![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে বিরোধী দু’নেতার ফাঁসি কার্যকর করায় পাকিস্তান সরকারের ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রচণ্ড আবেগ’ প্রকাশের তীব্র সমালোচনা করেছেন সেদেশের মানবাধিকার কর্মী আসমা জাহাঙ্গীর। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে পাকিস্তান সরকার দ্বিমুখী অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানে সামরিক আদালতে যেসব ব্যক্তিকে ত্রুটিপূর্ণ বিচারে ফাঁসি দেয়া হয়েছে, সৌদি আরবে যেসব পাকিস্তানির ফাঁসি দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে সরকার কোন কথা বলে নি। অথচ অন্য দেশের বিষয়ে তাদের আবেগ উতলে উঠেছে। সোমবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আসমা জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, নিজ দেশের নাগরিকদের চেয়ে বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় ওই সদস্যদের প্রতি পাকিস্তান ব্যতিক্রমী ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছে। এর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি নিয়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার জবাবে আসমা জাহাঙ্গীর এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তান সরকারের এমন অবস্থানের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। আসমা জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা আশা করি, বিশ্বের অন্য কোথাও যথাযথ প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তার চেয়ে পাকিস্তানে যেসব মানুষ মৃত্যুদণ্ডের মুখে রয়েছে তাদের জন্য সমান আবেগ দেখানো উচিত। তবে তিনি মনে করেন, এই ফাঁসির ঘটনা বাংলাদেশের বিভক্তিকে আরও গাঢ় করবে। ভবিষ্যতের রাজনীতিকে তাড়িয়ে বেড়াবে। আসমা জাহাঙ্গীর বলেন, যেসব মানবাধিকারবিষয়ক কর্মী এই বিচার পর্যবেক্ষণ করছিলেন, তারা বলেছেন, অভিযুক্ত এ দু’জনের বিচার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয় নি। তিনি বলেন, এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি আমরা। এমনকি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে এ বিষয়ে বলতে বলতে আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু পাকিস্তানের উচিত সবার আগে ত্রুটিপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া এবং যাদেরকে সৌদি আরবে ফাঁসি দেয়া হয়েছে তাদের বিষয়টি আমলে নেয়া। তারপরই তাদের উচিত বাংলাদেশের রাজনীতিকদের প্রতি অসাঞ্জস্যপূর্ণ অতিরিক্ত আবেগ দেখানো। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সরকার ওই দুজন রাজনীতিককে পাকিস্তানের এজেন্টই বানাচ্ছে শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে বোঝাতে চাইছে যে, তারা পাকিস্তানের হয়ে কাজ করেছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন পাকিস্তানে বসবাসকারীদের চেয়ে কি এই দু’জন বাংলাদেশী গুরুত্বপূর্ণ। যদি উত্তর হ্যাঁ বোধক হয় তাহলে সরকারের উচিত হবে তা ব্যাখ্যা করা। আসমা জাহাঙ্গীর স্বীকার করেন, বাংলাদেশে এই দু’জন রাজনীতিককে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা অন্য যেকোন স্থানেই হোক না কেন আমরা মৃত্যুদণ্ড ও ত্রুটিপূর্ণ বিচারের বিরোধী। তিনি বলেন, সবাই জানে যে, বাংলাদেশে এই দু’জন রাজনীতিকের ত্রুটিপূর্ণ বিচার হয়েছে। যদি পাকিস্তান সরকার মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী হয় অথবা ত্রুটিপূর্ণ বিচারের বিরোধী হয় তাহলে তাদের উচিত হবে সামরিক আদালতে বিচারগুলোর দিকে আগে নজর দেয়া।
http://www.mzamin.com/details.php?mzamin= MTAzMDcx&s=Mw==
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শ্লার কী আর কই! মানবাধিকার কর্মীদের মুখে থু থু দেয়ার ইচ্ছেটা প্রবল হচ্ছে
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫
আহমেদ রশীদ বলেছেন: আরণ্যক রাখাল -কেন ভাই উচিত কথায় কষ্ট লাগছে?????????
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভুট্টোর বিচার কি যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছিলো? তার ফাঁসির সময় মানবাধিকার কর্মীরা কোথায় ছিলো?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১২
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সম্পূর্ণ পড়ে গেলাম । লেখার জন্য ধন্যবাদ ।