নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতি অবিচার আর কতদিন

২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪০


ছবি সূত্রঃ প্রথম আলো

এই দুনিয়ায় যে নিঃশ্বাস নেই তা আবার এই দুনিয়ার বাতাসেই ফেলি। যারা হরিজন সম্প্রদায়ের শিশুদের ঘৃণা করেন। একই হোটেলে খাবার খেলে আপনাদের বমি পায়। তাদের বলছি, আপনারা একই বাতাস বুকে টেনে নেন। কিন্তু আপনাদের তো অনেক ঘৃণা। তাই সবচেয়ে ভালো হয় আপনারা মরে যান। আমি ছোটো থেকে বড় হয়েছি, কোনোদিন দেখিনাই আমার এলাকায় কাউকে কেউ ঘৃণা করতে। আমাদের হোটেল গুলোতে তো দেখা যায় ভিক্ষা করে যারা ভাত খায় তারা যে গ্লাসে পানি খায়, এই নিয়ে কাউকে তেমন গা করতে দেখিনাই আজও। কিন্তু আমাদের প্রত্যন্ত জেলা শহর গুলোতে কি হয় আমার জানা নাই। তবে এটা খুবই দুঃক্ষ জনক এবং ঘৃণ্য। এই এলিট শ্রেণী পৃথিবী থেকে চলে যাক। পৃথিবী টা হউক গণ মানুষের।
মূলত অনেক অনেক বছর আগে এ সম্প্রদায়ের মানুষ যারা কিনা বাসা বাড়ির গলিত ময়লা বাঁশের ঝুড়ি তে করে বয়ে নিয়ে যেতেন দূরে, তাদের পুরো শরীর চুইয়ে চুইয়ে সেই ময়লা মেখে যেতো। তাদের নিজেরা গরীব হওয়ায় নিজেদের পুকুর না থাকায় ঠিক মতন গোসল করতে পারতেন না। আবার বড়লোকের পুকুরেও নামতে পারতেন না। ঠিক এভাবেই এই ঘৃণার আয়োজন চলে আসছে শত শত বছর ধরে।
কিন্তু এই বাচ্চা তার বেলায় কি বলবেন? কত সুন্দর নিষ্পাপ একটা বাচ্চা। আর আট দশটা বাচ্চার মতই পরিষ্কার হয়ে স্কুলে এসেছে। কিন্তু হোটেলে ভেতরে বসতে পারবেনা। কি সাংঘাতিক। এরা কারা যারা হোটেল মালিক কে বাধ্য করে এদের বাইরে বসাতে?
এখন তো এই সম্প্রদায়ের টিকে থাকা আরও অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এদের প্রধাণ কাজ মূলত আমার আপনার এই শহর পরিষ্কার রাখা, এখন এই পেশা কে সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় এদের জীবন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। এরা যদি ছোটো কোনো দোকান দেয়, সেই দোকানে কেউ যায়না কারণ তারা হরিজন। আর সম্পদ না থাকায় অন্য কিছুও করতে পারেনা। তাহলে ওরা বাঁচবে কি করে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৬

কাঁউটাল বলেছেন: +

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

শায়মা বলেছেন: মানুষ মানুষের জন্য!

এখনও সমাজে এমন ছোটলোকি আছে জানতাম না ভাইয়া।

আহারে বাচ্চাটা!

কি করে ঐ হোটেলওয়ালা এই কাজ করলো!

জেইলে দেওয়া উচিৎ।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪১

আব্দুল্যাহ বলেছেন: এটা আসলেই লজ্জার। আমাদের স্কুলে যারা ছিল তাদের এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.