নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশু নির্যাতন রোধে চাই সামাজিক আন্দোলন

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০১

‘শিশুদের মনটা স্বর্গীয় ফুলের মতোই সুন্দর’। এডমন্ড ওয়ালির এই উক্তির মাধ্যমেই অনুধাবনীয় শিশুরা নিষ্পাপ। কিন্তু এই সতেজ, কোমল ও পবিত্র প্রাণগুলো আমাদের সমাজ বাস্তবতায় আজ নানা অনাচার, অত্যাচার এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কয়েকটি শিশু নির্যাতনের ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি তা উদ্বেগজনক। মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায় এই শিশু নির্যাতনের চিত্র। আজ ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বাংলাদেশে। আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে শিশু নির্যাতনের প্রবণতা। একের পর এক নির্মম এবং নিষ্ঠুরভাবে শিশু হত্যার ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। একুশ শতাব্দীর অত্যাধুনিক সভ্য এই সমাজব্যবস্থায় শিশু নির্যাতন আমাদের মনুষ্যত্বকে আজ প্রশ্নের সম্মুখীন করছে। শিশু নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মাধ্যমে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না শিশু নির্যাতন। তাহলে এই শিশু নির্যাতনের শেষ কোথায়? কেবল আইন এবং শাস্তি দিয়ে নয় রবং মনুষ্যত্বের যথাযথ বিকাশ, নীতি নৈতিকতাবোধ জাগ্রত তথা একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক জাগরণই এই শিশু নির্যাতন রোধ করতে পারে। আর এই জন্য যথাযথ পদক্ষেপ এবং করণীয় নির্ধারণ করা আজ আমাদের সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতিক সময়ে শিশু রাজন নির্যাতন একটি আলোচিত ঘটনা। ১৩ বছরের শিশু সামিউল ইসলাম রাজনের শরীরে ৬৪টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘ ২৮ মিনিট ধরে চলে তার ওপর নির্যাতন। ২ অক্টোবর ২০১৫ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপাল চরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আট বছরের শিশু শাহাদত হোসেন সৌরভ সংসদ মো. মনজুরুল ইসলাম লিটনের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। মাগুরার সুরাইয়া, ঢাকায় নাজিম উদ্দিন, বরগুনায় রবিউল আউয়ালসহ নাম জানা-অজানা বহু শিশু-কিশোরকে হত্যা করা হলো অল্প কদিনের মধ্যে। এ নির্যাতনের পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও করে বিকৃত মানসিকতার নির্যাতনকারীরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর পল্লবীতে ডাস্টবিনের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় নির্যাতনের বীভৎস শিকার গৃহকর্মী আদুরিকে। খুলনায় ১৩ বছরের সীমাকে গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী শুধু হত্যাই করেনি, দীর্ঘ ৯ মাস ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল।
শিশু নির্যাতনের ঘটনা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫৮০৫টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শিশু অধিকার ফোরাম, অধিকার ও পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত বছরের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ১৯৩ জন শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) তথ্যমতে, ২০১২ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ২০৯ জন শিশু। এছাড়া আরো ৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০১৩ সালে হত্যা করা হয় ২১৮ শিশুকে এবং ১৮ শিশুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০১৪ সালে ৩৫০ শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। হত্যার চেষ্টা করা হয় ১৩ শিশুকে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে ১৯১ শিশুকে এবং ১১ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বিএসএএফ সূত্র মতে, গত সাত মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৩০ শিশু; ৬২ শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে; ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৭ শিশুকে। এ সময়ে অপহৃত হয়েছে ১২৭ জন শিশু; অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৩ জন শিশুকে। বিএসএএফ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে অপহৃত হয় ১১৮ জন শিশু। এদের মধ্যে ৫০ জনকে হত্যা করা হয়। ৬৬ জন অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ সালে ৪২ জন শিশু অপহরণের শিকার হয়। তাদের মধ্যে হত্যা করা হয় ১৩ জনকে। ২০১২ সালে ৬৭ জন শিশু অপহৃত হয়। শিশু ও মহিলা পরিষদের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত বছরের ১ মে থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত তিন মাসে সারাদেশে ১০২৩টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ৩ মাসে হত্যা করা হয়েছে ১৬০ জনকে, যাদের অধিকাংশই শিশু।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে দেশে শিশুদের ওপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৫৬টি, শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৫৫, রহস্যজনকভাবে মারা গেছে ছয়টি শিশু, আত্মহত্যা করেছে ১১টি, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১০টি, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ১৯ শিশুর এবং অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে ১১ শিশুকে। গত বছরের ৬ মাসে ৯০টি শিশু অপহৃত হয়েছে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ৬টি জাতীয় পত্রিকার খবর পর্যালোচনা করে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০১৩’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরটিতে ২৬৭ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এর মধ্যে মারা যায় ১২ জন। গুরুতর আহত হয় ২৩৯ জন শিশু। ধর্ষণ ছাড়া অন্যান্য যৌন নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হয় ১৫০টি। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত সাড়ে ৩ বছরে দেশে ৯৬৮ শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৪ সালে শিশুহত্যার হার আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৬১ শতাংশ বেশি ছিল। গত বছর হত্যার পাশাপাশি বেড়েছে নৃশংসতা।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের একই পরিবারের তিন ও পাশের বাড়ির আরেক শিশু খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পাঁচদিন পর ওই গ্রামের একটি মাঠে বালিচাপা অবস্থায় ওই চার শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও রাজশাহীতে শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। আর কত শিশু যে প্রতিদিন নির্যাতিত হচ্ছে তার সঠিক পরিসংখ্যান করা আদৌ সম্ভব নয়। শিশু নির্যাতনের ঘটনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যৌন হয়রানি, ধর্ষণসহ অপহরণের ঘটনা। এগুলোর মধ্যে কিছু ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও বেশিরভাগই ধামাচাপা পড়ে যায় লোকলজ্জার কারণে। বছরে কত শিশু নির্যাতিত হচ্ছে, সে বিষয়ে সরকারি কোনো তথ্য নেই। বিভিন্ন এনজিও এবং সরকারের নানা সংস্থার কাছ থেকে কিছু খণ্ডিত চিত্র পাওয়া যায় মাত্র। বাংলাদেশে ৯৯ দশমিক ৩ শতাংশ শিশু বাড়িতে মা-বাবা ও বড়দের কাছ থেকে মৌখিক সাজা (বকা ও গালাগালি) পায়। আর ৪০ শতাংশ শিশুকে বাড়িতে লাথি বা মার খেতে হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার চার হাজার পরিবারের ওপর করা এক জরিপ থেকে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৯১ শতাংশ শিশু স্কুলে বিভিন্ন পর্যায়ের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়, ৭৪ শতাংশ বাসায় বড়দের হাতে। এসব নির্যাতনের ধরনের মধ্যে রয়েছে লাঠি দিয়ে মারা, চক বা ডাস্টার ছুড়ে মারা, চড় মারা, কান বা চুল ধরে জোরে টানা ইত্যাদি।
দেশজুড়ে শিশু নির্যাতন নিয়ে বাদ-প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে নির্যাতন ও পিটিয়ে শিশু হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফও। গত বছরের ৬ আগস্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদার জানান, এ ঘটনা ‘শিশু অধিকার’ নীতির পরিপন্থী। ঘটনাগুলো সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে, তাই ইউনিসেফ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইকেল ম্যাকগ্রাথও শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার শিশুদের জন্য যে নীতিগুলো গ্রহণ করেছে তার আলোকেই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শিশু নির্যাতনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘শিশু নির্যাতন করে কেউ পার পাবে না। দেশে পরপর বেশ কয়েকটি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।’ এ ধরনের খারাপ প্রবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শিশুদের প্রতি করুণা নয় বরং দেশের স্বার্থেই তাদের সুস্থ সুন্দর এবং স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে হবে। এ দায়িত্ব পরিবার, সমাজ, তথা রাষ্ট্রের। শিশুর নিরাপত্তা দিতে হবে সবার আগে পরিবারকে তারপর সমাজ ও রাষ্ট্রকে। এটা নিশ্চিত করতে না পারলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে যা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক। শিশুদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে তাদের কল্যাণের ব্যাপারে সরকারকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা উচিত। অপার সম্ভাবনা ও স্বপ্ন নিয়ে যে শিশুর নিরাপদে বেড়ে ওঠার কথা সে কেন নির্যাতন অথবা নিষ্ঠুর হত্যার শিকার হবে? শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত করতে সবার আগে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সমাজের একশ্রেণির অমানুষের লোভ ও নিষ্ঠুরতার কারণে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হবে, তাদের প্রাণ চলে যাবে এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
আমাদের দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৫ প্রচলিত আছে। এই আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি বিষাক্ত, দাহ্য বা দেহের ক্ষয় সাধনকারী কোনো বস্তু দ্বারা কোনো নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটায় তবে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। অন্যথায়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ন্যূনতম ৭ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এতসব আইনের ভেরি থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে অহরহ নানাভাবে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।
এসব শিশু নির্যাতনের যে ভয়াবহতা তা যে কোনো সভ্য-শিক্ষিত সমাজের জন্য কলঙ্কস্বরূপ। শিক্ষা-সংস্কৃতির দিক থেকে আমরা যতদূরই অগ্রসর হই না কেন, আমাদের সব অগ্রযাত্রা ¤øান হয়ে যায় এসব নির্যাতনের দৃশ্যপটের সামনে। সমাজবিজ্ঞানীরা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য সামাজিক হতাশা, দাম্ভিকতা, নৈতিক শিক্ষার অভাব এবং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়কে দায়ী করছেন। রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি এগুলো দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সব গোয়েন্দা সংস্থাকেও জিরো টলারেন্সে যাওয়ার আদেশ অবিলম্বে প্রদান করতে হবে। এভাবে শিশু হত্যা, নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়া একদিকে যেমন আমাদের সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয়, তেমনি এটিও সত্য, অপরাধ করে অপরাধীরা সহজে পার পেয়ে যাওয়ায় অপরাধ কমছে তো না-ই, বরং বাড়ছে। এ ছাড়া আমাদের অপসংস্কৃতির দৌরাত্ম্যে এ ধরনের অপরাধকে আরো উৎসাহিত করছে। এই অবস্থায় বিপণন হচ্ছে আমাদের শিক্ষা, মূল্যবোধ আর বিবেক। এই হত্যা-নির্যাতনরোধে ব্যক্তি ও সমাজের দায়িত্ব রয়েছে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এটা ব্যক্তিবিশেষের সমস্যা নয়। সমাজের সমস্যা। রাষ্ট্র এবং জনগণ মিলেই শিশু হত্যা-নির্যাতনের বিভীষিকা রোধ করতে হবে।
শিশু নির্বাচন দমনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে গণসচেতনতা প্রচার দরকার। এমন কর্মকাণ্ডে মানুষের মাঝে ঘৃণ্যাবোধ জন্মাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। সুশাসন না থাকলে কখনো কোনো নির্যাতন বন্ধ হওয়া সম্ভব নয়। এই অনাচারের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানুষের বিবেক জাগ্রত করার জন্য নানা ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। সমাজের বিবেকবান মানুষদের সোচ্চার হতে হবে। গানবাজনা, বিকর্ত, নৃত্য, কবিতা, নাটক, সিনেমা, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরে শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। সর্বস্তরে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের সরকারি, বেসরকারি, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। শিশু নির্যাতন আইন কঠোরভাবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। শিশু নির্যাতনের জঘন্য কাজে জড়িতদের কোনো বিবেচনায় ছাড় দেয়া যাবে না। পরিত্রাণের উপায় হিসেবে ট্রাইব্যুনালে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করা দরকার। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো গতিশীলভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিশুদের সুরক্ষায় সরকার আর জনগণকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.