নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আতাউর মামা। পিতা পুত্র সবারই মামা। তাকে ডাকার প্রয়োজন হলে ছোট বড় সবাই ‘মামা’ বলে ডাকে। এই ডাকের উৎপত্তি কীভাবে হল, কেউ জানে না। যারা তাকে এই নামে ডাকে, তারা কেউ তার ভাগ্নে নয়। আতাউর মামার কোন বোন নেই। তার ভাগ্নে আসবে কোত্থেকে? আগের জেনারেশন ‘মামা’ বলে ডেকে গেছে, বর্তমান জেনারেশনও ‘মামা’ বলে ডাকছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, আতাউর মামার বয়স অনেক। আশির কাছাকাছি তো বটেই। কিন্তু মামার দেহে কোন রোগ ব্যাধি নেই। এখনো তিনি উদ্দেশ্যহীনভাবে শহরের ভেতর বাইরে মাইলের পর মাইল হাঁটেন। আর তাকে চেনে না, এমন লোক এই শহরে প্রায় নেই বললেই চলে। পাতলা একহারা শরীর। মুখে সাদা দাড়ি। মাথার সামনের দিকে টাক, পেছন দিকে অবিন্যস্ত পাকা চুল। এই বয়সেও তার হাঁটার গতি অবিশ্বাস্য রকমের দ্রুত।
আতাউর মামা এক সময় ব্যবসা করতেন। ঠিকাদারি আর ইট ভাটার ব্যবসা। এই ব্যবসা করে তিনি অঢেল টাকা পয়সা রোজগার করেছেন। সেই টাকায় তিনি তার মহল্লায় বিরাট আলিশান বাড়ি করেছেন। তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন রাজকীয় ভাবে। ধুম ধাম করে নিজেও আর একটা বিয়ে করেছেন। প্রথম বউয়ের পুত্রসন্তান ছিল না। দ্বিতীয় বউ দুটি পুত্রসন্তান উপহার দিয়েছে তাকে। এতে আতাউর মামা ছোট বউয়ের ওপর খুব খুশি। কিন্তু আশ্চর্য কী জানেন? ভালোবাসা যদি দাঁড়িপাল্লায় মাপা যেত, তাহলে বড় বউয়ের দিকের পাল্লাই ভারী হতো। বড় বউ মারা যাবার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে আতাউর মামার চাল চলনে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিল। তিনি ব্যবসাপাতি সব ছেড়ে ছুঁড়ে দিয়ে শহরের মধ্যে উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটাহাঁটি শুরু করে দিলেন। লুঙ্গি আর পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে তিনি বিরামহীন হেঁটে বেড়ান। কখনো কখনো বিড় বিড় করে নিজের সাথে নিজেই কথা বলেন। আর সব চেয়ে অবাক করা ব্যাপার যেটা ঘটলো, তা’ হল বিনা আমন্ত্রণে তিনি যে কোন বিয়েবাড়ি, খৎনা বা আকিকার অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে যান। সেখানে পেট পুরে খেয়ে দেয়ে তিনি আবার পথে নেমে পড়েন।
মামার ছেলেরা বড় হয়ে ব্যবসার হাল ধরেছে। ছেলে ও জামাইরা মামার এই বেহায়াপনায় ভীষণ লজ্জা পায়। বহুবার নিষেধ করেও মামাকে তারা এ কাজ থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি। মহল্লার লোকজন এ নিয়ে টীকা টিপ্পনী কাটলে তারা অসহায়ভাবে বলে, ‘কী করবো বলেন? শেকল দিয়ে তো আর বাড়িতে বেঁধে রাখা যায় না! উনি চাইলে বাড়িতে প্রতিদিন পোলাও মাংস রোস্ট রেজালা রান্না করে দেওয়া যায়। অনেকবার করাও হয়েছে। কিন্তু উনি তো ওসব ছুঁয়েও দেখেন না। আমরা কী করবো বলেন? মানুষের বাড়িতে খাওয়ার মধ্যে যে কী আনন্দ আছে, তা’ একমাত্র উনি আর আল্লাহ জানেন!’
আতাউর মামাকে ঠিক পাগল বলা যায় না। অবিরাম হাঁটা আর মানুষের বাড়িতে বিনা নিমন্ত্রণে খাওয়া ছাড়া তার আচার আচরণে কোন অস্বাভাবিকতা নাই। তিনি কাউকে গালি গালাজ করেন না। কথাবার্তাতেও ভারসাম্যের অভাব নাই। শান্ত শিষ্ট নিরীহ মানুষ। তার কথাবার্তা গুলো লক্ষ্য করুনঃ
‘আচ্ছা মামা, এই যে আপনি দাওয়াত ছাড়া মানুষের বাড়িতে খেয়ে বেড়ান, এতে আপনার লজ্জা লাগেনা?’
‘লজ্জা তো লাগেই। তবে আমার চেয়ে আমার ছেলেরা আর মেয়ে জামাইরা বেশি লজ্জা পায়।’
‘তারা লজ্জা পায় কেন? তারা তো আর খেতে যায় না!’
‘বোকা ভেবে আমার সাথে ইয়ার্কি করছো?’ আতাউর মামা ভুরু কুঁচকে বলেন, ‘আমি বিনা দাওয়াতে এখানে ওখানে খেয়ে বেড়াচ্ছি, আর আমার পরিবারের লোকেরা লজ্জা পাবেনা?’
কারো কথাবার্তা পছন্দ না হলে আতাউর মামা কোন রকম হৈ চৈ না করে সেখান থেকে নিরবে চলে যান। ছেলে বুড়ো অনেকেই পাগল ঠাউরে মামাকে ধোঁকা দেয়। যেমন কেউ হয়তো বলে, ‘মামা, ঐ যে বাড়িটাতে লাল নীল মরিচ বাতি জ্বলছে, ওখানে আকিকার খাওয়া দাওয়া হচ্ছে। বিরিয়ানি, রোস্ট, রেজালা, কাবাব। সাথে বুরহানি আর দই মিষ্টি আছে।’
আতাউর মামা সরল বিশ্বাসে জিজ্ঞেস করেন, ‘সত্যি বলছো?’
‘আপনাকে মিথ্যে বলবো, মামা? ছিঃ ছিঃ। আমি এইমাত্র খেয়ে এলাম। বিশ্বাস না হলে আমার হাত শুঁকে দেখেন!’
আতাউর মামার চোখ দুটো চক চক করে ওঠে। বলেন, ‘যাবো তাহলে?’
‘অবশ্যই যাবেন। দেরি করলে কিন্তু খাবার ফুরিয়ে যাবে, মামা!’
আতাউর মামা স্বভাবসুলভ দ্রুত গতিতে ছুটে যান বাড়িটার দিকে। কিন্তু সেখানে খাওয়া দাওয়ার কোন ব্যাপার নাই। হয়তো কোন এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন বা জেলা সমিতির জয়ন্তী উৎসব চলছে। নির্ধারিত সংখ্যক লোকজন। অনেক ভারী ভারী কথাবার্তা শেষে কেক-কোকের ব্যবস্থা। আর নয়তো বড়জোর হালকা পাতলা প্যাকেট ডিনার। বাইরের লোকের প্রবেশ নিষেধ। গেটের দারোয়ানের কাছে ধমক খেয়ে লুঙ্গি পরা আতাউর মামাকে চলে আসতে হয়। কিন্তু তিনি ধোঁকাবাজ ভাগ্নেকে না খুঁজে নির্বিকার চিত্তে অন্য পথে হাঁটা দেন।
আতাউর মামা এই বয়সেও বিস্তর খেতে পারেন। কমিউনিটি সেন্টারে খাওয়া দাওয়া হলে নির্ধারিত প্লেটে তার পোষায় না। কিন্তু বাড়িতে খাওয়া দাওয়া হলে তার পুষিয়ে যায়। অনেক সময় এমনও হয়েছে যে ‘মামা, আর কত খাবেন? এবার ওঠেন তো!’ বলে প্রথম ব্যাচে খেতে বসা আতাউর মামাকে দ্বিতীয় ব্যাচ থেকে টানা হ্যাঁচড়া করে উঠিয়ে দিতে হয়েছে। মামা অবশ্য এতে বেশ লজ্জা পান। তবে কাউকে কিছু বলেন না। বিব্রত মুখে চুপচাপ উঠে পড়েন।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আতাউর মামার মানুষ চেনার ক্ষমতা কমে যেতে লাগলো। নিজের ছেলে মেয়েদেরও অনেক সময় ঠিক মতো চিনতে পারেন না। নিজের বাড়ি মনে করে পাশের বাড়ির কলিং বেল টিপে দেন। এই শহরেই তার বড় জামাইয়ের বাড়ি। একদিন জামাইয়ের মেয়ের বিয়েতে মেহমানদের সাথে মিশে তিনি চুপি চুপি খেয়ে চলে এলেন। জামাই দূর থেকে সবই দেখলো। কিন্তু মেহমানদের মধ্যে লুঙ্গি পরে বসে শ্বশুরকে খেতে দেখে জামাই লজ্জায় আর সেদিকে গেল না।
আতাউর মামার ভাগ্নেরা, বিশেষ করে উঠতি বয়সের ছেলে ছোকরারা আরও বেশি করে মামাকে উত্যক্ত করা শুরু করলো। তারা আড়াল থেকে ইটের খোয়া বা নুড়ি পাথর ছুঁড়ে পালিয়ে যেতে লাগলো। এতে মামার শরীরে সামান্য খাম জখম হলেও তার কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। তিনি বরাবরের মতো দুরন্ত স্পীডে সারা শহর চষে বেড়াতে লাগলেন। খানাপিনার গন্ধ পেলে তিনি সে বাড়িতে ঢুকে পড়েন। আগে কেউ বাধা না দিলেও ইদানিং অনেক বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আর কমিউনিটি সেন্টারে ভিক্ষুক মনে করে তাকে ঢুকতেই দেওয়া হয় না। লুঙ্গি পরা, খালি পায়ের উস্কোখুস্কো চুলওয়ালা একটা আপদ কিসিমের লোককে তারা ঢুকতে দেবেই বা কেন? আতাউর মামার দাওয়াত খাওয়া দিনে দিনে সীমিত হতে লাগলো। একদিন তো তাকে আহাররত অবস্থায় এক অনুষ্ঠান থেকে কয়েকজন যুবক টেনে হিঁচড়ে তুলে গলাধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দিল। মামা খুবই শরমিন্দা হলেন। লজ্জায় মুখ নিচু করে দ্রুত সেখান থেকে তিনি পালিয়ে গেলেন।
উপায়ান্তর না দেখে ছেলেরা তাদের বাবাকে পাবনার পাগলা গারদে রেখে এল। এ ছাড়া আর কিই বা করা যেত? আতাউর মামার জন্য তার ছেলে মেয়ে জামাই নাতি সবাই অপদস্থ হয়। এভাবে আর কত দিন?
মামা পাগলা গারদে অন্যান্য পাগলদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এই শোনো, আমি কিন্তু পাগল না। আসল ঘটনা কী জানো? আমি আকলিমার (মৃত বড় বউ) হাতের রান্না খাই, সেটা সালেহার (ছোট বউ) ছেলেদের পছন্দ নয়। তাই তারা আমাকে এখানে বন্দী করে রেখে গেছে। আমি এখান থেকে বেরিয়ে আবার আকলিমার হাতের রান্না খাবো।’
আতাউর মামার সেই কল্পনাপ্রসূত সৌভাগ্য আর হয়নি। পাগলা গারদেই তার মৃত্যু হয়।
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
********************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনিবার্য কারণে নতুন লেখা দিতে দেরি হচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮
মানবী বলেছেন: এটা একটা চমৎকার প্রেমের গল্প অথবা সত্য ঘটনা!
সন্তানদের ব্যবহার নিঃসন্দেহে দুঃখজনক তবে ভদ্রলোকের মৃত স্ত্রীকে এভাবে পাগলের মতো খুঁজে বেড়ানোটা মন ছুঁয়ে গেছে।
আর স্ত্রীর খোঁজে এই হেঁটে বেড়ানোত কারনেই তাঁকে তেমন কোন রোগ স্পর্শ করতে পারেনি।
সুন্দর গল্পের জন্য ধন্যবাদ আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভদ্রলোকের মৃত স্ত্রীকে এভাবে পাগলের মতো খুঁজে বেড়ানোটা মন ছুঁয়ে গেছে।
মানুষের মন বড় বিচিত্র। ধন্যবাদ মানবী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি পড়ে ভাল লাগল। পুরাণ হলেও আমি আগের পোষ্টটি পড়িনি অামার জন্য নতুনই।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: গল্পটি মনে লাগল।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঢাকাবাসী।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চা খান পরে আইতাছি
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খালি পেটে চা খামু না। একটা স্যান্ডউইচ নিয়া আইসেন।
৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আমি মামার মায়ায় পরে গেলাম । ভালো একটা গল্প, ধন্যবাদ আপনাকে
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রাইমারি স্কুল।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
পাতলা একহারা শরীর। মুখে সাদা দাড়ি। মাথার সামনের দিকে টাক, পেছন দিকে অবিন্যস্ত পাকা চুল।......নিজের কথাই বলছেন না তো?
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাথায় টাক আর মুখে সাদা দাড়ি থাকলেই মামা হওয়া যায় না, বুঝছেন?
৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
ধুম ধাম করে নিজেও আর একটা বিয়ে করেছেন..........ইচ্ছে থাকা সত্বেও এই একটা জায়গায় আপনি ফ্লপ করেছেন
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নারে ভাই, আমার তো একটাই বিয়া করার ইচ্ছা ছিল না। চাচাতো বইনের লগে ভাব ভালোবাসা কইরা ফেল করার পর জীবনেও বিয়া করুম না ইরাম প্রতিজ্ঞা ছিল। কিন্তু মায়ের কান্নাকাটি আর পীড়াপীড়ির কারণে একটা বিয়া করছি। অহন কেউ কান্নাকাটিও করে না, পীড়াপীড়িও করে না। আর একটা বিয়া করুম ক্যামনে?
৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
আর সব চেয়ে অবাক করা ব্যাপার যেটা ঘটলো, তা’ হল বিনা আমন্ত্রণে তিনি যে কোন বিয়েবাড়ি, খৎনা বা আকিকার অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে যান। সেখানে পেট পুরে খেয়ে দেয়ে তিনি আবার পথে নেমে পড়েন।.........মামা একজন হোমড়া চোমড়া লোক, কেউ যদি ওনাকে ভুলে দাওয়াত নাও দেয় তাহলে তো দাওয়াত ছাড়া হলেও সেকানে পৌছাটা ওনার দায়িত্বের মাঝেই পড়ে, না কি কন?
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সে তো ঠিকই। মানুষ মামারে দাওয়াত দিতে ভুল করতে পারে, কিন্তু মামা তো দাওয়াত নিতে ভুল করতে পারে না।
১০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
জুন বলেছেন: আবু হেনা ভাই আমি আজকেই ঠিক এমন একটি ঘটনার কথা শুনলাম আমার গৃহকর্মীর মুখ থেকে । ১৫ বছরের বিবাহিত জীবনেও বাচ্চা না হওয়ায় তার ভাশুর একটি বিয়ে করে । আর সে ঘরে ৪ জন ছেলে মেয়ে হয়। আমি বললাম,
'তারপর ? তারপর কি তোমার ভাশুর বড় বৌকে তাড়িয়ে দিয়েছিল' ?
বল্লো "না আফা, যদি দাড়ি পাল্লা দিয়া মাপতেন তাইলে দেখতেন মরার আগ পর্যন্ত আমার ভাশুর বড় বৌকেই বেশী ভালোবাসতো", সতীনের ছেলেমেয়েরাও বড়মাকে শেষ জীবনে সুখেই রেখেছিল ।
এখানেই আপনার গল্পের সাথে সামান্য পার্থক্য । আতাউর মামার শেষ পরিনতি অত্যন্ত দুঃখজনক। অনেক ভালোলাগা রইলো হৃদয়স্পর্শী লেখায় ।
+
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: "না আফা, যদি দাড়ি পাল্লা দিয়া মাপতেন তাইলে দেখতেন মরার আগ পর্যন্ত আমার ভাশুর বড় বৌকেই বেশী ভালোবাসতো" ( আপনার মন্তব্য থেকে )
ভালোবাসা যদি দাঁড়িপাল্লায় মাপা যেত, তাহলে বড় বউয়ের দিকের পাল্লাই ভারী হতো। ( আমার এই গল্পের ১১ ও ১২ নম্বর লাইন থেকে )
কী আশ্চর্যজনক মিল, তাই না? আসলে বাস্তব ঘটনা নিয়ে লিখলে এ রকম মিল খুঁজে পাওয়া যায়ই।
ধন্যবাদ বোন জুন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী নির্মম এক কাহিনী!
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি মাহবুব ভাই। সত্যিই নির্মম। আপনার পাবনা মেন্টাল হসপিটালের ওপর দেওয়া পোস্টটি পড়ে আমার এই পূর্বে প্রকাশিত লেখাটির কথা মনে পড়ে গেল। যারা আগে পড়েননি, তাদের জন্য তাই আবার পোস্ট দিলাম।
আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
১২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
অহন কেউ কান্নাকাটিও করে না, পীড়াপীড়িও করে না। আর একটা বিয়া করুম ক্যামনে? ........হা হা প গে
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে।
১৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সুমন কর বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
মানুষের বাড়িতে খাওয়ার মধ্যে যে কী আনন্দ আছে, তা’ একমাত্র উনি আর আল্লাহ জানেন!’.........মামার মতো বয়স যেহেতু হয়েছে বেড়িয়ে পড়তে পারেন, আমার মনে হয় বিষয়টা কম খারাপ হবে না, তাছাড়া অন্তর্নিহিত ব্যাপারটাও জানা হলো
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডাক্তারে পোলাও গোস্ত খাওয়া নিষেধ না করলে আমি ঠিকই মরহুম মামার মুরিদ হইতাম।
১৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শেষাংশে সত্যিই মামার জন্য চোখে পানি চলে এলো, আসলে প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ায় উনি শকড্ হয়ে গিয়েছিলেন বোঝা যায়।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, আতাউর মামা শকড্ ছিলেন এটা ঠিক। তার মৃত্যুটাও খুব করুণ।
১৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনার ছেলেরা উনাকে ভালোবাসেননি, ভালোবাসলে উনাকে গারদে দেয়ার দরকার ছিলো না
আরেকটা ব্যাপার, উনি যদি চট্টগ্রাম চলে আসতেন, মেজবান খেতে পারতেন আজীবন; চট্টগ্রামে, মেজবানে যে আসে সে খেতে পায়।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। কথাটা মন্দ বলেননি। মেজবানের জন্য চট্টগ্রামের সুনাম আছে।
ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এর আগে যখন দিয়েছিলেন, তখনই পড়েছি।
নতুন কিছু লিখছেন না যে?
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নতুন লেখা দেব ভাই। পুনরায় পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই আরণ্যক রাখাল।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪১
পুলহ বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে দেখে খারাপ লাগলো। গল্প হলেও খারাপ লাগতো, তবে সেটা হতো কোন কাল্পনিক চরিত্রের জন্য। এখন সে খারাপ লাগাটা বাস্তবের কোন মানুষের প্রতি...
"ভদ্রলোকের মৃত স্ত্রীকে এভাবে পাগলের মতো খুঁজে বেড়ানোটা মন ছুঁয়ে গেছে।"-- মানবী আপুর কথাটা ইকো করলাম।
সাবলীল গল্পে ভালো লাগা জানবেন আবুহেনা ভাই।
শুভকামনা !
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের সমাজের বাস্তব চরিত্রগুলোও কখনো কখনো মনে দাগ কেটে যায়। মানবীর মন্তব্যটি যথার্থ।
আপনাকে ধন্যবাদ পুলহ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
১৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে তাই একটা লাইকও দিয়েছি!!
তবে বিষয় বস্তুটা এখনো মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে!
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি গল্প লিখে তখনই তৃপ্তি বোধ করি, যখন গল্পটি পড়ার পর পাঠকের মনে তা' ভাবনার উদ্রেক করে।
ধন্যবাদ ভাই বিলিয়ার রহমান। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
২০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালোবাসা মানুষ হারানোর পরেই বুঝতে পারেন হয়তো। যখন না চাইতেই ভালোবাসা পাওয়ার হিসেব বেড়ে যায় তখন ভালোবাসা মূল্য দিতে আমরা ভুলে যাই!
ভালোবাসা পেয়ে হেলায় হারানো উচিৎ না করোরই। ভালোবাসাকে ভালোবাসা দিয়েই আটকে রাখতে হয়। এগুলোও আমি হারানোর পরই বুঝেছি। জানিনা মোটামুটি বুঝেছি কিনা। তবে এখনও চেষ্টা করি ভালোবাসা বোঝার জন্য। বেশিরভাগই ঠকি!
আপনার গল্প সম্ভবত ভালোবাসা হারানোর পরে বোঝার যন্ত্রণা বোঝানো হয়েছে।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইল গল্পে। মামার আত্মার শান্তি হোক।
আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালোবাসা পেয়ে হেলায় হারানো উচিৎ না করোরই। ভালোবাসাকে ভালোবাসা দিয়েই আটকে রাখতে হয়।
আপনার উপলব্ধি আমারও উপলব্ধি। আমি সারাজীবন এই আদর্শেই বিশ্বাস করে এসেছি। তাই আপনার মন্তব্যটি ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
২১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৬
পথে-ঘাটে বলেছেন: রি-পোস্ট দিয়ে সুন্দর একটি গল্প পড়ার সুযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
সাবলীল গল্পে ভালো লাগা জানবেন আবুহেনা ভাই। আমিও গল্প লিখি(নবিশ), সময় পাইলে দেইখেন।
শুভকামনা !
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নিশ্চয় দেখবো। গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ ভাই পথে-ঘাটে। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
২২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৬
rakhal rajib বলেছেন: ভালো লাগল
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাখাল রাজিব।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
২৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৬
ওমেরা বলেছেন: হৃদয়স্পর্শী গল্পের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
২৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:২০
কানিজ রিনা বলেছেন: হয়ত বড় বউ স্বামীর সকেই মারা যায়।
আর মনে হয় ছোট বউ পুত্র সন্তান জন্ম
দিয়ে সংশারের সব কিছু ছোট বউএর
দখলে যায়। তাই হয়ত বেচারা বাড়ির ভাত
খেতেননা। তাছারা গল্প বঝা যায় উনি
আসলে বেলজ্জিত ছিল। তানা হলে বিবাহীত
মেয়ে জামাইর সামনে বউ থাকতে আর
একটা বিয়ে করে একটা বেলজ্জিত। শুধু
মাত্র একটা পুত্র সন্তান পাওয়ার উছিলায়।
আর বড় বউএর দোশ তার একটা ছেলে
হয় নাই বলে। পুরুষরা বিয়ে করার আগে
বউ এরই দোশ দেয়। যদি ধরে নেই বড়
বউ এরও করুন মৃত্যু হয়েছে ছোট বউএর
হাতে। এখানে দুশি লোকটা। তাই গারদই
তার পাওনা ছিল। নিশ্চয় বড় বউএর
ভালবাসা অমুল্য ছিল তাই মৃত্যুর পর
বুঝতে পেরে ঘরের মায়া ছেরে রাস্তা
ধরে ছিল।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে আতাউর মামা তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন। বিনা নিমন্ত্রণে যেখানে সেখানে খেয়ে বেড়ানো তার এই ভারসাম্যবোধের অভাব থেকে উদ্ভূত। অন্যথায় তিনি কিন্তু দরিদ্র ছিলেন না। আর পুত্র সন্তানের অভাবে দ্বিতীয় বিয়ে করার প্রবণতা আমাদের সমাজে বহুদিন থেকে চলে আসছে, যদিও আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে এর পক্ষপাতি নই। কারণ সন্তান ছেলে হবে, না মেয়ে হবে তা' মোটেই স্ত্রীর ওপর নির্ভর করে না, এটা স্বামীর ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভর করে। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত। কিন্তু আবহমান কাল থেকে প্রচলিত কুসংস্কারের কারণে আমাদের সমাজে পুত্র সন্তানের জন্য পুনরায় বিয়ে করার প্রবণতা আজও বহাল তবিয়তে বিদ্যমান।
যাই হোক, আতাউর মামা মানুষ হিসাবে খারাপ ছিলেন না, এটুকু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি। আর মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষের দোষ গুন বিচার করা অর্থহীন।
ধন্যবাদ বোন কানিজ রিনা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
২৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
''কারণ সন্তান ছেলে হবে, না মেয়ে হবে তা' মোটেই স্ত্রীর ওপর নির্ভর করে না, এটা স্বামীর ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভর করে।''
-বাস্তবিক। অনেক দিন আপনার সাথে কথা হয় না। ভাল আছেন নিশ্চয়ই।
প্রামানিক ভাই কেমন আছেন? সুস্থ তো? যদি যোগাযোগ থেকে থাকে তার খবর জানালে খুশি হব।
সুন্দর লিখেছেন। ভাল থাকবেন।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
প্রামানিক ভাই সুস্থ আছেন বলেই জানি। তবে কয়েকদিন হলো যোগাযোগ হয়নি।
ধন্যবাদ ভাই নতুন নকিব। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
২৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ সকাল
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ আধা সকাল, আধা দুপুর।
২৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৪
আমির ইশতিয়াক বলেছেন: মামা একটা কমন ডাক। পিতা পুত্র সবারই মামা। আমার এক পরিচিত ওনি আমাকে মামা ডাকেন ওনার ছেলেও আমাকে মামা ডাকেন।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। এরকম প্রায়ই দেখা যায়।
ধন্যবাদ ভাই আমির ইশতিয়াক। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
২৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪
আমির ইশতিয়াক বলেছেন: গল্প শুরুতে খুব ভালো লাগছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে মামাকে পাগলা গারদে মেরে ফেলবে তা ভাবতে পারিনি। খুবই কষ্ট পেলাম।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, শেষদিকে আতাউর মামার পরিণতি সত্যিই খুব কষ্টের।
গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্পটি আগেও পড়েছিলাম।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুনরায় পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৩০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ বিকাল
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা।
আমার কপালে কী পান্তা ছাড়া গরম ভাত নাই?
৩১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথম পাঠের ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম । এমন চমৎকার একটি সামাজিক দিক নির্দেশনামুলক মুল্যবান লিখা পাঠে আবারতো একটু সময় হাতে নিয়ে আসতেই হবে তাই যাবার বেলায় একে প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
৩২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আগের বার প্রিয়তে টিক দিতে ভুল করেছিলাম , ঠিক করে গেলাম । আসব ফিরে আবার ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ইট'স ওকে ডঃ আলী।
৩৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটি পাঠে বুঝা গেল আতাউর মামা বয়োবৃদ্ধ হলেও দেহ ও মনে ছিলেন বেশ সতেজ ।
তার চরত্রে কোন ছিলনা কোন কলুসতা । তিনি ব্যক্তিগত জীবনে খুবই সফল । বাড়ী ব্যবসা সন্তান সবই তাঁর ছিল , ছিল স্ত্রীর প্রতি তার ভালবাসা । শুধু একটি বিষয় ছিলনা, সেটা তার পুত্র সন্তান । তবু তার জীবন থেমে থাকেনি, পুত্র সন্তানের আশায় তৈরি হয় তার দ্বিতীয় বিবাহের দাম্পত্য জীবন। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি দেখা পান তার কাঙ্খিত পুত্র সন্তান । আমরা জানি বহু পরিবারের শান্তি নষ্ট হয় পুত্র সন্তান না হওয়ার কারণে। তাই সকলেই একটি পুত্র সন্তান লাভের আশা করেন । যদিউ সকলে জানে আল্লাহ যাকে চান কন্যা সন্তান দান করেন, আর যাকে চান দান করেন পুত্র সন্তান।
নারীদের মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে আমাদের ধর্ম ও সমাজ কি বলে তা আতাউর মামারও ভাল করে জানার কথা । তাইতো প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার সপ্তাহখানেক পরে তিনি তা হৃদয়ঙ্গম করেন বলেই মনে হল ।
প্রথম স্ত্রীর কাছ হতেই তিনি হয়তো আর একটু চেষ্টা করলেই পেতে পারতেন পুত্র সন্তান । শুনেছি পুত্র সন্তান লাভের জন্য বেশ কিছু আমলও নাকি আছে । পুত্র সন্তান লাভের জন্য হাতে লিখিত কিছু কোরআনের আয়াত সম্বলিত কাগজ গলায় বেঁধে রেখে ও অনেককে হুজুরের দেয়া কিছু ওজিফাও জপতে দেখেছি । তার উপররে আমল করে অনেকে পুত্র সন্তান পেয়েছেন বলেও জানা যায় । আতাউর মামা হয়ত এটাও জানতে পেরে মানসিক যন্ত্রনায় পরতে পারেন ।
আবার ইদানিং পুত্র সন্তান লাভের সহজ 'পদ্ধতি'র সহজ বিবরন সহ ইউটিউবেই বেশ পদ্ধতি শেখানো হয় যা অন লাইনে দেখা যায় , আতাউর মামা শিক্ষিত প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, তিনিউ হয়ত এগুলি দেখে থাকতে পারেন ।
এ ছাড়াও পুত্র সন্তানের জন্য 'গর্ভধারণের উপায়' নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিবন্ধ কিংবা BBC বাংলার কথিকাটিও হয়তবা আতাউর মামা দেখে থাকতে পারেন । কিছুদিন আগে দেখেছিলাম কন্যা সন্তানের পরিবর্তে পুত্র সন্তান লাভের জন্য কিভাবে গর্ভধারণ করতে হবে তার উপায় বাতলে দিয়ে ভারতের একটি পত্রিকা কিছু পরামর্শ দিয়েছে। যেসব মহিলা পুত্র সন্তানের মা হতে চায়, তাদেরকে ছয়টি পরামর্শ মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।
অাবার অনেকেই পুত্র সন্তান লাভের জন্য স্পপ্নেও নাকি পায় কিছু বিধি বিধান । স্বপ্নে তার স্রীর কিছু বিশেষ দৃশ্য যথা কলিজা দেখা নাকি পুত্র সন্তান পাওয়ার নির্দশন । আতাউর মামা হয়তো তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে এমন কিছু দেখে থাকতে পারেন ।
তাই পুত্র সন্তান লাভের জন্য সন্তান জন্মদানে সম্ভবা তার প্রিয়তম প্রথম স্ত্রী থাকার পরও তার দ্বিতীয় বিবাহটা যে না করলেও চলত এ জ্ঞানটি আসার পরেও দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে প্রথম স্ত্রীর প্রতি তিনি অবিচার করেছেন বলে তার কাছে মনে হতেই পারে । এছাড়া দ্বিতীয় বিবাহের যে কুফল একটি পরিবারে স্বাভাবিকভাবে থাকে তার মর্মজ্বালাতেও আতাউর মামার আচার আচরণে হঠাৎ কিচুটা পরিবর্তন হয়েছে বলেই ধরে নেয়া যায় । একে সাধারণভাবে এলডারলী ডিমেনশিয়া হিসাবে চিহ্রিত করা যায় । প্রাথমিক অবস্থায় এর প্রতিকার করা খুবই সম্ভব । কিন্তু এটা তার পরিবারের লোকজন নেয়নি সিরিয়াস ভাবে । তারা সাইক্রিয়াটিকের স্বরনাপন্ন হতে পারতো । একজন মানুষ কোন কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে সে নীজে নীজে পারেনা করতে তার চিকিৎসা , তার মর্জি মেজাজ বুঝে করতে হয় তার সেবা যত্ন , তা হলেই সে ফিরে আসতে পারে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ।
ধরে নেয়া যায় আতাউর মামা প্রথম স্ত্রীর প্রতি অত্যধিক ভালবাসা থাকার পরেও শুধু মাত্র একটি পুত্র সন্তান লাভের জন্য তার প্রতি সুবিচার করেন নি , এ জন্যেও হয়তবা নীজের মনস্তাপেই ছিলেন তিনি বিপর্যস্ত । তবু তার শেষ জীবনের করুন পরিনতি কিংবা প্রিয় পরিজনের দৃস্টি ভঙ্গী তাকে নিয়ে গেছে একেবারেই মরনের পরপারে । এর দায় নীজ পরিবার , সমাজ , ও সরকার এড়াতে পারেনা কোন প্রকারেই ।
পাবনা মেন্টাল কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞগন তাকে সেখানে ভর্তী করার পুর্বে তার পরিবারের ভিতরই তাকে রেখে তাদের কোন স্বাস্থ্য কর্মীর তত্বাবধানে কিংবা সরকারীভাবে কোন হোম কেয়ারারের মাধ্যমে তার মানসিক রুগ নিরাময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই বয়োবৃদ্ধ আতাউর মামাকে এমন ভাবে অসহায়ের মত পরিবার পরিজন হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে হতোনা দিতে তার নীজের মুল্যবান জীবন । যদিউ জীবন মৃত্যু সকলেই আল্লার হাতে , তবু পরিবার পরিজনের অবহেলায় এমন করুন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না কোন মতেই ।
ধন্যবাদ গল্পের মাধ্যমে একটি সমাজ সচেতনমূলক লিখা আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি যে গল্পটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন, সেটা আপনার বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না। পুত্র সন্তান লাভের জন্য আতাউর মামার আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে আপনার বক্তব্যের বিষয়ে আমি কিছু তথ্য যোগ করতে চাই।
এই গল্পটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা। যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, সেই সময় মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটের মতো আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির কিছুই ছিল না। তা' ছাড়া আতাউর মামা ব্যবসা করে অঢেল সম্পদের মালিক হলেও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না। তার পরিবার বা বংশের অন্যদের মধ্যেও শিক্ষা দীক্ষা ছিল না। ফলে ইউ টিউব বা বিবিসি বাংলার কথিকার ব্যাপারে আপনার মতামত তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তবে ধর্মীয় বা অন্যান্য প্রচলিত পদ্ধতি বিষয়ে তিনি কিছু করে থাকলে সেটা আমার জানার কথা নয়। কারণ, এসব কথা সাধারণত ব্যক্তি বা পরিবারের বাইরে আসে না। আর এসব বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে গল্পটি লিখতে গেলে গল্পের ভলিউম বড় হয়ে যেত। বড় ভলিউমের লেখা সাধারণত ব্লগে কেউ পড়তে চান না। এমনিতেই আমাদের পাঠাভ্যাস দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে।
যাই হোক, সার্বিক বিবেচনায় আতাউর মামাকে দুর্ভাগাই বলতে হয়। তার করুণ পরিণতি নিঃসন্দেহে কষ্টকর।
ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৩৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য । গল্পটির একটি সামাজিক অাবেদন আছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে । অআমার কাছে মনে হয়েছিল আতাউর মামা গল্পটি এই সময়ের লিখা । তাই সমসাময়িক অবস্থাকে গল্পের আবহে টেনে এনছি, যথা একদিকে প্রায় অর্ধ শতাব্দি ধরে ঠিকাধারী ব্যবসায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং ইদানিংকার পাবনা পাগলা গারদের কথা উঠে আসায় ধারনায় আসে আতাউর মামার বয়স আশির মত হলেও তিনি এই প্রযুক্তি আমলেরই লোক । তাই এসময়ের একজন সফল ঠিকাদারকে শিক্ষিত ও আধুনিক কিছু প্রযুক্তি যথা সেল ফোন , টিভি, রেডিও ইত্যাদিতে মোটামুটি একটু জ্ঞান ও দক্ষতা থাকলেও থাকতে পারে এবং তা ব্যবাহারের সক্ষমতাও তার থাকলেও থাকতে পারে । তাছাড়া তার যে পরিমান বিত্ত বৈভব আছে তাতে তার ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হওয়ায় মনে হয়েছিল তাদের দায়িত্ব জ্ঞান থাকাটাও ছিল স্বাভাবিক । যাহোক প্রতি উত্তরে প্রকৃত অবস্থা জানা গেল , এ জন্য ধন্যবাদ ।
এই লিখাটিতে মুল্যবান লিখাটিতে সামাজিক আবেদন আছে বিবেচনায় বর্তমান সময়ে পুত্র সন্তান লাভের জন্য যতগুলি পন্থা আছে বলে জানা যায় তার বিষয়ে একটু ঈঙ্গীত দেয়া হয়েছে আপনার গল্পের প্লাট ফর্মটিতে। এখারনে আতাউর মামার মানসিক ভারসাম্য হারাবার সম্ভাব্য কারণগুলিকে দেখা হয়েছে বিভিন্ন দৃস্টিকোন হতে , এর হাত হতে উত্তরণের একটি দিক নির্দেশনা দিতে । জানি এটা অনেক পাঠকের মনযোগ কাড়তে পারে । মন্তব্য অংশটুকুতে বলা কথা একান্তই আমার , তাই এর মধ্যে পুত্র সন্তান লাভের জন্য ধর্মীয় তদবির হতে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ের কথা বলা হয়েছে যাতে করে শুধুমাত্র একটি পুত্র সন্তান লাভের জন্য মানুষ দ্বিতীয় বিবাহ করার পুর্বে যতগুলি পন্থা আছে তার সবগুলি যেন চেষ্টা করে দেখে । তা না হলে দ্বিতীয় বিবাহ করে পুত্র সন্তান লাভ করলেও তাকে হয় মানসিক বিকারগ্রস্ত হতে হবে কিংবা পরিবার পরিজন ছেড়ে মৃত্যুর মুখামুখী হতে হবে পাবনা পাগলা গারদে থেকে ।
মোদ্দা কথা এই মুল্যবান লিখাটির সামাজিক আবেদনটুকুই বুঝাতে চেয়েছিলাম এই ছেট্ট মন্তব্যের ঘরে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একদিকে প্রায় অর্ধ শতাব্দি ধরে ঠিকাধারী ব্যবসায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং ইদানিংকার পাবনা পাগলা গারদের কথা উঠে আসায় ধারনায় আসে আতাউর মামার বয়স আশির মত হলেও তিনি এই প্রযুক্তি আমলেরই লোক ।
আপনার উপরের কথাগুলি প্রসঙ্গে বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আতাউর মামার ঠিকাদারি ও ইটের ভাটার ব্যবসা এই ধরণের আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক ছিল না। কারণ, তার বয়স প্রায় আশির মতো হলেও এই বয়সের শেষের দিকে একটা বড় সময় তার কেটেছে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায়। পূর্বের যৌবন কালের জীবনে তিনি যখন ব্যবসা করতেন, তখন এ ধরণের আধুনিক প্রযুক্তি তার মতো কোন ঠিকাদারকে ব্যবহার করতে দেখিনি। তা' ছাড়া আতাউর মামা খুব বড় মাপের ঠিকাদারও ছিলেন না। আসলে এই গল্পে অনেক তথ্য উপাত্ত কাট ছাঁট করে শুধু মূল ঘটনার উপর লেখার কারণে আপনার হয়তো কিছু বিষয় অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হচ্ছে। এর জন্য আমিই দায়ী। কারণ গল্পটিকে ছোট রাখার জন্য এই আনুষঙ্গিক তথ্যগুলো আমি গল্পের মধ্যে নিয়ে আসিনি।
আর একটা কথা। ইদানিংকার পাবনা পাগলা গারদ বলতে আপনি ঠিক কী বুঝিয়েছেন, আমি বুঝতে পারিনি। ১৯৬৬ সালে আমি যখন ক্লাস সেভেনের ছাত্র, তখন আমি আমার আব্বার সাথে ভাইবোনদের নিয়ে এই পাগলা গারদ দেখতে গিয়েছিলাম। আমার জানামতে পাবনা মেন্টাল হসপিটাল পাকিস্তান আমলের প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠিত।
ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
৩৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
প্রামানিক বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প। ধন্যবাদ হেনা ভাই। কেমন আছেন?
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। আমি ভালোই আছি। আপনি তো আজকাল ব্লগে অনিয়মিত হয়ে গেছেন। আপনার সম্পর্কে কোন কোন ব্লগার আমার কাছে জানতে চান। আমি বলি, জানামতে উনি ভালোই আছেন। তো কেমন আছেন আপনি?
শুভেচ্ছা রইল।
৩৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , শ্রদ্ধেয় আসরাফুল ভাই , আমার বুঝতে কোন অসুবিধা হয় নাই , আপনার লিখায় কোন ফাক ছিলনা , এটা আমারই বুঝার অক্ষমতা। আপনার লিখাটি কোন মতেই অসংগতিপুর্ণ নয় বরং একে একটি গল্প ধরে নিয়ে এর মুল সুরটিকে আমার বিবেচনায় টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম আরো ব্যপকতায়, আরো উচ্চ মার্গে এ ধরনের সামাজিক বিষয়টাকে অনেকটা নীজের মত করে তুলে ধরে । আমি সব জায়গায় বলেছি মনে হয় , সম্ভবত ইত্যাদি জাতীয় কথা । আপনি ঠিকই বলেছেন শুধু ইটের ভাটা কেন লেখা পড়া কম অনেকেই চালাচ্ছেন অনেক ঠিকাদারী ব্যবসা সেটা আমি জানি । আপনার লিখার সুত্র ধরে শুধুমাত্র একটি পুত্র সন্তান লাভের জন্য দ্বিতীয় বিবাহটা বন্ধ করা যায় কিনা সেটা ছিল আমার চিন্তা । আপনার লিখাটিতে এ ধরনের কর্মের একটি ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠায় প্ররোচিত হয়েই আমার এ ধরনের চিন্তা মাথায় আসে যা এ মন্তব্যের ঘরে করা হয়েছে শেয়ার । এ দায় শুধু আমারই , আপনার অতি উচ্চমানের লিখার উপর এর কোন প্রভাব পড়বেনা বলেই মনে ছিল ধারণা । আপনার লিখার উপরে কোন প্রভাব পড়বে জানলে রাত জেগে কি অার এত বড় মন্তব্য লিখি!!
আপনার লিখাকে মুল্যায়ন করার ক্ষমতা আমার নাই, আমার নীজের কথাই বলে গিয়েছি তাই । পাবনা মেন্টাল হসপিটাল ১৯৬৬ সনে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখনকার প্রযুক্তির ছোয়ায় ইদানিং এর কিছু আধুনিকায়ন হয়েছে বলেই করেছিলাম ধারনা , এখনো এর অস্তিত্ব আছে এবং এর দুরাবস্থার একটি চিত্র সামুর পাতায় দেখেছি দিন কয়েক আগে । তাই ইদানিং বলতে এর বর্তমান দুরাবস্থার দিকেই ঈঙ্গিত করেছি যেখানে তারা একজন মানসিক রুগীর সেবা কি রকম করে তা বুঝানোর জন্য , কেমন করে সেখানে এক মানসিক রুগীর জীবনের শেষ পরিসমাপ্তি ঘটে সেদিকটা সংস্লিষ্টা বিবেচনা করে দেখার জন্য। একটি লিখা হতে সমাজ সচেতনমুলক বিষয়াবলি ও তা প্রতিকারের লক্ষ্যে গঠনমুলক কিছু বের করে নেয়ার জন্য একটি অতি ক্ষুদ্র চেষ্টা সবসময় আমি করি, এটা একটা বড় দুষ আমার তা আমি জানি । এ প্রচেষ্টাটি হয়ত মুল বিষয়টিকে বহুমাত্রিকতা দান করে কিংবা অনেক সময় মুল লিখককে বুঝাতে ব্যর্থ হই , অবশ্য এটা আমার জন্যই ঘটে , এ অভিজ্ঞতা আমার অনেক আছে । তবে মুল লিখকের ব্যাখা পেলে আমি অতি বিনয়ের সাথে পিছিয়ে আসি । বাবার মুখে শুনেছি বার্মা ফ্রন্টে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বৃটিশরা সংবাদ ভাষ্যে বলত " বৃটিশ বাহিনী সাফল্য জনক ভাবে পশ্চাদপসরণ করতে সক্ষম হয়েছে'' । আমার অবস্থাই তাই , শ্রদ্ধেয় অাশরাফুল ভাই এর কাছে তাঁর নীজের লিখার বিষয়ে প্রদত্ত তথ্যের কাছে অাত্মসমর্পন করে পিছিয়ে আসার থেকে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে ।
যাহোক , আপনার লিখাটিকে আমি বুঝে নিব আপনার মত করেই । আমার মন্তব্যের ঘরের মনে হয় সম্ভবত এ জাতীয় কথা মালার সাথে জড়িত বিষয়াবলি তুলে নিচ্ছি তাই এই সুযোগে ।
আশা করি আর কোন ভুল বুঝবেন না মন্তব্যএর ঘরে করা আমার কিছু কথামালাকে ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এভাবে বলবেন না ভাই। আপনার মতো একজন উচ্চমানের জ্ঞানী ও গুনী ব্লগারের মন্তব্য থেকেও অনেক কিছু জানার ও শেখার আছে। আপনি আমার যে কোন লেখার ত্রুটি বিচ্যুতি দেখলে অবশ্যই তা' মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। এটা বরং আমারই উপকার করবে। আমার প্রতিমন্তব্যের দ্বারা যদি কোনভাবে আপনি আহত হয়ে থাকেন, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করি, আমার পরবর্তী লেখাগুলিও পড়বেন এবং মন্তব্য করবেন।
ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
৩৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পান্তাই পেটের ভেতর গেলে গরম হয়ে উঠবে, তাও যদি না হয় তাহলে পান্তা খেয়ে নিজেই চুলার উপর গিয়ে বসে পড়বেন
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বুদ্ধি ভালোই দিয়েছেন। আমার স্ত্রী বিধবা হলে এর দায় দায়িত্ব সব আপনার। আমি এক্ষুনি পান্তা খাইয়া গ্যাসের চুলার উপরে গিয়া বসতাছি।
৩৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
এই গল্পের মতো কত ঘটনাই যে ঘটে সমাজে!!
++++
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি ভালো আছি ভাই। আপনি কেমন আছেন? ব্লগে কিছুটা অনিয়মিত হয়ে গেছেন মনে হয়।
ধন্যবাদ ভাই বিজন রয়। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৩৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ভাই । আহত হওয়ার কোন প্রশ্নই উঠেনা সে কারণে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়তো নয়ই । আপনার মুল্যবান লিখা একবার কেন, বার বার পাঠেও আশ মিটেনা সেটা কি ভাবে বুঝাই । একটি সমাজ সচেতন লিখার বিষয় বস্তুকে আমি প্রয়োগ করি আমার বিভিন্ন গবেষনায় বিবিধ ভাবে, আমি দিনমান ভরে এ ব্লগের লিখা হতে ভাল ভাল যত টুকু পারি কুড়াই । তার মাঝে আপনার লিখাও একটি । সমাজ সচেতনমুলক একটি গবেষনা কর্মে আমার একটা পোষ্ট ডক্টরাল রিসার্চ চলছে । আপনি না চাইলেও আপনার লিখায় আমি আসবই বারে বারে । যতটুকু পারি মন্তব্য রেখে যাব সেটা পান্তা কিংবা গরম যেমনই হোক না কেন । পান্তা খেলে পেট ভাল থাকে, তাই গ্রাম বাংলার অনেক লোকেই তা খায়, এর মর্ম বুঝতে পেরে বৈশাখের শুরুতে এখন শহরের লোকেরাও শাংকীতে করে বেশি দামে তা কিনে খায় ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৪০| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তবে শর্ত হইল, চুলা কিন্তু নেভানো থাকতে হবে
১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পর থাইকা আমার বাড়ির গ্যাসের চুলা নিভাইয়া রাখছি।
৪১| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৩
কানিজ রিনা বলেছেন: এই খানে ডাক্তার এমএ আলির দামী বিশ্লেশন
খুব ভাল লেগেছে। প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ
লেখক আবুহেনা ভাইকে।
একটা কথা আগে বলে নেওয়া দরকার
এখনও অনেক পুরুষ জানেনা নারীরও মন
আছে। অনেক আগের মানুষ কন্যা শিশুকে
জীবন্ত কবর দিত। সহমরনেও স্বামীর সাথে
জীবন্ত পুড়িয়ে দিত এসব দৃষ্টান্ত যুগ যুগ
ধরে পরির্তন হলেও। অশিক্ষিত জাতি যদিও
জানে নারীর জান আছে কিন্তু মন আছে
বলে বিশ্বাস করেনা। আতা মামা একটি মাত্র
পুত্র সন্তান লাভের আশায় দ্বীতিয় সাদী করতে
সমরর্থন হয়েছে। কিন্তু আশে পাশের অজস্র
সমরর্থন বাদীরা দ্বীতিয় সাদী করে থাকেন।
স্ত্রীর নানান রকম দোশক্রুটি ধরে। তাও যদি
পেরে না উঠে একটি মাত্র হাদীস্ নিজেদের
সুবিদার্থে ব্যবহার করে ধর্মে চারটি সাদী করার নিয়ম আছে। তারপর এ হাদীদের
আগে পরে অনেক নিয়ম আছে সেটাও
অশিক্ষিত মসম্মান তা পরেও দেখেনা।
দেখুন নিগুর ভাবে যদি চিন্তা করি। আতা
মামার প্রিয় স্ত্রীর কিভাবে মৃত্যু ঘটেছিল।
মামা সেইটাই সয্যকরতে পারে নাই।
মানষীক ভারসাম্য হাড়িয়ে ফেলেছে। বাইরের
সমাজে মামা সবার কাছেই ভাল। কিন্তু উনার
নিজের সংশারে নিজেই আগুন ছিল।
উনার ছেলে সন্তানরা উনাকে দেকভাল করে
নাই। গারদে খুব করুন পরিনতিতে মৃত্যু বরন
করেছে। এখন বলুন এর জন্য কে দায়ী।
১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনিবার্য কারণে বিলম্বে উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। আপনার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আসলে বলার কিছু থাকে না। মানুষ মাত্রেই তার কর্মফল কিছু না কিছু দুনিয়াতেই ভোগ করে।
ধন্যবাদ বোন কানিজ রিনা। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৪২| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাহলে এবার আরামটি করে বসুন
১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চুলার উপর আরাম করে বসা যায়? কোনদিন বসে দেখিনি তো! হাঃ হাঃ হাঃ।
৪৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের পরিণতি মন খারাপ করার মতোই।
ধন্যবাদ নীল-দর্পণ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৪৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন:
আবুহেনা ভাই মামুর জন্য
১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আতাউর মামার এ জিনিষ খাওয়ার সৌভাগ্য আর হবে না।
৪৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: চমৎকার সুন্দর গল্প
১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ উদাসী স্বপ্ন।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৪৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভ হাইঞ্জালা
১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাইঞ্জালা ?
মালয় ভাষা নাকি?
৪৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
শেয়াল বলেছেন: মামার লাগি খারাপ লাগিলো
১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পাঠকের ভালো লাগা খারাপ লাগার অনুভূতি লেখকের সফলতা।
ধন্যবাদ শেয়াল। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৪৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জ্বীনা ভাই, আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় সন্ধা বেলাকে হাইঞ্জালা বলে
১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ও! বুঝছি। 'সাঁঝের বেলা' কথাটি আঞ্চলিক টানে হাইঞ্জালা হয়ে গেছে।
আপনাকেও শুভ হাইঞ্জালা।
৪৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১১
পুলক ঢালী বলেছেন: হেনাভাই শুভেচ্ছা নিন । বরাবরের মতই সাবলীল রচনা। এবারই নুতন গল্প হিসেবে পড়লাম আগে পড়ার সৌভাগ্য হয়নি।
গল্প পড়ে মাথাটা জট পাকিয়ে হিজিবিজি হয়ে গিয়েছিলো কি লিখেছেন আর আমি অন্তর্নিহীত বিষয় কি বুঝলাম কিছুই বুঝতে পারছিলাম না পরে হামা ভাইয়ের মন্তব্যটাই সঠিক বলে মনে হল মানব চরিত্রের কত বৈচিত্রময় বহিঃপ্রকাশ । গল্পটা নিয়ে নয় লেখককে বলছি একজন পাগলের মধ্যে এমন কূটনামীর উদয় হলো কিভাবে?
আসল ঘটনা কী জানো? আমি আকলিমার (মৃত বড় বউ) হাতের রান্না খাই, সেটা সালেহার (ছোট বউ) ছেলেদের পছন্দ নয়। তাই তারা আমাকে এখানে বন্দী করে রেখে গেছে।
কথাটা সত্য হলেও তার পাগলামীর আচরনে সেটা প্রমানিত নয় কারন বাসায় খাওয়া এড়াবার জন্য দাওয়াৎ এর অনুষ্ঠানের খাওয়াটা তো আকলিমার হাতের রান্না নয়। তাছাড়া প্রতিদিন দুবেলা খাওয়ার জন্য নিশ্চয়ই সারাক্ষন বিয়ে বৌভাত আঁকিকা এসব অনুষ্ঠান চলে না? তাছাড়া হোটেলেও নিশ্চয়ই ফাও খাওয়ায় না সুতরাং তিনি বাসায় ছোট বৌ এর রান্নাই খেতেন।
হে হে হে নাই কাজ তো খৈ ভাজ টাইপের মন্তব্য! মাইন্ড খাইয়েন না!
আপনার আর সামমা ভাইয়ের আড্ডা চলতে থাকুক আমরা গ্যালারীতে বইসা দেখতে থাকি।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, না, ভাই। মাইন্ড করবো কেন? একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের কথাবার্তা ও চাল চলনের মধ্যে নানারকম অসঙ্গতি থাকাটাই স্বাভাবিক, তাই না? একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ ( যিনি অভাবী নন ) কী কখনো বিনা দাওয়াতে অচেনা মানুষের অনুষ্ঠানে খেতে যেতে পারেন? তার কথাবার্তার মধ্যেও যুক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
ধন্যবাদ ভাই পুলক ঢালী। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৫০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
খোলা মনের কথা বলেছেন: হিমু বেঁচে থাকলে হয়তো তারও বুড়া বয়সে এমনই হতো।
২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই খোলা মনের কথা।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্প পড়ে মামার জন্য খারাপ লাগল। অনেক দিন পরে পোষ্ট দিলেন। নতুন লেখার কি খবর ভাই?