![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই পৃথিবীর বাজারে বিরাট বাণিজ্য। বিশ্বকাপ এলেই সরগরম হয়ে উঠে ফুটবল খেলা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য। খেলাকে পুঁজি করে ফায়দা লোটে খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে এবার বাংলাদেশ থেকে প্রচুর খেলার পোশাক রফতানি করা হয়েছে। ফিফার লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলো থেকে জার্সি, মোজা, বিভিন্ন দেশের লোগো সংবলিত ক্যাপ, ট্র্যাকস্যুট তৈরি করে নিয়ে গেছে। জানা গেছে, শুধু বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকেই প্রায় চার হাজার কোটি টাকার পোশাক রফতানি হয়েছে। খেলোয়াড়দের পরনে থাকা জার্সির আদলে তৈরি এসব পোশাক মূলত খেলোয়াড় বা দলগুলোর সমর্থক দর্শকদের জন্য। এটিকে বলা হয় রেপ্লিকা জার্সি। টিভির পর্দায় দেখা যায় মেসি, রোনালদো, নেইমাররা যে জার্সি গায়ে মাঠে খেলছেন, সেই একই আদলে তৈরি জার্সি গায়ে গ্যালারিতে হাজার হাজার দর্শক খেলা দেখছেন। মানের দিক থেকে একই না হলেও দেখতে হুবহু মিল। এই রেপ্লিকা জার্সির সিংহভাগ তৈরি হয় বাংলাদেশে। বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, এটি হচ্ছে রেপ্লিকা জার্সি। মানের দিক থেকে একটু ভিন্নতা তো আছেই। তবে অনেক উন্নত মানের ক্রীড়া পোশাক আমাদের দেশ থেকে ইউরোপে গেছে এবার।' ব্রাজিল ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলে স্বাগতিক হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে এই ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য সুভ্যেনির, জার্সি, ট্র্যাকস্যুট তৈরি করার অর্ডার পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, বাংলাদেশে তৈরি খেলার পোশাক গেছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইটালি, ইরান, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, চিলি, জার্মানিতে। তিনি বলেন, স্পেনে প্রচুর জার্সি গেছে বাংলাদেশ থেকে। যেসব দেশ বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলছে না তারাও বাংলাদেশ থেকে পোশাক নিয়ে গেছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। কারণ তারা ফিফার কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়েছে।' গার্মেন্টস শিল্প সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে সবচেয়ে বড় ক্রেতারা এসেছেন ইউরোপ থেকে। সারা দেশে দুই শতাধিক গার্মেন্টস রেপ্লিকা জার্সি তৈরি করেছে। তবে সবচেয়ে বেশি পোশাক তৈরি হয় গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরীতে। সার্ক নিটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোবায়দুর রহমান রানা জানিয়েছেন ফিফার লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান জার্মানির লিডিল কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে খেলার পোশাক তৈরি করে নিয়ে গেছে। ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, স্পেন, গ্রিস, আর্জেন্টিনা, জার্মানিসহ ১৬টি দেশের খেলোয়াড়দের সমর্থকদের জন্য জার্সি শুধু আমরাই তৈরি করেছি। এর মধ্যে ছেলে-মেয়ে এমনকি শিশুদের গায়ের মাপের জার্সি রফতানি হয়েছে।' জোবায়দুর রহমান রানা জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি ক্রীড়া পোশাক রফতানি হয়েছে।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্য একজন গার্মেন্টস মালিক জানিয়েছেন বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান রিবক, অ্যাডিডাস, পুমা, নাইকির মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে তাদের লোগো সংবলিত সমর্থকদের জন্য জার্সি, প্যান্ট, ট্র্যাকস্যুট, মোজা তৈরি করে নিয়ে গেছে। এগুলো ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হয়। গার্মেন্টস মালিকরা এবার পণ্য তৈরি করতে বেশ রাখঢাক করেছেন বলে জানা গেছে। অর্ডার দেয়ার আগেই পণ্যের ক্রেতারা শর্ত দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে আসা অনেক অর্ডার ফেরতও গেছে বলে জানিয়েছেন ইপিলিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। এই ক্রীড়া সংগঠক বলেছেন, আমরা আগেও বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য প্রচুর কাজ করেছি। কিন্তু এবার অনেক অর্ডার ফেরত দিতে হয়েছে। কারণ সময়ের অভাব ছিল।'
২| ২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:২১
মনোজ কুমার বলেছেন: ভাই সত্যি খারাপ লাগে যেখানে শুধু DBBL ই প্রত্যেক মৃত মানুষের জন্য ১ লক্ষ করে টাকা দিলো তারপরো ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের টাকা পেলো না। আরো অন্য সাহায্য তো ছিলোই।
সত্যি ভাই
এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরিভুরি
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গলের ধন চুরি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:১৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: কিন্তু ঐ নির্লজ্জ লোভী গার্মেন্টস মালিকরা বা বিজিএমই রানা প্লাজার হতাহত শ্রমিকদের নায্য টাকাটা দিবেনা। অবশ্য তারা দিবে কেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিসই তো বছর ধরে দানে পাওয়া টাকা আটকে রেখেছে! শত কোটি টাকা!