![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীটা বদলাক যুক্তির চর্চার দ্বারা। বিশ্বাসের ভাইরাস ছড়ানো এ দেশটা বদলে যাক...।
দেশের একটি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনমতে, 'সাংবাদিক নির্যাতনে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এগিয়ে থাকে বলে মনে করছে আর্টিকেল ১৯ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন।' কিন্তু, আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা, বা 'আর্টিকেল ২০' মনে করছে, 'সাংবাদিক নির্যাতনে এগিয়ে আছে বাংলাদেশের মিডিয়ার মালিকপক্ষ। মানে, প্রায় সব মিডিয়া হাউজ। নিয়োগপত্র না দেয়া, মাসের পর মাস বেতন না দেয়া, চাকরির নিশ্চয়তা না থাকা, অমানুষিক পরিশ্রম করানোর ফলে এ দেশের প্রায় প্রত্যেকটা মিডিয়া হাউজ এখন সাংবাদিক নির্যাতনের কারখানায় পরিনত হয়েছে।
নিজেদের 'যোগ্যতা'য় বাইরে সম্মান, যশ, খ্যাতি পেলেও অফিসে তারা নিগৃহীত হন মালিকপক্ষ আর 'মালিকপক্ষের দালাল' সিনিয়রদের দ্বারা। আমার জানামতে, এমন অনেক সাংবাদিক আছেন যারা সারাদিন মানুষের সমস্যার খবরের পেছনে দৌড়ান। মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার অন্যতম ভরসা তারা। কিন্তু সন্ধ্যায় তারা বাসায় খাবার নিয়ে ফিরতে পারেন না। পারেন না মা, বোন, স্ত্রী, সন্তানের কোনো চাহিদা পূরণ করতে। অসুস্থ স্্রী, সন্তানকে চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু মালিকপক্ষ এই সাংবাদিকদের মেধা, পরিশ্রমকে পুঁজি করে নিজেদের গ্রুপ অব কোম্পানীকে টিকিয়ে রাখা, দখলবাজির ধান্ধায় থাকেন।
আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি যেকোনো একজন প্রখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে মিশতে পারেন, জানুন তার সম্পর্কে। এমন কোনো সাংবাদিক, এমনকি এখনকার কোনো নামী সম্পাদককে আপনি পাবেন না, যার অন্তত তিন মাসের বেতন মালিকপক্ষ মেরে দেয়নি। সাংবাদিকদের মধ্যে একটা 'প্রবাদ' প্রচলিত আছে, 'সাংবাদিকতার জগত হলো আন্ডারওয়ার্ল্ডের মতো। একবার আসলে এখান থেকে আর ফিরে যাওয়া যায় না।' তবে এটা আন্ডারওয়ার্ল্ডের মতো না, সাংবাদিকরা সৃজনশীলতার জন্য পেশাটাকে মনে, প্রাণে এতটাই ভালোবেসে ফেলেন, যার জন্য শত কষ্টের মধ্যেও এ ভালোবাসার বন্ধন ছেড়ে যাওয়া যায় না।
এই কোম্পানীগুলোর অন্যান্য প্রজেক্ট লস হলেও কর্মকর্তা, কর্মচারিদের বেতন আটকায় না। কিন্তু, তাদের মিডিয়া প্রজেক্ট লাভের মুখে থাকলেও এখানে সাংবাদিকদের বেতন আটকায় মালিকপক্ষ। তবে গুটিকয়েক হাউজ ছাড়া। তবে এটা বিরল। আর বিরল কখনো রেফারেন্স হয় না।
আজ 'মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস'। এই দিনে সাংবাদিকদের 'মুক্ত সাংবাদিকতা'র গ্যারান্টি চাওয়া দরকার তার হাউজ থেকেই। এরপর অন্যদিক থেকে নিশ্চয়তা চাওয়া, বা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের মিডিয়ার মালিকপক্ষের কাছে আজ একটাই চাওয়া, 'প্লিজ, অন্যের ওপর দোষ না চাপানোর আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। যেই পত্রিকা, চ্যানেলকে ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসাকে সুরক্ষিত রাখছেন সেই মিডিয়ার কোনো সাংবাদিকের, বা তাদের পরিবারের পেটে আপনি লাথি মারছেন না তো?'
আহসান কামরুল
০৩.০৫.২০১৫ খ্রি.
ঢাকা।
০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১০:০৭
আহসান কামরুল বলেছেন: ধন্যবাদ। এ লেখাটির পরে 'আর্টিকেল-১৯' মালিকপক্ষের দূর্বলতার বিষয়টি স্বীকার করেছে গতকালের সংবাদ সম্মেলনে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:৪২
বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: ভাই চমৎকার কথা বলেছেন।