, বিদেশিরা তার কাছ থেকে চলমান অবস্থা জেনে ও বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে একে একে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন। ওইসব কূটনীতিকরা তাদের মতো করে তৎপর হলেও ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণও তারা মতো করে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তারা চাইছেন এ সরকার সংবিধান অনুযায়ী পাঁচবছর থাক। এখনই কোনো বিএনপির সঙ্গে আগাম নির্বাচন নিয়ে আলোচনা নয়। সরকারকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দিচ্ছেন। পঙ্কজ শরণ বলেছেন, ভারতে সরকার পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন হবে না। অন্য দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা একভাবে যোগাযোগ করছেন। তারা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব বিএনপির সঙ্গে সরকারের সংলাপ, সমঝোতা ও নির্বাচন। আর ভারতের হাইকমিশনার যোগাযোগ করছেন ভিন্নভাবে। যদিও তিনি বলার চেষ্টা করছেন, দুদেশের মধ্যে চলমান সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছেন। আগাম নির্বাচন দিতে হলে বিএনপিকে শর্ত মেনেই আসতে হবে না হলে নয়। তিনি বিএনপিকে জামায়াতছাড়া করে জামায়াত ভোট যাতে আগামী দিনে বিএনপি না পায় ও ক্ষমতায় আসতে না পারে সেই জন্য চেষ্টা করবেন। জামায়াত ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে আসলেও ভালো করতে পারবে না। ওই দুই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সংবিধানের বাইরে কিছু করছি না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ীই। সূত্র জানায়, বিএনপি এটা বুঝতেই পেরেই জামায়াত ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে নয় তবে জামায়াতকে পেছনে রেখেই এগুতে চাইছে। সময়মতো তাদেরকে পাশে টেনে নিবে। এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন মনে করছেন আগে বিএনপি সুসংগঠিত হোক এবং আন্দোলন সফল করার মতো অবস্থায় দাঁড়াতে সক্ষম হউক এরপর জামায়াতকে কাছে টেনে নিবেন। জামায়াতও বিএনপির এই কৌশলে অখুশী নন। তারা পরিকল্পনা করেও এমন কৌশল অবলম্বন করেছেন। এদিকে বিএনপির সম্পর্ক আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে কেবল জামায়াত ও হেফাজতের প্রসঙ্গে কিছুটা নেতিবাচক চাপ থাকলেও অন্যসব দিক থেকেই তারা বিএনপির পক্ষেই কাজ করছেন। এটা সরকারও বিবেচনা করতে পারছে। সূত্র জানায়, সরকারের উপর আন্তর্জাতিক সমর্থন কম। সেটা জেনেই সরকার বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায়ের জন্য ও শুভেচ্ছা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। এই জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছেও বাংলাদেশের সরকারের তরফ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি লেখা হয়েছে। সরকারের ওই চিঠির সারা দিয়ে অল্প অল্প করে বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারকে শুভেচ্ছাও জানানো হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: বি এন পি কেবল তাকিয়েই থাকতে পারবে। সেটাই তার একমাত্র যোগ্যতা।